স্মৃতিপরব: পর্ব ৬

নীহারকান্তি হাজরা

 

সানুদেশের দিন

পর্ব ১পর্ব ২পর্ব ৩পর্ব ৪পর্ব ৫

রাজার বন ও বনকাটি

বন-সংলগ্ন মানুষেরা কীভাবে বনজ সম্পদ আবহমান কাল ব্যবহার করে এসেছে জীবিকা এবং জীবনরক্ষার প্রয়োজনে, আমার গড়ে ওঠার কালেই তার প্রথম অস্পষ্ট পরিচয় পেয়েছিলাম। পরবর্তীকালের অভিজ্ঞতায় সেটা স্পষ্টতা পেয়েছে। আমাদের কৈশোরে বনভূমি ছিল কারও কারও সম্পত্তি। খাতড়ার রাজারও ছিল দুই পাহাড়ের চারপাশের বিস্তীর্ণ জঙ্গল। এই জঙ্গল রাজা ইজারা দিতেন। বিঘের মাপে। রাজা— সুকুমার ধবল সাহাজাদা দেব। ইজারা কোন শর্তে দিতেন আমার জানার কারণ ছিল না। কিন্তু রাজার একটি বিশেষ অধিকার ছিল অরণ্যভূমিতে। আর সেটি তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতেন। এর ফলে এই জনপদ এবং এর চারপাশের সুদূর অঞ্চল উৎসবে মেতে উঠত। সে-কথা কিছু পরে।

জঙ্গল পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হত। পাঁচ বছরের জন্য ইজারা কেন? পাঁচ বছর লাগত কর্তিত শালগাছের গোড়া থেকে ফোড় বার হয়ে মোটামুটি আকারের হয়ে দাঁড়ানোয়। বনভূমির এটিই ছিল মূল্যবান গাছ। এটি নির্দিষ্ট আকার নিতে নিতে ইজারাদার বিক্রি করত দ্রুত বেড়ে ওঠা নানা ধরনের জ্বালানি কাঠ, রোমশ সবুজ কেন্দুপাতা, মহুয়া, বহেড়ার বীজ, বর্ষায় শালের গোড়ার ছত্রাক— এই সব। কিন্তু যতদূর মনে আছে তখনও শালের বীজ সংগ্রহ করার বিষয়টি আসেনি। এর অনেক অনেক বছর পরে আসবে শালের বিকল্প, বেগে বেড়ে ওঠা গাছ— অভিশাপের ইউক্যালিপটাস। তার বাজারের দাম, আরও অনেক কিছু। পরে দেখব, সেই সঙ্গে শাল-বনভূমির উপর এর প্রভাবও।

জমিদারেরা ইজারা দিত তাদের জঙ্গল বিঘা বা কাঠা মাপেও, লাক্ষার কীট-আশ্রয়ী গাছ যেখানে ঘন। আবার শালের বা অর্জুনগাছের জঙ্গলও। শেষের এই দুটি গাছে চাষ হত তসরগুটির। ভাদ্র মাসে, যখন মাঠে ধান, গ্রামের মানুষের আয়ের আর কোনও পথ নেই, তখন উঠত তসরগুটি। গুটিগুলি কেনার জন্য জনপদের বাজারে মহাজনেরা আসত। এগুলি বিক্রি হত গন্ডা ধরে পণ হিসাবে। কুড়ি গন্ডায় এক পণ। এর খুব বড় বাজার ছিল সোনামুখীতে। পরে জেনেছিলাম এখানে সাহেবদের আড়ং ছিল। দাদন দেওয়া হত তসরচাষিদের। উৎপাদন চলে যেত বিলেতে। পরে আরও একটা বিষয় বুঝেছি: বছরের এই কঠিন সময়ে গ্রামের মানুষের হাতে কিছু পয়সা আসত তসরগুটি ধরে। আড়ংদারেরা গন্ডা ভাগ করে গুটির বোঁটা কাটতে দিত বোঁটার গন্ডা-পিছু দাম ধরে। গুটিগুলো সিদ্ধ করার ছিল আলাদা মজুরি। এগুলির থেকে সুতো বার করার ছিল আরও একটা থাক। সুতো বার করে গুটিয়ে নেওয়ার পর খালি গুটি থেকে বার করা হত তসরের গুটিপোকাটি। এগুলিও গন্ডা মাপে বিক্রি হত খাদ্য হিসেবে। এর নাম ছিল ‘তসর লাড়ু’। এই গোটা কাজটা করত মহিলারা।

