চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতি মাসে ছাড়া মেল ট্রেনের রিজার্ভড বগি বা মূল ভাবনা। ষষ্ঠ বর্ষ, মে ২০২২-এপ্রিল ২০২৩। এই বছর আমাদের রিজার্ভড বগি-তে এসেছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির অন্তর্দ্বন্দ্ব, মানসিক অসুস্থতা, পরিবেশ সঙ্কট, বাংলা নাটকের বিবর্তন, জঁ লুক গোদার, ২০২২-এর নোবেল পুরস্কার, ২০২৩-এর কলকাতা বইমেলা, মেয়েদের খেলাধূলা এবং সন্দীপ দত্ত
লিখেছেন অনন্যা রায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, অয়নেশ দাস, অংশুমান দাশ, অংশুমান ভৌমিক, আত্রেয়ী কর, ইন্দ্রনীল মজুমদার, কৌশিক ভট্টাচার্য, গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়, দেবকুমার সোম, পার্থঙ্কর চৌধুরী, পার্থপ্রতিম মণ্ডল, প্রবুদ্ধ ঘোষ, প্রসেনজিৎ বসু, বিষাণ বসু, বুলবুল ইসলাম, ব্রতীন্দ্র ভট্টাচার্য, মানস চক্রবর্তী, মণীশ মিত্র, মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা আচার্য, মৃদুল দাশগুপ্ত, শঙ্কর রায়, শরণ্যা ভট্টাচার্য, শুভাশিস ঘোষাল, শুভাশিস মৈত্র, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, সত্য ভাদুড়ি, সায়ন্তন দত্ত, সীমন্তিনী ঘোষ, সুব্রত দাস, সুমন গুণ, সুস্নাত চৌধুরী, সেলিম মণ্ডল, সৌম্য দত্ত, স্বপন ভট্টাচার্য এবং স্বাতী মৈত্র
সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে প্রবীর গুহ এবং মৈনাক বিশ্বাস-এর…
অনুবাদ করে প্রকাশ করা হয়েছে জর্জ মঁবিও, সুনীতা নারায়ণ এবং পিটার ব্র্যাডশ-র তিনটি নিবন্ধ…
সূচি
বিপ্রতীপের প্রতিষ্ঠান ও এক নিঃসঙ্গ ক্রনিকলার
সন্দীপ দত্ত (১৯৫১-২০২৩)
…চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর এপ্রিল সংখ্যার প্রচ্ছদভাবনা সন্দীপ দত্তকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেই নিবেদিত হল। সন্দীপ দত্ত ও তাঁর প্রতিষ্ঠান বিরোধী যাপনকে স্মরণ করলেন তাঁর বন্ধু সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও মৃদুল দাশগুপ্ত, লিখেছেন ইন্দ্রনীল মজুমদার, লিখেছেন অনুজ লেখক সম্পাদক ও প্রকাশক সুস্নাত চৌধুরী, সেলিম মণ্ডল এবং বুলবুল ইসলাম।
আর শেষ কথায়, আমাদের সমস্ত বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের মনে করাই, সন্দীপ দত্তের কাজটিকে বাঁচিয়ে রাখার এবং এগিয়ে নেওয়া যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। এ যেন আমরা বিস্মৃত না হই।…
সন্দীপ দত্তের সফলতা ও নিষ্ফলতা — সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
কাগেমুশা: সন্দীপ দত্ত — ইন্দ্রনীল মজুমদার
সন্দীপ ছিল বিরাট, অতিকায় এক মানুষ — মৃদুল দাশগুপ্ত
সন্দীপ দত্ত: গভীরতর ক্ষতের অপেক্ষা — সুস্নাত চৌধুরী
সন্দীপ দত্ত: লিটল ম্যাগাজিনের একক অধ্যায় — সেলিম মণ্ডল
লাইব্রেরি ও গবেষণাকেন্দ্রটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলেই সন্দীপদার স্বপ্ন বেঁচে থাকবে — বুলবুল ইসলাম
