মফ্লং— এক বিমূর্ত আদর্শের নাম

শতাব্দী দাশ

 

কয়েক বছর পরে কেউ কোথাও থাকব না জানতে পারলে প্রথমে মেয়ের মুখ মনে পড়ে। সন্তান পূর্ণ আয়ুষ্কাল বাঁচবে না, একথা ভেবে ফেলতে পারা সহজ নয়। লিখতেও হাত কাঁপে। অথচ জল ফুরিয়ে যায়। প্লাস্টিক ওড়ে জ্যোৎস্নায়। বৃষ্টি আসে না। আমরা অতিগ্রীষ্মকে বরণ করি অচঞ্চল। আর এমন দুর্দিনে মফ্লং-এর কথা মনে পড়ে।

গত পাঁচ জুন, পরিবেশ দিবসে, পৃথিবীর ধ্বংস সংক্রান্ত যে ভবিষ্যবাণীটি বজ্রপাতের মতো আছড়ে পড়ল, তার উৎস নাকি অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণা। যে হারে পরিবেশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে, সেভাবে চললে নাকি ২০৫০ নাগাদ ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী, বললেন তাঁরা। এই তো প্রথম নয়। মুহুর্মুহু সতর্কবার্তা এসেছে আগেও৷ পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের (sustainable development) ধারণা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সে পথ মাড়ায়নি অধিকাংশ দেশ। রাষ্ট্রনেতা বা নাগরিকরা কখনও সচেতন হবেন, এসব কেমন দুরাশা মনে হয় এখন। অথচ যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে, তাতে সাসটেনেবল ডেভলপমেন্টও আর যথেষ্ট সুবিধা করতে পারবে না হয়ত৷ উন্নতি বা অগ্রগতি বড় বেশি হয়ে গেছে। হয়ত পিছু হটা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সভ্যতার চাকা পিছনে গড়ায় না, গড়াতে পারে না। সামনে মৃত্যুখাদ দেখলেও না৷ এমন দুর্দিনে মফ্লংকে মনে না পড়ে উপায় কী?

প্রকৃতিকে ‘জয়’ করা,  লুণ্ঠন করা এক মহান লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে মানুষের ইতিহাসে ও বিজ্ঞানে। নরকেন্দ্রিক (anthropocentric) ইতিহাসে গাছ, কীটপতঙ্গ, পাখপাখালি বা পশুদের বাঁচামরার গল্প নেই। নরকেন্দ্রিক বিজ্ঞান বিশেষ জ্ঞান অর্জন করার থেকে প্রযুক্তিমুখী হয়ে ওঠাকেই মোক্ষ ঠাউরেছে৷ আর প্রযুক্তি ধাবিত হয়েছে মানুষের আরাম, আয়েশ ও সুবিধার সন্ধানে। প্রযুক্তির লক্ষ্যই হল প্রকৃতি দ্বারা নির্ধারিত সীমানাটি অতিক্রম করা। অথচ মফ্লং সেই সীমানা অতিক্রম করার দুঃসাহস আজও দেখায় না৷ মফ্লং সংযম অভ্যাস করে। সংযম কি ধর্মশাস্ত্রের ফালতু নিদান শুধু? যা নিয়ে নাস্তিক ও যুক্তিবাদী পরিহাস জায়েজ? প্রযুক্তি তো স্বভাবতই সংযমবিরোধী। মানুষের যেটুকু এক্তিয়ার, তার বাইরে বিচরণ করতেই তো প্রযুক্তিকে প্রয়োজন। অসংযমের চরম ফল ঘনিয়ে এলে প্রযুক্তি তবে বাঁচিয়ে দেবে তো? নাকি ধ্বংস হয়ে যাব? আমাদের পাপভারে ধ্বংস হবে মফ্লং-এর গ্রাম, পাহাড় আর অরণ্যও, যারা সংযম অভ্যাস করেছিল যথাসাধ্য?

ভারতবর্ষে একদিকে গঙ্গা বাঁচাতে সন্ন্যাসীরা অনশন করেন, একাকী কোনও তাপস অনশনে প্রাণও দেন, অন্যদিকে সরকার বাহাদুর হেলিকপ্টারে চড়ে পাললিক পাহাড় কাঁপিয়ে পৌঁছন হিমালয়ের গুহায়, মিডিয়াকে যোগসাধনার স্টান্ট দেখাতে। তিনি বিশ্ব-উষ্ণায়নকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন।

মফ্লং-এর কথা তাই বড়ই মনে পড়ে। মফ্লং এক গ্রামের নাম, গ্রামের লাগোয়া জঙ্গলের নাম। মফ্লং এক বিমূর্ত আদর্শ কিংবা বোধও।

