প্রসঙ্গ: কৃষক আন্দোলন
কৃষকদের ডাকা ৮ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক ভারত বন্ধ শুরু হতে যখন আর মাত্রই কয়েক ঘন্টা বাকি, তখন, দ্রুত এই সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের কপি প্রস্তুত করতে-করতে খবর পাচ্ছি, গোটা দিল্লি-মথুরা রোড কার্যত চলে গিয়েছে কৃষকদের দখলে। চম্বলের দিক থেকে দিল্লিতে ঢোকার পলওয়ল সীমানাও কৃষকদের স্রোতে অবরুদ্ধ। জয়পুর-দিল্লি রোড থইথই করছে মানুষে, সন্ধের পরেও হাজার-হাজার কৃষক পথ হাঁটছেন রাজধানীর উদ্দেশে। গত দশদিনের বেশি সময় ধরে দিল্লি-হরিয়ানার সীমানায় সিংঘু বর্ডারে জমায়েত হয়ে রয়েছেন লাখের বেশি কৃষক। দিল্লিতে ঢোকার অন্যান্য রাস্তাগুলোরও অধিকাংশই আপাতত পঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা কৃষকদের দখলে।
এ-বছরে গত এক দশকের মধ্যে শীতলতম নভেম্বরের সাক্ষী থেকেছে দিল্লি। এই তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে, পুলিশের নির্বিচার জলকামান ও টিয়ার গ্যাস উপেক্ষা করে, খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। সরকারের-প্রণীত তিন নয়া কৃষি-আইনের প্রত্যাহার চান তাঁরা, চান ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের লিখিত আইনি প্রতিশ্রুতি। কেবল এই দশদিন ধরেই নয়, বস্তুত তার দু’মাস আগে থেকেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে পঞ্জাবের কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। আন্দোলনের আঁচ ক্রমেই বাড়ছিল, কিন্তু, সম্ভবত রাজধানী দিল্লিতে তার উত্তাপ এসে পৌঁছয়নি বলেই তা নিয়ে মোদি সরকার বিশেষ মাথা ঘামায়নি। কিন্তু, তারপর পরিস্থিতি দ্রুত পালটেছে, এবং যথাসময়ে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের কথায় কর্ণপাত না-করার মাশুল অবশেষে গুনতে হয়েছে সরকারকে। গত সপ্তাহকালব্যাপী রাজধানী শহর কার্যত অবরুদ্ধ, দফায়-দফায় বৈঠক করে, অযথা কালক্ষেপণের সম্ভাব্য সমস্ত কৌশল অবলম্বন করে, পঞ্জাব ও অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে বিভেদ রচনার জন্য যাবতীয় শঠতার আশ্রয় নিয়ে, গোদি-মিডিয়াকে লেলিয়ে দিয়ে কৃষকদের খালিস্তানি প্রমাণের চক্রান্ত করে, মাসোহারাভোগী আইটি সেল ও পদলেহক ভক্তবৃন্দের সম্মিলিত উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ও মিথ্যা সংবাদের বন্যা বইয়ে দিয়েও কৃষকদেরকে তাঁদের দাবি থেকে বিন্দুমাত্র হেলানো সম্ভব হয়নি, তাঁদের শান্ত অথচ প্রত্যয়ী অবস্থানের সামনে উলটে নিজেদের সুর ক্রমান্বয়ে নরম করতে হয়েছে, যুক্তির লড়াইয়ে পিছু হঠে আইনে কিছু প্রসাধনী পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে – কিন্তু সমস্তরকম ছলচাতুরির বিপরীতে সটান দাঁড়িয়ে থেকে কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তিন কালা-কানুন প্রত্যাহার না-করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এবং এই আন্দোলন যে কেবল পঞ্জাবের আন্দোলন নয়, তা প্রমাণ করতে আজ, ৮ ডিসেম্বর দেশজোড়া বন্ধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে আশ্চর্য সব রূপকথার জন্ম দিয়েছে এই দিল্লি অবরোধ। কৃষক বলতে যাঁরা সচরাচর দুবলা-পাতলা এবং ‘নিছকই