বিস্মরণের বিপ্রতীপে: প্রকৃতি-সাহিত্যের অশ্রুত সঙ্গীত

অপরাজিতা সেনগুপ্ত

 

পরিমল ভট্টাচার্য তাঁর সাম্প্রতিক বইটিতে অনেকগুলি পরিবেশ-মর্মী কণ্ঠস্বর সংকলিত করেছেন; পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে বর্তমান সমাজের বিস্মরণ আপাতভাবে সম্পূর্ণ মনে হলেও, ব্যতিক্রমী কণ্ঠস্বরগুলি যে একেবারে নিশ্চুপ নয়, তার উদাহরণ হিসেবে লেখক সংকলন এবং অনুবাদ করেছেন এমন অন্যান্য বহু লেখকের কাজ, যারা পৃথিবীর নানা প্রান্তে কথা বলছেন পরিবেশ-প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে এবং গড়ে তুলছেন বিকল্প এক ভাষ্য, যার মাধ্যমে গাছ কাটা, বাঁধ বানানো, ফ্রিওয়ে তৈরির তীব্র কোলাহলের নেপথ্যে কোথাও বেজে উঠেছে পৃথিবীতে পরিবেশ ও মানুষের একসঙ্গে টিঁকে থাকার এক ক্ষীণ আবহসঙ্গীত। পরিবেশ সঙ্কট নিয়ে বিস্মরণের বিষয়টি মূলত উঠে এসেছে অমিতাভ ঘোষের পরিবেশ-সচেতনতা বিষয়ক The Great Derangement (2016) বইটি থেকে, যার জরুরিতম প্রশ্নটি হল এই: যদিও আমরা পরিবেশ-বিপর্যয়ের নিরিখে একেবারে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছি, তবুও আমাদের এই ভয়ানক সঙ্কটের কথা আমাদের শিল্প-সাহিত্যে ঠাঁই পাচ্ছে না কেন? পরিমল কিন্তু তাঁর বিষয়বস্তু করেছেন অবশাব্দিক স্বরগুলিকে, তাই প্রথমেই বলছেন যে তথাকথিত গল্প-উপন্যাসে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে যদি কিছু লেখা না হয়ে থাকে, তবে আমাদের এই সুরগুলি খুঁজে নিতে হবে অন্য ফর্মে, যে ধরনের ফর্ম ধারণ করতে পারে মানবসমাজের সব চাইতে ভীতিপ্রদ পরিণতিকে— শুধু মৃত্যু নয়, জাতিগত এবং জিনগত অবলুপ্তিকে। লেখক শুধু এই বিষয়ের সন্ধানে ব্যতিক্রমী ফর্ম তল্লাশের পথে হেঁটেছেন তাই না, এই বইটিকেও সাজিয়েছেন নন-ফিকশন ফর্মের এমন এক ছাঁচে, যেখানে পরিবেশ সম্পর্কে উৎকণ্ঠা বোঝাতে মূল ভাষ্যের প্রায় সমান সমান প্রাধান্য পায় অনূদিত সাহিত্যের অংশগুলি। এই ফর্মটির জন্য পরিমল আমাদের একটি চাবিও দিয়েছেন প্রথম অধ্যায়ের শেষে, যেখানে উপশিরোনাম, অনূদিত অংশ এবং লেখকের ভাষ্য কীভাবে সাজানো তা বলে দেওয়া হয়েছে। চাবি হাতে পেয়ে কেউ ভাবতেই পারেন যে এমন সরলীকরণের দরকার ছিল না। কিন্তু এর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ, কারণ এই চাবিটি আমাকে একরকম urgency-র বোধ দেয়— যেন বুঝতে পারি বড্ড দেরি হয়ে গেছে আমাদের, তাই যদি ডোডোপাখিদের গান শুনতে হয় আমাদের, তবে এখনই শুনতে হবে, আর দেরি নয়। ফর্ম এই বইটির বহিরাবরণ নয়, বরং ফর্মেই লুকিয়ে আছে পরিবেশ-সঙ্কটের বিপদবার্তার অনুরণন।

