পাঁচটি কবিতা
বাস্তব
তোমাকে আহত ভেবে রেখে আসি নারীমাংস, রক্ত
সভ্যতা আমাকে রোজ খোঁচায়, ভয়ার্ত চোখে দেখি
উপকূল ভেঙে হেঁটে গেছে শ্বাপদেরা
তাহাদের পিয়াসী মনের কথা, তাহাদের লাজরক্ত
নকল ঘুমের মাঝে
ছেঁড়া বালিশের তুলো হয়ে ওড়ে
ধ্বনি ওঠে, রব ওঠে
‘এতে গন্ধে পুষ্পে নমঃ…’
মরুরেখা
এসব বর্ষণ শুরু হওয়া কালে, আমাদের হাঁড়ি খালি হয়ে যায়
সামান্য আমানি লোভে বাবুদের ঘরে ঢুকে পড়ি
স্বচ্ছন্দ প্রতিটি শোক, তার রূপকথা
হাজারো বছর জুড়ে আলপথে রেখে আসে মরা ধান, নুনদাগ…
গুনগুন সুর জমে
ধারালো বটির পাশে পড়ে থাকে ইতিহাস বই, কাটা মাছ, কেরোসিন টিন
প্রান্তিক
কখনও দেখিনি তাকে!
মাটি চিনি, জল চিনি
প্রকৃত তরফে জানি জলবায়ু আর কৃষিজমি
বিদেশ বিভুঁই মানি তোমাকেই দেশ
যাকে আমি ভোট দিই, সাধারণ নাগরিক
সে আমার পিতা নয়, ভাই- বন্ধু নয়
শুধু জানি, ক্ষুধার্ত ভাতের দাবি জানাতে জানাতে
সে রাষ্ট্রনায়ক
আমাদের অভুক্ত রেখেছে চিরকাল, অধিকার বশে
বিপ্লবীর চিঠি
প্যাকাটির মত হাত
পেট ফুলে ঢোল হয়ে আছে
ভাষা নেই, অক্ষরের বোধ নেই তার ফলত সে অধিকারও হারিয়েছে
প্রকৃত জলের দেশ এই…
ক্ষুধা, অন্ন, অধিকার, দ্বেষ, হিংসা, নাগরিক মুখ–
অকাল বন্যায় ভেসে যায়
রণনীতি
হত্যা করেছি নিজেকে বহুবার…
সেই রক্ত দাগ, সেই চির পরিচিত শ্রীচরণেষু
মুক্তির ঠিকানা আজ শেখাবে আমাকে!
মাদুলি তাবিজ আর গভীর বালির দেশে
হা-ঘরে কান্নার রেওয়াজের জ্বালাধরা চোখ,
হাপর বাতাসে ভাসে গোলা বারুদের গান…
মৃত্যুর ব্যবসা এই ক্ষতগুলো গভীর করেছে..