ধ্রুবজ্যোতি মুখার্জি
ক্রিস্টোফার মার্লোর নাটকে ডক্টর ফস্টাস শয়তানের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদন করার পর তার হাতের চামড়ায় ফুটে ওঠে এই দুটি শব্দ– Homo fuge। পালাও, হে মানব। ল্যাটিন এই শব্দবন্ধের দ্বিতীয় শব্দটি সেই একই শেকড় থেকে নিষ্পন্ন যা আছে ইংরেজি refugee আর fugitive এর গোড়াতে; যার অর্থ ‘পলায়ন’।
মধ্যযুগের ইওরোপে বিজ্ঞান আর ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চার মাঝে বিশেষ তফাত ছিল না। কিংবদন্তীর ফস্টাস ছিলেন জার্মানির উইটেনবার্গ ইউনিভার্সিটির একজন ডক্টর অফ ডিভিনিটি। পণ্ডিত মানুষ, কিন্তু সমসাময়িক জ্ঞানবিজ্ঞানকে যথেষ্ট বলে মনে করতেন না তিনি। মার্লো ফস্টাসকে গ্রিক পুরাণের ইকেরাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যে উড়তে পারার নেশায় বুঁদ হয়ে মোম দিয়ে জোড়া নকল ডানায় ভর করে পৌঁছতে চেয়েছিল সূর্যের কাছে। কিন্তু সূর্যের তাপে ডানার মোম গলে গিয়ে ইকেরাসকে আছড়ে পড়তে হয় মাটিতে। একইরকমভাবে সীমাহীন জ্ঞান ও ক্ষমতা আহরণের নেশায় বুঁদ ফস্টাস নাকি শয়তানের কাছে নিজের আত্মা বন্ধক রেখেছিলেন।
নাটকের শুরুতে ফস্টাস বলছেন, লজিক, মেডিসিন, আইন, বা ডিভিনিটি সব বিষয়ে চরম সীমা অবধি গিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন তাদের অর্থহীনতা। লজিক থেকে চরম প্রাপ্তি শুধুই তর্ক করতে শেখা, আর আইন তো নেহাৎই টাকা কামাবার কল। আর চিকিৎসাবিদ্যা? শুধু রোগ সারাবার ক্ষমতা আবার ক্ষমতা হল না কি? “Wouldst thou make men to live eternally,/Or, being dead, raise them to life again,/Then this profession were to be esteemed.” যদি মানুষকে অমরত্ব দিতে পারতে, বা মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে তুলতে, তবেই বলা যেত হ্যাঁ, চিকিৎসাবিদ্যা একটা বিদ্যা বটে!
তো, এহেন বেকার সব বিষয়ের চর্চায় সময় নষ্ট না করে ফস্টাস চেয়েছিলেন ব্ল্যাক ম্যাজিকের মাধ্যমে জ্ঞানের একেবারে উৎসে পৌঁছতে, যে জ্ঞান তাঁকে এনে দেবে বিপুল ক্ষমতা। রাজারাজড়াদের হাতে থাকা সীমিত ক্ষমতা নয়, পৃথিবীর এক মেরু থেকে অন্য মেরু অবধি বিস্তৃত অধিকার, ইচ্ছেমত ঝড় তোলা বা বৃষ্টি নামানোর কর্তৃত্ব। সোজা কথায়, দেবত্ব অর্জন করতে চেয়েছিলেন ফস্টাস– “Here, Faustus, tire thy brains to get a deity.” এতদূর শুনে মনে হচ্ছে না যে ফস্টাস হয়তো আসলে বিজ্ঞানেরই চর্চা করতেন? নইলে আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে তাঁর লক্ষ্যগুলো এমন মিলে যেতে পারে কীভাবে? আজকের মানুষও তো চাইছে হোমো স্যাপিয়েন্স থেকে হোমো ডিউস হয়ে উঠতে, মৃত্যু এবং জরাকে জয় করতে, তাই না?
