রিজার্ভড বগি | সপ্তম বর্ষ | মে ২০২৩-এপ্রিল ২০২৪

চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতি মাসে ছাড়া মেল ট্রেনের রিজার্ভড বগি বা মূল ভাবনা। সপ্তম বর্ষ, মে ২০২৩-এপ্রিল ২০২৪। এই বছর আমাদের রিজার্ভড বগি-তে এসেছে আক্রান্ত ডারউইন এবং বিবর্তনবাদ, আমাদের তৃতীয় লিঙ্গের সহনাগরিকেরা, মিলান কুন্দেরা, অনুবাদ সাহিত্য, ২০২৩-এর নোবেল পুরস্কার, বের্টোল্ট ব্রেশটের ১২৫ বছর এবং হাবিব তনভীরের ১০০ বছর, বাংলা বইয়ের বিপণন ও বইমেলা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দাবি বনাম দেশের বাস্তব

লিখেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অনুপম মুখোপাধ্যায়, অনুপ্রভা দাস মজুমদার, অনুরাধা কুন্ডা, অভিজিৎ মুখার্জি, অভিষেক ঝা, অরুণাভ সিংহ, অশোক মুখোপাধ্যায়, আলম খোরশেদ, আশীষ লাহিড়ী, ঊর্বশী সিনহা, কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দন সেন, জয়দীপ জানা, জয়দীপ মিত্র, জয়ন্ত দাস, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, জয়া চৌধুরী, জি এইচ হাবীব, তাপস কুমার দাস, তৃষ্ণা বসাক, দত্তাত্রেয় দত্ত, দীপঙ্কর নন্দী, দেবজ্যোতি রায়, দেবব্রত দত্ত, দেবাশিস ভট্টাচার্য, নন্দন রায়, নবনীতা সেনগুপ্ত, পার্থজিৎ চন্দ, পার্থপ্রতিম মণ্ডল, মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিউদ্দিন সাইফ, মুম রহমান, রামচন্দ্র সিং, রেজি ফিলিপ, শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়, শুভদীপ বড়ুয়া, শুভোদয় দাশগুপ্ত, শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন মুখোপাধ্যায়, শৌর্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জীব বাগচী, সর্বজিৎ সরকার, সংযুক্তা রায়, সায়ন্তন দত্ত, সুব্রত দাস, সুব্রত রায়, সুমন কল্যাণ মৌলিক, সুস্নাত চৌধুরী, সৌমিত দেব, স্বপন ভট্টাচার্য, স্বপন রায় এবং হিরণ মিত্র

সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে ফিনিশ কবি ও অনুবাদক হান্নেলে পোহ্‌য়ানমিস-এর, সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিরুপম চক্রবর্তী

অনুবাদ করে প্রকাশ করা হয়েছে মিলান কুন্দেরা-র একটি নিবন্ধ, অনুবাদ করেছেন পার্থপ্রতিম মণ্ডল, হাবিব তনভীর-এর একটি আত্মস্মৃতি, জয়তী ঘোষ-এর একটি নিবন্ধ এবং আনন্দ তেলতুম্বডে-র একটি সাক্ষাৎকার

 

সূচি

ভিকাস-বিকাশ-উন্নয়ন: রাষ্ট্রের দাবি, দেশের বাস্তব

…সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমরা এই সংখ্যায় দেশের প্রকৃত অবস্থাটা জানাতে চেয়েছি আমাদের পাঠকদের কাছে। এই ভোটবাজারে সবচেয়ে সুলভ বস্তু হল বাগাড়ম্বর। এবং সেই বাগাড়ম্বরের ঢক্কানিনাদে বিভিন্ন বুনিয়াদি ক্ষেত্রগুলিতে দেশের বাস্তব অবস্থা গুলিয়ে যাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা। সেই বিপদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এবারের রিজার্ভড বগি ‘ভিকাস, বিকাশ এবং উন্নয়ন: রাষ্ট্রের দাবি, দেশের বাস্তব’-এর পরিকল্পনা। আমরা বেছে নিয়েছি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞানচর্চা, ইতিহাসচর্চা, দুর্নীতি এবং পরিবেশ-এর মতো ক্ষেত্রগুলিকে।…

