চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতি মাস পয়লায় ছাড়া মেল ট্রেনের রিজার্ভড বগি বা মলাট ভাবনা। তৃতীয় বর্ষ, মে ২০১৯-এপ্রিল ২০২০। এই বছর আমাদের রিজার্ভড বগি-তে এসেছে বিভিন্ন দিক থেকে ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচন, বামপন্থা ও ভবিষ্যতের ভারত, প্রকৃতির প্রতিশোধ, অন্য ভ্রমণ, জলবায়ু পরিবর্তনের নানান পরিণাম, উপমহাদেশের গণতন্ত্রের হালহকিকত, সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকতা, ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শতবর্ষ, ভয়-অভয়ের দেশ, শাহিনবাগ, দিল্লির মুসলিম নিধন, করোনা সঙ্কট…।
লিখেছেন অনিকেত দাস, অনিমিখ পাত্র, অপরাজিতা সেনগুপ্ত, অর্ক দেব, অশোক মুখোপাধ্যায়, আশীষ লাহিড়ী, ইন্দ্রিতা সাহা, উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল সেনগুপ্ত, কুণাল চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক দত্ত, গৌতম সরকার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জয়ন্ত বসু, ড. বুবাই বাগ, তানিয়া লস্কর, দীপঙ্কর দে, দেবব্রত শ্যামরায়, ধীমান বসাক, ধ্রুবজ্যোতি মুখার্জি, নীলাঞ্জন হাজরা, প্রতিভা সরকার, প্রতীপ নাগ, প্রবীর মুখোপাধ্যায়, প্রবুদ্ধ ঘোষ, প্রশান্ত ভট্টাচার্য, প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, বিষাণ বসু, ব্রতীন্দ্র ভট্টাচার্য, মৈত্রীশ ঘটক, যশোধরা রায়চৌধুরী, রেজাউল করীম, শতাব্দী দাশ, শামিম আহমেদ, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, শুভাশিস মৈত্র, শুভেন্দু দেবনাথ, শ্রীজাতা গুপ্ত, সত্যব্রত ঘোষ, সফিউল, সুদীপ্ত মণ্ডল, সুব্রত রানা, সুমন গুণ, সুশোভন ধর, সৌভিক ঘোষাল, সৌমিত্র দস্তিদার, স্বাতী ভট্টাচার্য এবং স্যমন্তক ঘোষ। সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জীজা ঘোষ। অনুবাদ করে পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে জঁ দ্রেজ, জেফ্রি স্যাক্স, জোশুয়া বেনটন, দুষ্মন্ত দাভে, পড়গুম্মি সাইনাথ, প্রভাত পট্টনায়েক, বিজয় প্রসাদ ও সুধন্ব দেশপান্ডে, মেধা কালে, সায়েলাশ্রী শঙ্কর এবং হর্ষ মন্দর-এর লেখা, রোমিলা থাপার-এর সাক্ষাৎকার এবং রবীশ কুমার-এর বক্তব্য।
সূচি
সঙ্কটকাল
…এমত পরিস্থিতিতে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের এপ্রিল সংখ্যার মূল বিষয়-অভিমুখ ইহা ব্যতীত অন্য কিছু হইতেই পারিত না। কিন্তু দৈনিক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন-মিডিয়ার প্রাত্যহিক ২৪ ঘন্টাব্যাপী সংবাদ-স্রোতের বাহিরে আর কী-কী ধরনের সংবাদ আমরা পাঠকদের দিতে চাই, তাহা লইয়া প্রশ্ন ছিল। সম্পাদকমণ্ডলী সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার