হিন্দোল ভট্টাচার্য
পূর্ব প্রকাশিতের পর
যে কবির গায়ে রক্তের ছিটে এসে লাগে না, যে কবির সুন্দর মিষ্টি নরম বানানো গাথায় শুধু বই পড়া আর দর্শনচর্চা করা ঐশ্বরিক বাবাজিসুলভ নির্মাণ কাজ করে শুধু, সেই কবির কবিতাকে আমি শ্রদ্ধা করি না। আমি জামি না মহাকাল অন্ধ আর বধির কিনা! আমার বিশ্বাস তিনি তা নন। চোখের সামনে মানুষের মৃত্যুমিছিল। হয় করোনায় নয় অনাহারে মানুষ মরবে। শয়ে শয়ে কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে দু মুঠো খাবারের জন্য তাঁরা চলেছেন গ্রামে। পরিবার শুদ্ধ শহর থেকে গ্রামে ফেরার মিছিল। নীরবে। তাঁরা চলেছেন। এই ভারতবর্ষে তাঁরা চলেছেন।
একদিকে বাড়ছে মৃত্যু। অন্যদিকেও চওড়া হচ্ছে অনাহারে মৃত্যুর সম্ভাবনা। এমন অবস্থা এ দেশে এসেছে হয়তো আগে। কিন্তু গত সত্তর বছরে আসেনি।
এসময় শিল্প কেন হবে না? কবিতা কেন হবে না? হবে অবশ্যই। কিন্তু তার গায়ে রক্তের ছিটে লেগে থাকতে বাধ্য। অশ্রুর নোনা জল পড়তে বাধ্য। অসুখ আর খিদের যন্ত্রণা লেগে থাকতে বাধ্য।
কবিতা কেবল মধ্যবিত্তের সৌন্দর্য প্রেম আর ঈশ্বরচেতনা কি?
কয়েকদিন আগে, প্যারাসাইট ছবিটা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, কারা আসলে প্যারাসাইট? উচ্চশ্রেণীর এবং বড়লোক কিছু অল্প মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়া লোকগুলো বা সেই লোকটি যে তাদের বাড়ির গুপ্ত কুঠুরীতে থাকে কিন্তু তার অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারে না বড়লোকের পরিবার, তারা আসলে প্যারাসাইট, না কি আসলে প্যারাসাইট সেই অল্প কয়েকজন যারা মাঝেমাঝে গন্ধ পায় সাবওয়েতে যারা থাকে, তাদের গায়ের? শহরের উচ্চ অংশ নিরাপদে থাকে প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে, বৃষ্টিতে, বন্যায়। কিন্তু জল ঢুকে আসে শহরের নীচের অংশে। সেখানকার গরিব মানুষের আশ্রয় হয় একটা বড় স্টেডিয়ামের ভিতর। সেখানে গাদাগাদি করে থাকে মানুষ। আজকের ভারতবর্ষে খুব চোখে আঙুল দিয়ে হয়তো এই বৈষম্য স্পষ্ট। যেখানে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর পাশাপাশি আমরা দেখতে পাচ্ছি লাখে লাখে মানুষ যারা দিল্লি নয়ডার মতো শহরকে গড়ে তুলতে হাত লাগান, তাঁরা অনাহারে মারা যাওয়ার আশঙ্কায় ফিরছেন হাজার মাইল পায়ে হেঁটে পরিবারশুদ্ধ। তাঁদের গায়ে গন্ধ। গায়ে হয়তো ভাইরাস। তাই তাঁদের সকলকে বসিয়ে দাঁড় করিয়ে বাসে ওঠাবার আগে, তাঁদের রাজ্যে প্রবেশের আগে, গায়ে ভালো করে স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে ডিডিটি, ব্লিচিং, ডিস-ইনফেক্টেন্ট।
মানুষ, মানুষের কাছেই মানুষ নয় আর। যেখানে বড়লোক এন আর আই বা প্রবাসে দৈবের বশে চলে যাওয়া মানুষগুলির জন্য এই করোনা-আক্রান্ত সময়েও দীর্ঘ সময় ধরে খুলে রাখা হয়েছিল বিমানবন্দরগুলি, সীমান্ত, সেখানে, এই সব মানুষগুলি তাঁদের বাড়ি ফিরতে পারবেন না। আর ফিরতে চাইলেও, তাঁদের গায়ে স্প্রে করা হবে ব্লিচিং। লাইনের পর লাইন করে শাস্তি দেওয়া হবে। মানুষকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকুও দিতে পারবে না এই দেশ। না হয় মানলাম বাস দিয়েছে পরে রাজ্যে ফেরার জন্য। সীমান্ত পেরোলেই দিয়েছে আইসোলেশনে যাওয়ার সেন্টার। যদিও এই তথ্যগুলির সত্যতা জানি না।
কিন্তু এ কি চিত্র?
