চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতি মাসে ছাড়া মেল ট্রেনের রিজার্ভড বগি বা মূল ভাবনা। অষ্টম বর্ষ, মে ২০২৪-এপ্রিল ২০২৫। এই বছর আমাদের রিজার্ভড বগি-তে এসেছে দেশের মানুষের কথা, ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের ফল, বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থান...
লিখেছেন অনির্বাণ শূর, আইরিন শবনম, আশিস গুপ্ত, আশীষ লাহিড়ী, ঝুমা বাসফোর, দেবকুমার সোম, দেবাশিস মিথিয়া, প্রতীক, বন্দনা পালিত, বিমল দাস, বুদ্ধদেব ঘোষ, মিতালি বর্মন, মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, মোজাফফর হোসেন, যমুনা বেরা, যমুনা সরকার, রহিম শেখ, রামকৃষ্ণ দাস, রিঙ্কু সিং, রিয়াজুল ইসলাম, রুখসানা কাজল, শম্ভুনাথ চক্রবর্তী, শুকদেব পুরকাইত, শুভেন্দু সরকার, ষষ্ঠী মুন্ডা, সত্যব্রত ঘোষ, সনাতন কোলে, সুকুমার মল্লিক, সুজিত চক্রবর্তী, সুদীপ মণ্ডল, সৌমিত্র দস্তিদার…
অনুবাদ করে প্রকাশ করা হয়েছে রাম পুনিয়ানি-র একটি নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে সালমান সিদ্দিকী এবং ইভান তাহসীব-এর, নিয়েছেন অর্ক ভাদুড়ি…
সূচি
নববসন্তে বাংলাদেশ
‘নয়া দেশ’ কোন পথে?
…অর্থাৎ বাংলাদেশ লড়ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত নড়বড়ে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, আবার আশারও। ঘৃণার জয় হবে নাকি সহিষ্ণুতার, তা সময় বলবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ খারাপ থাকলে আমরাও ভাল থাকব না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি ভারত-চিন-আমেরিকা সম্পর্ক ও তাদের অভ্যন্তরীণ ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ নির্ধারিত করে দিতে পারে। এসব পররাষ্ট্রনীতির কূটকাচালি ও লাভ-ক্ষতির কূটনৈতিক অঙ্ক আপাতত সরিয়ে রাখলেও, সারা বিশ্বের সামনে নতুন বাংলাদেশকে সুনিশ্চিত করতে হবে যে সে তাঁর সংখ্যালঘু ধর্মসম্প্রদায়, প্রান্তিক ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে সক্ষম। যে-কোনও দেশে গণতন্ত্রের অ্যাসিড টেস্ট হল সে-দেশের সংখ্যালঘুর সম্মানজনক জীবনযাপনের মান সুনিশ্চিত করা, দুঃখজনক যে গোটা উপমহাদেশ বারবার এই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা জানি, সীমান্তের এপারে হিন্দুত্ববাদী শক্তি নানা ঢক্কানিনাদ, মিথ্যা ও অর্ধসত্য প্রচারের মাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে দেখানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু-পরিস্থিতি। কারণ একমাত্র মিথ্যাভাষণই তার নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ককে পুষ্ট করবে, প্রতিশোধের দোহাই দিয়ে অক্লেশে মহম্মদ আখলাখ বা আফরাজুল বা সাবির মল্লিকের লাশ ফেলে দিতে তাদের বিন্দুমাত্র বাধবে না। কিন্তু এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশকে মনে রাখতে হবে একজন, মাত্র একজন সংখ্যালঘুর প্রাণহানি বা সম্পত্তিক্ষয়ও অভিপ্রেত নয়। এই গুরুদায়িত্ব মূলত ছাত্রদের এবং ও-দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনের।…
বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তৎপরবর্তী পরিস্থিতিই চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের অক্টোবর সংখ্যার চাবি-ভাবনা…
অগ্নিপরীক্ষায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক — আশিস গুপ্ত
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক লড়াই গণতান্ত্রিক শক্তিকেই সহায়তা করে, মৌলবাদীদের নয় –সালমান সিদ্দিকী
বাংলাদেশ কোনওদিন তালিবানি রাষ্ট্র হবে না — সৌমিত্র দস্তিদার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয় ছাত্র-জনতা সেটা মেনে নেবে না — ইভান তাহসীব
বাংলাদেশ: মূর্তিভাঙার রাজনীতি — দেবকুমার সোম
তৃষ্ণার্ত বাংলাদেশ — রুখসানা কাজল
গোলামকে মুক্তি দিলেও সে খুঁজে নেয় আরেকটা মালিক — মোজাফফর হোসেন