গতানুগতিক দৈনন্দিন আখ্যানের বাহিরে গিয়া এই গভীর সঙ্কটের সময়টিকে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে স্থাপন করিয়া দেখাই উচিত কার্য হইবে – করোনাভাইরাসের আক্রমণের সম্ভাব্য সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, মনস্তাত্ত্বিক ও পরিবেশগত ফলাফলগুলিকে এই অবসরে বুঝিবার চেষ্টা করিলে মন্দ হইবে না। মূলত সেই গুরুতর প্রতিপাদ্যটিকেই মাথায় রাখিয়া এপ্রিল সংখ্যার প্রচ্ছদকাহিনি সঙ্কটকাল-এর বিষয়গুলিকে সাজানোর প্রয়াস করা হইয়াছে।…
খুলে দেওয়া হোক দেশের সব আড়ত! — জঁ দ্রেজ
করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে ট্রাম্প প্রশাসনের হাস্যকর পদক্ষেপ — জেফ্রি স্যাক্স
সরকারের বহু-প্রতীক্ষিত আর্থিক প্যাকেজ: দুর্ভাবনার কয়েকটি বিষয় — মৈত্রীশ ঘটক
দেখনদারি বা অযথা ভয়— কোনওটা দিয়েই এই অভূতপূর্ব সঙ্কটের মোকাবিলা করা যাবে না — পড়গুম্মি সাইনাথ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাষ্ট্রের ব্যবস্থাগুলির ফলে গরিব মানুষ তাঁদের সমস্ত মর্যাদা হারাতে বসেছেন — হর্ষ মন্দর
গণতান্ত্রিক ভারতের এই বিপুল ক্ষতির দায় কে নেবে — দুষ্মন্ত দাভে
নোভেল করোনা ভাইরাস— স্প্যানিশ ফ্লু আর ভগত সিং: এলোমেলো কটা কথা — প্রবীর মুখোপাধ্যায়
ভারত ও বিশ্বের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কে করোনা যা জানাল — রেজাউল করীম
করোনা বৃত্তান্ত— একটি সামাজিক পাঠ — বিষাণ বসু
মারি, তালা-চাবি আর মন — কৌশিক দত্ত
স্বাস্থ্যকে ব্যবসা করে তোলার মূল্য দিচ্ছি আমরা — সুশোভন ধর
অর্থনীতি পঙ্গুই ছিল, এরপর আবার করোনা — প্রতীপ নাগ
কোভিড-১৯: ভারত কি আদৌ প্রস্তুত? — ইন্দ্রিতা সাহা, সুব্রত রানা
তৃতীয় বর্ষ, দ্বাদশতম যাত্রা, ১লা এপ্রিল, ২০২০
ডেটলাইন দিল্লি
…সাম্প্রতিক দিল্লি-দাঙ্গার (স্বতস্ফূর্ত দাঙ্গা নহে, কার্যত ইহা সুপরিকল্পিত মুসলমান-নিধন– অনেক বেশি পাকা মাথার কাজ) প্রেক্ষিতে বহুস্তর এই প্রশ্নমালার উত্তর অন্বেষণই এই মুহূর্তে আমাদিগের নিকট সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কৃত্য বলিয়া মনে হইয়াছে। শুধু এই প্রশ্নটিই নহে, সংলগ্ন আরও অনেকগুলি উপপ্রশ্নও ইহার সহিত যুক্ত হইয়াছে। চারনম্বর প্ল্যাটফর্মের সম্পাদকমণ্ডলীর বিশ্বাস, অস্বস্তিকর প্রতিটি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াইবার সাহস ও মনুষ্যত্বের অন্তর্নিহিত আলোকে অন্ধকারময় ভবিষ্যতের নিহিতার্থ নিরূপণের স্পর্ধাই আপাতত শিরোধার্য। সেই কর্তব্য মাথায় লইয়াই এই সংখ্যার ‘রিজার্ভড বগি’-র অভিমুখ নির্মাণ।…
কথাগুলো নানাস্তরে নানা জায়গায় নিরন্তর বলে যেতে হবে — আশীষ লাহিড়ী