আবার প্যারাসাইট ছবিটার কথা মনে পড়ছে। ওই যে লোকটি থাকে গুপ্ত কুঠুরীতে, যা বড়লোকের বাড়ির ভিতরেই আছে, তার হদিস পায় না বড়লোকগুলো। কিন্তু ভয় পায়। তাদের ছেলের আঁকা ছবিতে মানসিক বিকৃতি ধরা পড়ে। আতঙ্ক ধরা পড়ে। এই আতঙ্ক কেন? ওই বাড়িটাকে যদি আমরা রাষ্ট্র ধরি, তাহলে কাকে ভয় পায় তারা? কে ওই গুপ্ত কুঠুরীতে থাকা দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করা তথাকথিত ‘প্যারাসাইট’? যে একদিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একদিন ছুরি নিয়ে হিংস্র ভাবে আক্রমণ করে সকলকেই। নিজেও মরে যায়। আর এ ছবির যে গরিব পরিবার সেই বড়লোকের পরিবারে অন্তর্ঘাতের মতো প্রবেশ করেছিল, তারাও বিপর্যস্ত হয়।সেই পরিবারের বাবা , ফিল্মের ‘ড্রাইভার’ হত্যা করে বড়লোক পরিবারের ‘মালিক’-কে। ফেরার হয়। কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যায় না। পরে তার ছেলে আবিষ্কার করে,সেই ‘বাবা’ ওই গুপ্ত কুঠুরীতেই রয়ে গেছেন। দ্বিতীয় একটি বড়লোক পরিবার এসেছে সেই বাড়িতে। কিন্তু সেই আগের লোকটির মতো পরজীবী হয়ে রয়ে গেছেন সেই ড্রাইভার সেই বাড়ির গুপ্ত কুঠুরীতে। তারা ছাড়া যে কোনও হাউস আসলে নেই। কোনও বাড়ি যে নেই। কোনও রাষ্ট্র যে নেই।
কিন্তু তাদের গায়ে গন্ধ, সাবওয়ের, বস্তির, গরিবির। তাঁরা প্রবাসে দৈবের বশে যেতে পারেন না। তাঁরা নোংরা, তাঁরা প্রয়োজনীয় কিন্তু প্রয়োজন ফুরোলেই ব্রাত্য। তাঁরা প্যারাসাইট। তাঁরা ভাইরাস।
তাঁরা বিপজ্জনক। কারণ যে কোনও দিন সেই গুপ্ত কুঠুরীর লোকটি হাতে ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। তিনি কিছু করছেন না। তিনি সহ্য করছেন। এর মানে এই নয়, তিনি সহ্য করবেন। ভাইরাস একই সঙ্গে জড় এবং জীবন্ত। জীবনের সংস্পর্শে এলেই সে জীবন্ত হয়ে ওঠে। সে অপেক্ষা করে থাকে কখন সে নিজেকে মিউটেট করবে।
কে বেশি বিপজ্জনক ভাইরাস না দারিদ্র?
কে বেশি বিপজ্জনক, প্যারাসাইট না সাবওয়ের নীচে থাকা মানুষের গায়ের গন্ধ?
আসলে কারা পরজীবী? কারা ভাইরাস? কারা সংক্রমণের কারণ?
আমাদের বাড়িটা ভাঙে না। প্রত্যেকের বাড়ির ভিতরে এই গুপ্ত কুঠুরীতে লুকিয়ে আছে কেউ না কেউ। আমরা যাদের কাছে পরজীবী। আমরাই , এই পৃথিবীর জঘন্যতম ভাইরাস।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যাচ্ছে জার্মান কবি কার্ল ক্রোলো-র একটি কবিতা-
বার্লিন, ১৯৪৪
কবরে চার্চবেল বাজে
কুয়াশায়
যেন সব মৃত
তাদের
আস্তানা ছেড়ে
বেরিয়ে পড়েছে
আবার ধোঁয়া উঠছে কোথাও
মানুষের ধোঁয়া
তার গন্ধ শ্বাসরোধী
সভ্যতার বাড়ি
সেই গন্ধ মেখে আছে
কবরে চার্চবেল বাজে
একটি জীবিত প্রেম
মৃত প্রেমিকার ঠোঁটে
চুমু খেতে গিয়ে যেন
স্থির হয়ে আছে
তবু মৃত্যু হবে জেনে
ফুল ফোটে
রোদ ওঠে
বরফ গলে যায়
মানুষের গন্ধ পেলে
এখন মানুষ শুধু
উঁকি মেরে দেখে কেউ
বেঁচে আছে কিনা!
