চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতি মাসের শুরুতে ছাড়া মেল ট্রেনের রিজার্ভড বগি বা মূল ভাবনা। পঞ্চম বর্ষ, মে ২০২১-এপ্রিল ২০২২। এই বছর আমাদের রিজার্ভড বগি-তে এসেছে ২০২১-এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের রায়, বিজেপি সরকারের সাত বছর, জলবায়ু পরিবর্তনের ফল, স্বাধীনতার ৭৫ বছর, ভারতবর্ষে নারীদের অবস্থা, অতিমারির সময়ে শিক্ষার অবস্থা, দেশের ক্ষুধার চালচিত্র, গ্লাসগো পরিবেশ বৈঠক, কোভিড নিয়ন্ত্রণে হারাকিরি এবং শতবর্ষে বিশ্বভারতী
লিখেছেন অচিরাংশু আচার্য, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অভিষেক ঝা, অম্লান বিষ্ণু, অমিতাভ আইচ, অর্ক ভাদুড়ি, অরিজিতা দত্ত, অশোক মুখোপাধ্যায়, অংশুমান দাশ, আশীষ লাহিড়ী, উর্বা চৌধুরী, কুন্তল রুদ্র, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, জয়িতা রায় চৌধুরী, তানিয়া সরকার, তুহিন দেব, পরভিন সুলতানা, প্রতিভা সরকার, প্রতীক, প্রদীপ দত্ত, প্রশান্ত ভট্টাচার্য, প্রসেনজিৎ বসু, প্রীতম কংসবণিক, বিবর্তন ভট্টাচার্য, বিষাণ বসু, বিহঙ্গ দূত, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, মানসপ্রতিম দাস, মৃণাল মুখার্জী, রামানুজ মুখোপাধ্যায়, শঙ্কর রায়, শচীন কুমার জৈন, শাওন, শান্ত মিত্র, শিমূল সেন, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, শুভাশিস মৈত্র, শুভোদয় দাশগুপ্ত, শৈলেন সরকার, শ্রীজাতা গুপ্ত, শ্রীলা বসু, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব দেবলস্কর, সমর বাগচি, সায়ন্তন বৈরাগী, সীমন্তিনী ঘোষ, সুমন কল্যাণ মৌলিক, সুমনা রহমান চৌধুরী, সুশীতল, সুশোভন ধর, সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র ঘোষ, স্থবির দাশগুপ্ত, স্বপন ভট্টাচার্য, স্বাতী ভট্টাচার্য, স্বাতী মৈত্র, স্রোতা দত্ত আচার্য এবং সৌম্য দত্ত
অনুবাদ করে প্রকাশ করা হয়েছে চন্দ্রকান্ত লহরিয়া, আকাঞ্চা সিং এবং সাগর ধাড়া-র তিনটি নিবন্ধ; নোম চমস্কি-র একটি সাক্ষাৎকার…
সূচি
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