দিল্লির বর্বরতার নেপথ্যে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সাঁড়াশি আক্রমণ — সৌমিত্র দস্তিদার
হিংসা এখন রাজার ধর্ম গান্ধিবুড়োর খাসজমিতে — প্রশান্ত ভট্টাচার্য
ছকে রাখা চিত্রনাট্যে জাফরাবাদ ও আম অসহায়তা — গৌতম সরকার
দয়া করে নিউজ পয়েন্ট খুঁজবেন না — স্যমন্তক ঘোষ
পার্কসার্কাস-শাহিনবাগ: মেয়েদের হার, মেয়েদের জিত — অর্ক দেব
দিল্লির দাঙ্গার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ নয়তো? — শুভেন্দু দেবনাথ
সুসংবাদ এসো — শতাব্দী দাশ
তৃতীয় বর্ষ, একাদশতম যাত্রা, ১লা মার্চ, ২০২০
জনগণ মন…
…স্বাধীনতার পর গত সাত দশকের বেশি সময়কালে এই প্রথম আমরা এমন একটি আন্দোলন দেখিতেছি যাহার রাশ কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তে নাই, বরং এ আন্দোলনের নেতৃত্বে একেবারে আক্ষরিক অর্থেই রহিয়াছেন সাধারণ মানুষ, আরও স্পষ্ট করিয়া কহিতে গেলে, ছাত্র-যুবা ও মহিলারা। বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক রাজনৈতিক দল সঙ্কীর্ণ ভোট-ব্যাঙ্ক-রাজনীতির স্বার্থে এই আন্দোলনকে ব্যবহার করিতে চাহিলেও অন্তত এখন পর্যন্ত তাহাদের সেই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় নাই।…
…গত মাসাধিককাল ধরিয়া চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম অত্যন্ত মনোযোগের সহিত এই আন্দোলনকে অনুসরণ করিয়া আসিতেছে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ হইতে শাহিনবাগের উদ্দেশ্য-বিধেয়-প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন ও নিবন্ধ প্রকাশের পরেও আমাদের মনে হইয়াছে, আন্দোলনটির মূল বৈশিষ্ট্যগুলিকে আরও গভীরভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন রহিয়াছে। সেই প্রয়োজনবোধেই আমাদের এই সংখ্যার মূল ভাবনা হিসাবে পুনরায় বিষয়টিকে ফিরিয়া দেখিবার উদ্যোগ। …
ভারতবর্ষ রানি ভেলুর এই যোগ্য উত্তরাধিকারিণীদের মনে রাখবে — প্রতিভা সরকার
নেতৃবিহীনতার শক্তিই ভিতর থেকে জোরদার করেছে শাহিনবাগ আন্দোলনকে — প্রশান্ত ভট্টাচার্য
মুসলিম মায়েদের গর্ভে এক নতুন ভারতবর্ষ জন্ম নিচ্ছে — দেবব্রত শ্যামরায়
নিভন্ত এই চুল্লিতে মা… — শতাব্দী দাশ
ছাত্রছাত্রীরা কি পারবে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ে যুঝে চলতে? — প্রবুদ্ধ ঘোষ
তৃতীয় বর্ষ, দশম যাত্রা, ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০
তবু বিহঙ্গ…
ভয়-অভয়ের দেশ
