২০১৯ লোকসভা ভোট এবং ফেক নিউজ

উন্মেষ মিত্র

 

১৬ই জুলাই ২০১৮, মহম্মদ আজম এবং তার ৩ বন্ধু মিলে ঘুরতে গিয়েছিল কর্ণাটকের বিদার জেলায় এক আত্মীয়র বাড়িতে। গাড়ি নিয়ে ঘোরার পথে আলাপ হয় কিছু পড়ুয়া বাচ্চার সঙ্গে, স্নেহবশত সঙ্গে থাকা চকলেট তাদের হাতে দিতেই বাধে বিপত্তি, ছেলেধরা সন্দেহে গাড়িকে তাড়া করে উন্মত্ত জনতা। দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে সেই গ্রাম থেকে পালিয়ে যেতে পারলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতির সুফল বা কুফলে খবর পৌঁছে যায় পাশের সব গ্রামে। জনতার আক্রোশ থেকে বাঁচতে পারে না আজমরা। প্রথমে রাস্তার পাশের নালায় উল্টে ফেলা হয় গাড়ি আর তারপর শুরু হয় গণপিটুনি। হায়দ্রাবাদে কর্মরত ৩২ বছর বয়সী তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ আজম ঘটনাস্থলেই মারা যান, গুরুতর জখম হন তার তিন সাথী। পুলিশি তদন্তে পরবর্তীকালে জানা যায়, কিছু হ্যোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক গ্রুপে ঘটনার কদিন আগে থেকেই সন্দেহভাজন ছেলেধরার গতিবিধি নিয়ে ভুয়ো সতর্কবার্তা ছড়ানো হয় আর তার পরিণতি হয় এক তরতাজা যুবকের মৃত্যু।

সোশাল মিডিয়াতে আপত্তিকর ছবি দেওয়ার অজুহাতে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক অশান্তি। তাতে ঘৃতাহুতি দিতে সামনে আসে অনেক ছবি এবং ভিডিও। একটি ছবিতে দেখা যায় এক মহিলার শাড়ির আঁচল ধরে টেনে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে, আরেকটা ছবিতে দেখা যায় মৃত মায়ের স্তনপানরত শিশু। ছবির সঙ্গে ক্যাপশন থাকে, “বাংলায় জেহাদি তাণ্ডব, হিন্দুরা একজোট হও’’ ইত্যাদি, প্রভৃতি। একটি ভিডিওতে দেখা যায় ‘আল্লা হু আকবর’ ধ্বনি মুখে অস্ত্রধারী মিছিল। ছবি, ভিডিওর পরম্পরায় অশান্তিতে ঘৃতাহুতি হয়, প্রাণ যায় সাধারণ মানুষের, সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার বোতামে চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তির ক্ষেত্র আরও বাড়তে থাকে। পরবর্তীকালে জানা যায় ছবি দুটি কোনও এক সিনেমার দৃশ্যের অংশ এবং ভিডিও ফুটেজটি বাংলা তো দূর, ভারত থেকে চার হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ সিরিয়ার ঘটনার অংশ।

এভাবে একটি একটি ঘটনা নিয়ে লিখতে বসলে দিন কেটে রাত হবে আবার রাত কেটে দিন, কিন্তু ঘটনা বিবরণী শেষ হবে না। এই ‘ফেক নিউজ’ বা ‘ভুয়ো খবর’ কি নতুন কোনও বিষয়? এর উৎপত্তি কি ইদানীং? ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে এর উত্তর হবে ‘না’। ১৮৩৫ সালে নিউ ইয়র্ক সান পত্রিকার ‘গ্রেট মুন হোক্স’, নাজি জার্মানির ইহুদি বিরোধী প্রোপাগ্যান্ডা কিংবা ১৮৬১ সালে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ চলাকালীন নিউ ইয়র্ক হেরাল্ডে প্রকাশিত জর্জ ওয়াশিংটনের মৃতদেহ পাচার সংক্রান্ত ভুয়ো খবর এবং তার পরবর্তী ঘটনা জানান দেয় প্রচার মাধ্যম এবং ভুয়ো খবর পরিবেশনার সম্পর্ক নিতান্তই সাম্প্রতিক না।

