অবসাদ @
একটা দিন ধুলো।
একটা দিন পাঁচতলা থেকে ছোঁড়া আবর্জনা।
পুরকর্মী সবটা নেয় না।
রাখে; রাতপ্রহরীর জন্য।
আমার প্রতিটা উড়িয়ে দেওয়া দিনরাতে
প্রহরীর শুকনো চোখ ঝুলে থাকে;
লাঠিতে মুখ গুঁজে সে ভাবে;
সবকটা অপচয় জমাতে পারলে;
তার পঙ্গু স্ত্রী উঠে দাঁড়াতে পারত।
জন্মদিনে….
ততটা বলিনি।
বলার পর ঝুঁকে যাও যদি…
তুমি তো গাছ নও;
জলের সামনে উড়ু ভেজাতে পারবে না প্রকাশ্য সমাবেশে।
জল থেকে বেরোনো হাত গাছের শরীরে শীতলপাটি বিছোয়।
প্রতিটা গাছ শরীরী;
জলের তাতে অগাধ সম্মতি।
এ দেহতত্ত্ব তোমাকে শোনাবে বলে; দুপুর উপুড় করেছে দরবেশি গানের খাতা।
কথা গুছিয়েছে চায়ের পাট
যাও ওদের কাছে;.
একটা চক পড়ে আছে।
ছোঁও;
রুটিনে আঁকবে বলেছিলে মাধুকরী পথ।
জন্মদিনে…
জীবন বিজ্ঞান
বালিশ প্রত্নতাত্ত্বিক।
হাত হেরিটেজ।
হাতে মেহনতি বাঁক; বালিয়াড়ি শ্রম।
ফিকে শ্রম ভোরের পেটের কাছে আজান হয়ে শুয়েছিল।
মনে আছে;
মনে আছে; রুকস্যাকে গিঁট না দিলে প্রেম বায়বীয় ভীষণ…
এখন শুধু মা-বাবার ওষুধ মনে থাকে।
মায়ের আবছা হয়ে আসা স্মৃতি;
বাবার অনর্গল একা একা বলা কথায় একটা নদী আসে রোজ।
মাকে তখন গানের মত দেখায়; বাবা সঙ্গতে।
ভুলে যাই; প্রিয় পুরুষ ও তার সন্তানের নামকরণ উৎসব।
গাছে গাছে ধৈর্য্যের ইস্তেহার ফুল হয়ে ফুটেছে।
ফুটছে চোখ; ভাত; ডিম।
আমি জন্মেছি; বা জন্মের মত দেখতে আমাকে…
কোথায় পাব তারে….
ঠোঁট পড়ে আছে মাঠে।
চুমু ধার চেয়েছে শিলিগুড়ি এক্সপ্রেস।
এমন সন্ধ্যায় ইমন; বিলাবল স্বরলিপি ছেড়ে উঠে আসে।
ঠান্ডা নামছে অর্ধনমিত পতাকার মত।
পতাকার নীচে কৃষকের কোরিওগ্রাফি।
ধান গাছ নাচে।
নাচ থেমে যায় মাঠ; বাজার পেরিয়ে এলে;
ছেঁড়া ঘুঙুর ভাত হয়ে ফোটে হাঁড়িতে।
থালায় থালায় বিধবা ঘোমটার ভাঁজ।
কৃষক মাঝরাতে মুদ্রাচর্চা করে।
পড়ে থাকা ন্যাতানো চুমুর জিভে গুঁজে দেবে সঙ্গমের কাঠামো…
এ আবাদ ঈশিতা জানে না।
জানলে নাম ডাকার খাতায় অন্নসংস্থানের রোদ জমত।
যে রোদ কোনওদিন আত্মহত্যার পায়জামাকে শুকিয়ে তোলেনি…