…মাত্র কিছু প্রহর পূর্বে একটি গ্রেগরীয় নববর্ষ এবং একটি নূতন দশক ধুমধাম করিয়া আসিয়া পড়িয়াছে, আতসবাজি পুড়িতেছে, ফানুস উড়িতেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে যাবতীয় ফূর্তি ও উচ্ছাসময়তার বিপ্রতীপে দাঁড়াইয়া আমাদের পত্রিকার প্রচ্ছদ-ভাবনা: ভয়। নাহ, এই ভয় রামসে ব্রাদারস রচিত নিরামিষ ভৌতিক ভয় কদাচ নহে। এই ভীতি জটিল ও বহুস্তরীয়, প্রাণঘাতী, কখনও বাস্তব, কখনও কাল্পনিক, এবং স্পষ্টত, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সচেতনভাবে রাষ্ট্রনির্মিত।…
…কিন্তু শুধু ভয়ের কথাই বা কেন? বস্তুত, এই লেখাটি লিখিত হইবার মুহূর্তে চারিধারে ফূর্তির বায়বীয় বহিরাবরণ যেমন রহিয়াছে, বাতাসে লক্ষ লক্ষ টাকার পোড়া বাজি ও সুরার গন্ধ যেমন রহিয়াছে, ঠিক তেমনি হাজার কিলোমিটার দূরে রাজধানীর শাহিনবাগে সমবেত হইয়াছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। পার্টিতে নহে, নূতন দশক আগমণের মুহূর্তখানি তাঁহারা প্রতিবাদে-প্রতিরোধে কাটাইবেন বলিয়া স্থির করিয়াছেন। মধ্যরাত্রে, মুক্ত আকাশের নিচে প্রায় শূন্য তাপাঙ্কের আবহে, ফ্যাসিস্টের প্রেতচক্ষু উপেক্ষা করিয়া লক্ষ লক্ষ নাগরিকের জমায়েত– এই অপার্থিব দৃশ্য যেকোনও ভয়ের অভিমুখ শাসকের দিকে ঘুরাইয়া দিতে সক্ষম। ভয় ভাঙিতেছে। বস্তুত, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসটি গোটা দেশকে বসন্ত আগমনের অপ্রত্যাশিত বার্তা দিল।…
ক্যাম্পাস আজ গণতন্ত্রের পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে মাথা তুলেছে — শুভাশিস মৈত্র
ভয় পেও না — অশোক মুখোপাধ্যায়
ভয় হতে তব অভয় মাঝে — আশীষ লাহিড়ী
কোন বিধ্বংসী ঝড়ের মুখে ভারতের অর্থনীতি? — সুদীপ্ত মণ্ডল
“আমি ভয় করব না ভয় করব না…” — প্রতিভা সরকার
এ এক নতুন ভারত, এখানে ভয়ের শাসন জারি — সত্যব্রত ঘোষ
ভয় — শামিম আহমেদ
জুজুর ভয় আর সংখ্যালঘু তোষণ — বিষাণ বসু
তৃতীয় বর্ষ, নবম যাত্রা, ১লা জানুয়ারি, ২০২০
ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের একশো বছর
…আর তৎসঙ্গেই, আজ দক্ষিণপন্থার এই সর্বতোমুখী জয়যাত্রার মধ্যেও কৃষকদের যে লংমার্চ দেশকে নাড়াইয়া দেয়, শ্রমিকদের যে মিছিল রাজধানীকে কাঁপাইয়া দেয়, মুক্তচিন্তার ধাত্রীগৃহ হিসেবে পরিচিত দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি আজও মাথা উঁচু করিয়া দাঁড়াইয়া থাকে সগৌরবে, সর্বত্রই পতাকার রংটি লাল। একশো বছরে ব্যর্থতার তালিকা সুদীর্ঘ হইলেও, এই অর্জনগুলিও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমার পাথেয় হিসেবে যথেষ্ট।…
তোমার ১০০ তো দেশবাসীর কী! একটু পা চালিয়ে বলো তো, বিপ্লবের কত দূর? — প্রশান্ত ভট্টাচার্য
ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির একশো বছরে সাম্যবাদী বাঙালিনী — প্রতিভা সরকার
শতবর্ষে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক ও ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলন: একটি আলোচনা — কুণাল চট্টোপাধ্যায়