ভুয়ো খবরের বাড়বাড়ন্ত এবং সোশাল মিডিয়া

তথ্য সম্প্রচার এবং ইলেক্ট্রনিক্স জগতে বিপ্লবের সুফলে ভারতবাসীর ঘরে শৌচালয় না থাকলেও হাতে স্মার্টফোন এবং সুলভ ইন্টারনেট সংযোগ এসে গেছে। প্রিন্ট এবং টেলিভিশন মিডিয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্ম হয়েছে সোশাল মিডিয়ার যেখানে “আমরা সবাই সবাই সংবাদদাতা আমাদের এই সংবাদের রাজত্বে”। এখন সংবাদ পেশ করার জন্য স্টুডিও লাগে না, স্যাটেলাইট দরকার হয় না, দু-চার পাতা বইপত্র পড়ার তো প্রয়োজনই হয় না, প্রয়োজন হয় শুধু একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগের। তারপর আপনি হয়ে যেতে পারেন সংবাদ পরিবেশক বা ইতিহাসবিদ বা বিজ্ঞানী বা নিদেনপক্ষে রাজনৈতিক বিশ্লেষক। আপনি আকবরকে হলদিঘাটির যুদ্ধে হারিয়ে দিতে পারেন, গরুকে দিয়ে অক্সিজেন ত্যাগ করাতে পারেন বা আপনার পছন্দের রাজনৈতিক দল কে কোনও বিশ্বপ্রসিদ্ধ সংবাদ সংস্থার সিলমোহর লাগানো সমীক্ষা প্রকাশ করে ভোটে আগাম জিতিয়ে দিতে পারেন। “Sensationalism always sold well”-এর মন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে নিমেষে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দিতে পারেন হলদিয়া থেকে হনুলুলু পর্যন্ত আর তারপর বাড়ি বসে ঠান্ডা সরবত খেতে খেতে লাইক আর শেয়ারের অঙ্ক গুণে আত্মতৃপ্ত হতে পারেন। কিংবা আপনি হতে পারেন সমাজের শুভ চিন্তক, হোয়াটসঅ্যাপে আসা যে কোনও খবরই গন্ডাখানেক গ্রুপে ফরওয়ার্ড না করা পর্যন্ত আপনার পেটের ভাত হজম হয় না। ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের ‘ফেক নিউজ’ সংক্রান্ত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৩০ থেকে ৪৮ বছর বয়সীদের মধ্যে তথ্য যাচাই না করেই খবর ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে এই বয়সী মানুষের হাতে স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ব্যবহার সব থেকে নতুন। সমীক্ষায় এই বয়সী মানুষদের অধিকাংশই বলেছেন তারা কোনও খবর কীভাবে যাচাই করতে হয় তা জানেন না তাই কোনও খবর বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেই বিনা যাচাই করেই তা ছড়িয়ে দেন। ভুয়ো খবর এভাবেই ‘ফ্যামিলি গ্রুপ’, ‘স্কুল ফ্রেন্ড গ্রুপ’, ‘১০টা বনগা লোকাল গ্রুপ’ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মত।