ব্যক্তিগত জঙ্গলের মধ্যে যেগুলির আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট মাপের, সেগুলির দেখভাল করত সেই সব গোয়ালা সম্প্রদায়ের মানুষ যাদের গরু-মোষের চাষ থাকত। এগুলোর গোঠ, অর্থাৎ গোষ্ঠ থাকত জঙ্গলের মধ্যেই। অনেক সময় তিন-চারটেও থাকত। সতর্ক প্রহরায় এদের খাদ্য হত বনভূমির ঘাস-পাতা। মাত্র দুজন বলশালী লোকই পুরো জঙ্গলটার প্রহরায় যথেষ্ট ছিল। জমিদারকে এদের দেয় ছিল কোনও অনুষ্ঠানে, পুজো আর পালাপার্বণে, বিশেষত দুর্গাপুজোয় মোষ-গরু পিছু বছরে এক সের করে ঘি।

আমাদের ওই বয়সে লুচি খাওয়ার চল ছিল গরুর ঘি দিয়ে: গাওয়া ঘি। রুটির পিঠেও ঘি মাখানো হত। তবে এটা কখনওই ভাতের স্থান নিতে পরেনি। এর অনেক অনেক পরে বাজারে এসেছে বনস্পতি, যার বাজার-পরিচিত নাম ছিল ডালডা। নারকেলগাছের ছবিওলা হলুদ রঙের গোল টিনের পাত্র। এতে ভাজা লুচি, পরোটা চিরাচরিত আচারের লোকেরা কখনওই খেত না। বলতে কী সে-সময় এটা একটা শ্রেণি-পার্থক্যের সূচক হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের পরের ভয়ানক মন্দায় অপ্রতুল ঘি, ডালডাকেই প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল। রান্নাবান্নার মাধ্যমও একটা কাল, একটা সময়কে চিহ্নিত করার কাজে চলে এল।

শীতকালে ইজারাদারেরা জঙ্গল কাটাই করতেন। বড় শালগাছগুলি, বহেড়া, হরিতকি, কেঁদ, পিয়াশাল, আসন, মহুয়া আর কুসুম— এসব গাছ কাটাইয়ের নিষেধ ছিল। কাটাই হত ছোট শালবল্লা আর তার সঙ্গে কিছু অন্য ধরনের গাছ যেগুলির কাঠ মূল্যবান ছিল না। ব্যবহার হত কেবলমাত্র জ্বালানি হিসেবে। কাটাইয়ের পর এগুলি ছোট টুকরো করে গরুর গাড়ি বোঝাই হয়ে আসত জ্বালানি হয়ে। আমাদের ঘরের উঠোনে এই টুকরোগুলি চৌকো করে সাজিয়ে রাখা হত। এই জ্বালানির আর কোনও বিকল্প ছিল না। সকলের বাড়িতেই রান্নার কাজ চলত কাঠ দিয়ে। আবার একটা সময় ধরে জানা যাবে, কাঠের আগুনের কাঠ-বিশেষে বৈচিত্র্য।

কবিরাজেরা নানা ওষুধ তৈরিতে বিভিন্ন কাঠের ব্যবহার করতেন। যেমন, যেখানে আশুদ, মানে অশ্বত্থ, কাঠ ব্যবহারের নিয়ম সেখানে অন্যটি চলবে না। কারণ এই কাঠের আগুন দ্রুত তাপ দিয়ে শেষ হয়ে যায়, আর এর তেমন অঙ্গারও হয় না। আবার কুলকাঠের আগুন দরকার পড়ত বেশি সময় ধরে সেঁক-তাপ দেওয়ার প্রয়োজনে। কাঠবিশেষের পরিচায়ক একটা ছড়াও ছিল:

আম মড় মড়
তেঁতুল চিমড়
বট লোহা
আশুদ খোয়া।।

 

ইন্দ্পরব

বনভূমির কথায় একটা উৎসবের প্রসঙ্গে আসতে হয়। রাজা সুকুমার ধবল শাহাজাদা দেবের বিশেষভাবে অনুষ্ঠেয় একটি পরবের কথায়। ইন্দ্রধ্বজ পূজা বা ইন্দ্‌ পরব। এর সূচনা হত বোশেখ মাসের কোনও তিথি ধরে। এ-সময় প্রয়োজন পড়ত রাজার ঘোড়ার। তাঁর একটা ঘোড়া ছিল। সেটা দিনের বেলা আপনমনে ঘাস খেয়ে যেত। এর প্রধান চারণভূমি ছিল ছোট বাঁধের জলঘরের মুখে নিচু হয়ে থাকা বিস্তীর্ণ সবুজ ভূমি। কোনও সময় এটা নিজের ঠিকানায় ফিরত। এই ছোট বাঁধটা ছিল জনপদের পূর্ব-উত্তর কোণে, একমাত্র উচ্চ-বিদ্যালয়ের পিছনে। বোশেখ মাসের ওই তিথি ধরেই রাজা এর সওয়ার হতেন। পরণে রাজবেশ: মালকোঁচা দেওয়া ধুতির উপরে পাঞ্জাবি। তার উপরে জরি বসানো ফতুয়া। মাথায় সাদা পাগড়ি। তাঁর বাঁদিকে থাকত আর এক ঘোড়সওয়ার। মন্ত্রী। তাঁর সাধারণ পোশাকের উপর থাকত ওই একই ধরনের পাগড়ি। কিন্তু এই দ্বিতীয় ঘোড়াটা কোথা থেকে আসত জানিনে। জনপদের ভিতর দিয়ে যে পাকা রাস্তাটা পূর্বদিকে চলে গেছে মশক পাহাড় ছাড়িয়ে দৃষ্টিপথের বাইরে, লাল ধুলো উড়িয়ে রাজার সঙ্গে মন্ত্রীমশাই চলে যেতেন ওই পথ ধরে সকালবেলার শুভক্ষণে। পথের দুপাশে এ দৃশ্য দেখার জন্য লোকেরা অপেক্ষা করত। এরপর রাজার যে কাজ ছিল তা আমার শোনা: বনভূমির সবচেয়ে লম্বায় বড় শালগাছটিকে তিনি খুঁজে বার করতেন। এর মধ্যেই হাজির উপযুক্ত প্রজাবর্গ। সেই বিশালাকার, হয়তো চল্লিশ ফুটেরও বেশি লম্বা গাছটিকে প্রদক্ষিণ করে তার নিচে বসে হত পূজা-পাঠ। এরপর একমানুষের মাথাসমান উচ্চতায় গাছটির ছাল একটুখানি তুলে দেওয়ার পর রাজা ডান হাতের অনামিকার তিনটি বিন্দু রক্ত সেই স্থানটিতে দিতেন। ওইদিনের কাজ শেষ। স্থানিক প্রজারা পরে সময় নিয়ে সবগুলি শাখা গোড়া থেকে মসৃণ করে কেটে ফেলত। কিন্তু অবশ্যই এর শীর্ষদেশ অক্ষত রাখা হত। কেননা এটিই ইন্দ্রদেবের মাথা। তারপরে চলত গাছটির আগাগোড়া ছাল ছাড়ানোর কাজ। এই কাজগুলি সময় ধরে করতে করতেই এসে পড়ত ভাদ্র মাস। আবার রাজার মন্ত্রী-সহ যাওয়া পরিদর্শনে। তারপর একদিন তিথি ধরে সারিবদ্ধ গরুর গাড়ির উপরে আশীর্ষ পবিত্র গাছটিকে তোলা হত। বহু, বহু সময় ধরে এটি এসে পৌঁছত তার নির্দিষ্ট স্থানে। রাজা-সহ বহু মানুষের সামনে এটিকে নামানো হত। এই জায়গাটা ছিল কাছারির বিস্তীর্ণ পরিসরের মাঠের এক প্রান্তে। এখানে তৈরি থাকত আগের বছরের কতগুলি কাঠামো। সেগুলি এরকম: নির্দিষ্ট মাপের দুটো গুঁড়ির উপরের দিকে একই মাপের দুটো গোলাকার ছিদ্র। এর পর একটা নির্দিষ্ট ব্যবধানের মাপ ধরে নেওয়া একটা মোটা গুঁড়ি। এটির দুটি প্রান্ত প্রায় এক হাতের মতো সঙ্কীর্ণ করে গোলাকার করা। প্রান্তের গোলাকার অংশটি ঢোকানো দুটি গুঁড়ির উপরের ছিদ্রগুলিতে। ইংরাজী H বর্ণের আদলে মাঝের গুঁড়িটার ঘোরা বা ঘোরানো পরীক্ষা করার পর ধরা হবে শুয়ে থাকা বিশাল শালের গোড়ার দিক। নামানোর সময় গোড়াটি ওই কাঠামো সংলগ্ন করেই নামানো হয়। গোড়াটির হাত দেড়েক উপরের অংশ বৃত্তাকারে অল্প গভীর করে কেটে ফেলে মাঝখানে তৈরি হবে একটি মোটা আয়তাকার শক্ত ফলা। এটি H-টির মাঝের দণ্ডটির আয়তাকার ছিদ্রটির মধ্যে ঢোকানো হবে। এই কাজটি করবে উপযুক্ত বলবান লোকেরা।