আত্মহত্যাপ্রবণ’ চাষিভাইদের বুঝতেন ও তাঁদের নিয়ে মধ্যে-মধ্যে আহা-উহু করে মোলায়েম করুণাবর্ষণ করতে অভ্যস্ত ছিলেন, তাঁরা হঠাৎ সচকিত হয়ে লক্ষ করেছেন, এঁরা অন্য ভাষায় কথা বলেন। এঁরা জলকামানের বদলে পাটকেল ছোড়েন না বা ট্রাকে করে পাথর নিয়ে আন্দোলনের ময়দানে আসেন না কিংবা অন্য নানা কায়দায় গোলমাল পাকিয়ে দিতে চাইলে প্ররোচিত হন না ঠিকই, কিন্তু চোখরাঙানি দেখে পৃষ্ঠপ্রদর্শনও করেন না, সরকার ছলেবলে তাঁদের বুরারি ময়দানে সরে যেতে বললে শান্তভাবে তা অস্বীকার করেন, সরকারি ভবনে বৈঠক করতে এসে সরকারের দেওয়া খাবার প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের আনা খাবার খাওয়ার সাহস রাখেন, মন্ত্রিমহোদয়রা কথার মারপ্যাঁচে ভুলিয়ে দরকষাকষি করতে চাইলে বিরক্তি সত্ত্বেও সভাভঙ্গ না-করে বৈঠকের মধ্যেই মৌনব্রত নিয়ে পালটা প্যাঁচ কষতে জানেন। এবং সবশেষে এ-কথাও সরকারকে মনে করিয়ে দিতে ভোলেন না যে, রুটি গুগ্ল থেকে ডাউনলোড-যোগ্য নয়— সরকার চাইলে চেষ্টা করে দেখতে পারে। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা জানিয়ে দেন যে, মাঝপথে পিছু হঠার কোনও ইচ্ছে তাঁদের নেই— লড়াই দীর্ঘমেয়াদি হবে জেনেই, এবং তার জন্য রীতিমত প্রস্তুত হয়েই তাঁরা বেরিয়েছেন। একইসঙ্গে, জলকামানের মুখে দাঁড়িয়েও সরকারের বেতনভুক সিপাইদের ডেকে এনে তাঁরা নিজেদের লঙ্গরের খাবার খাওয়ান, খোদ কৃষিমন্ত্রীকে পর্যন্ত লঙ্গরে এসে দুধ-জিলেবি খেয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে ভোলেন না। এরই পাশাপাশি হরিয়ানার চাষিরা যখন নিজেরা এই আন্দোলনে যোগ দেন এবং নিজেদের গুদাম খুলে খাদ্যদ্রব্যের সম্ভার নিয়ে তাঁদের পঞ্জাবি ভাইদের পাশে দাঁড়ান; রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র থেকে কৃষকরা দলে-দলে এসে তাঁদের শক্তি বাড়িয়ে তোলেন; দিল্লির মুসলমান সমাজ যখন আন্দোলনকারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলে, শাহিনবাগের সময় গুরদোয়ারা থেকে খাবার এসেছিল তাই এবার সময় এসেছে ভাইদের পাশে দাঁড়ানোর; একমাত্র বহুজন সমাজ পার্টি ছাড়া আর প্রায় প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক দল যখন উপায়ান্তর না-দেখে তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কোনওক্রমে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চায়; দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রযুবরা একদিনের প্রতীকী অনশন পালন করে কৃষকদের লড়াইয়ের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেন— তখন সম্যক টের পাওয়া যায় যে, এই আন্দোলন কেবল আর কৃষকদের আন্দোলনেই সীমাবদ্ধ নেই— তা রূপ নিয়েছে জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক লড়াইয়ের।
এই পরিস্থিতিতে, সরকারের পদলেহনকারী গোদি মিডিয়া যখন কৃষকদের আন্দোলনকে কুৎসা এবং উপেক্ষার পথ নিয়েছে, তখন, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম একেবারে শুরু থেকেই এই বিষয়ে লাগাতার খবর প্রকাশ করে গিয়েছে। কিন্তু, কেবল সেখানেই থেমে না-থেকে, আজ থেকে আমরা আমাদের নির্দিষ্ট প্রকাশসূচির বাইরে গিয়ে প্রতিদিন এই আন্দোলনের খবর প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলাম। আমাদের সামর্থ্য সীমিত হলেও উচ্চাশা আকাশচুম্বী। আমাদের লক্ষ, ক্লান্তিহীনভাবে এই আন্দোলনের বিষয়ে খবর করে যাওয়া, আরও বেশি করে এই বিকল্প ভারতবর্ষের ছবি মানুষের সামনে তুলে ধরা— যেহেতু আমরা বিশ্বাস রাখি এই সত্যে যে, মরুতে জলসেচের সুযোগ তুলনায় স্বল্প বলেই সেখানে অতিরিক্ত সিঞ্চন জরুরি, যাতে কোথাও অন্তত দু-একটা বীজ ভিজে ওঠে…