ষষ্ঠ বর্ষ, নবম যাত্রা, এপ্রিল, ২০২৩
ছেলেখেলা
…এতসব সত্ত্বেও, ভারতের মহিলা ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের খতিয়ান কিন্তু কম নয়। পিটি ঊষা, মেরি কম, সাইনা নেহাওয়াল, পিভি সিন্ধু, দীপা কর্মকার, হিমা দাস থেকে সানিয়া মির্জা, মিতালি রাজ, কর্ণম মালেশ্বরী… তালিকা দীর্ঘ। সম্প্রতি টোকিও অলিম্পিকে মহিলা হকিদলের জয় দেশের মহিলা ক্রীড়াজগতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
আর এটাও একটা স্পষ্ট সত্য— অলিম্পিক্সে ভারতের পুরুষ ক্রীড়াবিদদের তুলনায় মহিলা ক্রীড়াবিদদের সাফল্য অনেক বেশি। ২০১৬-র রিও অলিম্পিকে ভারতের ৪টি পদকের ২টি এনেছিলেন মেয়েরা, ২০১২-র লন্ডন অলিম্পিকে ৮টির মধ্যে ৬টি পদকই ছিল তাঁদের। এগুলিতেই প্রমাণ হয় খেলাতে লিঙ্গবৈষম্যের কোনও ভূমিকাই নেই। প্রয়োজন সঠিক সহায়তা এবং যথাযথ পরিকাঠামোর।
চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের এই মার্চ মাসের সংখ্যাটিতে আমরা আলোচনা করেছি এই মহিলাদের নিয়েই। রিজার্ভ বগিটির নাম রাখা হয়েছে ‘ছেলেখেলা’। ব্যাখ্যা, সুধী পাঠক, নিষ্প্রয়োজন…
পাড়ার খেলার মাঠে মেয়েদের ফুটবল ক্রিকেট দেখা যাবে কোনওদিন আদৌ? — স্বাতী মৈত্র
ব্রেড অ্যান্ড রোজেস — অয়নেশ দাস
দাবার মেয়েরা: পুরুষ আধিপত্যের প্রতিস্পর্ধী বয়ান — প্রবুদ্ধ ঘোষ
ষষ্ঠ বর্ষ, অষ্টম যাত্রা, মার্চ, ২০২৩
বইমেলা ২০২৩
…অপ্রিয় প্রশ্নগুলি আপাতত তোলা থাক। আমরা মেলায় ফিরি। ‘বইমেলা ২০২৩’— এই শিরোনামে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রচ্ছদকাহিনিতে এবার শুধুমাত্র বই ও বইমেলার উদযাপন, যাতে আমাদের সঙ্গে আছেন সহৃদয় লেখক, পাঠক ও প্রকাশকেরা।…
বইমেলার অপার সম্ভাবনা, আমরা কবে বুঝব — সুব্রত দাস
বই ও বন্ধুতার পরিক্রমা — সুমন গুণ
মেলে মে বিছড়ে হুয়ে — বিষাণ বসু
আমার বইমেলা — দেবকুমার সোম
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি, পড়ার আনন্দে — মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
করুণাময়ী, গগন ঠাকুর এবং অন্যান্য — শরণ্যা ভট্টাচার্য
ষষ্ঠ বর্ষ, সপ্তম যাত্রা, ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
নোবেল ২০২২
…সাহিত্য বা শান্তির নোবেল পুরস্কার নিয়ে এত আলোচনা হলেও, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন কিংবা চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল প্রাপকদের নিয়ে বিতর্ক তুলনায় কম, তার একটা বড় কারণ সম্ভবত সেসব বিষয় সাধারণ মানুষের নাগালের অনেকটাই বাইরে। এক তো, বিজ্ঞানের টেকনিক্যাল বিষয়গুলি সম্পর্ক আমাদের ধারণা কম, তার ওপরে পুরস্কারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ও প্রায়োগিক বিজ্ঞানচর্চার চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক আবিষ্কার— যেগুলি আমাদের ধরাছোঁয়ার আরও অনেক বেশি বাইরের। সে কারণেই, চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের এবারের সংখ্যার প্রচ্ছদকাহিনি বিভাগে আমরা চেয়েছি এ বছরের নোবেলপ্রাপকদের পরিচিতি ও তাঁদের কাজের ক্ষেত্রগুলি যথাসম্ভব সহজভাবে পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে।…
