শিবাংশু দে
মনে হয় পৃথিবী এসে শেষ হয়ে গেছে এখানে। আর কোথাও যাওয়ার পথ নেই। এই সবুজের মধ্যেই ঘাসপাতা হয়ে মাটিতে মিশে যাওয়া ছাড়া কোনও গল্প হবে না। আকাশের নীল আর মাটির সবুজ। আর জল, তোমার রং কী? যা দেখতে চাও, তাই। জেলার নাম কোরাপুট। তার উত্তরে ওড়িশার নওরংপুর, দক্ষিণে অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকু আর ছত্তিসগড়ের মালকানগিরি। পূর্বে রায়গড়া, পশ্চিমে বস্তার। লোকে বলে কেরালা ঈশ্বরের আবাস। কিন্তু তারা এইসব জায়গা দেখেনি। আমার আদ্যোপান্ত দেখা কেরালা, প্রিয় কেরালাকেও গুণে গুণে দশ গোল দিতে পারে তারা। কিন্তু কজন ‘বাইরের’ লোক তার স্বাদ পেয়েছে? বর্ষাশেষের চমকানো সবুজ, শীতশেষের বাসন্তী সবুজ, হেমন্তের রুখু হরিৎ চরাচর আর অপার নীল পাহাড়ঘেরা নীলতর মহাকাশ। যেখানে থাকে দরিদ্রতম মানুষেরা, নিষ্ঠুর রাজনীতিক আর হিংস্র বন্দুকখিলাড়ির দল। তাদের উর্দির রং যাই হোক না কেন।
শালসেগুনের ঘন অরণ্যানীঘেরা একটা প্রাচীন কৌম রাজত্ব। ইতিহাস বলছে খ্রিস্টের জন্মের প্রায় তিনশো বছর আগেই এখানে ছিল অরণ্যবাসী আটবীক জাতির দুর্ধর্ষ যোদ্ধাদের রাজত্ব। পরবর্তীকালে এখানে রাজত্ব করেছে সাতবাহন, ইক্ষাকু, নল, গঙ্গা আর সূর্যবংশীরা। ব্রিটিশরা আসা পর্যন্ত এরকমই চলেছে। ১৯৩৬ সালে তারা কোরাপুট নামে একটা জেলার পত্তন করে। অর্থনীতি বলতে চাষবাস আর জঙ্গল। আবহাওয়ার দৌলতে কাজু, কফি, কাপাস, তামাক-জাতীয় শস্যের খেতবাড়ি চোখে পড়ে।
এখানকার যাপন বা সংস্কৃতির রূপটি বিশেষভাবে মিশ্রিত। চিরাচরিত ব্রাহ্মণ্য ও উপজাতিক লক্ষণগুলি তো রয়েইছে। তার সঙ্গে ওড়িশা, উত্তর অন্ধ্র আর ছত্তিসগড়ের বৈচিত্র্যময় রংবেরঙের প্রথাপদ্ধতি আর সামাজিক ডায়নামিকসগুলি মিলে মিশে আছে। বাইরের জগতের সঙ্গে বিনিময় নানা কারণেই কম হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। বিশেষত সুনাবেড়ায় হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকসের কারখানাটিতে মিগ আর সুখয়’য়ের ইঞ্জিন তৈরি হয়। রয়েছে দামনজোড়িতে ন্যাশনাল অ্যালুমিনিয়মের কারখানা। চারদিকে পাহাড়-জঙ্গলঘেরা কোরাপুট শহর পর্যটকদের জন্য সব পেয়েছির দেশ। নদীর নাম কোলাব, বংশধারা, মছকুণ্ড। জলপ্রপাতগুলি বগরি, কুণ্ডহাটি আর দুদুমা। পাহাড়ের নাম দেওমালি আর চন্দ্রগিরি রেঞ্জ।
আজকের কোরাপুট আর মালকানগিরি, রামায়ণে পড়া দণ্ডকারণ্যের মূলভূমি। আদ্যিকালে নলবংশের রাজত্বের সময় রাজধানী ছিলো পুষ্করী। আজকের উমরকোটের কাছে। পরে মধ্যযুগে শীলবংশীয়দের সময় রাজধানী হয় নন্দপুর। শেষে সূর্যবংশীয় রাজা বিক্রমদেব সতেরো শতকে রাজধানী স্থানান্তর করেন জয়পুরে। আজও রাজধানীর নাম, জয়পুর। ওড়িশার জয়পুর। দক্ষিণ পশ্চিম ওড়িশার যে অংশটি ফলকের মতো বর্তমান ছত্তিশগড়ের জগদলপুর আর অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকু পর্বতমালার মাঝখানে লুকিয়ে আছে, সেখানে তার প্রাচীন রাজপ্রাসাদ, বাণিজ্যকেন্দ্র আর একটি অন্যরকম সভ্যতার উদাহরণ হয়ে। পুরাকালের