শিলং থেকে কমবেশি চব্বিশ কিলোমিটার দূরে এই জঙ্গল। প্রায় একশ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তার৷ শব্দের আদিতে ‘ম’ বর্ণ এত বেশিবার আসে খাসি ভাষায়, মানে জানতে ইচ্ছে জাগে৷ বর্ণ নয়, আসলে নিজেই শব্দ। ‘ম’ মানে পাথর। নানা মোনোলিথ পাথরের নামে নানা জায়গার নাম। ‘ম’-এর সঙ্গে ‘ফ্লং’ যুক্ত হলে মানে দাঁড়ায় তৃণশোভিত সবুজ পাথর। এই ‘সেক্রেড গ্রোভ’ খাসি উপজাতির উপাসনাস্থলও বটে।

শিলং থেকে মিনিট চল্লিশ ড্রাইভের পর, গাড়ি ক্রমে নামছিল পাহাড় থেকে উপত্যকায়৷ উপর থেকে মফ্লং-কে লাগছিল হালকা-সবুজে বেষ্টিত রহস্যময় গাঢ়-সবুজ দ্বীপের মতো। ড্রাইভার বললেন, গাইড নিয়ে পায়ে হেঁটে ঢুকতে হবে। স্থানীয় গ্রামের মানুষরাই গাইড৷ হাফ ট্রেক তিনশ টাকা। ফুল ট্রেক ছয়শ। গাড়ি থামাতে দেখা গেল, মহা শোরগোল।

এক শহুরে যুক্তিবাদী জঙ্গলে ঢুকবেনই, কিন্তু কিছুতেই গাইড নেবেন না। ‘কী এমন আছে ওখানে? ওই তো গুটিকয় গাছ মাত্র।’ গাইড বোঝানোর চেষ্টা করছেন, প্রতিটি গাছের আছে নিজস্ব গল্প। তার চেয়ে বড় কথা, ‘পবিত্র জঙ্গল’। এখান থেকে একটিও পাতা নিয়ে গেলে ঘোর অনর্থ হবে, দেবরোষ নেমে আসবে। নজরদারির জন্যও স্থানীয় গাইড দরকার।

যুক্তিবাদীর আস্ফালন, প্রত্যয়, হুঙ্কার ‘হারবার্ট’-এর ‘যুক্তিবাদী সমিতি’-কে মনে করায়। তিনি যার-পর-নাই তাচ্ছিল্য করছেন প্রতিটি কথাকে৷ গাছেরও গল্প আছে শুনে বললেন, ‘টেল মি ওয়ান!’ গাইড বলেন, সেসব জঙ্গলেই শোনানো যাবে। শেষে পবিত্রতা আর অনর্থ-টনর্থের কথা শুনে যুক্তিবাদী আর সামলাতে পারলেন না। বললেন, ‘ইউ আর চিটিং। ইউ চিট!’ সন্দেহের অনুরণনে সবুজ সকাল আর কয়েকটি পাহাড়ি মুখ কালো হয়ে গেল।

মাথা নিচু করে এগোই। সঙ্গে আরেক তরুণ খাসি গাইড। নিজেদের বেমানান লাগে। অপার প্রকৃতির সামনে নিজের উপস্থিতিকে ‘অনধিকার প্রবেশ’ মনে হয়েছিল সত্যচরণের। ‘আরণ্যক’ উপন্যাসে। যেন সে চুরি করে ঢুকে পড়েছে নিজের ক্ষুদ্রতা নিয়ে মহান এক বিন্যাসে। তেমনই বোধ হয়। যেন যোগ্য নই। যবে আদিমতার সামনে দাঁড়িয়ে অযথা বচসায় মতি হবে না, তবেই যেন আসি এখানে।

নীল ছত্রাক

ঢোকার মুখে আমাদের গাইডও সতর্ক করেন, পবিত্র জঙ্গল… একটিও পাতা যদি…

আমার সাত বছরের মেয়ে মৃদুস্বরে বলে, ‘ননসেন্স’। তথাকথিত যুক্তিবাদী মায়ের সঙ্গে বড় হওয়া সাতবছুরে ভাবে, একটা পাতা নিয়ে গেলে প্রলয় ঘনাবে, এমনটা অন্ধবিশ্বাস। ইশারায় থামাই। তার কথাকে খণ্ডন করি, বা নিজেই নিজেকে খণ্ডন করি। বলি, আজ শুকনো পাতা, কাল সবুজ পাতা, পরশু একটা ডাল, তার পর ফুল, ফল, তারপর হয়ত কাঠকুটো… এভাবে তো একে একে সবই দখল করে নিই। আমরা তো থামতে জানি না৷ থামাতে জানি না উদগ্র লোভ৷ থাকুক না এসব তার চেয়ে, দেবরোষের ভয়েই থাকে যদি! একশ বর্গ কিলোমিটার বৈ তো নয়! সে দ্বীপের বাইরে আমাদের লোভ থিকথিক করুক। এই প্যান-থেইজমে সমর্পণ সর্বস্ব জয় করে ফেলার রোখের চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব ছিল হয়ত।

