লকডাউন জিন্দাবাদ

সমীর সাহা পোদ্দার

 

এয়ারপোর্টে থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে ছাড়া পাওয়া মাত্র মিঠি ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে এসে রিন্টুর বাহু জড়িয়ে ধরল। বাব্বা এত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! আমাদের একজনকে আটকে দিলেই হয়েছিল। বলতে বলতে মিঠি ডান হাতটা দু’বার কপালে আর বুকে ঠেকিয়ে নেয়।

ওরা দশদিনের জন্য লন্ডনে হানিমুনে গিয়েছিল। কোলকাতা এয়ারপোর্টে নেমে জানতে পারে সব যাত্রীদের থার্মাল চেকিং হবে।

উবেরে রিন্টুর পাশে ঘন হয়ে বসে মিঠি বলে, দেখেছিস দু’টো লোক কীভাবে চেকিংকে পাশ কাটিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেল! এদেরও বলিহারি যাই। ব্যবস্থা যদি করতে হয়, ঠিকমতো করো। এতগুলো লোক এতক্ষণ ধরে জার্নি করে আসছে, তারা তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছোতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। অথচ তোরা মাত্র দু’টো থার্মাল মেশিন রেখেছিস! তার ওপর এমন খোলামেলা ব্যবস্থা, যে-কেউ এদিক ওদিক দিয়ে সটকে যেতে পারে! আর আমাদের দুই প্লেনে-চড়া নাগরিকের কাণ্ডটা ভাব একবার! দেশের কথা নয় না-ই ভাবলি, নিজের কথা একবার ভাববি না?

রিন্টু সিদ্ধান্তে পৌঁছে বলে, শোন, কাল তোর অফিসে ফোন করে দে। আমিও দেব। আগামী চোদ্দোদিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকব আমরা। কোনো রিস্ক নেওয়া নেই।

উবের প্রণতি আবাসনের সামনে এসে দাঁড়ায়। বিয়ের পর ওরা এখানে একটা ভাড়ার ফ্ল্যাটে এসে উঠেছে একমাস হল। বাড়িওয়ালা কাকু-কাকিমা ছাড়া এখনও কারুর সাথে ভালো করে আলাপ হয়নি।

দু’দিন বাদে রাত দশটায় মিঠির মোবাইলে ফোন আসে। শুনুন, আমি আবাসন কমিটির প্রেসিডেন্ট বলছি।

বলুন, নমস্কার।

আপনাদের কাণ্ডজ্ঞান নেই? আপনারা কাজের লোককে ঢুকতে দিচ্ছেন?

দিচ্ছি। তার আগে ওর হাত ভালো করে স্যানিটাইজ করিয়ে নিচ্ছি। চটি দরজার বাইরে রাখতে বলেছি।

আপনি জানেন না এখন এখানে কাজের লোক ঢোকা নিষিদ্ধ। একটা কিছু হয়ে গেলে দায়িত্ব কার?

কী করে জানব? কোনো নোটিস আছে? কেউ আমাকে বলেছে? মিঠির মাথাটা চড়াক করে গরম হয়ে ওঠে। বলে, আমার স্পন্ডিলোসিস আছে। ঘর মুছবে কে? আপনি? শুনুন, আমি একজন দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক। আমাদের ওপর সরকারি নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও আমরা নিজে থেকে হোম কোয়ারিন্টনে আছি। এয়ারপোর্ট আমাদের টেস্ট করে ছেড়েছে।

প্রেসিডেন্ট মশাইও কম কীসে? উনিও চেঁচিয়ে ওঠেন, আমি একজন আই এ এস। আমাকে সরকার দেখাবেন না। সরকারিভাবে কী করে আপনাকে টাইট দিতে হয় সেটা খুব ভালো করেই জানি। ফোন রেখে দেয় শরদিন্দু সরখেল।

আমি লোকটাকে দেখিনি, জানি না। নাম পর্যন্ত বলতে পারব না। আর সে কিনা প্রথমেই আমাকে ধমকাচ্ছে? সারারাত বিছানায় এপাশ-ওপাশ করেছে মিঠি।

প্রণতি আবাসনের লাগোয়া বস্তি এলাকার মেয়েরা ফ্ল্যাট বাড়িতে কাজ করে। সেখানের মেয়ে রূপালী সকালে মিঠির দরজায় বেল দেয়। দ্যাখ তোকে আর কাজে আসতে হবে না। একুশ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। তারপরে আসিস। চিন্তা করিস না, টাকা পেয়ে যাবি। বলে মিঠি।