পূর্বদিকে তৈরি আছে মোটা গুঁড়ির তিনটি গোলপোস্টের মতো কাঠামো। গোড়া থেকে প্রথমটি উঁচু পাঁচ-ছয় হাত। মাঝেরটি খুব উঁচু প্রায় আট-নয় হাত। শেষেরটি প্রথমটির মাপে। গাছটিকে খাড়া করে কাছি দিয়ে বাঁধার জন্য ওগুলির দরকার। গাছটির সঙ্গেই আনা হয় কয়েক গরুর গাড়ি বোঝাই বাবুইঘাসের শক্ত মোটা কাছি। কাছিগুলি বাঁধা হত গাছটির দেহের বিভিন্ন স্থানে। গভীর রাত্রে ‘খ্যান’— অর্থাৎ ‘ক্ষণ’— ধরে রাজা পূজাপাঠ সাঙ্গ করতেন। গাছটির মাথায় পরানো হত সনাতন দর্জির তৈরি সাদা কাপড়ের ছাতা। এর একটা ফিতের লেজও থাকত। এটি উপরের বাতাসের পিঠে নানা দিক ঘুরে খেলা করত।

রাত্রিকালে কাছে-দূরে অসংখ্য শেয়ালের প্রথম প্রহরের বৃন্দ-ডাক শেষ হলে চন্দ্র ময়রার ঘরে বাবুইদড়ির খাটে শুয়ে আড়ষ্ট ঘুমের মধ্যে আমরা শুনতাম বহু কণ্ঠের একটা লতিয়ে যাওয়া আওয়াজ: লে-লে-লে-লে-লে-লে……। বহু পরিশ্রমে উঠছেন ইন্দ্রদেব। পরের দিন সকালে গিয়ে দেখতাম ভাদ্রের ঘন নীল আকাশ ভেদ করে একখণ্ড সাদা মেঘের গায়ে শোভা পাচ্ছেন সনাতন দর্জির তৈরি ছাতা মাথায় ইন্দ্রদেব। আমার অক্ষম হাতের স্কেচে তার চেহারাটা হত কতকটা এরকম—

