ঋক অমৃত

তিনটি কবিতা

 

১
রিফিল থেকে সমস্ত কালি নিংড়ে নিলে, কাগজেও এক সমন্তপঞ্চক রচনা হয়।
একটি কবিতার পরেই কি তবে যুগাবসান? ঘরে ঘরে বিধবা?

প্রথম বইয়ের ভূমিকার মতোই থমকে আছি।
দু’শো টাকার নোটের পিছনে সাঁচী স্তূপ, আমাদের উদগ্রীব মধ্যমপন্থা

ও

মণীন্দ্র গুপ্তের কবিতাসংগ্রহ…

 

২
বিপ্লবের দেবী জানেন চাঁদ কতটা শীত! জ্যোৎস্না ঠিক কতটা টলমল। সৌন্দর্যের ভিতরে কিছুটা রক্ত মিশিয়ে দিলেন তাই…

এখন এই জ্যোৎস্না, এই রক্ত সুষুম্নার ভিতর দিয়ে নামে, নদীর স্রোতের মতো বয়…

দেশ থেকে রাষ্ট্রের দিকে, কীটস থেকে জীবনানন্দের চূড়ায়।

 

৩
এই পুদগল আয়ুর কাছে কে বড়—স্মৃতি না সময়?

ভস্মে ঢাকা দুপুর থেকে ডাকে ট্রেন, সুদূর
বৈশালী থেকে ডাকে ট্রেন, আগামী সঙ্গম থেকে
ডাকে—

এক সান্ত্বনা রচনা করে চলে যায়

এই পুদগল আয়ুর কাছে কে বড়—স্মৃতি না সময়!