তবে ডোডোপাখিদের গান নিছক টীকাযুক্ত সংকলন নয়; পরিমলের অন্যান্য বইগুলির মতই তথ্যে এবং ইতিহাসে সমৃদ্ধ হয়েও লেখকের নিজস্ব অবস্থানের বহতা একটি আখ্যান ধরে রেখেছে সঙ্কলিত অংশগুলিকে। নতুন দিল্লির সাহিত্য উৎসবে কল্পনার সঙ্কট দিয়ে শুরু যে আখ্যান, তা আমাদের ধাপে ধাপে দিয়ে চলে আত্মঘাতী পরিবেশ ধ্বংসের শিকড়ের সন্ধানে। গোষ্ঠীগত মূঢ়তার সাক্ষী ইস্টার আইল্যান্ড থেকে পারমাণবিক ঔদ্ধত্যের শিখর চেরনোবিলে, ক্যান্সার-বিধ্বস্ত ইউটার নারীদের কাছ থেকে দারওয়া জনজাতির শিকারি-কুড়ানি জীবনে, মানবোত্তর অরণ্য-আকীর্ণ শহর থেকে কেনিয়ায় নবজাতকের রসনায়, প্লাবিত কোচি শহর থেকে কলকাতার অস্বাভাবিক কালবৈশাখীর ঝড়ে, যাতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমরা দেখতে পাই আমাদের ধ্বংসের trajectory— মূঢ়তা থেকে ঔদ্ধত্যে, ঔদ্ধত্য থেকে বন্যতার সঙ্গে বিচ্ছেদে, বিচ্ছেদ থেকে অসুস্থতায়, উষ্ণায়নে, আত্মহননের এবং হত্যার পথে। এই নিরাশার উপাখ্যানে কিন্তু তীব্র আলোকবলয়ের মতো দীপ্ত inspirational কিছু অংশ (আশাবাদী বলতে চাইছি না, কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে আশাবাদ অলীক) গভীরভাবে স্পর্শ করে পাঠিকাকে। যেমন গাছমানুষ অধ্যায়টিতে লেখকের নিজের কলমে মৃত পরিবেশ-চেতনার ব্যবচ্ছেদ:

যশোর রোডের খাড়া জীবন্ত গাছগুলি, যাদের কোনোকোনোটির বেধ চল্লিশ ফুটেরও বেশি, কাটা হবে বৈদ্যুতিক করাতে। চরাচর বিদীর্ণ হবে তাঁদের তীক্ষ্ণ আর্তনাদে, ফিনকি দিয়ে ছুটবে সজীব কাঠের গুঁড়ো, জৈব রসে ভিজে উঠবে ইস্পাতের পাত। কাঠুরেদের বিশ্রাম লাগুক বা না, করাতের লাগবে। পাথরের মতো কঠিন গভীর গুঁড়ির বেড় চেরাই করতে গিয়ে ঘন ঘন তেতে উঠবে যন্ত্র।

থাম! বলে উঠল মহামান্য উচ্চ আদালত। স্থগিতাদেশ জারি হল ২৮শে এপ্রিল ২০১৮। কাণ্ডের বাকল, তার ঠিক নীচে নরম সজীব বলয়টি তৈরি হয়েছে ২০১৫ সাল নাগাদ, যখন স্থানীয় মানুষ শিক্ষক ছাত্রছাত্রী ও একটি মানবাধিকার সংগঠন একজোট হয়ে গড়ে তুললেন যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি, আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। (১৩৫-১৩৬)

কাটা গাছের প্রতিটি বলয়ে ইতিহাসচক্রের বিবরণ অসম্ভব তীব্রতায় ধাক্কা দিয়ে যায় আমাদের মধ্যবিত্ত নিষ্ক্রিয়তাকে এখানে, আর একই সঙ্গে মনে পড়ায় মৃদুলা রমেশের সেই উক্তি, যা লেখক এই বইতে পর পর দুবার শুনিয়েছেন আমাদের: “প্রতিরোধ গড়ে তলার কাজটা স্থানীয় স্তরে ঘটে, এবং সেটা ঘটান কিছু ব্যক্তি।”

আমরা যারা দার্জিলিং, সাংগ্রিলার খোঁজে, অপুর দেশ-এ পরিমলের কলমের মায়ার সন্ধান পেয়েছি এবং নেশাগ্রস্ত হয়েছি, তাদের কাছে বড় প্রাপ্তি এই বইটির অপূর্ব কাব্যিক অনুবাদগুলিও। চেরনোবিলে এলিনার চারণ থেকে জগদ্দলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা পাড়ায় বৃন্দাবনজী আর তাঁর স্ত্রীর স্মৃতিচারণ একই সঙ্গে সুখপাঠ্য এবং সুতীব্রভাবে অনুভূতিবহুল। ধ্বংস হয়ে যাওয়া, ফুরিয়ে যাওয়া এই অঞ্চলগুলি যেমন মূঢ়তার সাক্ষী, তেমনি সাক্ষী আমাদের টানাপোড়েনের। উন্নয়নের যে জগতের বর্ণনা দিয়ে লেখক এই বইটি শুরু করেছেন, সে জগতের মূল ধাঁধার সামনে আমাদের দাঁড় করিয়ে দেন বার বার— চেরনোবিল চালু থাকলে, জগদ্দল চালু থাকলে কি সেগুলি স্পেশাল এক্সটিঙ্কশান জোন হত না? মিল চালু থাকলে পরিবেশ এবং মানুষের মৃত্যু অবধারিত, কিন্তু চালু না থাকলেও মানুষ “জিন্দা ভূত”!

