চিরতরে হারিয়ে যাওয়া এক আশ্চর্য দেশকালের আখ্যান… ১৯৪০-এর দশক… গভীর পশ্চিম রাঢ়… মশক পাহাড়। লেদি পাহাড়। আদিবাসী পল্লির ফোঁটা দেওয়া লাল ধুলোর অনন্ত পরিসর… বাড়ির চালার খানিকটা উপর দিয়ে তীব্র পুরু স্রোতে উঠে আসা ভয়ানক জীবন্ত সচল মেঘ— সমস্ত ফসলক্ষেত নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া পঙ্গপাল… কালো আঁকাবাঁকা উলঙ্গ স্রোতের পশুর মতো উপুড় হয়ে কাদামাটিতে জড়ানো ফেন পান— মন্বন্তর।… রজনী পণ্ডিতের পাঠশালায় ওজনের মাপ শেখা— ছেদাম-বুড়ি-পাই। রাজহাটি পাই আর বাঁকড়ি পাই।… বনপ্রান্তর থেকে জোগাড় করে নেওয়া মনোহরা টিফিন— পিয়াল-ব্যাঁচ-ভুঁড়ুর-কুসুম, চিঁড়ে-মুড়কির গাছ… তুড়ুক গিদরোর স্বপ্নের পরকুল… পল্লির রাতে ঘরে ঘরে উজ্জ্বল ভ্যারেন্ডা-বাতি… কাঠকয়লার আগুনে ফুটানো জলের বাস্প-চালিত শেভ্রোলে বাস… বনভূমির উৎসব: রাজা সুকুমার ধবল শাহাজাদা দেবের বাৎসরিক ইন্দ্রধ্বজ পূজা— ইন্দ্ পরব।… উজ্বল গোলাপী রঙের, চোঙা দেওয়া চৌকো কাঠের বাক্স— His Master’s Voice… শরের কলম থেকে উইলসন পেন… আগে ডোম, বাগে ডোম, ঘোড়া ডোম সাজে— হাঁড়িদের ঘোড়া পরব।… রঙিন স্মৃতিময় অনন্ত বিস্ময়…। সঙ্গে শিল্পী হিরণ মিত্রর আঁকা অজস্র ছবি।…