চাঁদের কোণে বসত ছিল

তন্ময় ভট্টাচার্য

 

চাওয়া ও পারার মধ্যে যে তফাৎ, তা যখন লেখায় নেমে আসে, অসহায় লাগে। মনে হয়, সময় নষ্ট করেছি। অথবা সময়ের নিয়মই এই— ভুগিয়ে বোঝাতে চায় গুরুত্ব। যেমন এখন, আমার প্রতিটা শব্দে অপরাধ মিশে আছে। অযোগ্যতাকে বুঝতে পেরেও লিখতে বসেছি কেন তবে? জানি, এভাবে হয় না। যা হবে, তার থেকেও অনেক বেশি না-হওয়া ফুটে থাকবে প্রতিটা লাইনের মধ্যেকার সাদায়। তবু চেষ্টা করে যাওয়া। ফাঁকিকে মেনে নিয়েই অক্ষর সাজিয়ে তোলা আবার। জীবন, তুমিও কতকটা এইরকমই…

দেড় বছর আগে যখন চন্দ্রকোণা গিয়েছিলাম, ঘুরে দেখেছিলাম শহর ও তার ঐতিহ্য, ইচ্ছে ছিল বাড়িতে ফিরেই সেসব লিখে ফেলার। স্মৃতি ও অনুমান। কেননা তখনই জানতাম, কোনও এলাকায় দিনের পর দিন না কাটালে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া যায় না। ইতিহাস লেখা তো দূরের কথা। আমি শুধু চেয়েছিলাম যা দেখেছি তার একটা বয়ান লিখে রাখতে। সেইমতো পড়াশুনাও করেছিলাম খানিক। লেখা আর হয়নি। আজ, সেই ইচ্ছের কাছে ফিরে যেতে চেয়েও যখন দেখছি স্মৃতি ফিকে হয়ে গেছে অনেক, শরতের সেই চন্দ্রকোণা গ্রীষ্মের কলকাতায় এসে হাঁ-মুখ তুলে ধরছে অথচ বাতাস পাচ্ছে না একটুও, জল্লাদের মতো কলম নিয়ে বসে আছি কখন নিজের ইচ্ছেপূরণের জন্য তথ্যের কঙ্কাল পরিয়ে দেব সে-শহরের গলায়। মায়া গেছে। স্মৃতিও অনুসরণ করছে তাকে। সেখান থেকেই খাবলে তুলে আনছি যা-কিছু দেখেছিলাম। রক্ত ঝরছে আমার সেই দেখা থেকে। যদি খানিক মাংসও থাকে? সেই সারটুকুর জন্যই লিখতে বসা। অন্যায় করলাম?

অবশ্য নিজের এই অন্যায়কে মাফ করে দিই, যখন শুনি এর চেয়েও বড় অন্যায় ঘটে গেছে চন্দ্রকোণাতেই, আমি ঘুরে আসার মাসকয়েকের মধ্যেই। বাসস্ট্যান্ডে নেমে, কাছেই চোখে পড়েছিল এক শিবমন্দির। সাধারণ, চারচালা। কিন্তু নজর কেড়েছিল সেই শিবমন্দিরের বাইরের এক দেওয়ালের অলঙ্করণ। প্লাস্টার অব প্যারিসের কাজ। এক নারী দরজার ভেজানো একটা পাল্লার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। অপূর্ব সেই দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা। উদ্ধত এবং চিন্তিত রূপ একসঙ্গে কোনও রমণীর মধ্যে ফুটে উঠতে দেখলে, তুলনা করা যেতে পারে চন্দ্রকোণার সেই প্রাচীন মন্দিরটির অলঙ্করণের সঙ্গে। অথচ পরে খবর পাই, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে সেই মন্দির। এই অন্যায় যারা করল, ‘উন্নয়ন’-এর নামে যারা ইতিহাস ও সৌন্দর্য গুঁড়িয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করল না একটুও, তাদের তুলনায় আমার শব্দের চালিয়াতি নিতান্ত সরল অপরাধ।

শিবমন্দিরের দেওয়ালের অলঙ্করণ

যোগেশচন্দ্র বসু ১৯২১ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘মেদিনীপুরের ইতিহাস’ বইতে লিখেছেন— ‘চন্দ্রকোণার রাজাদিগের দেবতা ও ধর্মের প্রতি বিশেষ ভক্তি ছিল। তাহারা ওই স্থানে অনেক দেবমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়েছিলেন।’ সেসব মন্দিরের কিছু কিছু আমিও দেখেছি দেড়দিনের অবসরে। এবং বইয়ে পড়েছি সেসব মন্দিরের ইতিহাস। কিন্তু আমার চন্দ্রকোণার ইতিহাস বর্ণনা করার কোনও অধিকারই নেই, কেননা এখানে তার উল্লেখ করতে হলে বই থেকেই নিতে হবে। আগ্রহীরা সংক্ষেপে জানতে চাইলে যোগেশচন্দ্রের বইটির ৩১৬-৩২১ পাতা পড়ে দেখতে পারেন।

