স্বাতী রায়
ভিউফাইন্ডারে চোখ রাখার পর দুনিয়াটা প্রায়ই বদলে যায়। সেখানের পৃথিবী আমার কাছে বড়ই সুন্দর, স্বপ্নিল, কখনও বা মায়াবী। সেই মায়া ছবি হয়ে আসার পরে প্রায়শই মাথার মধ্যে গুনগুনিয়ে যায় কিছু লাইন, খুব চেনা লাইন। নতুন করে ছবির বর্ননা আর দিতে লাগে না, আমার আগেই তা কারও না কারও বলা হয়ে গেছে। ছবি তোলার পরেইহঠাৎ করে মাথায় আসে, আরে আমার ছবির তো কিছু বক্তব্য আছে। এই যেমন এদের। থাকুক কিছু সাজানো পর পর…

চকিত পাদপশ্রেণী দেখে ভাবে দীর্ঘ ভগবান

নামহারা ফুল গন্ধ এলায়,
প্রভাতবেলায় হেলাভরে করে
অরুণ মেঘেরে তুচ্ছ
উদ্ধত যত শাখার শিখরে
রডোড্রেনডন গুচ্ছ।

এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
খোঁজে এ ক্লীবের দেহে, অভ্যন্তরে, মহান শূন্যতা
দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
নোঙর ফেলি ঘাটে ঘাটে।
বন্দরে বন্দরে।
আমার মনের নোঙর পইড়া আছে হায়রে
সারেঙ বাড়ির ঘরে।
পার কইর্যা দে
মাঝি পার কইর্যা দে
ফেনিল ওই সুনীল জল নাচিছে সারা বেলা।
উঠিছে তটে কী কোলাহল ছেলেরা করে মেলা।
জগৎপারাবারের তীরে ছেলেরা করে খেলা
আপন মুখের প্রান্তে শান্ত চরণের ছায়া থাকে
তাই দেখে মাঝি আকাশে তাকায়।
ক্রুদ্ধ ঝড়ে উঠবে নড়ে স্তব্ধ প্রকৃতি