নোবেল ২০২২, পদার্থবিদ্যা: কোয়ান্টাম বলবিদ্যার তাৎপর্য বোঝার পথে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ — গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
জটিল রাসায়নিক যৌগ তৈরির সহজ রাস্তা বাতলে রসায়নে নোবেল তিন বিজ্ঞানীর — মানস চক্রবর্তী
আর্থিক সঙ্কটমোচনে ব্যাঙ্কের ভূমিকা কী, পথ দেখানোর স্বীকৃতি অর্থনীতির নোবেলে — কৌশিক ভট্টাচার্য
আনি এর্নো: স্মৃতি ও আখ্যানের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া আভ্যন্তরিক এক অধিবাসী — পার্থপ্রতিম মণ্ডল
সোয়ান্টে পেবো: প্রত্নজিনবিদ্যার পথে হোমিনিড ইতিহাসে আলো ফেলার পুরস্কার — স্বপন ভট্টাচার্য
তোমার কাছে শান্তি চাব না… — ব্রতীন্দ্র ভট্টাচার্য
ষষ্ঠ বর্ষ, ষষ্ঠ যাত্রা, ডিসেম্বর, ২০২২
জঁ লুক গোদার: অনন্ত নক্ষত্রবীথি তুমি, অন্ধকারে
তাঁর মৃত্যু, প্রকৃত প্রস্তাবে, সেই বোঝাপড়ারই পথ নতুন করে খুলে দিল আরও একবার। তাঁকে নিয়ে এত বছর ধরে এত কথা বলা হয়ে যাওয়ার পরেও (স্রেফ তথ্য হিসেবে উল্লেখ থাক যে, গোদার ও তাঁর ছবি নিয়ে এ-যাবৎ যত লেখালেখি হয়েছে আধুনিক ছায়াছবির আর কোনও পরিচালককে নিয়ে তত হয়নি) গোদার এখনও এক প্রহেলিকা— অনন্ত নক্ষত্রবীথি, তিনি, অন্ধকারে…
প্রলয়ের শবযাত্রী: গোদার — সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
“সের্গেই আইজেনস্টাইনের পর সিনেমাকে শৈলীর দিক থেকে আর কেউ এতটা সমৃদ্ধ করেননি” — মৈনাক বিশ্বাস
শূন্যে ফেরার আখ্যান: অথরশিপ ও জঁ লুক গোদার — সায়ন্তন দত্ত
আমাদের স্মৃতির ও মস্তিষ্কের স্বাধীনতা গোদারের সিনেমা কোথাও কখনও অসম্মান করেনি — মহাশ্বেতা আচার্য
জঁ লুক গোদার সেই আশ্চর্য প্রতিভাবান যিনি ব্যাকরণের বই ছিঁড়ে ফেলেছিলেন এমনভাবে যাতে পড়তে অসুবিধা না হয় — পিটার ব্র্যাডশ
ষষ্ঠ বর্ষ, পঞ্চম যাত্রা, অক্টোবর, ২০২২
বাংলা নাটক: এক ক্রমজায়মান উত্তরাধিকার (WIP)
নাট্যসমালোচকরা বলেন, নাটকের কোনও অভিনয়ই সম্পূর্ণ নয়— ক্রমজায়মানতাই তার স্বরূপ। প্রতি অভিনয়েই তার রূপ পালটাতে থাকে। সেই অর্থে যে কোনও নাটকেরই একটি অভিনয় তার আগের অভিনয়ের চেয়ে আলাদা। এই যুক্তিক্রম অনুসারে, আমাদের এই সংখ্যার রচনাগুলিকেও একটি পুর্ণাঙ্গ সঙ্কলন হিসেবে গ্রহণ না-করে পাঠক যদি এগুলিকে একটি বৃহত্তর নির্মাণপ্রয়াসের অভিমুখে ধাবমান কয়েকটি ওয়ার্কিং ফাইল হিসেবে গ্রহণ করেন, বাধিত হব। শীর্ষলেখের ‘WIP’ অক্ষরগুচ্ছ সেই যাত্রারই সূচক— এই সংখ্যাটি অসম্পূর্ণ— এর কাজ চলেছে— ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস।