মনে পড়ছে অস্থলের কথা। ‘অস্থল’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিত ছিলাম না আগে। চন্দ্রকোণায় গিয়েই প্রথম শুনি। অস্থল হল ধর্মীয় তীর্থযাত্রীদের সরাইখানা বিশেষ। দেখেছিলাম বৈষ্ণবদের ছোট অস্থল আর বড় অস্থল, রাধা-কৃষ্ণ পূজিত হচ্ছেন সেখানে। বড় অস্থল তখন নবরূপে সজ্জিত, ইতিহাসের ছাপ নেই বিশেষ। কিন্তু কাছেই যে ছোট অস্থল, তার শরীরে ইতিহাস ও জীর্ণতা হাত ধরাধরি করে আছে আজও। শরতের সেই সন্ধেয় আবছা দেখেছিলাম তার কারুকাজ। ভাঙা ইট সাক্ষ্য দিচ্ছে অতীতের হাজারো ঝড়-ঝাপটার। তবু, নির্জনতার মধ্যে সুন্দর থাকেন। ছিলেন রাধা-কৃষ্ণও। পুরো অস্থলে, সেই সন্ধেয়, মানুষ বলতে একজন মাত্র। মোহন্ত। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জেনেছিলাম টুকরো ইতিহাস। জানিয়েছিলেন, চন্দ্রকোণার ইতিহাস নিয়ে যদি লিখি, বেশ কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। আমি তো পারলাম না, স্থানীয় কেউ কি সে-উদ্যোগ নিতে পারেন না?

ছোট অস্থলের প্রবেশদ্বার

যোগেশচন্দ্র অস্থলগুলির সম্পর্কে লিখেছেন— ‘চন্দ্রকোণায় রামোপাসক সম্প্রদায়ের বড়, মধ্যম ও ছোট অস্থল নামে তিনটি ও নানক পন্থীদিগের একটি মঠ আছে। তিনটি অস্থলে উত্তর পশ্চিম প্রদেশবাসী তিন জন মোহন্ত থাকেন এবং তথায় শ্রীরামচন্দ্রের মূর্ত্তি পূজিত হয়। নানক সম্প্রদায়ের মঠে ‘গ্রন্থ সাহেব’ রক্ষিত আছে। ঐ সকল মঠেরও যথেষ্ট সম্পত্তি আছে।’

আমি কিন্তু চন্দ্রকোণায় মধ্যম অস্থলের উল্লেখ পাইনি কারও মুখে। লুপ্ত হয়েছে, নাকি আমারই অজ্ঞতার কারণে উঁকি দেওয়া হয়নি? রামচন্দ্রের মূর্তি পূজিত হয়? আমি যেন রাইকিশোরী আর তাঁর পাশে বাঁশি হাতে ছোঁড়াটিকে দেখেছিলাম… স্মৃতি সাহস হারাচ্ছে আবার।

গিয়েছিলাম শিখদের অস্থলেও। গুরুনানক নাকি পুরী যাওয়ার পথে এখানে এসেছিলেন। বসেছিলেন এক গাছতলায়। দেখা করেছিলেন স্থানীয় জমিদারের সঙ্গে। দেড় বছর আগে বিস্তৃতে শুনেছিলাম সেসব। আস্তে-আস্তে ভুলে গেছি। শুধু মনে আছে, সেই গাছ, যার নিচে গুরুনানক এসে বসেছিলেন, বাঁধানো গোড়া তার। ফলকে লেখা সে-আমলের ইতিহাস। সামনেই কয়েকজন খোল-করতাল-হারমোনিয়ামে গাইছেন হরিনাম। রাধা-কৃষ্ণের মন্দির চোখ তুললেই। আর সেই মন্দিরের চত্বরেই, দোতলায়, শিখদের গুরুদোয়ারা। অদ্ভুত সহাবস্থান। চোখ বুঝলে এখনও দেখতে পাই সে-পরিবেশ। টুকরো-টুকরো দৃশ্য, উঁকি দিয়েই মিলিয়ে যায় আবার। মজবুত নয় বলেই শব্দ কাছে ঘেঁষতে সাহস পায় না সেসবের।