জ্ঞান ও ঐশ্বরিক ক্ষমতালাভের জন্য ফস্টাস যে পথ বেছে নিয়েছিলেন তা ছিল একমুখী। একবার সে পথে নামলে আর ফেরা যায় না। ফস্টাসও ফিরতে পারেননি। হাতের চামড়ায় ফুটে ওঠা সাবধানবাণী “Homo fuge” কাজে আসেনি। পালানোর উপায় যে ছিল না আর। তাই নির্দিষ্ট সময়ের শেষে এক সকালে নিজের স্টাডিতে পড়ে থাকতে দেখা গেল ফস্টাসের ছিন্নভিন্ন দেহ, মুখটা পিঠের দিকে মুচড়ে ঘুরিয়ে দিয়েছে কেউ।
যে কথা বলছিলাম, Homo fuge এই সাবধানবাণী মনে পড়িয়ে দেয় fugitive আর refugee ইত্যাদি শব্দকে, আর কেমন করে যেন মধ্যযুগীয় ফস্টাসের জীবন আর বীভৎস মৃত্যু হয়ে ওঠে আজকের মানব সভ্যতার প্রতীক। ফস্টাসের মতই কি বিজ্ঞান আর পুঁজিবাদের যাদুর ওপর অতিরিক্ত ভরসা রেখে গোটা প্রজাতিটা একমুখী এক ধ্বংসের রাস্তায় হাঁটছে না? বিংশ শতাব্দীর শেষদিক থেকেই কি আমরা রক্তের অক্ষরে ফুটে উঠতে দেখছি না সেই একই সতর্কবার্তা? একবার ধ্বংসের পথে নেমে পড়ার পর আর পেছন ফেরা যায় না, এটা কি ফস্টাসের মত আমাদের কাছেও স্পষ্ট হয়ে উঠছে না যখন বাড়তে থাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ চেটে চেটে খেয়ে নিচ্ছে আলাস্কা বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের মাটি, পৃথিবী জুড়ে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণে বইতে শুরু করেছে লক্ষ লক্ষ ক্লাইমেট রিফিউজির স্রোত? ফস্টাসেরই মত কি আমরা অনিবার্য পরিণতির থেকে জোর করে চোখ ফেরাতে মগ্ন হচ্ছি না অর্থহীন ভ্রমণ আর সীমাহীন ভোগে? একইরকম ট্রাজিক হুব্রিসই কি মানুষ নামক প্রজাতিটিকে আজকের অবস্থায় টেনে আনেনি?
সমস্যা হল, ওপরের সব ক’টি প্রশ্নের উত্তর আপাতদৃষ্টিতে হ্যাঁ বলে মনে হলেও সেই মনে হওয়ার ভেতর একটু গলতি আছে। পরিস্থিতি ঘোরালো, কিন্তু এখনও হয়তো আমাদের প্রজাতির কিছু আশা আছে, ফস্টাসের মত অতটাও অসহায় আমরা নই। ফস্টাস একটি বিশেষ দর্শনের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং মানবজাতিকে আজ ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে এসে দাঁড় করিয়েছে সেই বিশেষ দর্শনটিই। কিন্তু পৃথিবীব্যাপী সেই দর্শনেরও বিকল্প আছে, চিরকাল ছিলও। নাওমি ক্লেন-এর কথায়,
আমরা প্রায়ই শুনে থাকি ক্লাইমেট চেঞ্জের পুরো দায় চাপানো হচ্ছে মানবপ্রকৃতির ওপর। যেন লোভ আর দূরদৃষ্টির অভাব মানবপ্রকৃতির ভেতরেই গাঁথা আছে। অথবা বলা হয় যে পৃথিবী গ্রহটাকে আমরা এতটাই বদলে ফেলেছি যে বলা চলে আমরা এখন অ্যান্থ্রপোসিন যুগে বাস করছি— মানুষ নামক প্রজাতিটিই এই যুগের শুরু ও শেষ কথা। এই ভাবে বর্তমান পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করার পেছনে একটা সুনির্দিষ্ট, যদিও অনুচ্চারিত, ভাবনা আছে যে ‘মানুষ’ মাত্র একরকমেরই হয় এবং বর্তমান সঙ্কটের জন্য দায়ী মনুষ্যত্বের থেকে আলাদা করা যায় না এমন কিছু প্রবণতা। মাত্র কিছু সংখ্যক মানুষ যেসব ব্যবস্থা তৈরি করেছে, এবং যেসব ব্যবস্থাকে (যেমন, পুঁজিবাদ, উপনিবেশবাদ, পিতৃতন্ত্র) বাকি মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে থামাতে চেয়েছে, তাদের সমস্ত