শেখ হাসিনার ভুলে প্রগতিশীল রাজনীতি আক্রান্ত বাংলাদেশে — বুদ্ধদেব ঘোষ
বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ — মেসবাহউদ্দিন আহমেদ
অষ্টম বর্ষ, তৃতীয় যাত্রা, অক্টোবর, ২০২৪
নির্বাচন ২০২৪: আশঙ্কা, আশা
…২০২৪ নির্বাচনের এই জলবিভাজিকাটি ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠবে কিনা, আগামী পাঁচ বছরের গতিপ্রকৃতি তা নির্ধারণ করবে। এই নির্বাচনের ফলাফল থেকে প্রমাণিত যে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির বদলে দেশের মানুষ তাদের মৌলিক সমস্যাগুলিকে নিয়ে উত্তরোত্তর বেশি ভাবিত, কারণ তাদের জীবনসংগ্রাম দিনের পর দিন কঠিনতর হয়ে পড়ছে। যদিও শাসক দল বিজেপি এখনও ক্ষমতায় এবং এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ, কিন্তু তাদের আগ্রাসী একচক্ষু রাজনীতির বিরুদ্ধ কণ্ঠ ধীরে ধীরে তীব্রতর হচ্ছে।…
প্রায়-ফ্যাসিবাদ থেকে পূর্ণ ফ্যাসিবাদের দিকে যাত্রাটা আপাতত রুখে দেওয়া গেল — আশীষ লাহিড়ী
সম্ভাবনা এসেছে– কংগ্রেসকে সঠিক পথ বেছে নিতে হবে — আশিস গুপ্ত
কিছুটা স্পেস অন্তত পাওয়া গেল– সামগ্রিকভাবে, এবং মেয়েদের জন্যও — আইরিন শবনম
মোদিনমিক্স: আশার চেয়ে আশঙ্কা বেশি — দেবাশিস মিথিয়া
এবার মোদির পথের চেয়েও কঠিন গোদি মিডিয়ার পথ — প্রতীক
২০২৪: ক্ষমতায় এনডিএ; হিন্দু-জাতীয়তাবাদ কোথায়? — রাম পুনিয়ানি
অষ্টম বর্ষ, দ্বিতীয় যাত্রা, জুলাই, ২০২৪
দশের কথা, দেশের স্বর
…কেমন আছেন ভারতবর্ষের এইসব নামহীন শ্রমজীবী মানুষজন? জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে আমরা জানতে চেয়েছি এই সোজাসাপটা বুনিয়াদি প্রশ্নের উত্তর, চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের মে ২০২৪ সংখ্যায়। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার উদযাপনের ঐতিহাসিক মে দিবস থেকে শুরু হয়েছে যে মাস, যে-মাস জুড়ে চলছে জনাদেশ নেওয়ার প্রক্রিয়া, সেই মাসে মাটির কাছাকাছি কান পেতে আমরা শুনতে চাইছি আমাদের সহনাগরিক, প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর। … মে সংখ্যায় আমাদের প্রচ্ছদ ভাবনার শিরোনাম— দশের কথা দেশের স্বর।…
জাত নিয়ে অপমানিত হয়ে আমার ছেলেকে পড়া ছাড়তে হয়েছে — ঝুমা বাসফোর
ছেলেমেয়ে দুটো যেন লেখাপড়া শিখে ঠিকঠাক দাঁড়াতে পারে — বন্দনা পালিত
জিনিসপত্রের দাম গরিব মানুষের জানের ওপর হয়ে যাচ্ছে — বিমল দাস
আয় কমছে, আর খরচ বাড়ছে দিন দিন — মিতালি বর্মন
জিনিসপত্রের এত দাম– খাওয়ার খরচ ইদানিং খুব বেড়ে গেছে — যমুনা বেরা
শুধু চাষবাসের ওপর আর টানা যাচ্ছে না — যমুনা সরকার
ভোট তো একটা অধিকার– কিন্তু এর সঙ্গে অবস্থা পরিবর্তনের সম্পর্ক নেই — রহিম শেখ
ওষুধের খরচ সামলাতে গিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছি — রামকৃষ্ণ দাস
যারা সরকার গড়বে, গরিব মানুষ যেন ঠিকঠাক কাজ পায় সেটা দেখুক — রিঙ্কু সিং
ভোটে সে-ই জিতুক, আমাদের অবস্থা বদলাবে না — রিয়াজুল ইসলাম
কোথাও কোনও কিছু জানিয়েই কোনও প্রতিকার হয় না — শম্ভুনাথ চক্রবর্তী
কাজের সমস্যাটাই প্রধান সমস্যা — শুকদেব পুরকাইত
দেশে যা চলছে তার মধ্যে কি ভাল লাগার মতো কিছু আছে? — শুভেন্দু সরকার
দেশ ভাল চলছে না– মানুষের জীবনের কোনও নিরাপত্তা নেই — ষষ্ঠী মুন্ডা
চাষের খরচ বাড়ার দিকে কোনও সরকারের নজর আছে? — সনাতন কোলে
দেশে কাজ অনিয়মিত, তাই বাইরে যেতে হয় — সুকুমার মল্লিক
ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চালানো, বড় করা– এটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা — সুজিত চক্রবর্তী
দেশে কাজ থাকলে সব কিছু ছেড়েছুড়ে বাইরে পড়ে থাকতে হত না — সুদীপ মণ্ডল
আজকাল খবরের কাগজ পড়লে একটা বিবমিষা তৈরি হয় — সত্যব্রত ঘোষ
দেশের গণতন্ত্র এবং বৈচিত্র্য রক্ষার প্রতি যত্নশীল একটি সরকারের এই মুহূর্তে আশু প্রয়োজন — অনির্বাণ শূর
অষ্টম বর্ষ, প্রথম যাত্রা, মে, ২০২৪