কর্মসংস্থানে এক ব্যাপক সঙ্কটের মুখে ভারত — জয়তী ঘোষ
শিক্ষার অন্তর্জলি যাত্রার আবহে দেশের আর একটি সাধারণ নির্বাচন — শুভোদয় দাশগুপ্ত
প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং এবারের অন্তর্বর্তী বাজেট — জয়ন্ত ভট্টাচার্য
লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীদের কাছে মানুষ কী চায়? — নন্দন রায়
সাম্প্রতিক সময়ে ইতিহাস ও বিজ্ঞানচর্চার দর্শন অনুসন্ধান — মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
অমৃতকালের হিসেবনিকেশ: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাগাড়ম্বর মোদিজির সাজে না — সুমন কল্যাণ মৌলিক
মোদি সরকারের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি: কিছু পর্যবেক্ষণ — দেবাশিস ভট্টাচার্য
পরিবেশ-প্রহসন ও সাম্প্রতিক ভারতবর্ষ: একটি ‘বিকশিত’ দশক — অনির্বাণ ভট্টাচার্য
“আসন্ন নির্বাচন জিততে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে বিজেপি” — আনন্দ তেলতুম্বডে

সপ্তম বর্ষ, নবম যাত্রা, এপ্রিল, ২০২৪

 

বই-বিপণন-বইমেলা: বাদ-বিসম্বাদ

…নানা প্রশ্ন। সহজ ও জটিল। প্রশ্নের টানে আরও প্রশ্ন উঠে আসে। বই, বইয়ের বিপণন ও বইমেলা- এই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে আমরা প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর বর্তমান সংখ্যায়। বইমেলা শেষ হয়ে গেছে তো কী হয়েছে? বাঙালির বই-উদযাপন যেন কখনও শেষ না হয়! চারিদিকে বই আর বই, এমন এক বৈভবময় স্বপ্নের অংশীদার হতে চেয়ে এই সংখ্যার প্রচ্ছদভাবনা— বই-বিপণন-বইমেলা: বাদ-বিসম্বাদ।…

নামে আন্তর্জাতিক থাকলেই বইমেলা আন্তর্জাতিক হয় না — সুব্রত দাস
বাণপ্রস্থযাত্রীর রোমন্থন — তাপস কুমার দাস
কলকাতা বইমেলা: এক কাল্পনিক ভূখণ্ড — সুস্নাত চৌধুরী
যে তোরে হকার বলে, তুই তারে বলিস নে কিছু — অনুপম মুখোপাধ্যায়
বাংলা বইয়ের প্রকাশনা ও বিপণন: একটি ব্যক্তিগত যাত্রা — সংযুক্তা রায় ও জয়দীপ মিত্র

সপ্তম বর্ষ, অষ্টম যাত্রা, মার্চ, ২০২৪

 