দায় থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এইভাবে। মানুষকে অন্তত সামনের সাত প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে; শুধু ভালো নাগরিক হওয়াই যথেষ্ট নয়, পূর্বপুরুষ হিসেবেও ভালো হতে হবে; প্রয়োজনের থেকে বেশি নিও না আর যা নিচ্ছ তা মাটিকে ফিরিয়ে দাও যাতে বারবার ফিরে আসতে পারে প্রাণ— এইসবের ওপরেও তো জোর দিয়েছে অনেকানেক ব্যবস্থা, কিন্তু তাদের অস্তিত্ব যেন মুছে দিতে চাওয়া হয় অখণ্ড মানবতা ও তার মাঝে প্রচ্ছন্ন ধ্বংসের প্রবণতাস্বরূপ নিদান দিয়ে। এইসমস্ত (বিকল্প) ব্যবস্থা চিরকালই ছিল, এবং এখনও আছে। কিন্তু যখনই আমরা বলি যে পরিবেশ সঙ্কট মানবপ্রকৃতির সৃষ্ট, বা আমরা এখন মানুষের যুগে বাঁচছি, তখন বিকল্প ব্যবস্থাগুলিকে অস্বীকার করা হয়।
(Let Them Drown: The Violence of Othering in a Warming World, Naomi Klein)
অতএব দেখা যাচ্ছে যে ফস্টাসকে সমগ্র মানবতার প্রতীক না ভেবে বরং ভাবা যেতে পারে ক্যাপিটালিজম আর তার অবিচ্ছেদ্য সাথী কনজ্যুমারিজম এবং টেকনোক্র্যাসির প্রতিনিধি। মার্লো সেই ষোড়শ শতকের শেষভাগেই কেমন করে জানি পুঁজিবাদের ভবিষ্যত রূপরেখা কেমন হবে বুঝতে পেরেছিলেন, আর তার প্রতীকী রূপ দিয়েছিলেন ফস্টাসের চরিত্রায়নের মাধ্যমে।
আজকের পৃথিবীতে কেমন করে পুঁজিবাদ ও তার সঙ্গে যুক্ত নানা ব্যবস্থা মোকাবিলা করতে চাইছে পরিবেশ সঙ্কটের? এই প্রতিক্রিয়ার অন্তত দুটি অভিমুখ চোখে পড়ে সহজেই। প্রথমত, অস্বীকার করা। চোখ বন্ধ করে উড়িয়ে দেওয়া বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বদলের বাস্তবতা। যার প্রকাশ ঘটছে একদিকে ট্রাম্প আর অন্যদিকে বোলসোনারো এবং আমাদের দেশে নরেন্দ্র মোদির ভেতর দিয়ে। চতুর্থ জাতীয় পরিবেশ মূল্যায়ণের রিপোর্ট সম্পর্কে, যাতে দেখানো হয়েছিল পরিবেশ সঙ্কট কীভাবে আমেরিকার অর্থনীতির ওপর বিরাট প্রভাব ফেলবে, ট্রাম্পের সহজ সরল উত্তর ছিল, “আমি বিশ্বাস করি না।” আরও বলেছিলেন, আমেরিকাতে জল আর বায়ু দুইই দূষণমুক্ত; বাকি পৃথিবী যদি নোংরা হয়ে থাকে তাহলে তা সামলানোর দায় বাকি পৃথিবীরই! অর্থাৎ, ক্লাইমেট চেঞ্জ, ট্রাম্পের মতে, নেহাৎই স্থানীয় এক সমস্যা। বোলসোনারো আর মোদির পক্ষে ট্রাম্পের মত এত সেল্ফ-রাইটিয়াস হবারও সুযোগ নেই। ক্রমশ বেড়ে চলা জনসংখ্যা সত্ত্বেও সবার জন্য সোনার ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনতে গেলে উন্নয়ন/বিকাশ নামক খুঁড়োর কল তাঁদের জন্য অপরিহার্য। তার জন্য বলি লাগলে দিতে হবে, পরিণতি যাই হোক। অতএব, প্রগতি ও উন্নয়নের স্বার্থে নির্বিচারে কাটা পড়তে পারে হাজার হাজার ম্যানগ্রোভ, নিয়মিগিরির অধিকার কেড়ে নেওয়া যেতেই পারে ডোঙারিয়া কোন্দ উপজাতির থেকে, বা দেশের পরিবেশবাদী লবিকে ঠুঁটো করে রেখে, ভয় দেখিয়ে বুলেট ট্রেনের পথ করে দিতে নিঃশব্দে সাফ করা যেতে পারে হাজার হাজার বর্গকিলোমিটার বর্ষাবন।