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্ম: ১৯২০ বনাম ১৯২৫-এর বিতর্ক প্রসঙ্গে — সৌভিক ঘোষাল
কমিউনিজম, কমিউনিস্ট পার্টি এবং আপস ও আমরা — প্রবুদ্ধ ঘোষ
তৃতীয় বর্ষ, অষ্টম যাত্রা, ১লা ডিসেম্বর, ২০১৯
সংবাদ ক্ষমতা বিসংবাদ
সংবাদ ও ক্ষমতামাধ্যম
চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর অক্টোবর সংখ্যার মলাট-কাহিনি উপমহাদেশের গণতন্ত্রের হাল-হাকিকত খুঁড়ে দেখতে গিয়ে ও বিষয়ের গভীরতায় হাবুডুবু খেতে খেতে অতৃপ্ত সম্পাদকমণ্ডলীর ইচ্ছে হয়েছিল গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভটিকে পরেরবার আরেকটু কাছ থেকে দেখার। সেই ভাবনা অনুযায়ী নভেম্বর সংখ্যার রিজার্ভড বগি-র বিষয় ঠিক করা হল– ‘সংবাদ ক্ষমতা বিসংবাদ‘, যা আদতে সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকের দায়িত্ব ও ক্ষমতাকেন্দ্রের মধ্যেকার মিথষ্ক্রিয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা।
ভীতিসঞ্চারের জাতীয় প্রকল্প সমাপন — রবীশ কুমার
ল্যাপটপের কি-বোর্ডের তেল-তেলে ভাব সহজে যাবে না — শুভাশিস মৈত্র
নেতার কোলে নয়, ক্ষমতার মুখোমুখি — স্বাতী ভট্টাচার্য
মেরুদণ্ড বিকিয়ে ফ্রিডম অফ প্রেস উচ্চারণ করি কোন সাহসে — গৌতম সরকার
অথ উত্তম-মাধ্যম কথা — প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
মানুষ সংবাদ এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন? — জোশুয়া বেনটন
তৃতীয় বর্ষ, সপ্তম যাত্রা, ১লা নভেম্বর, ২০১৯
উপমহাদেশের গণতন্ত্র কোন পথে
…অতএব, গণতন্ত্রের নিরিখে, আমরা যে পশ্চাদ্ধাবন করিতেছি ইহা আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত সত্য বর্তমানে। হ্যাঁ, সুধী পাঠক, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি, আপনারা জানেন। হাউডি ডেমোক্র্যাসি!
চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের স্টেশনমাস্টারের কেবিনে তাই এইবার ইহাই সিদ্ধান্ত হইল, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর পার হওয়া বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আমরা গণতন্ত্রের প্রকৃত অবস্থা বা গতিটিকে বুঝিতে চেষ্টা করিব। ইহাই হইবে আমাদের অক্টোবরের রিজার্ভড বগির বিষয়।…
হে মহামানব, আর এ কাব্য নয় — আশীষ লাহিড়ী
ওরা আমাদের গান… — প্রতিভা সরকার
ভারতীয়ত্ব ও গণতন্ত্র — ধীমান বসাক
ভারতীয় গণতন্ত্রে এখন বলীয়ানের জয় — সায়েলাশ্রী শঙ্কর
তৃতীয় বর্ষ, ষষ্ঠ যাত্রা, ১লা অক্টোবর, ২০১৯
স্বখাতসলিল
জলবায়ু পরিবর্তনের নানান পরিণতি…