মানবসভ্যতা এক প্রচণ্ড বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার অন্যতম কারণ মানুষ এখন প্রকৃতির শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রকৃতিকে এখনও পর্যন্ত কোনও বুদ্ধিমান অস্তিত্ব হিসেবে ভাবি না। খণ্ড খণ্ড করে প্রকৃতির যে জড় অস্তিত্ব, সেগুলিকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। কিন্তু নদী পাহাড় গাছ বাতাস শব্দ পাখি ফুল ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া অণু পরমাণু সমস্ত কিছু মিলিয়েই এই প্রকৃতি। এই প্রকৃতিতে আপনিও ছিলেন তার বন্ধু হয়ে, তার সন্তান হয়ে। কিন্তু আপনি আমি এই প্রকৃতিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়েছি, তার সত্ত্বা, তার মস্তিষ্ক, তার অনুভূতিমালাকে অস্বীকার করে। কিন্তু, সত্যিই কি আমরা প্রকৃতির রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছি? ধরুন কিছু ধ্রুবক আছে, যেগুলিকে ধরে নিয়ে আমাদের সমস্ত সমীকরণ। অ্যাভোগ্রাডো সংখ্যাই হোক বা আলোর গতি। আমাদের অঙ্ক করতে গেলেই প্রথমেই এই সত্যকে সত্য হিসেবে ভেবে অঙ্ক শুরু করতে হয়, যে ধ্রুবকের মান এই। কারণ আমরা দেখেছি ধ্রুবকের মান সত্যিই সর্বত্র এই। সূর্যের মধ্যেও যা লেকটাউনেও তা। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন? কেন ধ্রুবকের মান অপরিবর্তনীয়, যেগুলির সামান্য ভগ্নাংশ পরিবর্তিত হলে এই মহজগতটাই থাকবে না। আমরা তার কিছুই জানি না। যেমন, এটুকু জানি, যে কোভিড নাইন্টিন ভাইরাস কোনও পশু পাখিকে আক্রমণ করে না। হিউম্যান সেলকেই করে। কেন? তবে কি এই ভাইরাস প্রকৃতি নিজেই বিপন্ন হয়েছে বলে প্রকৃতির অভিযোজনের এক রাস্তা? যেমন আমরা বিপন্ন হলে নিজেদের বাঁচাতে অস্ত্র তৈরি করি, তেমন প্রকৃতি বিপন্ন হলে, সে নিজেকে বাঁচাতে নিজেকে অভিযোজিত করছে।
আমার তো মনে হয় আগামী তিরিশ বছরে এমন অনেক ভাইরাস ব্যকটেরিয়া আসবে, যারা আমাদের অজানা। এবং যেগুলির লক্ষ্য হবে মানবকোষ, মানবঅস্তিত্ব, মানবজিন। আমরা যে নিজেদের প্রকৃতির বিরুদ্ধ এক শক্তিতে পরিণত করেছি, তা প্রকৃতির মতো অত্যন্ত বুদ্ধিমান সামগ্রিক সত্ত্বার পক্ষে বোঝা কি অসম্ভব? আমাদের যে বোধ, যে বুদ্ধি, যে প্রজ্ঞা, যে জ্ঞান, যে মস্তিষ্ক, তা তো অপ্রাকৃতিক নয়, বরং তা প্রকৃতি থেকেই জাত। সুতরাং আমাদের বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা দিয়ে প্রকৃতিকে আমরা বুঝে ফেলব, তা সম্ভবত কোনওকালেই হবে না। আমরা ভাবতে পারি, যে আমরা প্রকৃতির চেয়ে সুপিরিয়র, কিন্তু তা আমাদের অহং মাত্র। সামান্য ফিশন ফিউশন বা স্পেশাল থিয়োরি অফ রিলেটিভিটি আবিষ্কার করেই বা যোগাযোগ ব্যবস্থার পরম উন্নত ডিভাইস আবিষ্কার করলেই হয় না। আমাদের মৌলিক চিন্তাশক্তিও কমে যাচ্ছে এবং আমরা ক্রমশ ইন্দ্রিয়ে কেন্দ্রীভূত একটা হিংস্র জন্তুতে পরিণত হয়েছি। আর অবশ্যই আমরা প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছি।
