চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

এখন হার্মোনিয়মে বসলে পাপ হয়

 

আকাশ গাঢ় লাল দুচোখ নিষ্ঠুর অলিতে গলিতে প্রেত ডাকে!
পলাশ ফুটবে না—
কোকিল উড়বে না—
গানের খাতাখানা
যুদ্ধে খোলা মানা!
বসন্তের মুখে রক্তগন্ধে আমি তো ভুলে গেছি আপনাকে

রবীন্দ্রনাথের পাশে হার্মোনিয়মে বসি। কী আর করব!
শুদ্ধ ও কোমল মেশাই
রাগরাগিণী মেলাই।
কখনও বর্ষা থাকে।
কখনও হেমন্ত জাগে।
গানশেষে সাদারঙ পায়রা ওড়াব আজ। ছাদে উঠব

মুখে কি তাহলে মৃত্যুর ছায়া পড়েছে?
চুনকামকরা সাদা—
সাদা খেতে খুব ভয় করে যদি শরীর নষ্ট হয়!
খবরকাগজে মিথ্যে-মিথ্যে যুদ্ধের কথাগুলো
চ্যুইংগামের মতো চিবিয়েই ফেলে দি।
এই-ই অবস্থা। নীলমণিলতা উড়ে এসে বসে অক্ষরে।
আর কালো কুচকুচে হয়ে যায়।
আমাদের কেউ গলা সাধে, কেউ গা ধোয়।
প্রাণ, ঠাট্টা, তামাশা!
প্রেমে কি এখনও বসন্তগান আস্থা বজায় রেখেছে

দিব্যি কাটাপোনা কিনল পাব্লিক।
শিবের মাথায় জল দিল।
চ্যানেলে চ্যানেলে তর্ক চলল গাল ফুলিয়ে।
যেন পারমাণবিক বোমা কালই পড়ার কথা ছিল!
এখনও অনেকগুলো অমীমাংসিত ইস্যু আছে,
নারী, গরু, ক্রেডিট কার্ডের কারচুপি—
ঝুলে থাক শিমুলের ডালে!
এখন দর্শন, এখন ইতিহাস, এখন সমাজবিদ্যা,
যার যেটুকু সঞ্চয়,
ঢেলে দিচ্ছে শহরের মাঠে।
নতুন বিয়ে-হওয়া মেয়ে সেক্স নিয়ে কথা বলছে,
নতুন ভাবনা লাগছে সিনেমার চোখে।
আমিই শুধু বিষকন্যা হয়ে গেলাম

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4650 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...