আয়না গড়ার হাতুড়ি

ব্রেশট ১২৫ । হাবিব ১০০

…আমরা, যারা মোটামুটি কুৎসার উপর নির্ভর করে জীবন অতিবাহিত করছি, তাদের ধারণা, বাংলা থিয়েটারের অবস্থা খুব একটা জোর গলায় ধন্য ধন্য করার মতো কিছু নয়, যদি না সেই ব্যক্তি কোনও স্নেহাতুরা তস্করমাতা না হয়ে থাকেন। এখানকার থিয়েটার ক্রমশ সিরিয়ালধর্মী হয়ে উঠছে, যদিও তার প্রগতিশীল হয়ে ওঠার বাতিক সে এখনও সম্পূর্ণ বর্জন করে ফেলেনি। মঞ্চের কলাকুশলীদের প্রধান উদ্দেশ্য গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলন করা তো নয়ই, এমনকি অভিনেতা হয়ে ওঠাও নয়। যেনতেনপ্রকারেণ সিরিয়ালের অভিনেতা হয়ে উঠতে পারাই অধিকাংশের জীবনের একমাত্র উচ্চাকাঙ্ক্ষা। জীবিকা অর্জনের কষ্টসাধ্যতা এইসব ছেলেমেয়েদের অহরহ একটা মিশ্রণযন্ত্রের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে, যেখান থেকে স্ব-শরীরে বেরিয়ে আসা অসম্ভব। এদের দেখার কেউ নেই। এদের লালনপালন করার কেউ নেই। এ তো গেল অভিনেতাদের কথা। থিয়েটারের কর্মী, অর্থাৎ অভিনয় ছাড়া থিয়েটারের অন্যান্য বিষয়ে যাঁরা হাল ধরে থাকেন— আলোকশিল্পী, মঞ্চশিল্পী, রূপসজ্জাশিল্পী— এদের অবস্থাও শোচনীয়। আক্ষরিক অর্থেই, এদের কথা ভাবার কেউ নেই। বাজারের অবস্থাও এখন ওই কিল মারার গোঁসাইয়ের মতো। অর্থাৎ তার আর ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই। তার মুরোদ আছে শুধু শিল্পসংস্কৃতিমনুষ্যত্বরক্তমাংসজীবনজীবিকা খেয়ে চলার। আর সঙ্গে আমোদের পূতিগন্ধময় উদ্গার তোলার।

আর্টের উদ্দেশ্য হল বাস্তবতাকে তৈরি করা, তার আয়নায় বাস্তবের চেহারা দেখিয়ে ক্ষান্ত হওয়া নয়— এই কথাটি বলেছিলেন ব্রেশট। সুতরাং, এই বাস্তবকে আমরা মেনে নেব না। আমরা চাইব এই বাস্তব বদলে যাক, আর নাটকের হাত ধরেই নাটকের সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত হোক। এই আয়না তৈরির কথাটা মাথায় রেখে আমাদের এবারের মেল ট্রেন ‘আয়না গড়ার হাতুড়ি’।…

“আমি ব্রেশটের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঘুরছিলাম” — হাবিব তনভীর
মৃত্যুমুখোশ: ব্রেশট-প্রোজেক্ট — হিরণ মিত্র
ব্রেশটের নাট্যতত্ত্ব, অ্যারিস্টটল, ও আমরা — দত্তাত্রেয় দত্ত
ব্রেশট ও হাবিব: বাংলা থিয়েটারের এখন-তখন — চন্দন সেন
থিয়েটারের কলম্বাস হাবিব তনভীরের সঙ্গে মুলাকাতের স্মৃতি — রামচন্দ্র সিং

সপ্তম বর্ষ, সপ্তম যাত্রা, জানুয়ারি, ২০২৪

 

নোবেল ২০২৩

…অ্যালফ্রেড সাহেবের দান করা অর্থের সুবাদে যে পুরস্কার চালু হল ১৯০১ সালে, তার কথা বরং লোকে মনে রেখেছে। ‘সকলে কুড়ায় বেল, তুমি একা বাগাও নোবেল’— কবির এহেন স্তুতি, তা ব্যাজস্তুতিও যদিবা হয়, নোবেলের বিশেষত্বকেই স্বীকার করে। বস্তুত, এই দীর্ঘ প্রায় ১২৫ বছরের পরিসরে নোবেল পুরস্কার— প্রাপকের নির্বাচন নিয়ে শত আপত্তি, অভিযোগ সত্ত্বেও— বিজ্ঞান, সাহিত্য, রাজনীতি ও অর্থনীতির জগতে শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম শিরোপা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।

চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের তরফে প্রায় প্রতি বছরেই চেষ্টা থাকে সেই বছরের নোবেলজয়ীদের কাজকে ওই-ওই বিষয়ে অদীক্ষিত পাঠকের কাছে সহজবোধ্য কিন্তু অসরলীকৃত অবস্থায় পৌঁছে দেওয়ার।…

