মুক্তি
মুক্তি লেখা সাদা বাড়ি, মুক্তি লেখা ধুলোর আভাস
মুক্তি লেখা কালো রাস্তা, পৌঁছেছে কেরানিটোলায়
কে যাবে, কীভাবে যাবে, পাখা মেলবে কোথায় কোথায়
জানি না তেমনভাবে আপাদমস্তক, তবে কিনা
অগাধ নদীর দেশে একদলা মুক্তি পড়ে আছে!
দুঃখ
বনের মধ্যে আবার যেন ভেংচি কাটছে কেউ
হঠাৎ খুবই ঘাম ঝরছে শিরায় ও লোমকূপে
কোমর থেকে কুলকুলিয়ে রক্ত নামছে নীচে
সূক্ষ্ম অঙ্গ ছিট্কে গেল, সূর্য নিল বিদায়
বিদায়-লেখা সূর্যে এখন কতই বা আর যাব
চড়াম চড়াম ঢাক বাজছে, আঁচড়ে দিল মালিক
বউ গিয়েছে নতুন কোনো সওদাগরের বাড়ি –
কালো মেয়ের দুঃখ অনেক, কান্না এল ঝেঁপে!
রক্ত
আবার আমি রক্ত খেতে মাঠের কাছে এলাম
রক্তগুলো কেমন যেন, আলুনি আর সাদা
আর তা ছাড়া… ফাঁকা মাঠের ফাটল দিয়ে ঘেরা
ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস, উড়ছে মরা পাতা
রক্ত ছাড়াই নদীর শেষে পালিয়ে যাচ্ছি, কুকুর!
প্রেমিক
আমরা দুজনেই প্রেমে মশগুল ছিলাম।
তিনশো তলা ইমারতের টঙ থেকেও
ভোলেভালা মানুষ শুনতে পেত তোমার প্রেমার্তি।
তোমার গোল গোল কান্নায় চাঁদের ছায়া পড়ত।
তুমি কোনোদিন জানতেই পারলে না,
একদিন আমিও তোমার
সর্বংসহ প্রেমিক ছিলাম!
বঙ্গে শরৎ
আবার শরৎ এল – কুলুকুলু সন্ধ্যার বাতাস
আবার কুন্দফুলে চন্দ্রমার হাসি
নতুন ইঙ্গুদীতেলে জবজবে দূরের কবিতা
তোমার মতন কালো, ক্ষীণকায় কবিগুলি
ক্ষিরাই নদীর কূলে পেতেছে আসর
আবার স্রোতের ধাক্কা – ডুবুডুবু বঙ্গে শরৎ!