পুঁজিবাদের দ্বিতীয় স্ট্র্যাটেজি আরও সুচতুর, এবং আরও অনেক বেশি মানুষকে তা দিয়ে প্রভাবিত করা যায়। এই স্ট্র্যাটেজি হল– পরিবেশ সঙ্কটকে আংশিকভাবে স্বীকার করে নিয়ে বলা যে পরিস্থিতি মোটেও অতটা ভয়াবহ নয়। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টের গল্প, গ্রিন এনার্জির নামে নিউক্লিয়ার এনার্জি আর কম দূষণ করে এমন কয়লার ব্যবহারকে সমর্থন করা– এই দ্বিতীয় স্ট্র্যাটেজির অংশ। বস্তুতপক্ষে ফেসবুক জুড়ে প্লাস্টিক ব্যান, জল বাঁচানোর হরেক টোটকা দাওয়াই ইত্যাদি জনমানসে এই দ্বিতীয় স্ট্র্যাটেজির সফল প্রভাবের নমুনা। এ হল চব্বিশ ঘণ্টা এয়ার কন্ডিশনিং চালু থাকা এটিএম-এ একটুকরো কাগজ না ব্যবহার করে পরিবেশ সচেতনতার প্রমাণ রাখা, মুমূর্ষু রোগীর মুখে জলে ভেজানো ন্যাকড়া বুলিয়ে আশা করা যে এবার সে সুস্থ হয়ে যাবে।
আপাতত শুধু আমাদের দেশ নয়, গোটা পৃথিবীরই বেশিরভাগ মানুষ পরিবেশ সঙ্কট সম্পর্কে ধোঁয়া ধোঁয়া ধারণা রাখেন মাত্র, এবং গরম বাড়লে বাড়িতে এসি লাগানোর পর আউটলেট পাইপের জল বালতিতে ধরে রেখে ভাবেন দায়িত্ব সারা হল। মনের গভীরে আশা রাখেন পুঁজিবাদের আস্তিনে নিশ্চয়ই লুকোনো আছে এমন কোনও টেক্কা যা ঠিক সময়ে নেমে আসবে টেবলের ওপর, মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে ইকেরাসের ডানায় ঠিক জোর ফিরে আসবে, শেষ মুহূর্তে ফস্টাস স্বোপার্জিত জ্ঞানের জোরে কাঁচকলা দেখাতে সক্ষম হবে ঈশ্বরকে। যতদিন না পুঁজিবাদ লালিত এই আস্থাকে অস্বীকার করা যাচ্ছে, ততদিন আসল লড়াই শুরুই করা যাবে না, আর ঠিক এই জায়গাতেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে নাওমি ক্লেন বর্ণিত বিকল্প ব্যবস্থাগুলি।
ভারতের ক্ষেত্রে এই বিকল্প ব্যবস্থার সন্ধান পাওয়া সম্ভব হিন্দু দর্শন ও ভাবধারার মধ্যেই। যে হিন্দু দর্শন ও ভাবধারাকে একমাত্রিক করে উগ্র জাতীয়তাবাদী দক্ষিণপন্থা স্বার্থপরের মতো যথেচ্ছ ব্যবহার করতে চাইছে, অথচ গভীরভাবে ভেবে দেখলে তারই মাঝে নিহিত আছে পুঁজিবাদকে আটকে দেওয়ার ক্ষমতা। শুধু দরকার সঠিক উপাদানগুলি বেছে নেওয়ার। ভুলে গেলে চলবে না যে প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে মানুষকে প্রকৃতির প্রভু বা ভোক্তা হিসেবে দেখা হয় না, উলটে মনে করা হয় যে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ সে প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হয় অন্য যে কোনও প্রাণকণিকার থেকে মানুষের গুরুত্ব বেশি নয়, কমও নয়। এ প্রসঙ্গে মহাভারতের গান্ধারী সম্পর্কে প্রচলিত একটি কাহিনির উল্লেখ অবান্তর হবে না। গান্ধারী নাকি কুমারী অবস্থায় একবার সরাসরি মাটিতেই ভাতের ফ্যান গেলেছিলেন। এদিকে মাটির তলায় ছিল এক উইপোকার বাসা, আর তার মধ্যে সদ্য পাড়া একশো ডিম। সেই সব ডিম তো নষ্ট হয়ে গেল। মা উই তখন গান্ধারীকে অভিশাপ দিল, একদিন তুমিও আমার মতই শত পুত্র হারাবার শোক পাবে। আমরা জানি কী নিদারুণভাবে সেই অভিশাপ ফলে গিয়েছিল।
প্রত্যেক দেশেই এরকম বিকল্প ব্যবস্থা আছে, এবং আশার কথা, বিপর্যয়ের মেঘ যত ঘনিয়ে আসছে ততই দিকে দিকে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে এতদিন অবধি প্রান্তে আটকে থাকা এইসব বিশ্বাস। আশা করব এদেশে পুঁজিবাদ ও দক্ষিণপন্থাবিরোধী শক্তিগুলি এই বাস্তবকে অনুধাবন করে শেকড়ের কাছাকাছি গিয়ে নিজেদের নতুন করে শক্তিশালী করে তুলবে।