দণ্ডকবনের পূর্বে কোরাপুট, উত্তরে নবরংপুর, পশ্চিমে জগদলপুর আর দক্ষিণে কোলাব নদী। এইখানে রয়েছে পাহাড়ের পর পাহাড়, চিরহরিৎ ঘন বনজঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ছুটে চলা পাহাড়ি নদী, ঝাঁপিয়ে পড়া জলপ্রপাত, বিরল, প্রায় প্রাক-ইতিহাসের অঙ্গ বোন্ডা আদিবাসী এবং মছকুন্ড জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ছোট্টো জনপদ। হ্যাঁ, ওই সবুজ জঙ্গলের সজল ছায়ায় ভূতের মতো ঘুরে বেড়ায় অটোম্যাটিক কার্বাইন হাতে লোকজন। যারা নাকি মানুষের ভালোর জন্য মানুষ শিকার করে বেড়ায়। বিকেল চারটের পর রাস্তায় কুকুরবেড়ালও দেখা যাবে না। জয়পুর শহর থেকে নিজের জিপে ঘন্টাদুয়েক লেগে যায় ওই অরণ্যের একপাশে জলপুট বাঁধের কাছে পৌঁছোতে। গোদাবরীর শাখানদী মছকুন্ড নদীর উপর এই বাঁধে সেই ১৯২৮ সালে জয়পুরের রাজা একটা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছিলেন। আজকেও যা প্রায় অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। পাহাড়ের উপর থেকে টারবাইন কল পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য উইঞ্চমিলের সাহায্যে একটা রেলগাড়ি ওঠানামা করে, যার কৌণিক পরিমাপ পঁচাত্তর-আশি ডিগ্রি। না দেখলে ঠিক বিশ্বাস হয় না।
সব মিলিয়ে এক যেন এক পরাবাস্তব জগৎ। পাহাড় শুধু পাহাড় নয়। নীল-সবুজ মহাজাগতিক ঢেউয়ের সারি যেন। একজন জংলিমানুষের হাত-পা ছড়িয়ে জল-মাটি-আকাশের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঠাকুমার ঝুলি। মানুষের পৃথিবী থেকে বিতাড়িত হতে হতে ঈশ্বর যেন এই নওরংপুর, জগদলপুর, কোরাপুটের বিস্তৃত পাহাড়জঙ্গলেই এখনও টিকে রয়েছেন। নিজের হাতে গুছিয়ে রাখেন তাঁর সাজানো বাগান। খুব উঁচু নয় শিখরগুলি। কিন্তু মহিমাময়। মাঝখান দিয়ে গড়িয়ে যায় রূপকথার মতো জলস্রোত। গুরু বলেছেন, “… সামনে চেয়ে এই যা দেখি, চোখে আমার বীণা বাজায়।” এই এক্সপ্রেশনটি আর কোনও কবি, শিল্পী এতো নিখুঁতভাবে প্রকাশ করতে পারেননি, কখনও। ঐ নীল-সবুজ তরঙ্গের মতো পাহাড়, আঁকাবাঁকা নদীকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা বনস্পতি আর অগণন সবুজের শেড। মাঝখান দিয়ে গভীর খাদে বয়ে যাওয়া বর্ষাশেষের গেরুয়া জলস্রোতের উচ্ছ্বাস দেখতে দেখতে এই লাইনটি ছাড়া আর কিছু মনে এল না।
প্রকৃতির স্বর্গরাজ্যে সবকিছুই ‘স্বর্গীয়’ নয়। একসময়ের ঘন সবুজের আবরণ কুঠারের দৌলতে ক্ষীণ হয়েছে। বনচ্ছেদন, শিল্পায়ণ, নগরায়ণের চাপে আদিবাসী কৌম সংস্কৃতির দীর্ঘশ্বাস। রোববারের হাটপড়ায় তাঁরা নিয়ে আসেন বিভিন্ন বনজ ফলমূল আর চাষ করা শাকসব্জি। তাঁদের অর্থনীতি প্রাচীন বিনিময়পদ্ধতি আর ভারতীয় মুদ্রাব্যবস্থার মাঝামাঝি কোথাও একটা রয়েছে। ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে সুসমঞ্জস চাষ-আবাদ শুরু হলেও ব্যাপারটা এখনও পুরোপুরি সফল নয়। অনাদায়ী ঋণের অবস্থা দেখলে সেটাই মনে হয়। দারিদ্র্য সর্বব্যাপী। ‘নতুন’ ভারতের নগদনিবারক অর্থনীতির চাপও এঁদের দিশেহারা করে দিয়েছে। ফলত তিনটি রাজ্যের পাঁচ-ছটি জেলায় অরণ্যের ছায়ায় বেড়ে ওঠে কারবাইনের গূঢ় রাজত্ব। কে যে শেষ পর্যন্ত জেতে, জানা নেই। ডিসেম্বরে ডোঙর পরবে যখন বিদেশি পর্যটকদের অবগতির জন্য ‘প্রফুল্ল’ আদিবাসীদের জাদুঘরের দ্রষ্টব্য বস্তু ভেবে মিছিল করানো হয়, তাঁরা একেবারেই প্রসন্ন হন না। ক্ষুব্ধই হন বিশেষভাবে।