প্রসঙ্গ, কোয়ান্টাম ডট: ২০২৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার — সঞ্জীব বাগচী
ক্লডিয়া গোল্ডিন-এর নোবেলজয়: শ্রমবাজারের ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ — দেবব্রত দত্ত
নোবেলবঞ্চিত ইবসেনের উত্তরসূরি য়ুন ফসসের নোবেলবিজয় — আলম খোরশেদ
নার্গেসের নোবেলপ্রাপ্তি ইরানের নারীসংগ্রামের স্বীকৃতি — শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়
চিকিৎসাবিজ্ঞান/শারীরবিদ্যায় নোবেল ২০২৩: mRNA ভ্যাক্সিনের জয়যাত্রা — দীপঙ্কর নন্দী
লাইটস, ক্যামেরা, অ্যাকশন! — ঊর্বশী সিনহা ও রেজি ফিলিপ

সপ্তম বর্ষ, ষষ্ঠ যাত্রা, নভেম্বর, ২০২৩

 

পশ্চিমবঙ্গীয় বাংলা সাহিত্য: ভিতর-বাহির-অন্তর

…ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-উত্তর ভারতবর্ষে এমনকি বর্তমান সময় পর্যন্ত এপারের বাংলাভাষা ও সাহিত্যের পরিসরকে এই কল্লোলিনী মহানগর যে একচ্ছত্রভাবে শাসন করে আসছে, একথা বললে অত্যুক্তি হয় না। ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ও বাণিজ্যকেন্দ্র, পূর্বভারতে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার প্রথম সুবিধাভোক্তা, এবং ভারতীয় রেনেসন্সের প্রকাশভূমি হিসেবে কলকাতার এই সৌভাগ্যযাপন নিতান্ত অলীক অনধিকারচর্চা ছিল না। কিন্তু অভিযোগ এই, সৌভাগ্যলক্ষ্মী বিদায় নেওয়ার পরেও কলকাতা তার সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রেখেছে, ছলেবলেকৌশলে, আক্ষরিক অর্থে দেহের সব রক্ত মুখে এসে জমা হয়েছে। এই প্রবণতা বাংলা সাহিত্যের পক্ষে মারাত্মক ও ক্ষতিকারক। ঠিক এই মুহূর্তে শারদসাহিত্যের বিস্ফোরণে ভদ্রবিত্ত বাঙালির সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণ যখন কলতানমুখর অথবা অতি-চিৎকৃত, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর অক্টোবর সংখ্যায় বাংলা সাহিত্যের তথাকথিত কেন্দ্র ও প্রান্তের সমীকরণগুলি আমরা বুঝতে চেষ্টা করেছি, ‘পশ্চিমবঙ্গীয় বাংলা সাহিত্য: ভিতর-বাহির-অন্তর’ শীর্ষক মূল ভাবনার ছায়ায়।…

লেখার ভিতর বাহির — স্বপন রায়
কেন্দ্র টলে গেছে যদিও — দেবজ্যোতি রায়
বড় কাগজ ছোট কাগজ — অনুরাধা কুন্ডা
প্রান্তিকতা ও শহিদ-মনস্তত্ত্ব — পার্থজিৎ চন্দ
পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যের কলকাতায়ন: শিকড় ও ডালপালা — অভিষেক ঝা
সাহিত্যে এককেন্দ্রিকতা প্রসঙ্গে — মহিউদ্দিন সাইফ

সপ্তম বর্ষ, পঞ্চম যাত্রা, অক্টোবর, ২০২৩

 

