রাস্তা থেকে অভিমান কুড়োই, শুকনো পাতা কুড়োই
ঝুঁকে পড়া মেঘ ডুয়ার্স পরিধি জুড়ে
আমি মাদলে হাত রাখি। বাঁশি বাজাতে শুরু করি।
নাচ ও গান নিয়ে তুমি ঢুকে পড় গুহার ভিতর।
কনফেস
যারা দেড় ফুট উঁচু থেকে অনায়াসে লাফিয়ে পড়েন
তাদেরকে ব্র্যাকেটের মধ্যে
রাখি
আইসে ভিজিয়ে নেওয়া মাস্ক।
এখন সংরক্ষণ করা হবে পাখির শরীরের
হলুদ
ফুটেজ
বস্তুত বহুরৈখিক খড়মের শব্দ
ভরসা পাই পাখার বাতাসে
ধান তুলে আনে ইঁদুরের দাঁত
জলরঙে গ্রাম আঁকেন টুপি পরা
চিত্রশিল্পী
ঘোড়া আর তার শাবক ঘন ঘন পথ হারায়
এই শহরে
ফুটেজে দেখি গণকবর।
প্রয়াত মানুষের বন্ধ চোখের পাতায়
পিঁপড়ে।
জীবন
এসো, রোদের ভেতর দুহাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকি।
পলাশবনে শুয়ে আছে
ডেডবডি
কিছুতেই জোড়া লাগে না ভাঙা কাচ।
মনখারাপ গোছাতে গোছাতে আস্ত একটা জীবন
ফুরিয়ে গেল
থাবা
থাবায় মরা ইঁদুর, চার্চ গেটে বসে আছে বেড়াল
সাদা কার্ডিগান, তুমি অর্গান বাজাতে থাকলে
আমার পৃথিবী কি ভীষণ পালটে যায়!
আর বৃষ্টির দিকে পালিয়ে যায় আমাদের বেড়াল।
পাঁচটি কবিতা যুদ্ধ গেরিলাযুদ্ধের পর স্তবগান। ভেসে যাই পুকুরের নীল জলে কান্না কি প্রখরভাবে অতলান্ত! একা হয়ে যেতে হয়। ধর্মঘটের শহরে হ্যাট-পরা নায়ক ঘুরে বেড়ান পড়ে থাকে বেড়াল, ঢেঁকিঘর ও পালাগান ঘোড়া আবার রণক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আনি যুদ্ধের ঘোড়া এদিকে পিঁড়ি পেতে বসে থাকে পীড়া। নক্ষত্রের আলো। বয়াতির…
পাঁচটি কবিতা মায়া অহঙ্কারের উল্টোপিঠে পাঠ কিংবা পতনের মত শুয়ে থাকে আমাদের সাদা পৃষ্ঠার দিনগুলি তখন স্বপ্নে ভরা নদীর বাঁক চলে আসতেই পারে না শোনা গানগুলি উৎসর্গ করি মরা ইঁদুরদের সরষেক্ষেতে রেডিও বাজলে আগলে রাখি পূর্ণ চাঁদের মায়া কাঠপুল কুড়ি নদীর পৃথিবীতে বেড়াতে এসো। ভাঙা বাংলোর সামনে আমরা…
সাতটি কবিতা জীবন আমাদের জীবনে একটা দীর্ঘ ভূমিকা খুব জরুরি যেমন হত্যাকাণ্ডের আগে কয়েক গ্লাস জল কিনে নিচ্ছি জল জঙ্গল জনপদ। মানচিত্রের গায়ে হেলান দেয় ম্লান আলো আমরা ফুরিয়ে যাই। আর চারপাশে কথা ওড়ে। দুপুর নদী দেখে ভয় পাই। এদিকে অন্ধ কুকুর স্নান সারছে। আলো কমে আসলে জঙ্গল…
খুব সুন্দর সুবীর দা ।