যেদিন কলকাতায় ফেরার কথা, ভোরবেলা হাজির হয়েছিলাম অযোধ্যায়। চন্দ্রকোণার একটা এলাকার নাম ‘অযোধ্যা’। এমন নামের কারণ কী, তা আন্দাজ করতে পারি। সেখানে রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়ি অবস্থিত। ওই ঠাকুরবাড়ির চৌহদ্দিতে রঘুনাথ জীউ-এর একটি মন্দিরও ছিল। রঘুনাথ যেহেতু রামচন্দ্রের অপর নাম, সেহেতু জায়গাটির নাম হয়েছে অযোধ্যা – এমনটাই স্বাভাবিক। রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়িতে রঘুনাথ জীউ-এর পাশাপাশি ছিলেন লালজীউ, কামেশ্বর মহাদেব প্রমুখের মন্দিরও। এখানে আবার শরণ নিই যোগেশচন্দ্রের লেখার – ‘লালজীউর মন্দিরের সম্মুখে একটি নাট-মন্দির আছে এবং উহার অনতিদূরে কামেশ্বর মহাদেবের একটি পঞ্চরত্ন মন্দিরও আছে। উহারই দক্ষিণ-পশ্চিমে রাস-মঞ্চ। খোদিত লিপি হইতে জানা যায়, কামেশ্বর মহাদেবও ১৫৭৭ শকাব্দায় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। এই সমস্ত মন্দির সুবিস্তৃত ভূমিখণ্ডের উপর সুউচ্চ প্রাচীর বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থিত। পূৰ্ব্বদিকে সুবৃহৎ প্রবেশ-দ্বার। এই স্থানটি ‘রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়ী’ নামে পরিচিত এবং যে গ্রামে এই ঠাকুরবাড়ীটি অবস্থিত উহা ‘অযোধ্যা’ নামে অভিহিত হইতেছে। তদানীন্তন বৰ্দ্ধমানাধিপতি মহারাজ তেজচাঁদ বাহাদুর ১২৩৮ সালে (খৃঃ অঃ ১৮৩১) ঐ সকল পুরাতন মন্দিরগুলির সংস্কার ও আবশ্যকীয় নূতন মন্দির ও প্রাচীরাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়া প্রাচীন দেবতাগুলিকে সুশোভিত করেন। তদবধি বর্ত্তমানকাল পর্য্যন্ত বৰ্দ্ধমান রাজবংশের আনুকূল্যে প্রাচীন কীৰ্ত্তিগুলি সজীবভাবে রক্ষিত হইতেছে।’

রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়ির ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রবেশপথ

আমার দেখা ভোরের অযোধ্যার সঙ্গে এই লেখা মিলিয়ে দেখলে, স্বপ্ন মনে হয়। কেননা, আলোর প্রায়-ফুটে ওঠা থেকে শুরু করে স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত আমার সামনে যে ঠাকুরবাড়ি ছিল, তা ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই নয়। শান্ত এক শরতে ভাঙা পাঁচিলের ঘেরাটোপে দাঁড়িয়ে আছে রাশি রাশি মন্দিরের কাঠামো। বিগ্রহ নেই কোনওটাতেই। কোনও-কোনও মন্দির ভেঙে পড়ে আছে। ঠাকুরদালান, নাটমন্দির ইত্যাদি আন্দাজ করা যায়। তবে ওই আন্দাজটুকুই। জঙ্গলাকীর্ণ পরিবেশে ভেতরে পা বাড়াতে ভয় করে। সাপ থাকা আশ্চর্য নয়। না জানি আরও কত জানা-অজানা দেবদেবীর মন্দির ছিল সেখানে। একটা মন্দিরের মধ্যিখানের মেঝেতে যোনি-আকৃতি দেখে বোঝা গেল, শিবলিঙ্গ ছিল আগে। কোথায় গেল? জানি না। সেই শিবমন্দিরটির মাথায় এক ফলক, সংস্কৃতে কিছু খোদাই করা। অতিকষ্টে পড়তে পারলাম – ‘শক ১৬৮৭’। অর্থাৎ ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে তৈরি সেই শিবমন্দির।