বউদি বলল ঠিকই। কিন্তু না খেটে হারামের পয়সায় ভরসা কী? রূপালী সিঁড়ি দিয়ে নামে।

বস্তির পাশে একটা ঝুপড়িতে রূপালীর বর মহাদেব একটা ভাতের হোটেল চালায়। থানার পুলিশগুলো দুপুরে ভাত খেতে আসে সেখানে। এছাড়া কয়েকটা ফ্ল্যাটে মহাদেব দু’বেলা খাবার পাঠায়, কৌটোয়। মাসিক বন্দোবস্ত।

সারাদিন মিঠির শরীর অস্থির অস্থির করেছে। কাজে মন বসছে না। দাঁত মাজতেও বিরক্তি। ভেতরের কথাগুলোয় যেন নাড়াচাড়া পড়ছে। কোনোরকমে ভাতেভাত ফুটিয়ে দু’জনে খেয়েছে। আশ্চর্য! একটা লোক আমাকে না জেনে না শুনে অপমান করল? রাতে রিন্টু বলে, পাগলী, তুই কিছুতেই অপমানটা হজম করতে পারছিস না। ওটাকে চেপে রেখে গুমরে মরছিস। যাঃ— যা বলার এখুনি ওনাকে বল, নয়ত আজ রাতেও ঘুমোতে পারবি না।

ঠিক এই সাহসটাই চাইছিল মিঠি রিন্টুর কাছ থেকে। ফোনে প্রেসিডেন্টকে ধরে, বলে, শুনুন সরকারিভাবে আপনি আমার বিরুদ্ধে যা অ্যাকসন নেওয়ার নিন। আমিও দেখে নেব। ঝপ করে ফোনটা কেটে দেয়।

এখানে কয়েক বছর আগের একটা ঘটনার কথা বলে নিই। প্রণতি আবাসনে একটা ফ্ল্যাটে কৃষ্ণেন্দুবাবু সপরিবারে ভাড়া থাকতেন। ওনাদের সাথে থাকত একটা ল্যাব্রাডর। সকালে একজন ট্রেনার কুকুরটাকে ট্রেনিং দিতে বাইরে নিয়ে যেত। ডগ শো-এ দু’বার কুকুরটা প্রাইজ পেয়েছে। তাতে কৃষ্ণেন্দুবাবু বেশ গর্বিত। কালো ল্যাব্রাডরটা দেখে ফ্ল্যাটের বাচ্চা বুড়ো সকলেই ভয় পেত। একদিন সন্ধেয় কৃষ্ণেন্দুবাবু কুকুরটাকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠছেন, উল্টোদিক থেকে দোতলার ফ্ল্যাটের চন্দ্রিমা মেয়ে নিয়ে নামছে। বাচ্চাটা কুকুরটাকে দেখে যত সেঁধিয়ে যায় কুকুরটা তত ঘেউ ঘেউ করে ওঠে আর এগিয়ে যায়। চন্দ্রিমা চেঁচিয়ে ওঠে, করছেন কী? ওকে আটকান। আওয়াজ শুনে দোতলার ফ্ল্যাটের তনিমা বেরিয়ে আসে। সেও চিৎকার জুড়ে দেয়। একটুও ছাদে যাবার উপায় নেই। গেলেই কুকুরটা পেছন পেছন যাবে, গায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, টবের ফুল ছিঁড়বে। ফ্ল্যাট বাড়িতে কুকুর রাখা যায়? কুকুর রাখতে হলে নিজের বাড়িতে রাখুন।

এত বড়ো অপমান কৃষ্ণেন্দুবাবু সহ্য করতে পারলেন না। তনিমার দিকে আঙুল দেখিয়ে কুকুরটাকে নির্দেশ দিলেন, লুঃ। ল্যাব্রাডর ঝাঁপিয়ে পড়ল তনিমার গায়ে। ছোটোখাটো চেহারার তনিমা। ল্যাব্রাডর সামনের দু’টো পা অনায়াসে তনিমার কাঁধে তুলে দিল। ও মা গো বলে তনিমা অজ্ঞান।

এ সহ্য করা যায় না। আবাসিক কমিটি সিদ্ধান্ত নিল সকলে মিলে থানায় যাবে। শরদিন্দু গেলে ভালো হয়। কমিটি-সদস্য হওয়া সত্ত্বেও উনি রাজি হলেন না। শরদিন্দুর স্ত্রী রুবি স্বামীকে আড়ালে জিজ্ঞেস করে, যাচ্ছো না কেন? এমন একটা বিপদের সময়…

দ্যাখো এদের সাথে গেলে আমাকে সামনে দাঁড় করিয়ে দেবে। এইসব ছোটোখাটো কেসে আমার থানায় যাওয়াটা সাজে না। এটুকু ওরা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন।

