চারটি কবিতা
১
অনেক এগিয়ে যায়, অলিগলি পার করে
যেখানে দাঁড়ায়
জমে যায় ভিড়।
তা বড়ো সামান্যকাল
দু হাজার বিশ সাল
আসবে আসবে ভেবে হয়ে যায় স্থির।
আমি তো সন্ধানে নামি নিঁখোজের, কী করে হারায়
ভেবে ভেবে দুটি চোখ ছলছল করে
স্মরণে পিছনে হাঁটি আগের বছরে
তা কিনা আমার কথা রটে যায় পাড়ায় পাড়ায়।
ধরতে পারিনা বলে
বিপুলা ধরণী দোলে
আমার চশমাটিতে
নবতর ঢেউ দিতে
চুপিচুপি এসে বসে জিরোয় নিবিড়
২
অযথা ঘাবড়ে গেলো, সরে গেলো বাতাসের হাত
পিঠের ওপর এসে
একটুকু ছুঁয়ে, শেষে
মুখোমুখি দাঁড়ালো হঠাৎ।
দেখা গেলো? দেখা গেলো? সামনে বা পাশে?
অতীব উৎসাহে বুঝি এইবার চলে গেলো
আরেক বাতাসে
হতে পারে মৃদু ভয়ে
অথবা দুনিয়া জয়ে
এরকম ঘন ঘন শ্বাস
ছুটে এলো অগণন বিবিধ বাতাস
৩
প্রায় এসে গিয়েছিল একেবারে শ্বাসের নাগালে
দুহাত বাড়িয়ে দিলে
অথবা মাথায় নিলে
থাকতো, ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুরপাকে সহসা জাগালে
কী হতো আলোর রেখা হিজিবিজি কেটে দিলে
চোখে মুখে বুকে সারা গায়
রোমহর্ষ, রোমহর্ষ
কেবল সেসব স্পর্শ
শত শত সেসব ছোঁয়ারা
কতো দাগ কেটে দিতো উঁচু করে তুলে ধরে নীলে
এ চেয়ারে, এ টেবিলে
এ জগতে, এ নিখিলে
তখন চুপটি করে দেখে যেতো, কেমন দেখায়
আগুনের অবাক ফোয়ারা
৪
আড়ালে অনেককাল একা একা পড়ে ছিলো
ধুলোয় কাদায়
এমন হয়েছে হাল
থেমে গেছে এ সকাল
সমবেত ঝুলকালি ধোঁয়ায় বাধায়
গ্যালন গ্যালন জলে কে ধোবে এখন
বিপন্ন, বিপদগ্রস্ত
শূন্য দৈর্ঘ, শূন্য প্রস্থ
অন্ধকার মন