মছকুণ্ড নদীর পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে লালমাটির রাস্তা। কখনও হয়তো আলকাতরা পড়েছিল। এখন আর তেমন বোঝা যায় না। বাঁদিকে শাল-গামার-মহুল, কদমের জঙ্গলে জড়িয়ে আছে নানা লতানো পরজীবী। প্রায় আকাশছোঁয়া তাদের মাথা। পথের শেষে রাস্তা ঘুরে যায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের দিকে। সেটা নিচে, নদীর উচ্চতায়। উপরে একটা ছোট্ট জনবসতি। খেটে খাওয়া লোকজন থাকেন সেখানে। ছোট্ট একটা গির্জা। পাশে একটা ইন্সপেকশন বাংলো। দুটোমাত্র ঘর। অমন পাণ্ডববর্জিত গ্রামে যথাসাধ্য গুছিয়ে রাখার চেষ্টা চোখে পড়ে। তিরিশ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও সরাইখানা নেই। স্টেট ব্যাংকের ছোট্টো একটা ব্রাঞ্চ। ভুবনেশ্বর থেকে সাহেবরা এসেছেন শুনে ম্যানেজার সাহেব ব্রাঞ্চ ছেড়ে হুজুরে হাজির। আমি বলি, আপনি এসেছেন কেন? তিনি বাংলায় কাতর অনুরোধ করেন তাঁর দেড় বছর হয়ে গেছে এখানে। পরিবার বহরমপুর ছাড়িয়ে আরো দূরে একা। চাবি হাতে থাকায় তিনি দুমাসেও একবার যেতে পারেন না। আট-ন ঘন্টা লেগে যায়। তিন-চার বার বাহন পাল্টে যেতে হয় সেখানে। ঠিকানা নেই গাড়ি পাওয়া যাবে কিনা? এমনিতেই তিনটে বাজলেই জয়পুর যাবার কোন গাড়িঘোড়া পাওয়া যায় না। এই জায়গাটায় বিকেল চারটের মধ্যে চারদিকে তালা দিয়ে হনুমান চালিশা পড়তে হয়। সূর্য ডুবলেই পাহাড়-জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে উগ্রপন্থী লোকজন। একটু অসতর্ক হলেই লুটেপুটে নিয়ে যাবে। সঙ্গে গরিবের প্রাণটাও। জিগ্যেস করি, এত ভালো বাংলা শিখলেন কোথায়? তিনি জানান, বেশ কিছুদিন বাঁকুড়া জেলার কোনও একটা গ্রামে পোস্টিং ছিল। সেই জন্য ওড়িয়াভাষী হলেও তাঁকে স্থানীয় লোকেরা বিশেষ চেনেন না। তাঁর প্রার্থনা কারো কানে যায় না। আমি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের লোক। নামে যাই হোক না কেন, ক্ষমতায় নিধিরাম সর্দার। আমার সঙ্গে অবশ্য আছেন ম্যানেজার সাহেবের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। সঙ্গী বন্ধুটিকে বলি এঁর কেসটা একটু দেখো। তিনি আশ্বাস দেন। মছকুণ্ড ব্রাঞ্চের ম্যানেজার সাহেব তখন উজ্জীবিত হয়ে আমাদের নিয়ে যাত্রা করেন দুদুমা প্রপাত দেখাতে।