মানব সমাজের তথাকথিত প্রয়োজন, বিলাস, আরামের চাহিদার সঙ্গে পরিবেশের টিঁকে থাকার সংঘাত দিয়ে শুরু হওয়া অনুবাদ-ভাষ্যের এই যুগলবন্দি দ্রুত তাল পাল্টায় যখন পরিমল আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন Terry Tempest William’র আবেগী লড়াকু সত্তার সাথে, যেখানে ইউটায় মার্কিন সরকারের পারমাণবিক পরীক্ষার ফলশ্রুতি হিসেবে ক্যান্সার আক্রান্ত উইলিয়ামসের পরিবারের নারীরা। ইউটার এই একস্তনী নারীরা প্রশাসনের উদ্দেশ্য-প্রণোদিত উপেক্ষার মুখে একস্তনী আমাজন নারীদের মতো আত্মঘাতী প্রতিবাদে নামেন যখন, ততক্ষণে পরিমলের কলম দ্ব্যর্থহীন উদ্যত তর্জনীর মতো, “জনজীবনে নেমে আসা এই অভিশাপ স্পষ্টতই একদল মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফল, যারা বহু দূরে রাজধানীর নিরাপদ স্বাচ্ছন্দ্য থেকে এই কাণ্ডগুলি ঘটান।” মরুভূমি থেকে মেরুরাত্রের অপার্থিব সৌন্দর্যের বিবরণের যাবার, এবং পরবর্তী অংশে বন্যতার সন্ধানের আসল উদ্দেশ্য কিন্তু এখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি; লেখক সভ্যতা-পরিবেশের দোটানার বিশ্লেষণ করতে মোক্ষম প্রশ্নে আসতে চেয়েছেন— কী আমাদের এই সভ্যতা, কী ঐতিহ্য শিল্পবিপ্লব-  পরবর্তী মানব সমাজের, পরিবেশ ধ্বংস করা ছাড়া? আদৌ কি আমরা একরৈখিক গতিতে “উন্নতি”র পথে এসেছি কখনও?

পরিবেশ সঙ্কট নিয়ে আলোচনা শুধু শিল্প-সাহিত্যে অলীক নয়, আজও বুদ্ধিজীবী মহলে এ বিষয়ে কথা তুলতে গেলে হয় হাল্কা বিদ্রূপ বা সামান্য সহানুভূতি প্রদর্শনের পর বিষয়ান্তরে চলে যাবার প্রবণতা দেখতে পাই। শুধুমাত্র গাছ লাগানোর বাইরে গিয়ে শক্তি-উৎপাদনের বিকল্প উপায়, বিষমুক্ত স্থানীয় খাবার উৎপাদন, পরিবহনে পরিবর্তন, আবর্জনা কমাতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সার তৈরি করা, প্লাস্টিক বর্জন করা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করলে সেটাকে বিশেষ কোনও শখ হিসেবে দেখেন অনেকে, এবং আমাদের বা আমাদের সন্তানদের জীবদ্দশায় যে প্রাকৃতিক তাণ্ডব আমরা প্রত্যক্ষ করতে চলেছি, তার উল্লেখ এক ধরনের paranoia হিসেবে গণ্য হয়। পরিমলের বিবরণ এবং তাঁর বেছে নেওয়া স্বরগুলি আমাদের বাধ্য করে ধ্বংসের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবতে— Nick Hayes-এর Rime of the Modern Mariner-এর মৃত অ্যালবাট্রস বা Allan Wiseman-এর মনুষ্য-পরবর্তী New York City-তে জঙ্গল আমাদের মনে করায় যে মনুষ্যজাতি অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক আশু সম্ভাবনা, এবং সম্ভবত বাকি প্রকৃতি টিঁকে থাকার একমাত্র শর্ত। সাবধানবাণী কখনওই আশাব্যঞ্জক নয়, বিশেষ করে তাঁদের কাছে যারা বিপদের গুরুত্ব অস্বীকার করছেন, কিন্তু অধ্যায়টি শেষ হয় শহরের জঙ্গল এবং রাস্তাগুলির নদী হয়ে ওঠার যে মধ্যবর্তী সাহিত্যকল্প দিয়ে (লেখকের অনুবাদে শিশুপাঠ্য টোকিও ডিগস আ গার্ডেন বইটি), তা একাধারে সতর্কীকরণ এবং ব্যতিক্রমী ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবাহী। শেষের দিকের ইউটোপিয়া-ডিসটোপিয়ার আলোচনাতেও বারবার চলে এই আশা নিরাশার দ্বন্দ্ব— ভুটান বা অরোভিল কেন স্বপ্নের দেশ হয়েও নয়, কেন আনন্দ-মন্ত্রক সম্বলিত দেশ থেকেও মানুষ উৎখাত হয়ে যায়, এবং খুঁজে চলে নিজের বাসভূমি।