ফেক নিউজের রাজনীতি, রাজনীতির ফেক নিউজ

পাবলিক রিলেশন কোম্পানি বা সংক্ষেপে পিআর কোম্পানিগুলি মূলত বিনোদন জগতের কাজের সঙ্গেই এতদিন যুক্ত ছিল। মূলধারার রাজনীতি বিনোদনের ক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মূলধারার বিনোদনকারী দল বা চলতি কথায় রাজনৈতিক দলগুলি এখন এই পিআর কোম্পানিগুলির অন্যতম প্রধান কাস্টমার। আগে কোনও সিনেমা হিট করানোর জন্য নায়ক কী পরবে, কী খাবে বা কীভাবে হাত নাড়বে এরা ঠিক করে দিত আবার কখনও কখনও নায়কের হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়ে ‘অমুক সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে জখম নায়ক’ শিরোনামে খবর ছাপিয়ে সিনেমার প্রচারের অভিনব ফন্দি বার করত। রাজনীতিতে অনুপ্রবেশের পর এরাই নেতা-নেত্রীর পোশাক-হাত নাড়ানাড়ি ঠিক করার পর তৈরি করছেন সোশাল মিডিয়া টিম। সোশাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট বানাতে যেহেতু আধার কার্ড লাগে না তাই তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার ফেক অ্যাকাউন্ট আর তার থেকে চলছে ভুয়ো খবরের প্রচার। সোশাল মিডিয়াতে ‘হারানো প্রেম’ বা ‘আমার প্রিয় দেশ’ নাম দিয়ে তৈরি হচ্ছে হাজারো গ্রুপ আর তারপর তাতে অ্যাড করা হচ্ছে ফেক অ্যাকাউন্ট পাতানো আসল অ্যাকাউন্টদের। সেই তালিকায় আপনার পাড়ার শিবুদাও আছেন, তিনি সদ্য স্মার্টফোন কিনে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, দেদার বন্ধু পাতিয়েছেন, যুক্ত হয়েছেন ‘আমার প্রিয় দেশ’ গ্রুপে। প্রথম প্রথম কিছু আবেগমথিত কবিতাতে ‘লাইক’ দিয়েছেন, সুন্দরী মহিলাদের ছবিতে ‘লাভ’ দিয়েছেন তারপর জানতে পেরেছেন গোবর থেকে ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি হয় বা গরুর গায়ে হাত বোলালে ব্লাড প্রেশার কমে যায়। সে চেষ্টা করতে গিয়ে গরুর শিং-এর নিশানা থেকে মানে মানে বেঁচেছেন, কিন্তু এই নব আহরিত জ্ঞান সান্ধ্য আড্ডায় বিতরণ করতে ভোলেননি। তারপর এখন সামনে ভোট এসেছে, শিবুদা এতদিনে জেনে গেছেন নেহেরু মুসলিম ছিল, তাজমহল আসলে একটি শিবমন্দির, নরেন্দ্র মোদি ইউনেস্কোর বিচারে বিশ্বের সেরা প্রধানমন্ত্রী। শিবুদা এরকমই নতুন নতুন তথ্য এখন সেই ফেসবুক গ্রুপ থেকে পান আর সান্ধ্য আড্ডায় বিতরণ করেন। আর হ্যাঁ ভোট ঘোষণার কিছুদিন পরেই সেই ফেসবুক গ্রুপের নাম বদলে হয়েছে “মিশন ২৭২+ আবকি বার…”