ইন্দ্রধ্বজ

আর এর সঙ্গেই শুরু হয়ে যেত ‘ইন্দ্‌ পরব’। এই জনপদ থেকে বনভূমি ভেদ করে চারপাশে যে পথগুলি চলে গেছে দূরে-দূরান্তরে সেগুলি ধরেই আসত গরুর গাড়ি বোঝাই করে, বাঁকে করে, মাথায় বনবর্তী মানুষের তৈরি নানান জিনিস। কাঠের, শিংয়ের নানা মাপের চিরুণি, পাথরের ছোট-বড় বাসন, নানা মাপের শিল-নোড়া, ঘর-গৃহস্থের নানা প্রয়োজনের যা চাই। লোহার চিমটে, খুন্তি, সাঁড়াশি, ধুনুচি, হাতুড়ি শাবল, কোদাল, কড়াই, ইঁদুর ধরার কল, ময়রার ভিয়েনের সরঞ্জাম। তাদেরই কল্পনার কাঠের, সিংয়ের, বাঁশের নানা ধরনের খেলনা, ছোট-বড় আড়-ফ্লুট বাঁশি আর বাঁশিওলা: তুরু-রুরু-রুরু-রুরু… সর্বক্ষণ। শহর থেকেও আসত তখনকার মেয়েদের প্রসাধন, কাচের চুড়ি, মালা, হার গিল্টি করা, কানের, মাথার গয়না। এগুলির বিনিময়ও চলত, আর আসত কুয়োর দড়ি। এগুলি তৈরি পাটের বা শিসলের। আর আসত মানুষের ও গবাদি পশুর সর্বহর ভেষজ জড়ি-বুটি, ভয়ানক সব প্রাণী আর সরীসৃপের তেল। চলত ভাগ্যের খেলা: একটা চৌকো কাপড়ের উপর গোল করে ছাপানো নানা রঙের একটা বৃত্ত। এটি কেন্দ্র থেকে বারো ভাগে ভাগ করা। মাঝখানে দণ্ডের উপর একটা ঘোরানো কাঁটা। প্রত্যেক ভাগে থাকত একটা করে ব্যবহারের জিনিস: সাবান, চিরুণি, তেল এই সব। পছন্দের জায়গায় আদানি বা এক পয়সা রাখতে হত। এবার কাঁটা ঘুরে যে ঘরে থামত সেটি পেত সে, মানে ওই ঘরের পয়সা যার। এটাতে ভিড় হত খুব।

সাত দিনের এই পরব জনপদকে মুখর করে রাখত সম্মিলিত শব্দের আবহে। রাত্রে গ্যাসের আলোয় মাথায় নিমের তেল মাখা সাঁওতাল মেয়েদের নাচ আর গান। যখন তেল অমিল হওয়ায় গ্যাসবাতি থাকত না, তখন হাতপ্রমাণ কাঠের টুকরো চুড়ো করে জ্বালিয়েও চলত এই নাচের আশ্চর্য ছন্দে পায়ের আগু-পিছুর দোল। আর তারই ছন্দে মাদলের বোল: দিদলো-ধিসলো, দিদলো–ধিসলো…

পরব বসত কাছারি-সংলগ্ন বটগাছগুলির নিচে, আর এর পূর্বদিকের বিশাল মাঠ জুড়ে, যাকে বলা হত কাছারির হাতা। এটি শেষ হয়ে গেলে জনপদের সম্মিলিত কলরবের আনন্দ শেষ করে পড়ে থাকত মেলার অবশেষগুলি জুড়ে একটা কঠিন শূন্যতা। সেই সঙ্গে মাটিতে শয়ান হতেন ইন্দ্রদেবও।

 

 

[ক্রমশ]

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5006 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

2 Comments

  1. চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ লেখা । খানিক চেনা বন-মাঠ-পাহাড়-ভূমিখন্ডের পুরোপুরি অচেনা উপাখ্যান । এক হারিয়ে যাওয়া দিনের , মনকেমনিয়া যাপনচিত্র !

Leave a Reply to Sujan Sarkar Cancel reply