“মঞ্চ-বহির্ভূত নাটকই আমাদের দেশে নাট্যচর্চার মূল ধারা” — প্রবীর গুহ
শম্ভু মিত্র: এক বিরল ‘নোটো’র নাম — সত্য ভাদুড়ি
গত পঞ্চাশ বছরে বাংলা নাটকের ক্রমজায়মান উত্তরাধিকার — মণীশ মিত্র
নতুন ইহুদী: এক লুপ্ত মানচিত্রের সন্ধান — অংশুমান ভৌমিক
ষষ্ঠ বর্ষ, চতুর্থ যাত্রা, সেপ্টেম্বর, ২০২২
পরিবেশ ও পুঁজিতন্ত্র
…এতটুকু ভণিতা পার হয়ে এসে পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম আবার, আরও একবার নিজেদের প্রচ্ছদকাহিনির নিশানা করতে চলেছে— দেশ ও বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন ও আসন্ন পরিবেশ ধ্বংসের বিষয়টিকে। সম্ভবত, এই নিয়ে চতুর্থবার ‘পরিবেশ’ আমাদের পত্রিকার আলোচনার প্রধান বিষয় হিসেবে গণ্য হল। এছাড়াও বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই পরিবেশ সংক্রান্ত প্রবন্ধ আমাদের প্রতিটি সংখ্যায় নিয়মিত বিভাগ ‘সবুজ স্লিপার’-এ প্রকাশ পাচ্ছে। এইভাবে নিরন্তর ফাটা রেকর্ডের মতো পরিবেশকে কেন্দ্রে রেখে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর নাছোড় ও নিরন্তর চর্চার কারণ একটিই। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, বর্তমান পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে কোনও সংস্কৃতিচর্চা, অথবা বৃহত্তর সমাজ বা রাজনীতি নিয়ে যেকোনও আলোচনা— আর পরিবেশকে বাদ সম্ভব নয় (প্রসঙ্গক্রমে, একটি দুর্ভাগ্যজনক তথ্য উল্লেখ করা যেতে পারে, বিগত কুড়ি বছরে আমাদের দেশে সংসদে যত প্রশ্ন ও বিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে, সেই সমস্ত আলোচনাসমষ্টির মাত্র ০.০৩ শতাংশ ‘জলবায়ু সঙ্কট’ বিষয়ের জন্য ব্যয় করা হয়েছে।)। এই সহজ অথচ গুরুতর কথাটা আমরা বারবার, ন্যূনতম সুযোগে, নানাভাবে স্মরণ করে নিতে চাই, এবং একইসঙ্গে আমাদের প্রিয় পাঠকদেরও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।…
পুঁজিবাদ পৃথিবীকে ধ্বংস করছে: এই আত্মধ্বংসী যজ্ঞ থেকে নিজেদের বিরত রাখার সময় এসেছে — জর্জ মঁবিও
বাছাই করা সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করায় দেখনদারি বেশি, কার্যকারিতা কম — সৌম্য দত্ত
‘অমৃতের সন্ধানে’, শিলচরে, বন্যার জলে… — পার্থঙ্কর চৌধুরী
কণ্টকময় এক অবস্থান — সুনীতা নারায়ণ
শেভ্রন বনাম স্টিভেন ডনজিগার: বৃষ্টি-অরণ্যের জন্য অসম লড়াই — শুভাশিস ঘোষাল
কোথায় তোমার দেশ — অংশুমান দাশ
ষষ্ঠ বর্ষ, তৃতীয় যাত্রা, আগস্ট, ২০২২
মানসিক অসুস্থতা: এক নীরব অতিমারি
…পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানো মানুষকে উন্মত্ত করে দেয়। নিজের ওপরেই নিজের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, শুধু তা-ই নয়, এই অসহায়তা, এই যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে অবিরত। নিজের ছায়াই নিজেকে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে। নিজের খোলসটুকু, যা কিনা প্রতিটি মানুষের সবচাইতে কমফোর্ট জোন, সেটাই পরিণত হয়ে যাচ্ছে একটি রীতিমতো ওয়ার জোন-এ।