প্রসঙ্গত, পাহাড়-জঙ্গল ঘিরে এসব লোকায়ত বিশ্বাস মূলত হিন্দু খাসিদের। আঞ্চলিক ভাষায় তাঁদের ‘সেংখাসি’ বলে। ক্রিশ্চান খাসিরাও এসব বিশ্বাস দেখে ও মেখে বড় হন, এসবের অমর্যাদা করেন না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হিন্দুত্ব বেচেন ভোট-বাজারে। তাঁর অনুগামীরা নিজেদের পরিচয় দেন হিন্দুত্ব ও ভারতীয়ত্বর ‘সহি’ প্রতিনিধি হিসেবে৷ অথচ প্রাগার্য ভারতবর্ষে প্রকৃতিপূজনের চল ছিল। আর অদ্বৈত বেদান্ত মতে সব কিছুই যদি হয় এক ও একমাত্র ব্রহ্মের প্রকাশ, তবে তাও প্যান-থেইজমের কাছাকাছি, মোনোথেইজমের নয়৷ এক ঈশ্বর, এক ‘শ্রীরাম’, এসব তো ‘ঐতিহ্য’ নয়।

ফণা তোলা পাতা

কিন্তু ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব-উষ্ণায়নে বিশ্বাস করেন না। যেমন করেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোদিজি গঙ্গাদূষণেও বিশ্বাস করেন না৷ পরিবেশ সচেতনতায় ভারতের স্থান ১৭৭ তম, ১৮০টি দেশের মধ্যে।

প্রথমবার সাতবছরের মেয়ে হয়ত বোঝে, প্রথাগত যুক্তিবাদের বাইরে যা কিছু, তার সবই হয়ত স্রেফ ‘অযৌক্তিক’ নয়৷ জঙ্গল জুড়ে ছিল সুপ্রাচীন সব পাইন। বয়স যাদের পেরিয়েছে দুই তিন শতক। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল একমুখী, দ্বিমুখী, ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ। সাপের মতো ফণা তুলেছিল আশ্চর্য পাতারা— কালো ও সবুজ বর্ণের। আসমানি নীল রঙের অচেনা মস্ জমেছিল পাথরে। ছিল বিচিত্র ছত্রাক। আবার এক ধরনের আগুন-লাল ফল ছড়ানো ছিল পথে, যা নাকি বিষাক্ত। কাঠবেড়ালি গাছ থেকে ছুটে নেমে টুক করে তুলে নিচ্ছিল পড়ে থাকা অন্য ফল, ফিরেও তাকাচ্ছিল না লালটির দিকে। আর ছিল ভেষজ সম্ভার। কোনওটি থেকে টিউবারকিউলোসিসের ওষুধ তৈরি হত বলে দাবি, কোনওটি থেকে ক্যান্সারের।

লম্বা লম্বা মনোলিথ পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এখানে ওখানে। কোনওটিতে নৈবেদ্য প্রস্তুত করা হয়, কোনওটি পূজার বেদি। মূল উপাসনাস্থলটি পাথরে ঘেরা। মাঝখানে মোনোলিথ পাথর-ঈশ্বর। লাবাসা। যিনি রাত নামলে ‘লেপার্ড’-এর ছদ্মবেশে বিচরণ করেন।

দেবতার থান

তাঁর সামনে একসময়ে মোষ বলি হত, এখন আর হয় না। একবার এক মোষ বলির আগে উধাও হয়ে যায়। ধরে নেওয়া হয়, লাবাসা বলিতে আর খুশি হচ্ছেন না, বরং প্রাণীহত্যায় রুষ্ট হচ্ছেন৷ বলি বন্ধ হয়, সেও প্রায় একশ বছর হল।

জঙ্গল ছেড়ে আসার আগে মেয়ে মুঠি খুলে ফেলে আসে কিছু কুড়োনো পাতা, রুদ্রাক্ষ ফল। সংযমের প্রথম পাঠ।