পাঠকদের কাছে অনুরোধ, নিরপেক্ষ না-থেকে ভারতবর্ষের পক্ষে দাঁড়ান…
সূচি
-
“পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই নেতৃত্বের কাজ” — যোগিন্দার সিং উগ্রহন, ১৭ মার্চ ২০২১
-
কৃষিক্ষেত্রে উদারীকরণ: উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির শিক্ষা — শিঞ্জনি জৈন, ৮ মার্চ ২০২১
-
ভারতে বসন্ত: একশো দিন পেরিয়ে গেল কৃষক আন্দোলন — চার নম্বর নিউজডেস্ক, ৭ মার্চ ২০২১
-
কৃষি আইন এবং কৃষক-শ্রমিক ঐক্য: একটি গাথা — দেবাশিস মোহন্ত, ১ মার্চ ২০২১
-
মোদি কৃষকদের দিল্লি ঢুকতে দিচ্ছেন না, কিন্তু তাঁরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছেন — অমিত ভাদুড়ি, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
ভিত মজবুত করছে কৃষক আন্দোলন— একটি প্রতিবেদন — চার নম্বর নিউজডেস্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
কৃষক আন্দোলন কোন পথে? কিছু রাজনৈতিক প্রশ্ন — সৌমিত্র ঘোষ, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
এই আগুন থেকে যে ফিনিক্স পাখিদের জন্ম হচ্ছে — দেবব্রত শ্যামরায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
কিছু গন্ধ কিছু আলো — অয়নেশ দাস, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
প্রখর দাবির পথ পেরেক ফুটিয়ে স্তব্ধ করা যায় কি? — সমর্পিতা ঘটক, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
কৃষক আন্দোলন, না বিজেপি সরকারের মৃত্যুঘন্টা? — সৈয়দ কওসর জামাল, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
জো বোলে, সো নিহাল— লড়াই ছাড়বে না বঙ্গি নিহাল সিং — চার নম্বর নিউজডেস্ক, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
নিজের দেশ, নিজের দাবি— সাড্ডা হক — রূপ বিশ্বাস, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
সঙ্ঘ পরিবারের বিড়ম্বনা — সন্দীপ পাণ্ড্যে এবং আনন্দী পাণ্ড্যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
লিঙ্গবৈচিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে কৃষক আন্দোলন: একমুখিনতা থেকে বহুত্ববাদের পথে — সংহিতা বরুয়া, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
খোলা চিঠি— সুপ্রিয় চৌধুরী, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
আমরা ওরা— অনিমিখ পাত্র, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
কৃষক আন্দোলন: গণতন্ত্রের উদ্ধারক— সুজন ভট্টাচার্য, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
‘তুম জমিন পে জুলম লিখ দো, আসমান পে ইনকিলাব লিখা জায়েগা’— শৌভিক দে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
হসন্তপুরের উপকথা— সৌমিত দেব ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
