সৌমনা দাশগুপ্ত
১
শেষ অব্দি স্ফটিক
এভাবে জমাট বাঁধে
গল্প থেকে মুছে যায় জল
দেখা হোক আবারও, এটুকুই যাচ্ঞা লেগে ছিল, এটুকুই অবসেশনমাত্র বজ্রগর্ভ মেঘের গায়ে লেগে থাকা এক টুকরো রোদ্দুর। কাকে দেখা, কার সঙ্গে দেখা, গান অথবা বিষাদের পাঁজর থেকে উঠে আসা মেলোডির ছায়া উড়ে যাওয়ার পর আর কিছুই কি বাকি ছিল, কোনও অলৌকিক কন্সটিলেশন, ছায়াপথের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা কোনও গোপনতম নক্ষত্রের আভাস, শাদাকালো ছবির ভেতর আচমকা এসে পড়া মেপলের পাতা
২
যন্ত্রণারও ছবি তৈরি হয়
রক্ত থেকে মুছে যাচ্ছে
একটা একটা করে লোহিত কণিকা
কথা তো বলেই চলেছ হে, বাচালতা ভূমিকামাত্র, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা রপ্ত করে ফেলার পর লাস্যপটিয়সী সেই বেড়াল যদি আঁশগন্ধে উতলা হয়, দোষ নিও না প্রভু, পোর্ট ওয়াইনের সঙ্গে স্কচের এই পাঞ্চ শেষ অবধি আকাশে মারকাটারি কোনও মাদারির খেল দেখিয়ে দিতেও পারে, শুধু দৃশ্য থেকে দূষণ মুছতে গিয়ে মারহাব্বা কোনও ঘোটালা করে বসার মতো বান্দা হতেও যে ধক লাগে সেটুকু সালতামামি তুমি ফানুসের কাছ থেকে শিখে যাবে
৩
তুমি কি ধরতে পারো এই হাত
জোনাকি ছানতে গিয়ে এই হাতে
ধাতুর প্রলাপ লেগে আছে
চাঁদের ঘোড়সওয়ার তুমি পক্ষীরাজ এমত শেখালে যেন সারফেসে অতর্কিতে ভেঙে পড়ছে অ্যাক্রেলিক রঙের পিচকারি, যেন হোলিখেলা ছায়া রঙে আলো রঙে, যেন কফির কাপের থেকে তলানিটুকুও তুমি টেনে নেবে পরিত্যক্ত হুকাবারে নিঃশ্বাসের অধিক এক গভীর ইমপেটাস ফেলে রেখে চলে গেছ বহুযুগ আগে তার ধ্বকধ্বক শব্দটুকু এযাবৎ কাল ধরে পড়ে আছে একা, অভঙ্গুর
৪
স্বপ্নে বাজার করো
বাজারে স্বপ্ন করো
ঘুমের ব্যাপারী তুমি
এভাবে স্বাগত জানাই, সে আমার জন্মকালীন অন্ধকার, ঢেলে নিই নিজস্ব প্যালেটে। উল্টানো কাছিম যেন ব্র্যাকেট নামিয়ে রেখে খুলে দিচ্ছে আত্মকোহলের ধারা, এ তরলে আদি অন্তহীন এক নিমগ্ন শাওয়ার নেওয়া সেরে তুমিও ফিরতে পারো ফসিলের দেশে, নোনা বালি, ক্ষার ও গন্ধক ছুঁয়ে এসো প্রথম আপেলে, এসো দাঁত ও জিভের এই সেরিব্রাল ব্যবহার খুলে রেখে, এসো শ্বদন্তের দিকে নেকড়ে মানুষ হয়ে আরও একবার চাঁদের অন্ধকার প্রদেশে আজ শুরু হোক খেলা
