প্রীতম বসাক

আলোটি ফুটিল

 

১.

আজ তবে আলো লিখি। তোমার দুঃখের পাশে ফুটে থাকি কুমকুম। বিচিত্র সবুজ করে এসেছে চারিদিকে। তোমার জন্য তুলে রাখি আঘ্রাণ। যতদূর মিঠাপানি ঝরে একটি গুল্ম হই। একটি কলস। তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা গুচ্ছকবিতা।

 

২.

ওই গান ফুটছে। সকালের আহার। আমি তাকে ভাত করে তুলি। দেখি ক্ষুধায় ঝুঁকে পড়ছে বৃক্ষগণ। ঘি হই আর ঢলে পড়ি কথা আর ধোঁয়ার ভেতর। অতঃপর তরুবর, অতঃপর পঞ্চবি ডাল— অতঃপর আমরা মানবচরিতে ঢুকে পড়ি।

 

৩.

যে রহস্য প্রিয় তার গল্পে আমি কিছু কাব্য বুনে দিই। তুমি উন্মোচন বিষয়ে কথা বলো আর ভাবি জল কী এতসব বোঝে! তার তো মধুর, তার তো অবাঙমনসগোচর। গাছের পায়ে সে অতল রেখে আসে। মানত রেখে আসে।

 

৪.

তখন একটি পাখির জন্য সব খরচ তুলে রাখি। ডানার খুঁট ধরে বসি। তবু বাণিজ্য তবু খরবায়ু। শস্যের অধিক যে আলো, ফুলের অধিক যে স্মৃতি— মুঠো মুঠো মায়া নিয়ে কবি ও কামিনী পার হয় নদী পার হয় আয়ু।

 

৫.

আলো বড় হয়। যেভাবে একটি গান গৃহ পায়। ব্যথা নিয়ে জলের কাছে ঝুঁকে আসে। তুমি বালিকার অক্ষর হও। বর্ণমালার ভেতর যেভাবে ভাষাটি শুয়ে থাকে। একটি আখ্যানের অপেক্ষা করতে করতে লাঙলের মুখ থেকে দুঃখ ঝরে।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5006 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

Leave a Reply to মণিশংকর বিশ্বাস Cancel reply