…তেমনই এক চিরন্তন বাণীর স্মারকরূপে বিশ্বভারতীকে দেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, যেখানে শিক্ষার উৎপাদন মুখ্য, দান গৌণ। সেই উৎপাদনের ভেতর এক আনন্দ, এক উৎসবযাপন। বোম্বাই থেকে আসা পেস্তোনজি বা খোদ ফ্রান্সের পল রিশারের ফরাসি, নরসিংহভাই প্যাটেলের জার্মান, ভীমরাও বা নকুলেশ্বর মিশ্রের সঙ্গীত, মাস্টারমশাই নন্দলাল বা সুরেন করের তুলি, অথবা শাস্ত্রীমশাই বা ক্ষিতিমোহনের কণ্ঠ— একের ক্লাসে চলে আসছেন অন্যজন— ছাত্র, অধ্যাপক মিলিয়ে এক ম্যাক্রোকজম উইদিন এ মাইক্রোকজম। বর্তমান সামাজিক নেটওয়ার্কে সেই স্পিরিট ধরে যে রাখা অসম্ভব, সেকথা বাহ্য, তবু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়ে আজ অবধি যে দীর্ঘ পথ বিশ্বভারতীর, সেখানে এই আনন্দের, এই উৎসবের বিবর্তন কেমন? ছাত্ররা মন থেকে গাছ লাগান, তাদের গাছের তলায় বসে জিরোতে শেখান মাস্টাররা? এই বোধগুলোর তো বিবর্তন হয় না, যদি না মন থেকে সেই বদল চান কেউ? ওই যে তিনি বলেছিলেন, “বিশ্বাসে আনন্দ— এটা সহজেই হতে পারে, কিন্তু এই ইচ্ছেটাই যে হয় না সবসময়…”…
…এই প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষকে মনে রেখে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের এবারের প্রচ্ছদভাবনা— শতবর্ষে বিশ্বভারতী।…
শতবর্ষে বিশ্বভারতীর প্রাসঙ্গিকতা — অচিরাংশু আচার্য
বিশ্বভারতী: শতবর্ষে ভয়াবহ অন্ধকারের গ্রাসে — কুন্তল রুদ্র
বিদ্যাসমবায় ও বিশ্বভারতী — মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
এ কার শতবর্ষ? — রামানুজ মুখোপাধ্যায়
আশ্রমের শিক্ষা ও মেয়েরা: আজি হতে শতবর্ষ আগে — শ্রীলা বসু
‘আসর যখন ভাঙে, এমনি করিয়াই ভাঙে’ — অনির্বাণ ভট্টাচার্য
পঞ্চম বর্ষ, দশম যাত্রা, ফেব্রুয়ারি, ২০২২
কোভিডবিধির গঙ্গাযাত্রা
…শুধু সাধারণ মানুষই বা কেন, এ-বিষয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও কিছুমাত্র কম নহে। তাঁহারা বিপদ বুঝিয়াও না-বুঝিয়া, মানুষকে আমোদে ও উৎসবপালনে সর্বপ্রকার উৎসাহ দিয়া এবং প্রয়োজনের সময় সে আমোদের রাশ নিয়ন্ত্রণে নিস্পৃহ থাকিয়া কার্যত তাহাদের আরও বেশি করিয়া আমোদে ভাসিবার প্ররোচনা দিয়াছেন। ভুলিলে চলিবে না, কোভিডের এই প্রবল তৃতীয় তরঙ্গের সময়েই লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হইয়াছে। মেলা একবৎসর বন্ধ থাকিলে দেশের ও দশের পারমার্থিক কী ক্ষতি হইত, সে ব্যাখ্যা জনপ্রতিনিধি হইতে সরকার, এমনকী বিচারবিভাগের কাছেও পাওয়া যায় নাই। তাহা হইলে কী ধরিয়া লইব? ঘরে আগুন যাহাতে না-লাগে তাহার বন্দোবস্ত না-করিয়া আগুনকে উত্তমরূপে ছড়াইতে দেওয়া, ও সেই কার্য সুসম্পন্ন হইবার পর সে আগুন নির্বাপনের চেষ্টাকে কেবল কাণ্ডজ্ঞানহীনতা বলিয়া কর্তব্য সারিব? নাকি, সে আচরণের পশ্চাতে আরও গভীর কোনও উদ্দেশ্যের সন্ধান করিব?
চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের এই সংখ্যায় আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজিতে চাহিয়াছি। আমরা জানি, প্রশ্নগুলি অস্বস্তিকর, হয়তো বা তাহাদের উত্থাপনও বিপজ্জনক; কিন্তু আজ বা কাল, প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলি তো তুলিতেই হইবে।…
ওমিক্রন এবং স্বাস্থ্যনীতির “পলিসি প্যারালিসিস” — জয়ন্ত ভট্টাচার্য
প্রবল ঝুঁকির মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা শেষ, তবু জিজ্ঞাসাচিহ্ন থেকে গেল — শঙ্কর রায়
কলকাতা বইমেলা: কিছু প্রশ্ন, কিছু সংশয় — স্বপন ভট্টাচার্য
পঞ্চম বর্ষ, নবম যাত্রা, জানুয়ারি, ২০২২
গ্লাসগো পরিবেশ বৈঠক
মূঢ়ত্বের স্কন্ধে ভবিষ্যতের ভার
…বস্তুত, মানবজাতির, কিংবা আরও সুনির্দিষ্ট করিয়া বলিতে গেলে, কতিপয় উন্নত ও বৃহৎশক্তিধর রাষ্ট্রের উদ্যোগে পরিবেশনিধনের যে সুপরিকল্পিত মহাযজ্ঞ চলিয়াছে, তাহা আত্মহত্যার অধিক— এ এক সামূহিক বিপর্যয়ের পথ প্রস্তুত করার সামিল। একদিকে যথেচ্ছ অরণ্য-ধ্বংস, অন্যদিকে ফসিল জ্বালানি পুড়াইয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের অনিয়ন্ত্রিত নিঃসরণ— এই দুইপ্রকারে বিশ্বপরিবেশকে এক মহাবিপর্যয়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে পঁহুছাইয়া দেওয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায়, গতমাসে গ্লাসগো-য় যে পরিবেশ-বৈঠক আয়োজিত হইয়াছিল, তাহার ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল কার্বন-নিঃসরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলির ঐকমত্যের রাস্তা সন্ধান। বলা বাহুল্য, সে আলোচনায় নাটকীয় বাগ্বিস্তার ও বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়ার অধিক কিছু ঘটে নাই— অধিক কিছু ঘটিবে, তেমন প্রত্যাশাও অবশ্য ছিল না। এবং, প্যারিসের পর, সাম্প্রতিক গ্লাসগো বৈঠকের মঞ্চেও পুনরায় প্রমাণিত হইয়াছে— শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি এখনও আপনাপন স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠিয়া সমগ্র মানবজাতির স্বার্থরক্ষায় আগ্রহী নহে। ফল যাহা দাঁড়াইয়াছে— কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করিয়া নেট-জিরো-র লক্ষ্যে যাত্রার প্রতিশ্রুতি কাগজে-কলমে খানিক গতিপ্রাপ্ত হইলেও, পরিবেশ-সংরক্ষণের মূল প্রশ্নগুলি বাহ্বাস্ফোট ও কূট বাগ্জালের আড়ালে উপেক্ষিতই রহিয়া গিয়াছে।
পরিবেশ লইয়া আমাদের জ্ঞান সীমিত, তবে কাণ্ডজ্ঞান কিঞ্চিৎ রহিয়াছে বই কী। সেই কাণ্ডজ্ঞানই আমাদের পরামর্শ দিয়াছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গ্লাসগো বৈঠকের নিষ্কর্ষগুলিকে পাশাপাশি রাখিয়া বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনের যাত্রাপথ ও ভবিষ্যতের রূপরেখাটিকে আরও একবার আনুপূর্বিক দেখিবার। সেই কাণ্ডজ্ঞান হইতেই চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের এই সংখ্যার প্রচ্ছদভাবনার পরিকল্পনা।…