অনুবাদের সমস্যা, অনুবাদকের সঙ্কট

…নবীন ও প্রবীণ অনুবাদকর্মীদের এক আশ্চর্য সম্মেলন আমাদের এই সংখ্যাটিতে— লিখেছেন দত্তাত্রেয় দত্ত, অভিজিৎ মুখার্জি, জি এইচ হাবীব, অরুণাভ সিনহা, তৃষ্ণা বসাক, শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভদীপ বড়ুয়া, পার্থপ্রতিম মণ্ডল, জয়া চৌধুরী, নবনীতা সেনগুপ্ত এবং মুম রহমান। তাঁদের সকলকে ও প্রত্যেককে আমাদের আভূমিনত কৃতজ্ঞতা। পৃথক উল্লেখের দাবি রাখে অধুনা প্রাগ-নিবাসী কবি নিরুপম চক্রবর্তীর নেওয়া ফিনল্যান্ডের কবি হান্নেলে পোহ্‌ইয়ানমিসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার। সে-দেশের এসপো শহরে বসে গত দু-দশকেরও বেশি সময় ধরে হান্নেলে নিরবচ্ছিন্নভাবে রবীন্দ্রনাথের কবিতা অনুবাদ ও বই আকারে প্রকাশ করে চলেছেন ফিনিশ ভাষায়। তাঁর এই নিবিষ্ট রবীন্দ্রচর্চা বিষয়ে আমরা এখনও অনবগতই থাকতাম, যদি নিরুপম চক্রবর্তী তাঁর অনুবাদকর্মের সঙ্গে অত্যন্ত যত্নে আমাদের পরিচয় ঘটিয়ে না-দিতেন। ধন্যবাদ প্রাপ্য সমসময়ের অন্যতম সাহিত্যিক ও অনুবাদক তৃষ্ণা বসাকেরও, যিনি নিজদায়িত্বে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা আমাদের জন্য সংগ্রহ করে দিয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে মলয়ালি ভাষার লেখক এস হরিশ-এর উপন্যাস মিশা-র অনুবাদের প্রথম পর্ব, যা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন ব্রতীন্দ্র ভট্টাচার্য। উপন্যাসটি এই সংখ্যা থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে। রইল শীর্ষা ও শত্তীশ্বরনের করা তামিল কবি সুকীর্তরানির কবিতার অনুবাদ, মূল তামিল থেকে করা। সোহেল ইসলাম অনুবাদ করেছেন প্যালেস্তিনীয় কবি মোসাব আবু তোহা-র কবিতা; মহাশ্বেতা আচার্য অনুবাদ করেছেন স্পেনীয় কবি লিওন ফেলিপে-র কবিতা। গল্প বিভাগেও আমরা রেখেছি তিনটি অনূদিত গল্প। লায়লী দাসের মূল ওড়িয়া থেকে অনুবাদে বিভূতি পট্টনায়কের গল্প; বাসুদেব দাসের মূল অসমিয়া থেকে অনুবাদের মনোজ কুমার গোস্বামীর গল্প; এবং সৈকত ভট্টাচার্যের অনুবাদে ইরানি গল্পকার সামাদ বেহরাঙ্গির গল্প। এছাড়াও তৃষ্ণা বসাক অনুবাদ করেছেন মলায়ালি গল্পকার পি কে পারাক্কাদাভুর কয়েকটি অণুগল্প— সেগুলিও রইল আমাদের এই সংখ্যার অণুগল্পের কামরায়। সর্বশেষ যে বিষয়টি উল্লেখ করার, আজ থেকে ৬৬ বছর আগে ‘কবিতা’ পত্রিকায় (পঞ্চদশ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা, আষাঢ় ১৩৫৭) প্রকাশিত বুদ্ধদেব বসুর একটি অত্যন্ত মূল্যবান রচনা ‘ইংরেজিতে রবীন্দ্রনাথ’ আমরা পুনঃপ্রকাশ করতে পেরেছি, যা নিঃসন্দেহে এ সংখ্যার উজ্জ্বলতম উদ্ধার।…

