তৃষ্ণা বসাকের কবিতা

চুম্বনের খুব কাছাকাছি


আমাদের বাড়ি ছিল 
চুম্বনের খুব কাছাকাছি,
বালিহাঁস উল্টো সাঁতরিয়ে 
দেখে যেত কীরকম আছি।
আমরা বাড়ির লোক,
ছাদের আলসে ধরে ধরে 
বরাবর পৌঁছে গেছি 
একদম অচেনা শহরে !
পোস্ট অফিস ভেঙে মল,
আত্মহত্যাপ্রবণ স্টেশন ,
থাকলেই থাকা যায়,
ট্রাফিক পোস্টটিও নির্জন… 
কিন্তু ওই যে বাই, 
চুম্বনের কাছাকাছি বাড়ি –
ঠোঁট ঘষে ঘষে ফেরা, 
ফিরতে হয়, এমন আনাড়ি!

খিদে


উঠতে উঠতে একটা মন্দির, 
মন্দিরের লাগোয়া চাতাল, 
সেখানে রেলিং-এ ঠেস দিয়ে নিচে তাকালে 
ন্যুডলের মতো নদী, 
গাজরের মতো পাহাড় ,
আর টম্যাটোর চাকতির মতো সূর্য !
খিদে, আমার তীব্র খিদে পেয়েছে, 
কিন্তু এখন কোথাও খাবার পাওয়া যাবে না ।
আমরা বড্ড দেরি করে ফেলেছি, 
আমরা বারবার দেরি করে ফেলি,
তাই খিদে চেপে
বারবার দেখতে হয় সূর্যাস্ত 
সরু সরু নদীর ওপর!

দীর্ঘ কবিতা


সূর্যবংশের শেষ রাজার চেয়েও 
দীর্ঘকায় একটি কবিতা 
রাস্তা আটকে দাঁড়ায়, 
ট্রেনের সিগন্যালের মতো, 
আর একটু ম্লান হলুদ চাঁদ 
আমার চুলের গন্ধ বয়ে নিয়ে যায় কতদূর…
থার্ড লাইন ছোঁয়ার ক্লান্তির থেকেও দীর্ঘ 
কবিতার কথা ভাবি, 
শব্দগুলো নিজেদের মধ্যে 
ঠোকাঠুকি করতে করতে 
হঠাৎই চিনির দানার মতো জুড়ে যায়,
জ্যোৎস্নার রক্ত খেয়ে নৌকা বাঘিনির মতো ধায়!

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5006 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

Leave a Reply to অভিশপ্ত পাজামা Cancel reply