সিল খোলা স্যালাইন
১.
আজও উঠে দাঁড়াতে পারি
বাঘের মত থাবা নেই,
নখ ছোট করে কাটা,
আয়োডিনের অভাব ― একটু চুপ করে দিয়েছে, ঠিকই
কাঠের আলমারি হয়ে যাইনি এখনও
২.
টেবিলের যে পায়াটা কাগজ ঠুসে
নড়ানড়ি ঠিক করেছিলাম,
সেখানে ঘুণপোকা
আমি ভুলিনি,
চায়ের কাপে বিস্কুটের গলে পড়া,
ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে দশ টাকার ছেঁড়া নোট…
মোটা ফ্রেমের চশমার ফাঁক দিয়ে
চৌত্রিশ বছর হুঁশ করে চলে গেল
একদিন থেমে যাবে সব,
শুধু আবছাভাবে থেকে ঘরময় চলাফেরা
৩.
হাসপাতালের সিঁড়ি,
তুমি কার কয়টা ধাপ মনে রাখবে?
চিরদিন বলে কিছু হয় না
৪.
সারি সারি গাছ
শ্মশানের খড়ি হওয়া মেনে নিল
এ কি শুধুই আত্মত্যাগ?
ছেঁড়া মোজা থেকে তাকিয়ে থাকে বুড়ো আঙুল
সিরিঞ্জবন্দী রক্ত চলে যায় গবেষণাগারে
ঈদের দিন রক্তের দোষ নিয়ে ফিরি
হাসপাতালের দেয়ালে কারা পানের দাগ রেখে গেল
কারা চোখের জলের?
সব হিসেব আজ অর্থহীন
৫.
অন্ধকারে ঝাঁপ দিচ্ছে চাঁদের আলো
তার নিচে মাটি কোপাচ্ছে সামান্য জীবন
মাননীয় মৃৎশিল্পী,
কাঠামো থাকল,
মাটি মাখা থাকল বারান্দার কোনে
আবার একটা অবয়ব দিও
ফসলের ছায়ায় কাকতাড়ুয়ার মতন
৬.
কত ঈশ্বরকেই
ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি হাসপাতালে
পানের পিক, গুঠখার লাল মেখে চুপ থাকতে দেখেছি
অথচ লাশকাটা ঘর পার করে
কোনও ঈশ্বর থাকে না
এক কাপড় বিক্রেতা
শরীরের স্ফীতি আর সম্পর্কের খোঁজ নিয়ে যান