ফেরার পথে শুনি, সেই যুক্তিবাদীকে ঠান্ডা করতে গ্রাম থেকে ছুটে এসেছেন গাইডদের দলনেতা। বোঝাচ্ছেন, “আপনি চাইলে বিনা পারিশ্রমিকে জঙ্গল দেখাব৷ কিন্তু গাইড ছাড়া ঢুকতে দেব না পবিত্র জঙ্গলে৷ কারণ একটিও পাতা যদি…”

শহরে ফেরা হয়৷ দিন যায়৷ মফ্লংকে সুদূর স্বপ্ন বলে ভ্রম হয়৷ “মনে হয় বুঝি কোনও অবসর-দিনের শেষে সন্ধ্যায় ঘুমের ঘোরে এক সৌন্দর্য্যভরা জগতের স্বপ্ন দেখিয়াছিলাম, পৃথিবীতে তেমন দেশ যেন কোথাও নাই।”

শহরে ফিরলে ধ্বংসের দুঃস্বপ্নও ফেরে। একত্রিশ বছর৷ টেনেটুনে হয়ত পঞ্চাশ বা একশ বছর করা গেল তাকে৷ তারপর? কেমন হবে শেষের সে দিন? অকস্মাৎ মহাপ্রলয়ের মতো? নাকি তিলে তিলে মারা যাবে প্রজাতিসকল? একে একে ফুরোবে খনিজ, বনজ সম্পদরাশি, এককালে যাদের অফুরান মনে হয়েছিল। জল, বাতাস নিঃশেষ হবে। হলদেটে গাছেরা আর তৈরি করবে না শর্করা৷ হাঁফ ধরবে, বুক শুকিয়ে যাবে, নাকি বিষক্রিয়ায় নীল হবে শরীর? বিনাশ নেমে আসবে। নেকড়ে বা অন্য কোনও বেশে। আসুক। স্বার্থপরতা আর অজ্ঞতার লজ্জা থেকে মুক্তি দিক।

সন্তান পূর্ণ আয়ুষ্কাল বাঁচবে না, এমন ভেবে ফেলতে পারা সহজ নয়। আরও বছরদশেক পর ক্লিন্ন শহরে ধুঁকতে ধুঁকতে মাঝবয়সী হয়ত তরুণকে বলবে, “আমাদের সময়ে… যশোর রোডে সে কত গাছ! এয়ারপোর্টের কাছে এলে ছায়ায় ছায়ায় উষ্ণতা দু-তিন ডিগ্রি কম বোধ হত। পথে দু’ধারে গাছ ডালাপালা মেললে সে পথকে বীথিকা বলা হত।”

আর কি সন্তানের আগমন চাইবে কোনও প্রেমিক-প্রেমিকা? ধ্বংসের মুখে নবজাতককে আবাহন করার ইচ্ছে হবে কি? বছরদশেক পর ক্লান্ত মাঝবয়সী হয়ত বলবে তরুণীকে, “সে সময়ে আমরা প্রেমে পড়লে মনে মনে সন্তানের জন্ম দিতাম। মনে মনে নাম রাখতাম তার। হয়তো মফ্লং!”

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4650 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

7 Comments

  1. খুব সুন্দর লেখা। জানা ছিলোনা এ প্রসঙ্গে কোনো কিছুই, স্বচক্ষে দ্যাখা তো দূরস্থান। দুঃখ একটাই যে ভারতবর্ষে ধর্ম কিংবা লোকায়ত বিশ্বাসের ঢাল না থাকলে প্রকৃতির বলাৎকার বন্ধ করা যায়না। প্রতিবেশী রাজতন্ত্রী, বা ধরা যাক নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রী দেশ ভুটান এ ব্যাপারে অনেক অনেক এগিয়ে আছে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের চেয়ে।

    • ভূটান সবুজায়ন ও ধূমপান নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই সিরিয়াস।

  2. মফলং ঘুরে এমনি মনে হয়েছিল, কিন্তু এভাবে প্রকাশ করা সত্যিই অনবদ্য। এই লেখা শুধু লেখনীর জোরে হয় না, তার জন্য দরকার হয় এক অসম্ভব দায়িত্ববোধ। প্রণাম

  3. আসলে শহরে ভোগবাদ এর একটা অদ্ভুত দিক আছে যেটা মফ্লং এ নেই।। তাই ওদের কিছু ব্যবহারিক সুবিধে আছে যেটা শহরে বা নিকটবর্তী গ্রামে নেই।। যাক ধ্বংস কাম্য নয়। আপনার অনুভূতি ছুঁয়ে যাক চারপাশ, চেষ্টা চলুক, চালাই, ঐ বিন্দুতে পৌঁছানোর আকুতি থাক

Leave a Reply to RAHUL BANDYOPADHYAY Cancel reply