এই সময় নিজের কর্তব্য বুঝে নেওয়ার— সব্যসাচী কর, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
সবাই দেখছে রাজা উলঙ্গ, তবুও সবাই হাততালি দিচ্ছে…— বিবেক দেব, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
নয়া ইতিহাস লিখছে ধর্মঘট!— সুমনা রহমান চৌধুরী, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
আন্দোলনের সমর্থন আন্তর্জাতিক মহলে, দিল্লির দুর্গে উদ্বেগ বাড়ছে শাসকের— চার নম্বর নিউজডেস্ক, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
কৃষক আন্দোলনের সাম্প্রতিক ওঠানামা— এখনও অনেক গল্প বাকি — চার নম্বর নিউজডেস্ক, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
-
মুখ বন্ধ করো, বাধ্য হও, হাঁটু মুড়ে বসো, তুমি দেশপ্রেমী— শৈলেন সরকার, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
-
কৃষকদের পাশে থাকি, তাঁদের বিরুদ্ধে নয়— প্রজাতন্ত্রের এটাই লক্ষ্য হোক— জয়জিৎ দাস, ৩০ জানুয়ারি ২০২১
-
টিকায়েতের চোখের জল আগুন হয়ে ফিরছে গাজিপুরে— শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, ২৯ জানুয়ারি ২০২১
-
চলমান কৃষক আন্দোলন: প্রজাতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার লড়াই— সুমন কল্যাণ মৌলিক, ২৮ জানুয়ারি ২০২১
-
কৃষক আন্দোলন: কিছু পুনরাবৃত্তি— শুভার্থ মুখার্জ্জী, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
-
বুরুজে নিশান: হজম করতে ‘সিভিল সোসাইটি’-র এত সমস্যা হচ্ছে কেন— স্যমন্তক ঘোষ, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
-
প্রকৃত ভারতবর্ষকে জেগে উঠতে দেখছি— সৌমিত্র দস্তিদার, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
-
২৬-এর ট্রাক্টর মিছিল: ভায়োলেন্স শুরু হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকেই— আদিত্য নিগম, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
-
ভারতের বহু বিতর্কিত কৃষি আইন ২০২০— অনুপম পাল, ২৫ জানুয়ারি ২০২১
-
এক ধাক্কা ঔর দো— স্বপন ভট্টাচার্য, ২৪ জানুয়ারি ২০২১
-
চলমান কৃষক আন্দোলন ও আগামীর পথনির্দেশিকা— সুশোভন ধর, ২৩ জানুয়ারি ২০২১
-
জেল থেকে ফসলের খেত, বুরারি এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছে— চার নম্বর নিউজডেস্ক, ২২ জানুয়ারি ২০২১
-
অন্নদাতাদের পাশে বাংলা: দ্রোহমুহূর্তের আদানপ্রদান— সুশীতল মার্ডি, ২১ জানুয়ারি ২০২১
-
কৃষিবিশেষজ্ঞ দেবিন্দার শর্মাকে পাঁচটি প্রশ্ন— রোহিত কুমার, ২০ জানুয়ারি ২০২১
-
শুধু কৃষি আইন বাতিলের লড়াইয়েই নয়, নারী কৃষকদের সংগ্রামের ইতিহাস অনেক গভীরে— তানিয়া লস্কর, ১৯ জানুয়ারি ২০২১
-
মনুবাদী, পিতৃতান্ত্রিক শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে আত্মঘোষণা করলেন বাংলার মহিলা কৃষকরা— সম্প্রীতি, ১৮ জানুয়ারি ২০২১
-
কৃষি যখন পণ্য— অচিরাংশু আচার্য, ১৭ জানুয়ারি ২০২১
-
চাষায় কেন পিৎজ়া খায়: কৃষক আন্দোলনের শ্রেণিচরিত্র বিশ্লেষণের ‘কপিবুক’ ছুৎমার্গ বিষয়ে দু-চার কথা— সুব্রত রায়, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
-
কৃষি আইনে দাগিয়ে দেওয়া ‘উপকারিতাগুলি’র বাস্তবতা যাচাই— সঞ্জীব পোহিত, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
-