“একটা বাসযোগ্য ভবিষ্যৎ অসম্ভব নয়”: কথোপকথনে নোম চমস্কি — স্ট্যান কক্স
কপ ২৬: কী পেলাম — সমর বাগচী
অতি দ্রুত কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করাই সঙ্কট এড়ানোর একমাত্র পথ — প্রদীপ দত্ত
গ্লাসগো কপ-২৬: কিছু প্রগতি হল, কিন্তু জলবায়ু সঙ্কটের মোকাবিলা করতে এবারও ব্যর্থ — সৌম্য দত্ত
দ্বিমুখী সঙ্কটে বিদ্ধ আদিবাসীরা, কপ ২৬ কি তাদের কথা শুনতে পাচ্ছে? — সাগর ধাড়া
কপ ২৬ ও মহাদেবদা — অংশুমান দাশ
পঞ্চম বর্ষ, অষ্টম যাত্রা, ডিসেম্বর, ২০২১
ক্ষুধার রাষ্ট্র
…এই প্রসঙ্গ ও প্রেক্ষিতটিকে আলোচনার কেন্দ্রে রেখেই নির্বাচন করা হয়েছে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর নভেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদভাবনা। প্রচ্ছদকাহিনির লেখাগুলিতে ক্ষুধাসূচক থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলি খুঁড়ে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। এ কথা অস্বীকার করার কারণ নেই, এই ক্ষুধাসূচক উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাছে এক তথ্যের স্বর্ণখনি, যাকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করলে অপুষ্টি দূরীকরণের অভিমুখে নানা মূল্যবান পথনির্দেশ পাওয়া যেতে পারে। অথচ, আমাদের দেশের শাসক এই তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ পাওয়া ইস্তক একে ভুল, মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। এই অস্বীকৃতি কি যথার্থ? আমাদের দেশ কি ক্ষুধা ও অপুষ্টির নিবারণে যথেষ্ট আন্তরিক ভূমিকা পালন করছে? যদি সত্যিই প্রশাসনিক প্রচেষ্টা আন্তরিক হয়, তা হলে চলতি অর্থবর্ষের (২০২১-২২) বাজেটে শিশুপুষ্টির নিরিখে ব্যয়বরাদ্দ, পূর্ববর্তী অর্থবর্ষের (২০২০-২১) বাজেটের তুলনায় ১৮.৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হল কেন? কোভিড অতিমারি ও তার সঙ্গে যুক্ত নানা আর্থসামাজিক ঘটনা-দুর্ঘটনা কী প্রভাবে ফেলল ভারতের ক্ষুধা মানচিত্রে? সমস্যার শেকড় কোথায়? খাদ্য-উৎপাদনে? বণ্টনে? সাধারণ্যে বুনিয়াদি শিক্ষার অভাবে? নাকি চূড়ান্ত অর্থনৈতিক বৈষম্যপীড়িত এই সমাজব্যবস্থায় সর্বব্যাপী ক্ষুধার জাল থেকে আমাদের খুব শিগগির মুক্তি নেই?…
সূচক নিয়ে নয়, ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়ুন — শচীন কুমার জৈন
আমাদের আর ক্ষিদা নাই — অংশুমান দাশ
ছত্তিশগড়ে, বিশেষ করে বস্তারে অপুষ্টি ও ক্ষুধা: একটি আলোকপাত — তুহিন দেব
খিদের হিসেব বলছে, ভারত ১০১-এ — উর্বা চৌধুরী
বিশ্ব ক্ষুধা সূচক: ক্ষুধা ও অপুষ্টির সঙ্গে ভারতের চিরন্তন সখ্যের গোলকধাঁধা — আকাঞ্চা সিং
পঞ্চম বর্ষ, সপ্তম যাত্রা, নভেম্বর, ২০২১
বিদ্যারূপেণ…
অতিমারির দিনে শিক্ষাঙ্গন