…ইহারই উলটাদিকে, বিজ্ঞানীদের এ-হেন সাবধানবাণীতে কর্ণপাতমাত্র না-করিয়া ব্রাজিলে আমাজন অববাহিকার বর্ষণবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটাইয়া অরণ্য সাফ করিবার মহাযজ্ঞ চলিয়াছে সে-দেশের দক্ষিণপন্থী সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে, মেরু-অঞ্চলে বরফ গলিয়া যাইবার খবরে মার্কিনদেশের কর্ণধার উৎসাহিত হইয়া বলিয়াই ফেলিয়াছেন, তবে আর কী, এইবার সে স্থলে সমুদ্রবক্ষে জাহাজ চালানো হউক, ঘুরপথে বাণিজ্যের খরচ কমিবে।
এমত পরিস্থিতিতে, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম ওয়েব-পত্রিকার তরফে আমরা আরও একবার অনুধাবন করিতে চাহিয়াছি বিপদের সম্ভাব্য চেহারা ও চরিত্রকে।
… আশা রাখি, রচনাগুলি পাঠ করিয়া পাঠকচিত্তে কিঞ্চিৎ ভয়ের উদ্রেক হইবে। বস্তুত আমরা চাই, পাঠক ভয় পান, কারণ ভীতিকর পরিণতির কথা জানিয়াও ভয় না-পাওয়া মূঢ়তা ও জড়বুদ্ধিতার লক্ষণ।…
কৃষি ও জীবন জীবিকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব — সফিউল
রায়লসীমায় বালুকা বৃষ্টি — পড়গুম্মি সাইনাথ
দক্ষিণবঙ্গের বন্যা— কার পাপে? — দীপঙ্কর দে
সাঙ্গোলের ‘সবটাই উল্টেপাল্টে গেছে’ — মেধা কালে
অসমের বন্যা— অর্ধ-শতাব্দী থেকে ভাসমান জীবন — তানিয়া লস্কর
জৈব চাষের ডায়েরি: ২০১৯-এ বীরভূমে খরা এবং ধান চাষ — অপরাজিতা সেনগুপ্ত
জঙ্গল পুড়ছে, তাতে আমাদের কী — সত্যব্রত ঘোষ
তৃতীয় বর্ষ, পঞ্চম যাত্রা, ১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সবুজ ঘাসের দেশ দারুচিনি দ্বীপের ভিতর
অন্য ভ্রমণ…
…ইতোমধ্যে তাঁহাদিগের পত্রিকা বিষয়নির্বাচনে গুরুগম্ভীর ও ভারিক্কি বলিয়া বাজারে দুর্নাম কিনিয়াছে… অধিকাংশ পাঠক বলেন, কঠিন সব প্রতিষ্ঠানবিরোধী ও আগমার্কা রাজনৈতিক প্রতিপাদ্যে ঠাসা পত্রিকার এক-একটি সংখ্যার সূচিপত্র দেখিলেই নাকি হৃৎকম্প উপস্থিত হয়। অতএব সম্পাদকমণ্ডলী এইবার আদাজল খাইয়া সহজ হইবার সাধনায় নামিয়াছেন। কিন্তু বদস্বভাব সহজে যায় না— যথেষ্ট সহজ বিষয়ও ভাবনার দোষে কঠিন হইয়া দাঁড়ায়। তালবৃক্ষের ন্যায় সরলরৈখিক প্রস্তাবটিও তাঁহাদিগের কূটচিন্তার গুণে বাবলাগাছের প্রায় কণ্টকিত ত্রিভঙ্গমুরারীরূপ পরিগ্রহ করে। ভ্রমণই হউক এই সংখ্যার বিষয়মুখ— এ-পর্যন্ত ভাবিয়াও তাঁহারা অতএব স্বভাবদোষে ভাবনার লাঙ্গুলে একটি মোক্ষম মোচড় কষিলেন। স্থির হইল, ভ্রমণই হউক কেন্দ্রীয় বিষয়, কিন্তু তাহা যেন হয় ‘অন্য ভ্রমণ’।
এইবার এই অন্য ভ্রমণের সংজ্ঞা নিরুপণে নরক দ্বিতীয়দফা গুলজার হইয়া উঠিল। কাহাকে বলিব অন্য ভ্রমণ?…
মুসাফির এ মন — নীলাঞ্জন হাজরা
পড়শি চিনের অচিন সম্পদ — স্বাতী ভট্টাচার্য
ক্যাম্বোডিয়া— ঐতিহ্য আর বধ্যভূমি — ব্রতীন্দ্র ভট্টাচার্য
বঙ্গকন্যার বেইরুট দর্শন — যশোধরা রায়চৌধুরী