“আমি বিশ্বাস করি, এই আন্দোলন মোদি সরকারের নেমেসিস হিসেবে দেখা দিতে চলেছে”— অশোক ধাওয়ালে, ১৫ জানুয়ারি ২০২১
-
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান— কবীর সুমন, ১৫ জানুয়ারি ২০২১
-
একবিংশ শতকের কৃষিবিপ্লব: ভারতীয় শ্রেণিসংগ্রামের পুনরুত্থান— রূপায়ণ ঘোষ, ১৪ জানুয়ারি ২০২১
-
আরও শক্তিশালী কৃষক আন্দোলনের ধ্বনি— নো পাসারান— চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য, ১৩ জানুয়ারি ২০২১
-
এবার মাতঙ্গিনী-ক্ষুদিরামের দেশের কৃষকরাও রাস্তায়— সৌম্য শাহীন, ১২ জানুয়ারি ২০২১
-
বর্তমান কৃষক আন্দোলন হোক লড়াইয়ের নতুন ভাষা— সুমন সাধু, ১১ জানুয়ারি ২০২১
-
‘ভারতীয় বসন্ত’ কবে আসবে?— মণিশংকর বিশ্বাস, ১০ জানুয়ারি ২০২১
-
প্রতিরোধের নতুন ভাষা এই সময়ের কৃষক আন্দোলন— হিন্দোল ভট্টাচার্য, ৯ জনুয়ারি ২০২১
-
আপনা জমিন, আপনি আজাদি— শুভদীপ চক্রবর্তী, ৮ জানুয়ারি ২০২১
-
কৃষক আন্দোলন: এক নতুন অর্থনীতির পথে— অনিন্দ্য ভট্টাচার্য, ৭ জানুয়ারি ২০২১
-
কৃষক আন্দোলন: সুড়ঙ্গের শেষে একফালি আলোর রেখা— মেঘ শান্তনু, ৬ জানুয়ারি ২০২১
-
ট্রাক্টর চলুক মধ্যবিত্তের চেতনায়— চার্বাক মিত্র, ৫ জানুয়ারি ২০২১
-
ফতেহ কর হি লওটেঙ্গে— কুন্তল রুদ্র, ৪ জানুয়ারি ২০২১
-
শুখা জমিন— জয়াশিস ঘোষ, ৩ জানুয়ারি ২০২১
-
২০২০-২১ কৃষক আন্দোলন: প্রতিবাদের নতুন সূর্যোদয়— জিনাত রেহেনা ইসলাম, ৩ জানুয়ারি ২০২১
-
হকের লড়াই, বিপ্লবের উৎসব— পাঞ্চালি কর, ২ জানুয়ারি ২০২১
-
এই স্ফুলিঙ্গই হয়তো দাবানল আনবে— জিনাত মহল, ১ জানুয়ারি ২০২১
-
লড়কে লেঙ্গে! পুরোভাগে রয়েছেন নারী কৃষকরা— চার নম্বর নিউজডেস্ক, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
-
কৃষকদের সঙ্গে সারা দেশ— চার নম্বর নিউজডেস্ক, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
-
সমস্ত অস্ত্রগুলো কেন্দ্রীভূত করো: কৃষক আন্দোলন ও তার সম্ভাবনাসমূহ— সুনন্দ, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
-
বোকা বুড়োর কথা— প্রবীর মুখোপাধ্যায়, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
-
উধম সিং ও পাঞ্জাবের হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো— শর্মিষ্ঠা দত্তগুপ্ত, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
-
কৃষক আন্দোলন: নয়া-উদারবাদ এবং হিন্দুত্বের রাজনীতির কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ— বিক্রম সিং, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
-
সরলীকরণ বা ডাইল্যুশন! শহীদ-তর্পণের একটি প্রচেষ্টা— অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
-
কাস্তেটা শান দাও ভাইরে— রৌহিন ব্যানার্জি, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
-
এক মাস পেরোল কৃষক আন্দোলন, সিংঘুতে সড়কবাস জারি অন্নদাতাদের— চার নম্বর নিউজডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
-
কৃষক আন্দোলন: শ্রমিকশ্রেণির নিছক সংহতি?— সৌম্যজিৎ রজক, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
-
ফ্যাসিস্ট শক্তিকে ছুড়ে ফেলে দিতে অন্নদাতারা বদ্ধপরিকর— মহাশ্বেতা সমাজদার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
-
