জেএনইউ-এর পাশে ভারতবর্ষ
What we need to set up is a force, a private force, that will essentially find anti-national elements, in beer halls, at universities, at jobs, and take care of them. There’s no need for the local police to get involved. Of course we will go by a list…
খুবই চেনা বলে মনে হচ্ছে না কথাগুলো? মনে হচ্ছে না আপনি-আমি সম্প্রতি বিভিন্ন প্রসঙ্গে এই কথাগুলোই শুনতে প্রায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি? যাঁরা জানেন তাঁরা জানেন, আর যাঁরা জানেন না তাঁদের জন্য উল্লেখ থাক, ১৯৩৪ সালে কথাগুলি বলেছিলেন হাইনরিখ হিমলার নামে এক ভদ্রলোক, যিনি ছিলেন…
কিন্তু, থাক অতীতচারণ। বরং মনে থাকুক, প্রায় একই ধরনের কথা, প্রায় একই উচ্চারণে আমরা আবার শুনতে পাচ্ছি চারপাশে। যারা বলছে এইসব কথা, তাদেরই আশ্রয়পুষ্ট একদল মুখঢাকা দুষ্কৃতী গত রবিবার, ৫ জানুয়ারি রাতের অন্ধকারে, যথেচ্ছ হিংসা চালিয়েছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাড় হিম করা সেই সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার সকাল থেকে সারা দেশ তোলপাড় হয়ে গিয়েছে সমালোচনায়, ধিক্কারে, নিন্দায়, প্রতিবাদে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম একটি বিশেষ লাইভ বুলেটিন প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই হিংসার প্রতিবাদে ও প্রতিরোধে, আমাদের মনে হয়েছে, ভয়ে অসাড় হয়ে যাওয়া নয়, বরং এখনই সময় বিরুদ্ধতার কথা শুরু করার। নিচু গলায় নয়, কথা শুরু হওয়া দরকার উচ্চগ্রামে, সমস্ত ক্রোধ, সব ঘৃণা একত্রিত করে — ফাসিস্ত শাসক ও তার ভাড়াটে গুণ্ডার চোখে চোখ রেখে জানিয়ে দেওয়া দরকার, ভারতবর্ষ ভয় পায়নি… ভারতবর্ষ তাদের প্রত্যাখ্যান করছে…
অন্ধকার সময়ে রচিত গান অন্ধকারের কথাই বলবে, বিশ্বাস করতেন বেরটোল্ট ব্রেখট। আমরা নিরুপায় — আপাতত, আগামী কয়েকদিন, আমাদেরও হয়তো সেই অন্ধকারেরই গান গাইতে হবে…