সংস্কৃতির আসক্ত শহরে — সুমন গুণ
অন্য অবস্থান: স্কটিশ হাইল্যান্ডস, হার্মিটেজ ওয়াক — শ্রীজাতা গুপ্ত
তৃতীয় বর্ষ, চতুর্থ যাত্রা, ১লা আগস্ট, ২০১৯
প্রকৃতির প্রতিশোধ
..বিশ্বব্যাপী দূষণ ও জলবায়ুর এই অতি দ্রুত পটপরিবর্তনের নিরিখে আমরা যখন সামগ্রিকভাবে পরিবেশকেই চারনম্বর প্ল্যাটফর্মের জুলাই সংখ্যার মূল বিষয়ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করিতেছি, ঠিক তখনই নজর পড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সদ্য-প্রকাশিত রিপোর্টের উপর। সেই রিপোর্টে, বিশেষ করিয়া নজর কাড়ে একটি ক্ষুদ্র অথচ অতি তাৎপর্যপূর্ণ শব্দবন্ধ – ‘ক্লাইমেট অ্যাপারথিড’। নবনির্মিত এই শব্দযুগ্মকটিকে ব্যাখ্যা করিতে গিয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার-বিষয়ক বিশেষ দূত ফিলিপ অ্যালস্টন বলিতেছেন, এমন দিন সমাগতপ্রায় যখন জলবায়ুর পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী নয়া এক শ্রেণিবৈষম্য ঘনাইয়া তুলিবে। আমাদিগের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার নিরিখেই আমরা তাঁহার তত্ত্বটি মিলাইয়া লইতে পারি। বন্যাপীড়িত এলাকায় ত্রাণকার্য পরিদর্শন করিতে যাওয়া ফিনফিনে ধুতি-পাঞ্জাবিপরিহিত জনপ্রতিনিধিকে ঘিরিয়া ধরিয়া যে বিক্ষোভ, তাহার মর্মেও প্রকারান্তরে সেই শ্রেণিবৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্রোধেরই বীজ প্রোথিত থাকে কি না তাহা ভাবিয়া দেখিবার বিষয়।
এইসকল ভাবনারই ফলশ্রুতিস্বরূপ চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের জুলাই সংখ্যার মূল বিষয়: প্রকৃতির প্রতিশোধ। বিশ্বজোড়া জলবায়ুর পরিবর্তন মানবজাতিকে কীভাবে প্রভাবিত করিতেছে, একগুচ্ছ নিবন্ধের মধ্য দিয়া আমরা তাহারই সন্ধান করিতে চাহিয়াছি।…
এই আমাদের শহরের হালচাল — শুভাশিস মুখোপাধ্যায়
“একটু জল পাই কোথায় বলতে পারেন?” রাজনীতিকরা উত্তর দিন — জয়ন্ত বসু
জলের সঙ্গে যুদ্ধ: ডুবছে বানি সান্তা — চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি আঘাত করবে নিম্নবর্গের মানুষদের — দেবব্রত শ্যামরায়
মফ্লং— এক বিমূর্ত আদর্শের নাম — শতাব্দী দাশ
পালাব না রুখে দাঁড়াব?– ডক্টর ফস্টাস ও হোমো ডিউস — ধ্রুবজ্যোতি মুখার্জি
বিশ্বভরা প্রাণ: উন্মত্ত পৃথিবীতে মেয়ের জন্য মায়ের চিঠি — অপরাজিতা সেনগুপ্ত
তৃতীয় বর্ষ, তৃতীয় যাত্রা, ১লা জুলাই, ২০১৯
বামপন্থা ও ভবিষ্যতের ভারত