রাশি রাশি নীল-সবুজ পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পা ভিজিয়ে বয়ে চলেছে নদীটি। পথ ফুরোতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে মাটির উপর। তার নাম দুদুমা জলপ্রপাত। কোনও কুলীন প্রপাত হবার গৌরব নেই তার। কিন্তু প্রকৃতির অপ্রতিরোধ্য ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের নিশানা হয়ে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার সব সম্বল নিয়ে। তার পর আরেকটা স্রোত হয়ে বয়ে যায় জঙ্গল-পাহাড়ের আড়ালে। ওটা অন্ধ্র আর ওড়িশার সীমানা। গঞ্জাম সংস্কৃতির পাছদুয়ার। প্রতি হাটবার, বিষ্যুদে, ঐ নিশ্ছিদ্র জঙ্গল থেকে দল বেঁধে আসে প্রাগ-ইতিহাস কালের বোণ্ডা উপজাতির লোকেরা। তাদের জঙ্গলজাত পণ্যের বিনিময়ে সামান্য নুন-তেলের পশরা নিয়ে ফিরে যায় আবার। কেউ তাদের পিছনে যায় না। মানা আছে।
কাছাকাছি পর্যটক আকর্ষণ বলতে গুপ্তেশ্বর, নন্দপুর, সুনাবেড়া, অনকাডেল্লি আর শবর শ্রীক্ষেত্র। ওড়িশার পূর্ব উপকূলে পুরী শ্রীক্ষেত্রের অন্য সংস্করণ শবরদের জন্য জগন্নাথতীর্থ। ব্রাহ্মণ্যশক্তির প্রভাবে হাইজ্যাক না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত পুরীর জগন্নাথও একদিন শবরদের দেবতা ছিলেন। শবর শ্রীক্ষেত্রে কোনও মানুষেরই প্রবেশ নিষেধ নেই। আদিম ভারতীয় অধ্যাত্মপ্রথা প্রচলিত এখানে। দেওমালি পাহাড়শ্রেণী ওড়িশার দীর্ঘতম ও বৃহত্তম শিখরগুলিকে ধরে রেখেছে। পোটাঙ্গি ব্লকের দেওমালি পর্বতশৃঙ্গটি সব চেয়ে উঁচু। এখানকার লতাগুল্ম, উদ্ভিদ-বনস্পতির বৈচিত্র্য দেশে খুব বেশি জায়গায় দেখা যায় না। দুর্লভ ভেষজ গাছপালা, প্রায় অবলুপ্ত অর্কিড প্রজাতি, আকাশছোঁয়া বৃক্ষদল আর ঝরে পড়া পাতাদের গালচে পাতা এ অরণ্যের অন্দরমহল। মছকুণ্ড, অনকাডেল্লি, জলপুট, চিন্দ্রি, হাতিপাথর, পোটাঙ্গি, এদেশের বহু লোকপ্রিয় পর্বত আবাসের থেকে সুন্দরতর পাহাড়ি ভ্রমণবিন্দুগুলির নাম এরকমই। নেকড়ে, হায়না বা ভালুকের সঙ্গে দেখাও হয়ে যায় এখানে ওখানে। রাস্তার অবস্থা অতি খারাপ। ভাঙাচোরা, অস্তিত্বহীন প্রায়। তার উপর ওড়িশা রাজ্য পরিবহনের জীর্ণ যাত্রীবাসগুলির বিপজ্জনক চালকরা আতঙ্কের বড় কারণ হয়ে উঠতে পারেন।
জঙ্গল থেকে দূরের জলপ্রপাত আর কাছের লেবুঘাসের অগোছালো বিপুল ঘরসংসার আমাদের ঘিরে থাকে। আকাশে ছন্নছাড়া মেঘ আর মাটিতে নতুন জলে তরতর বেড়ে ওঠা বুনো ঘাসের আড়ালে ভেজা ভেজা মাটি। এই তো ভালো লেগেছিল। খ্যাপা হাওয়া আর মেঘকিশোরীর মনমাতানো আলোছায়া। সব মিলিয়ে এই লালমাটির উপত্যকা চোখে বীণা বাজিয়েই যায়। না যেতে পারলেও স্পর্শটা তো পাওয়া যাবে কিছু, ছবি দেখে। মনে মনে গুনগুন করা,
….আমার অসুখ অমনি পালায় যদ্যপি যাই বনস্থলীর
কোলছোঁয়া ঐ বাংলোবাড়ি
আর কিছু থাক না-থাক পাবো এক-মেটে এক তুচ্ছ হাঁড়ির
মধ্যে আগুন সরল-তরল
আর কিছু পাই না-পাই পাবো এক-গলা নিশ্চিন্ত গরল
এবং পোড়া আগাগোড়াই বনমোরগের আস্ত দেহ
সন্দেহ কী, জিভের স্নেহ
নয় খাটো রাজ-বাদশা চেয়ে
পাহাড়চূড়ায় ঝাঁপিয়ে বেয়ে
যখন নামছে স্রোতস্বিনী
বিষন্ন এক বনহরিণী
আমার পিছে অল্প নিচেই হারিয়ে গেলো ছায়ার মতো
এবং পুনঃ বিষণ্ণতায়
বনস্থলীর বাইরে গলির বছরগুলো কাটছে কথায়।‘বনস্থলীর বাইরে গলির বছরগুলো’- শক্তি চট্টোপাধ্যায়
ঈশ্বরের নিজস্ব এই রূপকথারা অফুরান হোক! নিখুঁত বর্ণনা আর অসাধারণ ছবি।