…এটুকু আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি যে এই মুহূর্তে আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্কট শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রের মধ্যে আবদ্ধ নেই, এই সঙ্কটের অভিঘাত ও অনিবার্যতা শিক্ষাঙ্গন ছাড়িয়ে সমাজের গভীরতর স্তরে শিকড় নামিয়েছে। এমতাবস্থায়, আমরা শরণাপন্ন হয়েছি নানা শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞের। তাঁরা তাঁদের লেখায় যেমন সমস্যাটির বহুস্তর ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন, ঠিক তেমনি অতিমারি পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সমাধানের দিকনির্দেশ দিয়েছেন৷…
অবিলম্বে স্কুল খোলার জন্য সরকার, স্কুল এবং অভিভাবকদের কী কী করণীয় — চন্দ্রকান্ত লহরিয়া
সমীক্ষার আলোকে অতিমারির সময়ে স্কুলশিক্ষা — সুমন কল্যাণ মৌলিক
এক কল্পিত আখ্যান ও ঘরে ফেরার গান — সোমনাথ মুখোপাধ্যায়
বন্ধ স্কুলে ঘন্টা বাজুক — স্বপন ভট্টাচার্য
নৈরাশ্যের অবসাদ থেকে সক্রিয়তার আশা — অম্লান বিষ্ণু
শিক্ষার ‘লক আউট’ — শাওন
মূর্খ বড় সামাজিক নয় — বিহঙ্গ দূত
পঞ্চম বর্ষ, ষষ্ঠ যাত্রা, অক্টোবর, ২০২১
নিউ লক্ষ্মী স্টোর্স
কিংবা, নীতাদের চটির ফিতে কেন বারবার ছিঁড়ে যায়
…চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের সেপ্টেম্বর সংখ্যায়, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পটিকে প্রেক্ষাপটে রেখে, আমরা খুঁড়ে দেখতে চেয়েছি নানা শ্রেণির, পেশার, সামাজিক এমনকি ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানে নারীদের বৈচিত্রময় আর্থসামাজিক বাস্তবতার হাল-হকিকত।…
ভালো তালিবান এবং শরিয়তসম্মত নারীস্বাধীনতা — প্রতিভা সরকার
লক্ষ্মীর প্রয়োজন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার — অরিজিতা দত্ত
সংঘাতময় অঞ্চলে মেয়েদের অবস্থান — শ্রীজাতা গুপ্ত
কোভিডকালে মানসিক অবসাদ: নারীদের দর্পণে — সীমন্তিনী ঘোষ
নারীর একাল-সেকাল: প্রসঙ্গ এনআরসি-উত্তর অসম — সুমনা রহমান চৌধুরী
সেই ভয়াবহ দৃশ্য আজও অবসাদগ্রস্ত করে তোলে… — তানিয়া সরকার
অন্যের বিশ্বাসে আঘাত দিতে নেই — স্বাতী মৈত্র
ফ্রেমবন্দি গৃহলক্ষ্মী — স্রোতা দত্ত আচার্য
পঞ্চম বর্ষ, পঞ্চম যাত্রা, সেপ্টেম্বর, ২০২১
স্বাধীনতা ৭৫
…আমরা বাছিয়া লইয়াছি কয়েকটি ক্ষেত্র। সেই ক্ষেত্রগুলির মধ্য দিয়া আমরা ধরিতে চাহিয়াছি এই পঁচাত্তর বৎসরের সফরটিকে। ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রহিয়াছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী, সংখ্যালঘু জনগণ, আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি। দেখিতে চাহিয়াছি আমাদের সংবিধানের আলোকে বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার তিন মহান মূল্যবোধকে। আর যেহেতু এই তিনটি মূল্যবোধ আমাদিগকে যথেষ্ট শ্লাঘা প্রদান করিয়া থাকে, সেই হেতু একই সঙ্গে আমরা দেখিতে চাহিয়াছি যুক্তিবাদী মানসিকতার বিকাশে আমাদের অগ্রগমনকে। ধরিতে চাহিয়াছি দেশভাগের মর্মন্তুদ যন্ত্রণা যাঁহারা অনুভব করিয়াছেন সেই তাঁহাদের এবং দেশের যুবসম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা এবং এই যাত্রাটি কী রূপে প্রতিভাত হয়। সর্বোপরি, দেখিতে চাহিয়াছি মানবিক এবং সাংস্কৃতিক দিক হইতে আজ পঁচাত্তর বৎসর পর আমাদের অবস্থানটি ঠিক কোথায়।…