“রবীন্দ্রনাথের কবিতা পরিযায়ী পাখির মতো, অনুবাদে যা ভাষার সীমানা পেরিয়ে যায়” — হান্নেলে পোহ্‌য়ানমিস
অনুবাদানুবাদ — দত্তাত্রেয় দত্ত
অনুবাদে সমৃদ্ধি ও ক্ষতিসাধন — অভিজিৎ মুখার্জি
প্রসঙ্গ: বাংলা অনুবাদ — জি এইচ হাবীব
আমার অনুবাদ (না) শেখানো — অরুণাভ সিংহ
অনুবাদে মেয়েরা — তৃষ্ণা বসাক
অনুবাদের সমস্যা, বাংলা ভাষার, বাংলায় — শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
অনুবাদের অর্থনীতি, অনুবাদকের সঙ্কট — শুভদীপ বড়ুয়া
ভাষার বাঁধন, ভাষার মুক্তিও — পার্থপ্রতিম মণ্ডল
অনুবাদ করতে গিয়ে যা কিছু ভাবি — জয়া চৌধুরী
অনুবাদকের সমস্যা — নবনীতা সেনগুপ্ত
আমি কেন অনুবাদ করি, কীভাবে করি — মুম রহমান

সপ্তম বর্ষ, চতুর্থ যাত্রা, সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 

অস্তিত্ব, অতিথি তুমি…

মিলান কুন্দেরার আখ্যানবিশ্ব

…কুন্দেরার প্রয়াণের পর, তাঁর সাহিত্য নিয়ে একটি সংখ্যার পরিকল্পনা করতে বসে তাঁর উপন্যাস, আখ্যান ও প্রবন্ধের ইতস্তত অপরিকল্পিত পুনঃপাঠ ও এই সংখ্যার সম্ভাব্য লেখকতালিকা নির্মাণ করতে গিয়ে বারংবার টের পেতে হয়েছে এই সত্য যে, সমকালীন বাঙালি তাঁকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে যত চর্চা করেন, তার অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশও তাঁকে তত পড়েন না। এ-কথা অবশ্য সুবিদিত যে, বাঙালি যত বলেন পড়েন তার ঢের কম— আরও অনেকানেক সাম্প্রতিক লেখকের রচনাপ্রসঙ্গেই বাঙালির এই শ্রমবিমুখতার কথা প্রাসঙ্গিক। তথাপি, আমাদের মনে হয়েছে, মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে আমাদের এই এক মস্ত সুযোগ করে দিয়ে গেলেন তিনি। এমন এক সুযোগ, যখন কুন্দেরার লেখালেখির সঙ্গে বাঙালির অন্তত সামান্য পরিচয় ঘটাতে পারলেও তা হবে এক মস্ত সময়োপযোগী ব্যাপার। সেই ভাবনা থেকেই এই সংখ্যার পরিকল্পনা।…

পিছনে কোথাও — মিলান কুন্দেরা
মিলান কুন্দেরা: একটি উপন্যাসের সমাপ্তি — শুভদীপ বড়ুয়া
মিলান কুন্দেরার উপন্যাস: বিস্মরণের বিরুদ্ধে শেষ ব্যারিকেড — সর্বজিৎ সরকার
অস্তিত্ববাদ ও ঠাট্টা: মিলান কুন্দেরার সাহিত্যকর্ম — সায়ন্তন দত্ত
ঐতিহাসিক স্মৃতিবিলুপ্তির বিপদ এবং মিলান কুন্দেরার প্রাজ্ঞতা — কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

সপ্তম বর্ষ, তৃতীয় যাত্রা, আগস্ট, ২০২৩

 

রামধনু

…সমাজের দমনমূলক সিস্টেমের শরিক কোনও-না-কোনওভাবে আমরাও— এই উপলব্ধি যে অস্বস্তির জন্ম দেয়, প্রাইড মান্থ আমাদের তারও মুখোমুখি দাঁড় করায়। প্রাইড মান্থ আমাদের আহ্বান জানায় নিজেদের উদাসীনতা, নীরবতা ভঙ্গ করে বেরিয়ে আসতে, নিজেদের সহনাগরিকদের প্রকৃত অর্থে সহ-নাগরিক হয়ে উঠতে। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে আমরা সেই নীরবতার খোলস ভেঙে বেরোতে চাইছি। যেতে চাইছি সংলাপে। যে-সংলাপ গুঁড়িয়ে দেবে সংস্কারের জগদ্দল পাথরকে, পূর্ণতা পাবে প্রতিটি ব্যক্তিমানব, বৈচিত্র্যে ভরে উঠবে মানবসমাজ।…