আমরা এক ব্যাপক গণআন্দোলনের সাক্ষী থাকছি— শতাব্দী দাশ, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
-
কৃষি আইন ও কৃষক আন্দোলন— প্রণব কান্তি বসু, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
-
মিডিয়ার অপপ্রচার এবং উদাসীনতার জবাব দিতে ‘ট্রলি টাইমস’ কৃষকদের— চার নম্বর নিউজডেস্ক, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
-
তেভাগা বিদ্রোহ এবং সাম্প্রতিক কৃষকবিক্ষোভ: দোদুল্যমান মধ্যবিত্ত সম্পর্কে দু-তিনটি কথা— প্রবুদ্ধ ঘোষ, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
-
কৃষক বিদ্রোহ: এর কি কোনও আশু সমাধানসূত্র নেই?— অনন্ত ছাঝর, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
-
এবার বাঙালিকে পরীক্ষায় বসতে হবে— রেজাউল করীম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
-
প্রসঙ্গ কৃষক-আন্দোলন: রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দেশকে জেগে উঠতে দেখছি— দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
-
কৃষি-বিল, কৃষক, প্রতিরোধ— কৌশিক দত্ত, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
-
কৃষকের আন্দোলন, সকলের রান্নাঘর— সেঁজুতি দত্ত, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
-
আবহমান ভারতবর্ষকে কাছ থেকে দেখে এলাম— জয়রাজ ভট্টাচার্য, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
-
এই আন্দোলন চাক্ষুষ করতে পেরে গর্ব হচ্ছে— সীমন্তিনী ঘোষ, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
-
কৃষি অর্থনীতি ও কৃষক আন্দোলন— শংকর, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
-
উঠা হ্যাঁয় তুফান জামানা বদল রাহা— শঙ্কর রায়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
-
রাজধানীর বুকে আজকের কিছু ঠোস বাতচিত— অশোক মুখোপাধ্যায়, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
-
আমি, তুমি ও কৃষক: কৃষি আন্দোলনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব— শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
-
হম দেখেঙ্গে— জয়া মিত্র, ১১ ডিসেম্বর ২০২০
-
আমার মুখে এ সব কথা মানায় না— শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ১১ ডিসেম্বর ২০২০
-
চলুন ওঁদের পাশে দাঁড়াই, দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে সামিল হই— কৌশিক বিশ্বাস, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
-
দিল্লিতে এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা রূপকথার চেয়ে কম নয়— প্রশান্ত ভট্টাচার্য, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
-
ভাতের দিব্যি, রাস্তায় নেমে এসো— বিপুল চক্রবর্তী, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
-
নয়া কৃষি আইন (২০২০)– বিশ্বপুঁজি শৃঙ্খলের একটি গ্রন্থি?— জয়ন্ত ভট্টাচার্য, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
-
প্রসঙ্গ কৃষক-আন্দোলন: প্রশ্নগুলো সহজ, উত্তর কে জানায়?— প্রতীক, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
-
পথ দেখাচ্ছেন হলধারী— এ শুধু এগিয়ে যাওয়ার সময়— প্রতিভা সরকার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০