কঙ্কালের জন্মতিথি — সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
নষ্টকালের জনস্বাস্থ্য — স্থবির দাশগুপ্ত
স্বাধীনতা ৭৫: কোথায় শিক্ষা? — শুভোদয় দাশগুপ্ত
ভারতীয় সংবিধান: ধর্মনিরপেক্ষতা গণতন্ত্র বাকস্বাধীনতা! — অশোক মুখোপাধ্যায়
একটু স্বাধীন বলে কোনও কথা হয় না — স্বাতী ভট্টাচার্য
আক্রমণের মুখে যত মত তত পথ-এর ভারত — শুভাশিস মৈত্র
স্বাধীনতার সালতামামি: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাড়ে সাত দশক — শুভাশিস মুখোপাধ্যায়
‘এক ভারত’ প্রজাতন্ত্র-বিরোধী এক রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা — সুমন কল্যাণ মৌলিক
পঁচাত্তরেও পরিবর্তন নেই– বুনিয়াদে অমিল বিজ্ঞানমনস্কতা — মানসপ্রতিম দাস
পনেরোই আগস্ট বলতে আমি কেবল দেশভাগ বুঝি — অর্ক ভাদুড়ি
আমাদের দেশ… আমাদের পথ… আমাদের স্বাধীনতা… — শিমূল সেন
পঞ্চম বর্ষ, চতুর্থ যাত্রা, আগস্ট, ২০২১
ক্ষত যত ক্ষতি তত
জলবায়ু পরিবর্তন ও তার পরিণাম
…এই ‘বিস্মৃতির বিরুদ্ধে লড়াই’-এর ধারাবাহিকতায় আমাদের জুলাই সংখ্যার সংযোজন— ক্ষত যত ক্ষতি তত। প্রসঙ্গত বলিয়া রাখি, এই ভাবনাটিকে দফতরের টেবিলে আনিয়া হাজির করিবার দায় অংশত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর। পূর্ব-সর্তকতা থাকায় এই ঝড়ে প্রাণহানির ঘটনা বিশেষ না-ঘটিলেও, দক্ষিণবঙ্গ ও ওডিশার তটবর্তী অঞ্চল তছনছ করিয়া গিয়াছে ইয়াস— গণস্মৃতিতে ফিরাইয়া আনিয়াছে বৎসরকাল পূর্বের আমফানের ভয়াবহ স্মৃতিকে। সহসা আমরা সচকিত হইয়া উপলব্ধি করিয়াছি, ভারতের পূর্ব উপকূলীয় বঙ্গোপসাগর, এমনকী একদা-শান্ত পশ্চিম উপকূলের আরবসাগরও ক্রমশ অস্থির, অতিমাত্রায় ঘূর্ণিঝড়-প্রবণ হইয়া উঠিতেছে। অকস্মাৎ যেন বড় বেশি উপদ্রবময় হইয়া উঠিয়াছে উপমহাদেশের জলবায়ু।…
ভারতের জলকথা — অমিতাভ আইচ
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মেয়েদের বিড়ম্বনা — জয়িতা রায় চৌধুরী
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রভাবিত জীবন-জীবিকা — বিবর্তন ভট্টাচার্য
জলবায়ু পরিবর্তন: প্রান্তজনের কথা — মৃণাল মুখার্জী ও প্রীতম কংসবণিক
পঞ্চম বর্ষ, তৃতীয় যাত্রা, জুলাই, ২০২১
সর্বনাশের সপ্তপদী
বিজেপি সরকারের সাত বছর
…এই সেবক-শ্রবক যুগ্ম-পরিচয়ের যাথার্থ্য পর্যালোচনার অভিপ্রায় হইতেই আমাদিগের বাসনা হয়, গত সপ্তবর্ষে সরকারের সাফল্যপঞ্জী নিরীক্ষণ করিয়া তাহার মহামূল্যবান মাণিক্যগুলি চয়ন করিবার। বস্তুত সচেতন দেশবাসী হিসাবে আমরাই যদি সেই কাজ শুরু না-করি, তবে কে করিবে? বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদিগের কেহ-কেহ মদীয় প্রধানমন্ত্রীকে পরম বন্ধু বলিয়া কীর্তিত করিয়াছেন ঠিকই— কিন্তু সেই কার্য কি আমাদিগেরই শুরু করিবার কথা ছিল না? দেশের মানুষ কেনই বা এত আহাম্মক হইবেন যে, কারণে-অকারণে সরকারের নিন্দা না-করিয়া জলগ্রহণ করিবেন না?