লকডাউন পিরিয়ডে আবাসনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সবকিছুর ভার দেওয়া হয়েছে তরুণ তুর্কিদের ওপর। প্রবল উদ্যমে তারা কাজ করে যাচ্ছে। লিফট বন্ধ, সমস্ত ভেন্ডারের ভেতরে ঢোকা নিষেধ। যুগল এই আবাসনের ঝাড়ুদার। তাকে একজোড়া জুতো দেওয়া হল। সে নিজের জুতো বাইরে রেখে আবাসনের দেওয়া জুতো পরে কাজ করবে। দেওয়া হল একজোড়া গ্লাভস, মাস্ক। আবাসনের সিঁড়ি, রাস্তা ব্লিচিং-এ ডুবিয়ে দেওয়া হল। দু’বেলা দু’জন সিকিউরিটি গার্ড ছিল এতদিন। এখন একজন, মানিককে দিয়ে কাজ চালানো হবে। মানিকের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হল। বাড়তি টাকা তার জন্য মঞ্জুর হল। সে যেন বাইরে না যায়। কোথায় কোথায় যাবে? কী ভাইরাস নিয়ে ঢুকবে? তরুণ তুর্কিদের সিদ্ধান্ত। তাদের তীক্ষ্ণ নজর কোনো কিছুই এড়িয়ে যাচ্ছে না। তরুণ তুর্কির নেতা দিগন্ত, চ্যালা বাবুয়া।

আবাসনের সামনের রাস্তা দিয়ে এখন নতুন নতুন যুবকেরা আনাজ মাছ হাঁকতে হাঁকতে যায়। আজ সকালে দু’জন চিংড়ি নিয়ে হাঁকছে। রাস্তার দু’ধারের আবাসন থেকে কয়েকজন নেমে এল। মহাদেবের দোকানের সামনে ঠেলাগাড়ি থামিয়ে, মাছ ওজন করে, ছাড়িয়ে ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছে ওরা। ক্রেতাদের একজন জিজ্ঞেস করে, তোমরা এতদিন কী করতে? বিক্রেতাদের একজন খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে উত্তর দেয়, আমরা শালা ভগ্নিপতি। কী করব বলুন দাদা? আমরা লাক্সারি বাস চালাতাম। এখন কাজ বন্ধ। পেট তো সে কথা শুনবে না। বাড়িতে বউ বাচ্চা আছে। তাই ভোর তিনটেয় বেরিয়ে ভেড়ি থেকে মাছ নিয়ে আসি।

মহাদেব দুপুরে রান্নার তোড়জোড় করছে। দ্বিতীয় ক্রেতা মহাদেবকে জিজ্ঞাসা করে, তুই কি এখন গুটকা বেচিস? কাল জানালা থেকে দেখলাম তোর দোকান থেকে একজন গুটকার প্যাকেট নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেল।

গুটকা বেচতে যাব কেন? আমার এখানে কুড়ি-বাইশজন পুলিশ দুপুরে খায়। কাল ওরা নিজেদের মধ্যে ঠাট্টা-মস্করা করছিল। তপনদার পকেট থেকে আচমকা গুটকার প্যাকেট তুলে নিয়ে চন্দনদা দৌড়ে বেরিয়ে যায়।

গুটকা খেয়ে এখানে ওখানে থুতু ফেলবে সেটাই ভয়।

রোজকার মতো আজও সাত-আটজন পুলিশ মহাদেবের ঝুপড়িতে জমা হয়েছে, ঘেঁষাঘেঁষি করে বসেছে। জায়গাই বা কই? চলবে মজা-মস্করা যতক্ষণ না খাবার আসে। এদের হাতে আইন রক্ষার ভার। নাগরিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে কিনা, মাস্ক পরছে কিনা, বিনা কারণে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কিনা—এসব দেখার দায়িত্ব এই পুলিশের। যাদের হাতে আইন রক্ষার ভার, তারা নিয়ম না মানলেও চলে। তাদের কে কী বলবে? যতক্ষণ হাতে লাঠি আছে। আইনদণ্ড।

এই গুলতানিটা দিগন্তের নজর এড়ায়নি। ক’দিন ধরে দেখছে। আজ বেরিয়ে এসে ওদের উদ্দেশে বলে, মহাদেবদা, ব্যাপারটা কী? তোমার এখানে স্যোসাল ডিসট্যান্স মেনে চলছো?

চন্দন এগিয়ে আসে। কী ব্যাপার? কী বলতে চাস? তুই কেন বাড়ির বাইরে?

দিগন্ত ঝাঁজিয়ে ওঠে। আপনারা কে? আমি মহাদেবদার সাথে কথা বলছি।

দিগন্ত মোবাইলে ওই জমায়েতের ছবি তোলে।

ভীড়ের মধ্যে কে যেন বলে ওঠে, মোবাইলটা কেড়ে নে। শুয়োরের বাচ্চা ছবি তুলছে।

দেখবি কে? চন্দন দিগন্তের কলার চেপে ধরে। লাঠি বাগিয়ে এগিয়ে আসে অন্যেরা। একজন ফোনে খবর দেয়।

পিলপিল করে চটি-পুলিশ, লাঠি-পুলিশ, বাইক-পুলিশ ঢুকতে থাকে এলাকায়। শুধু উর্দি-পুলিশ নেই। আর নেই মুখে মাস্ক।

বেমক্কা কয়েক ঘা পড়ে দিগন্তের পিঠে ঘাড়ে। চ, এটাকে নিয়ে চ থানায়। সাইজ করে দিচ্ছি। চেঁচামেচি শুনে মানিক বেরিয়ে কাণ্ড দেখে সামনের ফ্ল্যাটের চ্যাটার্জিবাবুকে ডাকে। চ্যাটার্জিবাবু আর ছেলে বাবুয়া দৌড়ে বেরিয়ে যায়। মানিক ফোনে শরদিন্দুকে বলে, আপনার ছেলেকে পাড়ার ছেলেরা মারছে। মুহুর্তের মধ্যে শরদিন্দু অকুস্থলে হাজির। হুকুমের সুরে বলে, চুপ করে দাঁড়ান সব। আমি আই এ এস বলছি। আপনারা এখানে দীর্ঘদিন ধরে গজল্লা করছেন, সে খবর আমি রাখি। আমার ছেলের গায়ে হাত দিয়েছেন।

সমস্ত পুলিশ, আশেপাশের ফ্ল্যাটের মানুষজন যারা দৌড়ে এসেছিল সবাই চুপ। বাইকবাহিনী, চটি-পুলিশ, লাঠি-পুলিশ এক পা এক পা করে সরে পড়ে। সামনে পড়ে যায় চন্দন। বলে, দাঁড়ান স্যার আমি বড়োবাবুর সাথে কথা বলিয়ে দিচ্ছি। বড়োবাবুকে ফোনে বলে, স্যার প্রণতি আবাসনের পাশে মহাদেবের দোকানে ঝামেলা হয়েছে। আপনি স্যার বড়োবাবুর সাথে কথা একটু কথা বলুন। ফোনটা শরদিন্দুর দিকে এগিয়ে দেয়।

কাকে কথা বলতে বলছে কার সাথে? কে এটা? এ কি হাইয়ারারকি বোঝে না? শরদিন্দুর নাকের পাটা ফুলে ওঠে, অনেক কষ্টে দমন করে। বলে, ওনাকে বলুন আমি শরদিন্দু সরখেল, আই এ এস। এখানে দাঁড়িয়ে আছি।

চন্দন বড়োবাবুর সাথে কথা বলতে বলতে একটু সরে আসে। স্যার, মহাদেবের দোকানে আমরা খাই। আর তো কোনো জায়গা নেই খাওয়ার।

ছাড়ুন মশাই খাওয়া। আই এ এস-এর বাড়ির সামনে আপনারা মোচ্ছব বসিয়েছেন। হুড়কো যখন আসবে তখন গুষ্টিসুদ্ধ আমাদের ব্যাঙ নাচিয়ে ছাড়বে। ম্যানেজ করে তাড়াতাড়ি চলে আসুন।

বেচারা চন্দন। ওদিক থেকেও বাম্বু খায়।

এগিয়ে আসতেই চন্দনকে শরদিন্দু প্রশ্ন করে, আপনার নাম?

চন্দন স্যার, চন্দন ঢ্যাং।

সাব-ইন্সপেক্টর?

না স্যার। আঠারো বছর হয়ে গেল প্রোমোসন পাচ্ছি না। একটু দেখবেন স্যার।

পাশে দাঁড়িয়ে ছিল মহাদেব। বলে, ওনাকে কতবার বলেছি একটা চাকরি দিন, চাকরি দিন।

মহাদেবদা তোমরা আমায় মারলে! আমি নিজে তোমাদের মাস্ক এনে দিয়েছি। কত সময়ে কত সাহায্য করেছি। আর আজ…। অভিযোগের সুর দিগন্তের গলায়। বলে, যদি কোনোভাবে রোগটা এখানে ছড়িয়ে পড়ে সেদিন বুঝবে কেন বলেছিলাম।

চন্দন শরদিন্দুকে বলে, আপনি ঘরে যান স্যার। আমি দেখে নিচ্ছি। থানায় গিয়ে আমি আপনাকে একবার ফোন করব স্যার। আরেকবার ডিস্টার্ব করব।
শরদিন্দু, দিগন্ত আবাসনে ঢুকে পড়ে। পেছন পেছন বাকি সবাই।

চন্দন লাঠি উঁচিয়ে মহাদেবের দোকানের সামনে ঘোষণা করে, আজ থেকে যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন দোকান বন্ধ। খোলা দেখলেই তুলে নিয়ে যাব। লকডাউন উঠে গেলে থানার পারমিশন নিয়ে দোকান খুলবি। বলে দিলাম।

 

1 Comment

আপনার মতামত...