…যদি প্রশ্ন জাগে, এমন নিষ্ঠুর হৃদয়বিদারক উপমা কি বামেদের প্রাপ্য ছিল? ঝটিতি উত্তর আসে, এ প্রাপ্য নির্ধারণ করিয়াছেন তাঁহারা নিজেরাই। যদি প্রশ্ন জাগে, এমত পশ্চাদ্গমনের আশু সমাধান কী, তাহারও উত্তর, সমাধান তাঁহাদেরই হস্তে। সে পথ কেমন বন্ধুর, কতদূর সমস্যাদীর্ণ, কেমন তার উচ্চাবচ সম্মুখগমন, ভবিষ্যৎই তাহা বলিতে পারে। জুন সংখ্যার বিষয়মুখ নির্বাচন করিতে বসিয়া চারনম্বর প্ল্যাটফর্মের সম্পাদকমণ্ডলীর প্রত্যয় হইয়াছে, রাত্রির নিবিড়তম অন্ধকারের মুহূর্ত হইতেই যেমত পরবর্তী ঊষাকালটির নির্মাণ শুরু হয়, ভারতবর্ষে বামপন্থী রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথরেখাটির অভিমুখ নির্ধারণের সূচনাকল্পেও তেমনই ইহাই সঠিক সময়বিন্দু। এই হতমান, হৃতগর্ব সময়ের গর্ভেই হয়তো বা পথের সঠিক সন্ধান মিলিতে পারে— এমন ভাবনাক্রম হইতেই এই সংখ্যার মূল বিষয়ভাবনা ‘বামপন্থা ও ভবিষ্যতের ভারত’-এর পরিকল্পনা।…
ভারতে বামপন্থীদের কেন চাই — প্রভাত পট্টনায়েক
বামপন্থা-বিরহিত ভারত? — বিজয় প্রসাদ ও সুধন্ব দেশপান্ডে
বাংলা তথা ভারতের বাম আন্দোলন: কিছু কথা যা বলা দরকার — রেজাউল করীম
প্রয়োজন সমাজের সব স্তরের কাছে পৌঁছনোর উপযোগী এক নয়া বামপন্থা — উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়
পার্লামেন্টারি রাজনীতি, বামপন্থা ও আমরা — অনিকেত দাস
এক মৃত সৈনিকের ভবিষ্যদ্বাণী — শুভেন্দু দেবনাথ
তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় যাত্রা, ১লা জুন, ২০১৯
আবার ভোটের লাইনে
নির্বাচনরঙ্গের দিকে আরেকবার
…এবং বলা বাহুল্য, দেশজোড়া সাধারণ নির্বাচনের আবহে তৃতীয় বর্ষের প্রথম সংখ্যার মূল বিষয়ভাবনার অভিমুখ নির্ণয় করিতে বসিয়া নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই আমাদিগের বিবেচনায় আসে নাই। সে-কারণেই, গত সংখ্যার প্রতিধ্বনিস্বরূপ, এবারের রিজার্ভ্ড বগির নাম ‘আবার ভোটের লাইনে’। যেহেতু সাপ্তাহিক লোকাল ট্রেন বিভাগেও আমরা গত মাসাধিককাল ধরিয়া নির্বাচনেরই বিভিন্ন দিক লইয়া একাদিক্রমে আলোচনা করিয়া আসিতেছি, তাই এই সংখ্যার রিজার্ভ্ড বগিতে আমরা বাছিয়া লইয়াছি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সহিত জড়িত কিছু স্বল্পালোচিত বিষয় ও সংশ্লিষ্ট মানুষজনের কথা।…
সেকুলারিজম… আমরা সেকুলার ছিলাম… সেটা আমাদের হারিয়ে যাচ্ছে — জীজা ঘোষ
সোনাগাছির ভোট এবং মে দিবস পালন — প্রতিভা সরকার
দু’দিনের জাদুবাস্তবতা — অনিমিখ পাত্র
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা: প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের সার্বিক অন্তর্ভূক্তিকরণে প্রধান অন্তরায় — ড. বুবাই বাগ
ভোটের সময়ে পরিবেশ সম্পর্কে যত কম উল্লেখ হয়, তত ভালো — কাজল সেনগুপ্ত
এঁদের আক্রমণের লক্ষ্য সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদের সমাজবিজ্ঞান পড়ানোর ক্ষেত্রে সুনাম আছে — রোমিলা থাপার
তৃতীয় বর্ষ, প্রথম যাত্রা, ৪ঠা মে, ২০১৯