লেখক শেষ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে বর্তমান সময়ের মধ্যকার (যদিও এর বেশিরভাগই গত বছর কুড়ির মধ্যে লেখা) বহু প্রবন্ধের একটি ধারাবাহিক ভাষ্য তৈরি করেছেন। যদিও বহুলাংশেই এই ধারাবাহিকতা সফল, তবে কিছু কিছু অংশ আখ্যান থেকে সামান্য বিচ্যুত মনে হয়। যেমন বন্যতার পথ অধ্যায়ে যদি বন্যতাকে একটি মানসিক অবস্থা হিসেবে দেখাকেই মূল বিষয় করা হয়ে থাকে, তবে মাধবিয়া কৃষ্ণণের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে তথ্য ও কীটস্ সম্বন্ধে তাঁর বক্তব্য খুব জোরালোভাবে বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কি? একইভাবে জর্জ মার্শাল ও মৃদুলা রমেশের ভাষ্যের মাঝে ও শেষে লেখকের নিজের সামান্য বিবরণী থাকলে ভালো হত। প্রকৃতিপাঠ অধ্যায়টির শেষ অংশটি কার লেখা (ডেভিড হ্যাস্কেলের?) তা বলা/ছাপা হয়নি, এবং সম্ভবত কৃষ্ণণের লেখা থেকে অনূদিত শ্যামাপাখির গান অংশটিতেও একই ভুল হয়েছে। যে সঙ্কলনটি পেয়েছি, তা পরিবেশ-সাহিত্যের (এর মধ্যে অবশ্য পরিবেশ দপ্তরের রিপোর্টও আছে) চমৎকার একটি সম্ভার, তবুও পরিবেশ-সঙ্কটের মোকাবিলা করতে সরাসরি কাজ করছেন যারা, তেমন কারও কারও লেখার সন্ধান পেলে আরও ভালো লাগত। হয়ত সে অর্থে কাজ করা বর্তমান প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে অর্থহীন, তবু বর্তমান প্রকৃতি-সাহিত্য শহরবাসী চাকরিজীবী মানুষের মনে আশু ধ্বংসের যে চরম অবসাদ নিয়ে আসে, বারবারা কিংসলভারের মতো প্রকৃতি-খাদ্য-পরিবারের আখ্যান বা ওয়েনডেল বেরির মতো প্রকৃতি-মূলক বিকল্প অর্থনীতির পাঠ তা থেকে হয়ত মুক্তি দিতে পারত। কিছু কিছু ছাপার ভুল চোখে পড়েছে, এবং অনুবাদে damselfly ড্যামসেল মাছি না হয়ে কাঠিফড়িং হলে ভালো হত।

সব মিলিয়ে ডোডোপাখিদের গান লেখকের অন্যান্য বইগুলির মতো সুখপাঠ্য হয়েও পরিবেশসচেতনতার কিছু সপাট বক্তব্য নিয়ে আসে পাঠকের সামনে। কোনও অলীক আশাময় ভবিষ্যতের কাহিনী নেই এখানে, এমনকি কোনও অমোঘ ভবিষ্যদ্বাণীও না। আসল ডোডোপাখিরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ১৬৬১ বা ৬২ সালে; মানুষের মূঢ়তার ইতিহাস পুনরাবৃত হয়ে চলেছে অবিরত তার পর থেকে, প্রতি দিন অবলুপ্তির তালিকায় যোগ হচ্ছে দশ নয়, শত নয়, হাজার হাজার প্রাণী; মানুষ জাতটি স্বঘটিত, স্বরচিত সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবার আগে কিছু মানুষ মৃদু গুঞ্জনের মতো ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রকৃতির সঙ্গে বেঁচে থাকার গান, ডোডোপাখিদের গান। বহু যত্নে এবং পরিশ্রমে এগুলি আমাদের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য লেখকের সাধুবাদ প্রাপ্য।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4593 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

  1. অত্যন্ত মূল্যবান রিভিউ।

আপনার মতামত...