নিজের মাথার মধ্যে, নিজের বিরুদ্ধে নিজের এ এক অন্তহীন লড়াই। বিশ্বাস করুন, এইরকম একটা পরিস্থিতিতে আপনি এক মুহূর্তের জন্যেও থাকতে চাইবেন না।
এর মধ্যেই অসংখ্য মানুষ ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি, পার্সোনালিটি ডিজর্ডার, সাইকোটিক ডিজর্ডার, ইটিং ডিজর্ডার, ইমপালস কন্ট্রোল অ্যান্ড অ্যাডিকশন ডিজর্ডার, অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজর্ডার, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজর্ডার আদি নানাবিধ মানসিক সমস্যার সঙ্গে নিয়ত যুঝে চলেছেন। আমাদের জুন মাসের মেল ট্রেনের রিজার্ভড বগিটি নিবেদিত হল সেই সব মানুষদেরই উদ্দেশে।…
এক জটিল বিজ্ঞান এবং এক ভয়াবহ ইতিহাস — সীমন্তিনী ঘোষ
ভাল থাকা কোনও বিশেষ মানসিক অবস্থা নয়, একটা প্রক্রিয়া — অনন্যা রায়
আমি জানি আমি সেরে উঠছি, কারণ এখন আমি সাহায্য চাইতে পারি — আত্রেয়ী কর
অতিমারি: মানসিক অবসাদের এক তীব্র ট্রিগার — নিউজ রিলিজ, WHO
ষষ্ঠ বর্ষ, দ্বিতীয় যাত্রা, জুন, ২০২২
মুষল পর্ব
…কিন্তু এই সংখ্যার প্রচ্ছদ-বিষয় হিসেবে আমরা, আনন্দ নয়, অন্ধকারকেই বাছিয়া লইতে বাধ্য হইয়াছি। বিষয়-ভাবনার নামের মধ্যে মহাভারতের এক অতীব অন্ধকারময় কাহিনিখণ্ডের স্মৃতি রহিয়াছে। মুষলপর্ব মহাভারতের সেই সময়কে সূচিত করে, যখন ক্লেদ ও কলুষের ভাণ্ড পূর্ণ হইয়া উপচীয়মান; অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ভ্রাতৃহত্যার পাপে মানব স্বীয় গরিমাকে বিসর্জন দিয়াছে; ব্যক্তিস্বার্থ যেখানে গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে— “সকলেই আড়চোখে সকলকে দেখে”। পশ্চিমবঙ্গ নামক ভারতের পূর্বপ্রান্তের ক্ষুদ্র রাজ্যটির দিকে তাকাইলেই সে দুর্দৈব সাদা চক্ষে প্রতীয়মান হয়— তাহার জন্য সমাজবিদ হইবার প্রয়োজন হয় না। বস্তুত, সমাজটিকে সানুপুঙ্খ দেখিবারও দরকার হয় না— দলীয় রাজনীতির একটি-দুটি চাল টিপিলেই হাঁড়ির পুরা হাল সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হওয়া সম্ভবপর হয়। … এমত পরিস্থিতিতে কাণ্ডজ্ঞান আমাদিগকে পরামর্শ দিয়াছে— ব্যাধি যতই দুরারোগ্য হউক, লুকাইয়া রাখিলে তাহার নিরসন হয় না; বরঞ্চ লুক্কায়িত গরলকে প্রকাশ্যে আনিতে পারিলেই রুগির ‘কাথারসিস’ ঘটে— অসুস্থতার অবসান হয়।
সেই কাণ্ডজ্ঞান হেতুই আমাদিগের এই সংখ্যার বিষয়ভাবনার কেন্দ্রে ‘মুষল পর্ব’।…
রাজ্য শাসক দলের সঙ্কট– গণতন্ত্রেরও নাভিশ্বাস — অশোক মুখোপাধ্যায়
সব বিরোধী দলই বিজেপি-বিরোধিতায় প্রায় নিষ্ক্রিয়, শক্ত হচ্ছে ইলেক্টেড অটোক্র্যাসির ভিত — শুভাশিস মৈত্র
সঙ্কটারূঢ় কংগ্রেস: অবনমনের প্রেক্ষাপট — শঙ্কর রায়
দেউচা পাচামির আন্দোলন এবং বামপন্থীদের ঐক্য-সম্ভাবনা প্রসঙ্গে — প্রসেনজিৎ বসু
ষষ্ঠ বর্ষ, প্রথম যাত্রা, মে, ২০২২