কিন্তু প্রকৃতিকে তো বাঁচতে হবে। সে তো ধ্বংস হতে আসেনি। সে নিজেকে অভিযোজিত করবে। সে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিরক্ষাবলয় তৈরি করবে। তৈরি করবে তার অস্ত্র দিয়েই চক্রব্যুহ। আর সে অনেক সুপিরিয়র শক্তি। আমরা কি পারব? আমরা ব্যাখ্যা করতে পারব প্রকৃতির অনিশ্চয়তাগুলিকে? প্রকৃতি তো অপ্রত্যাশিত ভাবেআক্রমণ করবে। আমরা তো বুঝতেই পারব না তার কারণ। এর কারণ আমরা প্রকৃতির ১% জানি কিনা সন্দেহ আছে।
এই লড়াই প্রযুক্তি দিয়ে হবে না। প্রযুক্তি দিয়ে, আমাদের সীমিত জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে আমরা অবশ্যই নিজেদেরকেও অভিযোজিত করার চেষ্টা করব। এই চেষ্টা করার জ্ঞানও প্রকৃতিপ্রদত্ত। কিন্তু আমাদের প্রকৃতিকে বোঝাতে হবে, যে হে প্রকৃতি, আমরা তোমার বিরোধী নই। মানবসভ্যতা তোমাকে ভালোবাসে, তোমার সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ। আমরা তোমাকে হত্যা করতে চাই না। আমরা তোমার কাছে অবনত। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাকে গ্রহণ করো। আমাকে অংশ করো তোমার।
শুনতে হয়তো খুব অবৈজ্ঞানিক লাগছে, খুব ভাববাদী লাগছে, কিন্তু আমার বিশ্বাস, প্রকৃতি এক প্রবল আই কিউ এবং ই কিউ সম্পন্ন সত্ত্বা। আপনার ডিফেন্স মেকানিজম যদি শুধু ঢাল তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ করা হয়, তাহলে প্রকৃতি আরও অভিনব ভাবে লড়াই করবে। এটা প্রকৃতির অস্তিত্বের প্রশ্ন।
আমাদেরও অস্তিত্বের প্রশ্ন। তাই আমরা কি একটু আত্মসমর্পণ করতে পারি না? প্রকৃতির কাছে?
ভেবে দেখুন। জানি যুক্তির বাইরে কিছু বললাম। কিন্তু যুক্তির তো সীমাবদ্ধতা আছে। যুক্তি তো অপ্রত্যাশিত কিছুকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। ধ্রুবককেই পারে না সবসময়।
আত্মসমর্পণ করুন প্রকৃতির সামনে। তার আগে স্বীকার করুন প্রকৃতির মন আছে, বুদ্ধি আছে, অনুভূতিমালা আছে, অস্তিত্ব আছে। ভালোবাসুন। মনে হয় তবেই প্রকৃতি আপনাকে আবার শত্রু নয়, বন্ধুর মতো অংশ করে তুলবে। যেমন ছিলেন বিভূতিভূষণ।
আজ আমরা যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি, তার যেমন প্রকৃতির মানবসভ্যতার বিরুদ্ধেই এক ডিফেন্স মেকানিজম, তেমন এটি আমাদের নিজেদের বিরুদ্ধেও অনেক চিত্র আরও পরিষ্কার করে দিচ্ছে। আমরা যে কত নৃশংস, কত হিংস্র, কত অসভ্য এবং কতটা স্বার্থপর, এর পর মনে হয়, তা নিয়ে আর সংশয় থাকবে না কারোর। আমরা নিজেদেরকেই সম্মান করতে পারি না। আমরাই প্রকৃতির কাছে মারণাত্মক এক ভাইরাস। জঘন্য অসভ্য বিষ। আমি জানি না, এই মানবসভ্যতার আয়ু আর কতদিন? কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি আমরা? ভাইরাসের বিরুদ্ধে? কবে আমরা নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করব? কবে আমরা নিজেদের এই চরম অসংগতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করব? যদি কিছুই না শুরু করি, তাহলে কি আমরা নিয়তিনির্দিষ্ট ভাবেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার অধিকারীই নই?
(ক্রমশ)