পড়ুন — ইলেকশন এক্সপ্রেস ২০১৯

২০১৯ লোকসভা ভোট এবং ফেক নিউজ

বিগত কিছুদিন ধরেই সোশাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হয়ে যায় ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন তথা বিবিসির ভারতের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জনমত সমীক্ষা সংক্রান্ত একটি ‘খবর’। সেই খবরে দাবি করা হয় আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর গোপন সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে ২০১৪ সালের থেকেও ভালো ফলাফল নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় বিবিসি’র হোমপেজের লিংক, ব্যবহার করা হয় বিবিসি’র লোগো। সেই ‘খবরে’ দাবি করা হয় ভারতীয় জনতা পার্টি সবথেকে খারাপ পরিস্থিতিতে ৩২৩টি আসন এবং অনুকূল পরিস্থিতিতে ৩৮০টি আসনে জয়ী হতে চলেছে। বিভ্রান্ত হন বহু মানুষ, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি অজেয়’, ‘নরেন্দ্র মোদি অপরাজেয়’ সাধারণ মানুষের মনে এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করার কাজে প্রাথমিকভাবে সফল হন আইটি সেলের মস্তিষ্করা। অভিযোগ জমা পড়ে বিবিসি’র সদর দপ্তরে, তৎক্ষণাৎ বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দেন বিবিসি’র মুখপাত্র। জানিয়ে দেন, বিবিসি এই ধরনের কোনও সমীক্ষার কথা জানে না বা এই ধরনের কোনও সংবাদ বিবিসি প্রকাশ করেনি। সোশাল মিডিয়াতে বিবৃতি দিয়ে বিবিসি নিউজ হিন্দির সম্পাদক মুকেশ শর্মা নিজেদের অবস্থান আরও পরিষ্কার করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই ধরনের কোনও সমীক্ষা বিবিসি কস্মিনকালে পরিচালনা করেনি। এই প্রথমবার নয়, এর আগে ২০১৮ সালেও একইরকম কায়দায় বিবিসি’র লোগো এবং নাম ব্যবহার করে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটপূর্ব সমীক্ষায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে জিতিয়ে দিয়েছিল আইটি সেলের একনিষ্ঠ কর্মীরা। শুধু তাই নয় আই.টি সেলের কর্মীদের ফটোশপের দক্ষতায় কেরালায় রাহুল গান্ধির নির্বাচনী র্যা লিতে ইসলামিক পতাকা হয়ে যায় পাকিস্তানের পতাকা। আর সেই ছবি ‘চৌকিদার’ নামাঙ্কিত একাধিক সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সদ্য কংগ্রেসের তরফ থেকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্তা প্রিয়াঙ্কা গান্ধির ছবির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ‘হোলি ক্রশ’ চলতে থাকে অনভিপ্রেত কুরুচিকর ব্যক্তিগত কুৎসা। বেগুসরাই থেকে ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টির প্রার্থী কানহাইয়া কুমারের ছবির সঙ্গে মনগড়া বাক্য বসিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে ‘দেশদ্রোহী’ প্রমাণের চেষ্টা চলছে। আর এই ‘ফেক নিউজ’-এর কারবারিদের সঙ্গে যোগ্য সহায়তা করে চলেছেন নিজেদের সাংবাদিক সত্তাকে বহুদিন আগেই বিসর্জন দিয়ে ফেলা নিউজরুম আলো করে বসা কিছু তথাকথিত সংবাদ পরিবশক। সোশাল মিডিয়ার প্রচারিত ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টিকারী সংবাদকে টেলিভিশনের পর্দায় সুচারুভাবে উপস্থাপনা করে আরও বৃহত্তর অংশের মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি করেছেন প্রতিনিয়ত।

আশঙ্কার বা আশার আলো

আশঙ্কার কথা হল এখন শিবুদার মত লোক যার বাস্তবিক জীবনে মশা মারতে গিয়ে হাত কাঁপে তার বুড়ো আঙুলের ছোঁয়ায় এখনও কোথাও না কোথাও দাঙ্গা বেঁধে চলেছে। ফ্যামিলি গ্রুপের অসতর্ক ফরওয়ার্ড মেসেজ হয়ত বদলে দিচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। আপনার বা আমার খুব চেনা আপাত নিরীহ লোকটিই পরোক্ষ কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অন্য কোনও নিরীহ লোকের হত্যার। তবে আশার লক্ষণ এটাই যে দেরিতে হলেও মানুষ বুঝতে শিখছে। Altnews, Hoaxslayer এর মতন কিছু ওয়েব নিউজ পোর্টাল নিরপেক্ষভাবে ফেক নিউজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সোশাল মিডিয়া অ্যাপগুলিও খবর ফরওয়ার্ড করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ লাগু করেছে বা ফেক নিউজের বিরুদ্ধে জন সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। হিটলারের প্রচার সচিব গোয়েবলস বলতেন, “tell a lie a 100 times and it becomes the truth” গোয়েবলস বা হিটলার ভেবেছিলেন মিথ্যের শবস্তুপে সত্যকে লুকিয়ে রাখা যায়। হিটলার বা প্রাইম টাইমে বসা গোয়েবলসের উত্তরসূরিরা হয়ত তাঁদের প্রণম্য চরিত্রদের পরিণাম জানেন না, আর না জানলে ভবিষ্যৎ তার উত্তর জানান দেবে।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4880 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...