মোদি সরকারের সাত বছর: সাংবিধানিক ভারতের গঙ্গাযাত্রা — শান্ত মিত্র
বিজেপি-র বিভিন্ন শাখামৃগ — অশোক মুখোপাধ্যায়
কাশ্মির, ৩৭০ রদ-এর পর, মেয়েদের দর্পণে — প্রতিভা সরকার
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও ভারতবর্ষের পলিসি ফেলিওর: ফিরে দেখা ফেলে আসা সময় — জয়ন্ত ভট্টাচার্য
নোটবন্দি: ফিরে দেখা — সুমন কল্যাণ মৌলিক
সর্বনাশের অভি-স(শ)প্তপদী: নাগরিক আইন এবং অতঃপর — সঞ্জীব দেবলস্কর
মোদি-শাহের সাত বছরের রাজ: নির্বাধ লুঠতরাজ — সৌমিত্র ঘোষ
মোদিনমিক্সের সপ্তম বর্ষপূর্তি — সুশোভন ধর
পঞ্চম বর্ষ, দ্বিতীয় যাত্রা, জুন, ২০২১
বাংলার রায়: স্বস্তি ও অস্বস্তি
…সুদীর্ঘ এই সম্পাদকীয় নিবন্ধের উদ্দেশ্য ছিল, আমরা চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের পক্ষ হইতে কীভাবে সদ্যোসমাপ্ত ভোটপর্বটিকে মূল্যায়ন করিতেছি, সম্মুখবর্তী পথটিকেই বা কীরূপে দেখিতেছি, তাহার একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা। কিন্তু এই নিবন্ধে তাহার সবকটি দিক ও স্তর এবং তাহাদের সম্ভাব্য তাৎপর্যনিচয়কে আমরা স্পর্শ করিতে পারি নাই। বস্তুত, বিষয়টি এতই জটিল ও বহুবিস্তৃত যে, কোনও একটি নিবন্ধে তাহা সম্ভবও নয়। সেই বিধায়, আমাদিগের এই সংখ্যাটির কেন্দ্রীয় বিষয়-অভিমুখ হিসাবে আমরা এই একই বিষয়কে বাছিয়া লইয়াছি। এই ভোটপর্ব আমাদের কী দিল, কী কী শিখাইল, বস্তুত আদৌ কিছু শিখাইল কি না, এবং সর্বোপরি, সেই শিক্ষায় ভর করিয়া আগামী দিনে আমাদের রাজ্যটি কোন পথে চলিতে পারে— একাধিক নিবন্ধে তাহারই তথ্যনিষ্ঠ অনুসন্ধান জারি থাকিল।…
বিধানসভায় একজনও রইল না, জরুরি প্রশ্নগুলো তুলতে হবে রাস্তাঘাটেই — বিষাণ বসু
খাদ ও খাদের কিনারা — আশীষ লাহিড়ী
নতুন স্লোগান হোক: নো স্পেস টু বিজেপি!! — অশোক মুখোপাধ্যায়
বাইনারির নির্বাচন ও বামশক্তি — প্রতিভা সরকার
পশ্চিমবঙ্গ ২০২১: বামফ্রন্টের বিপর্যয়, বামপন্থার ভবিষ্যৎ — প্রসেনজিৎ বসু
সেই সব ছেঁড়া পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাওয়াই চটি পরা পাগলগুলি এখন কোথায়? — শৈলেন সরকার
পশ্চিমবঙ্গে ফ্যাসিবাদ-বিরোধিতায় বামেরা আস্থা হারাচ্ছে — শঙ্কর রায়
বাংলায় বামপন্থা হারেনি, হেরেছেন বামপন্থীরা — প্রশান্ত ভট্টাচার্য
বামেদের মধ্যবিত্ত-কেন্দ্রিকতার সঙ্কট কিংবা দ্বিমেরু-বঙ্গের এক নিশ্চিন্ত নাগরিকের প্রলাপ — প্রতীক
একুশের ‘উত্তর’ — অভিষেক ঝা
অসম বিধানসভা নির্বাচন ২০২১: বিজেপি-র পক্ষে কী গেল? — পরভীন সুলতানা
বিরোধী-রাজনীতি: গণতন্ত্র ও আগামীর সম্ভাবনা — সুশীতল
বাংলার নিজের মেয়েরা কী দেখলেন, কী শুনলেন? — সায়ন্তন বৈরাগী
পঞ্চম বর্ষ, প্রথম যাত্রা, মে, ২০২১