পরিত্যক্ত শিবমন্দির

শিবমন্দিরের দেওয়ালে খোদিত ফলক

বাকি মন্দিরগুলি, যা সেই চৌহদ্দিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, কবে তৈরি? জানা নেই। একটা দেউল-আকৃতি উঁচু মন্দির মাথা ভেঙে দাঁড়ানো। দূরে, আগাছার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় চারচালার একটা মন্দিরের মধ্যিখানে জলাধার। কী কারণে তৈরি হয়েছিল সেটি? কোনও মন্দিরের আয়তাকার ছাদ বড় থেকে ছোট হতে হতে মিলিয়ে গেছে বিন্দুতে। কোথাও দরজার পর দরজা পেরিয়ে প্রবেশ করতে হয় গর্ভগৃহে। দেওয়ালে একাধিক কুলুঙ্গি, প্রদীপ রাখার জন্য। সব মিলিয়ে মনে হয়, জ্যান্ত এক মন্দির-নগরী ছেড়ে যেন বহুকাল আগে চলে গেছে কেউ। আর কেউ ফিরবে না জেনে, দেবতারাও মিলিয়ে গেছেন একে একে। মানুষের তৈরি কাঠামো পড়ে রইল শুধু। কেউ কি এর যত্ন নেবে না? কোনও সংস্থা, বা সরকার? এমন ঐতিহ্য যে এলাকার, তা কি শুধু ইতিহাসের বইয়ের জন্যেই? চাইলে কি সারিয়ে তুলে ‘হেরিটেজ’ আখ্যা দেওয়া যায় না এই চৌহদ্দিকে? কাকে জানাব! আমি চলে যাব খানিক পরেই। আর কোনওদিন আসব কিনা, জানিও না। পিছনে পড়ে রইল যে রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়ি, তার ভবিষ্যৎ কী?

রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়ির চত্বর

রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়ির চত্বর

উত্তরটা আমি জানি। ধ্বংস। যেমন আজ, স্মৃতি খুঁড়ে সেদিনের ভোরবেলা তুলে আনতে গিয়ে ধ্বংস হচ্ছি আরেকবার। অসহায়তার কাছে বাঁধা দিচ্ছি সারিয়ে তোলার ইচ্ছে, যা আমার সাধ্যে নেই। পায়ের শব্দ শুনে একটা বেজিকে লাফ দিয়ে মন্দিরের মধ্যে ঢুকে যেতে দেখেছিলাম সেদিন। সেও বুঝেছিল, নিরাপত্তা আছে প্রাচীনের ভেতরেই। বাঙালির ইতিহাসবোধ সেটা বুঝল না কোনওদিন।

জলাধার-সদৃশ পাত্র

রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়ির পরিত্যক্ত মন্দির

আর, এতদিন পর ইতিহাস সরিয়ে চন্দ্রকোণাকে ভাবতে বসলে, মনে পড়ে বিস্তৃত জঙ্গল। নেশাতুর আলো, গান আর হেঁটে পেরিয়ে যাওয়া মাইলের পর মাইল। তেমনই এক হাঁটার দুপুরে চোখে পড়েছিল দৃশ্য। জঙ্গলের মধ্যে, পায়ে-চলা পথের আবছা পাশে তৈরি হৃদয়-আকৃতির জিনিসটা। মাটি দিয়ে বানিয়ে, তার ওপর হলুদ আকাশমণি ফুল ছড়ানো। জঙ্গলে এমন একটা জিনিস দেখে ছোটবেলায় দেখা দুধপুকুর ব্রতের কথা মনে হয়েছিল আমার। এই হৃদয়ছবিও কি কোনও ব্রতপালনের অঙ্গ? কাদের? আদিবাসী রমণীদের? নারী ছাড়া আর কার হাতেই বা এমন সরল সৌন্দর্য ফুটে উঠতে পারে! কেন বারবার মনে হচ্ছিল, এর মধ্যে প্রেমের অনুষঙ্গ প্রবল? শুধু হলুদ হৃদয়ের জন্যেই? নাকি প্রেমিকের জন্য শুভ প্রার্থনা জড়িয়ে আছে প্রতিটা ফুলে?

অরণ্যের হৃদয়

 

ঠিক পাশেই কয়েকটা অমার্জিত আঁচড়, পাশের হৃদয়কে প্রতিষ্ঠা করার অক্ষম চেষ্টা। আসলে, হয়তো ডানপাশে ওই ‘ব্রত’-র আকৃতি বানাতে না পেরে সেই নারীই বাঁপাশে পরে তৈরি করেছিল সেটা। এবং সমস্ত সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছিল দ্বিতীয়টাতে।

দুপুরের ঝিম জঙ্গলে কত সামান্যও রূপক হয়ে ওঠে! ব্যর্থ প্রেম ও প্রেম যেন পাশাপাশি শুয়ে আছে সেখানে। ব্যর্থ প্রেম=প্রথম প্রেম? প্রথম চেষ্টাই তো ছিল ওই আঁচড়গুলো!

তাহলে প্রথম প্রেম শুধু আঁচড়ই রেখে যায়, সম্পূর্ণতা নয়?

 

ঋণ –
মেদিনীপুরের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড) – যোগেশচন্দ্র বসু
অরিন্দম গোস্বামী
বাপ্পাদিত্য দাস

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4659 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...