আমি নারী, জন্মেছিলাম এক পুরুষ-শরীর নিয়ে — অনুপ্রভা দাস মজুমদার
প্রসঙ্গ, প্রাইড মান্থ — জয়দীপ জানা
একমাত্রিকতা, সমপ্রেম এবং আদালতে জয়: অধিকার কোন পথে — শৌর্য বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার দায় আমাদের প্রত্যেকের — শোভন মুখোপাধ্যায়
সহ্য করতে করতে একসময় গলা তুলতেই হয় — সৌমিত দেব

সপ্তম বর্ষ, দ্বিতীয় যাত্রা, জুন, ২০২৩

 

আক্রান্ত ডারউইন

ধর্মান্ধতার কবলে বিবর্তনবাদ

যদিও শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে অতিরিক্ত পড়ার চাপ কমানোর তাগিদেই এই পদক্ষেপ। কিন্তু পড়ার চাপ কমানোর তাগিদে পাঠক্রম থেকে অন্যতম প্রধান বিষয়টিকেই বাদ দিয়ে দেওয়া আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। দ্বিতীয়ত, ২০১৪ পরবর্তীকালে আমাদের দেশে যে শিক্ষাক্ষেত্রে যে ঢালাও গৈরিকীকরণ ও বিজ্ঞানকে জলাঞ্জলি দিয়ে লাগাতার অবিজ্ঞানের চর্চা শুরু হয়েছে, তাতে বিবর্তনবাদকে ছেঁটে ফেলার ঘটনাটিকে মোটেই এত নির্বিষ ও বিচ্ছিন্ন বলে মনে হচ্ছে না। বস্তুত, আমাদের দেশে সার্বিকভাবে যে প্রগতিশীল চিন্তাবিরোধী এক সরণ শুরু হয়েছে, বিবর্তনবাদের বিসর্জনকেও আমরা সেই প্রেক্ষিতেই দেখব। আর এই বাস্তব সঙ্কটকে পাঠকের সামনে সামগ্রিকতায় তুলে ধরার, তাঁকে সমস্ত জানানোর ও ক্রুদ্ধ করার তাগিদেই চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর মে মাসের প্রচ্ছদ-ভাবনার নির্বাচন। আক্রান্ত ডারউইন— ধর্মান্ধতার কবলে বিবর্তনবাদ।…

আমেরিকায় ধর্ম-বিজ্ঞান সংঘাত ও বিবর্তনতত্ত্ব — আশীষ লাহিড়ী
ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব মৌলবাদীদের চক্ষুশূল কেন? — অশোক মুখোপাধ্যায়
বিবর্তন-বিরোধী সাম্প্রতিক বিতর্ক এবং আমাদের ইতিহাস — মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
নির্বাসনে ডারউইন — স্বপন ভট্টাচার্য
এবার বাদ ডারউইন, সিলেবাসে সংঘের ছায়া দীর্ঘতর হচ্ছে — সুমন কল্যাণ মৌলিক
স্কুলশিক্ষায় বিবর্তন বাদ: বিবর্তন নিয়ে কিছু ভুল ধারণা — জয়ন্ত দাস
ডারউইনবাদ এবং হিন্দুত্বের বিবর্তন — সুব্রত রায়

সপ্তম বর্ষ, প্রথম যাত্রা, মে, ২০২৩

 

 

 

 

Terms and Conditions Privacy Policy Contact Us Cancellation and refund Shipping and delivery
%d bloggers like this: