সুস্মিতা ঘোষ
২০১৯ সালের রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মেলনে সঞ্চালকের একটি প্রশ্নের জবাবে এক বছর ষোলোর কিশোরী ঘোষণা করে— “আমার আপনাদের প্রতি একটিই বার্তা আছে। তা হল, আমরা আপনাদের উপর নজর রাখছি।” কথা শেষ হতে না হতে প্রশংসার হাততালি আর প্রশ্রয়ের হাসিতে হলঘর ভরে উঠল। কিন্তু কিশোরীটির মুখ নির্বিকার। এবং রাগত। হাততালি থামলে সে দর্শকের চোখে চোখ রেখে বলা শুরু করল— “এখানে যা হচ্ছে, সবটাই অত্যন্ত ভুল। এখন আমার এখানে থাকার কথা নয়। আমার থাকার কথা মহাসাগরের ওপারে, আমার নিজের স্কুলে। তা সত্ত্বেও, আপনারা, বড়রা এসেছেন আমাদের মতো বাচ্চাদের কাছে! আশার খোঁজে! আপনাদের স্পর্ধা হয় কী করে?…”
রাষ্ট্রসঙ্ঘের চুয়াত্তরতম অধিবেশনের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমন্ত্রিত বক্তা হিসাবে কথাগুলি বলে এসেছে যে রাগী চোখের স্বল্পবাক কিশোরী, তার নাম গ্রেটা থুনবার্গ। সুইডেনের স্টকহোম শহরের ‘স্কুলপালানো’ এই কিশোরী এই সময়ে চলতে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্দোলন ‘ক্লাইমেট স্ট্রাইক’-এর জন্মদাত্রী। ২০১১ সাল। গ্রেটার তখন আট বছর বয়স। স্কুলের শিক্ষকদের থেকে সে প্রথম জানতে পারে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ বা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর কথা। জানতে পারে, আমাদের এই গ্রহ খুব দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। কারণ— ব্যাপক হারে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং পরিবেশ দূষণ। গ্রেটার নিজের কথায়, একথা জানার পরে তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল অবিশ্বাস। তার ছোট্ট মাথায় এটা কিছুতেই ঢোকেনি যে, এ কথা যদি সত্যি হয়েই থাকে, তাহলে পৃথিবী শুদ্ধ প্রাপ্তবয়স্ক, ‘প্রাপ্তমনস্ক’ মানুষেরা, বড় বড় রাষ্ট্রনেতারা এর সমাধান হিসেবে কিছুই করছেন না কেন! আরো তিন বছর কাটে। আর গ্রেটা ক্রমশ, হয়ত বা খানিক অনিবার্যভাবেই আক্রান্ত হয় এই শতকের মহামারী, অবসাদে। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেওয়া, মানুষ-জনের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া— মানসিক অবসাদের উপসর্গগুলি স্পষ্ট দেখা দেয় তার মধ্যে। বাবা-মা মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায়— অ্যাসপারগার সিনড্রোম ও সিলেকটিভ মিউটিসমে ভুগছে এগারো বছরের গ্রেটা।
এরপর শুরু হয় এক দীর্ঘমেয়াদি লড়াই। দীর্ঘ কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে জানা যায়, গ্রেটার অবসাদের কারণ পৃথিবীর এই প্রায়-অনিবার্য মৃত্যু ও এ বিষয়ে সহনাগরিকদের আশ্চর্য ঔদাসীন্য। কিন্তু অবসাদকে নিজের ভেতরে শিকড় গজাতে দেয়নি সে। বরং বানিয়েছে নিজের ‘সুপারপাওয়ার’। ২০১৮ সালে পনেরো বছর বয়সী গ্রেটা সিদ্ধান্ত নেয় ‘স্কুল স্ট্রাইক’ করার। সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে সে একা স্ট্রাইকে বসে। হাতে একটি প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা— “স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট।” তার সিদ্ধান্ত ছিল, যতদিন না দেশের সরকার প্যারিস চুক্তি অনুসরণ করে দেশের কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, এই স্ট্রাইক চলবে। গ্রেটার প্রথম ধরনা চলে টানা কুড়ি দিন, সুইডেনের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত। নির্বাচনের পরে ধরনা জারি থাকে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার। আবারও একা। ক্ষমতার লোভের বিরুদ্ধে। সম্বল জেদ। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। একটা পনেরো বছরের বাচ্চা মেয়ে স্কুল পালিয়ে পার্লামেন্টের সামনে ধরনায় বসেছে। দাবী, দেশের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ হ্রাস! দুনিয়ার তাবৎ ক্ষমতাসীন নেতারা শুনলেন, দেখলেন এবং যথারীতি পাত্তা দিলেন না। দু’দিকে বিনুনি করা এক সাধারণ চেহারার কিশোরী। তাকে খুব একটা পাত্তা দেওয়ার কিছু নেইও তো। কিন্তু গ্রেটা তো ‘আলাদা’। সে ‘স্বাভাবিক’ নয়। তার অ্যাসপারগাসের উপসর্গই ছিল, কোনও কোনও বিষয়ে অতিরিক্ত অনাসৃষ্টি আগ্রহ, ফিক্সেশন। তাই হাল ছেড়ে দেওয়ার উপায়ই ছিল না তার কাছে। তার পরেরটুকু ইতিহাস। এবং খানিকটা হলেও আশাব্যঞ্জক। সুইডেনের ছাত্র-ছাত্রীরা দলে দলে এই আন্দোলনে যোগ দিতে থাকে। ২০১৮-র ডিসেম্বরের মধ্যে ইউরোপের ২৭০টি শহরের অন্তত কুড়ি হাজার ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন সময়ে ক্লাইমেট স্ট্রাইক ডেকেছে। পথে নেমেছে। গলা ফাটিয়েছে। ভারতের ছাত্র-ছাত্রীরাও বাদ নেই, তারাও এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। প্রতি শুক্রবার স্কুল স্ট্রাইক। আন্দোলনের নাম ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’।
কী বক্তব্য গ্রেটা এবং এই অন্যান্য পরিবেশ যোদ্ধাদের? বক্তব্য অত্যন্ত সরল। মানবসভ্যতার হাতে আর বেশি সময় নেই। পৃথিবী ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে। তার বিভিন্ন চিহ্ন ইতোমধ্যেই পৃথিবীজুড়ে দেখা যাচ্ছে। তার কয়েকটি উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক। এই বছরের অগাস্ট মাসে সোশাল মিডিয়ায় একটি খবর ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। ১৮ই আগস্ট তারিখে আইসল্যান্ডে একটি গণশোকসভা আয়োজন করা হয়। শোকসভাটি আয়োজিত হয় আইসল্যান্ডের বিখ্যাত বিশালকায় ‘ওকোকুল’ হিমবাহ (Okjökull glacier) সম্পূর্ণভাবে গলে যাওয়ার পরে। এই আগস্টেই আরেকটি সমীক্ষায় দেখা যায়, গ্রিনল্যান্ডের বরফ চাদর থেকে একদিনে প্রায় ১২.৫ বিলিয়ন টন জল গলে গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গলনহারে পৌঁছানোর কথা ছিল ২০৭০ সালে! আরও মনে করিয়ে দেওয়া যাক, গত এক বছরে আলাস্কার সমুদ্র বরফ সম্পূর্ণভাবে গলে গেছে। ঘটমান বর্তমান নয়। অতীত। ফলত, উঁচু হচ্ছে সমুদ্রস্তর। সৃষ্টি হচ্ছে ভয়ঙ্কর বন্যাপরিস্থিতি। এই সমস্তই ঘটছে লাগামছাড়া গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফল হিসেবে। আসা যাক খরার কথায়। জিম্বাবোয়েতে মানুষ দিনে প্রায় আঠারো ঘণ্টা বিনা বিদ্যুতে থাকছেন। কারণ, যে সমস্ত ড্যামগুলি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হত, সেগুলি সব শুকিয়ে গিয়েছে। সেখানকার রাজধানী শহর হারারেতে পানীয় জলের হাহাকার। ভারতে ভূ-গর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফল আমরা দেখেছি গত গ্রীষ্মে, চেন্নাই শহরে। চেন্নাইয়ের মাটির নীচের জল স্রেফ ফুরিয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশে আগামী বছরের মধ্যে চরম জলসঙ্কট দেখা দেবে। পৃথিবীর বড় বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য, বৃষ্টিঅরণ্য মানুষের লোভের খেসারত দিতে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমাজন পুড়েছে আমাদের চোখের সামনে। সম্প্রতি প্রকাশিত রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের দুই বিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি, এবং এর প্রধান কারণ বিশ্ব-উষ্ণায়ন। প্রতিদিন প্রায় ২০০ প্রজাতির পশু-পাখি অবলুপ্তির পথে পা বাড়াচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে কয়েকদিন আগে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি অনাহারক্লিষ্ট মেরুভল্লুকের ছবি। খাবারের সন্ধানে, শহরের রাস্তায়।
এই পরিস্থিতিতে গ্রেটা এবং অন্যান্য আন্দোলনকারীদের দাবীগুলি খুবই ন্যূনতম এবং যথাযথ। প্যারিস চুক্তির শর্ত অনুসরণ করে সঠিক হারে গ্রিনহাউস গ্যাস, বিশেষত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ হ্রাস, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ, অরণ্যনিধন রোধ, নতুন বনভূমি সৃষ্টি এবং কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রেটার আন্দোলনের প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে তার নিজের বাড়িতে। সে নিজে ভেগান, কোনওরকম প্রাণীজ খাবার সে খায় না, এবং যাতায়াতের জন্য এয়ারপ্লেনের ব্যবহার সে বর্জন করেছে। সম্প্রতি আমেরিকায় রাষ্ট্রপুঞ্জ আয়োজিত ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট’-এ যোগ দেওয়ার জন্য গ্রেটা আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছে প্লেনে নয়, একটি সৌরশক্তি চালিত yacht-এ। দুই সপ্তাহ লেগেছে তার এই পথটুকু পাড়ি দিতে।
‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলন প্রস্তাবিত যে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ গ্রেটার বক্তৃতাগুলি থেকে আমরা পাই, সংক্ষেপে তাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়— ‘প্রোটেক্ট, রেস্টোর, ফান্ড’। প্রথমত, এই ভেঙে পড়া বাস্তুতন্ত্রকে সারাই করার প্রধান ‘মেশিন’ হল গাছ। পৃথিবীর সবকটি অরণ্যভূমিকে ধ্বংসের হাত থেকে, রাক্ষুসে বাণিজ্যিক লোভের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ-পশু-পাখিদের প্রজাতিগুলিকে পুনরুদ্ধার করে সংরক্ষণ করতে হবে। এবং তৃতীয়ত, পরিবেশ ধ্বংসকারী পণ্যে (যেমন, প্লাস্টিক) বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে ও পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র ব্যবহার আরম্ভ করতে হবে। কিন্তু এই ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তখনই কাজ করবে, যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রও পরিবেশের কল্যাণকামী হয়ে উঠবে। পৃথিবীর মোট দূষণের সিংহভাগ ঘটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলে। তাই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্তরে সক্রিয় হয়ে আমরা এই গ্রহকে বাঁচাতে পারব না, বলছে গ্রেটা। তার জন্য চাই রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ও ক্ষমতার সদ্ব্যবহার। সরকার, রাজনৈতিক দল এবং বিশ্বের ব্যবসায়ীগোষ্ঠী একজোট হয়ে এই ‘ইকোলজিকাল ইমারজেন্সি’র কথা অনুধাবন করতে না পারলে বাস্তুতন্ত্রের ধ্বংস অনিবার্য।
আমি জানি না, গ্রেটা থুনবার্গ ও তার সহযোদ্ধারা এই পৃথিবীকে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবে কি না, কিন্তু আমি এটুকু জানি, ষোলো বছরের গ্রেটা আসলে এই অথর্ব সমাজের আয়না। পচে-গলে যাওয়া সমাজের ভণ্ডামিকে সে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের তাবৎ ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রনেতাদের চোখে চোখ রেখে করা তার চাঁচাছোলা উচ্চারণ গত একবছরে আমাদের অস্তিত্বকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। বছর ষোলোর কিশোরী রাগত চোখে সপাটে প্রশ্ন ছোঁড়ে— “আমার, আমাদের প্রজন্মের ভবিষ্যত এভাবে নষ্ট করে দেওয়ার পরে আপনাদের স্পর্ধা হয় কী করে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ানোর?” শিরদাঁড়া সোজা রেখে পরিবেশব্যবসায়ী ও রাষ্ট্রনেতাদের উদ্দেশ্যে ঋজু, ভণিতাহীন বক্তব্য রাখে— “পৃথিবী, বাস্তুতন্ত্র এবং মানবসভ্যতা বিলুপ্তির পথে। আর এখনও আপনারা শুধু টাকা আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কুমিরছানা দেখিয়ে চলেছেন!” হুঁশিয়ারি দেয়— “আপনারা বড়রা আমাদের ভালো রাখার পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছেন। কিন্তু বিশ্বজুড়ে নতুন প্রজন্ম জেগে উঠতে শুরু করেছে। আপনারা যদি এখনও ঘুম ভেঙে উঠে না দাঁড়ান, আমরা আপনাদের কোনওদিন ক্ষমা করব না।”
গ্রেটা থুনবার্গ আসলে একটি অসম যুদ্ধে নেমেছে। তার লড়াই মানুষের নিদারুণ, সীমাহীন লোভের বিরুদ্ধে। সে জিতবে কি না, এবং আমাদের বাঁচিয়ে দিয়ে যাবে কি না, তা সময় বলবে। কিন্তু তার একগুঁয়েমি, নির্ভীকতা, দাঁতে দাঁত চেপে লড়ার মানসিক শক্তি আজ বিশ্বের তরুণ-তরুণীদের কাছে অনুকরণীয়। নিজের শৈশব, বিকেলে মাঠের খেলা, ঘাসে পা ডুবিয়ে সূর্যাস্ত দেখা, একান্তযাপন সে বিনা বাক্যব্যয়ে বিসর্জন দিয়েছে মানুষের অপরিসীম লোভ ও মূর্খামির কারণে। ভরা বিদ্বজ্জনদের সভায় সে তাদের ভণ্ডামিকে সরাসরি আক্রমণ করে বলে— “আমরা এমন একটা আশ্চর্য পৃথিবীতে বাস করি, যেখানে শিশুদের নিজেদের ভবিষ্যতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নিজের শিক্ষাপ্রক্রিয়াকে বিসর্জন দিতে হয়!” সে বিশ্বাস করে ও দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করে— “আপনাদের পছন্দ হোক বা না হোক, পরিবর্তন আসছে।” হয়ত এই অসম এবং ভীষণ কঠিন লড়াইয়ে সে সফল হবে, বা হয়তো মানুষের স্বার্থপরতা ও অপরিণামদর্শিতা তাকে বাধ্য করবে পিছু হঠতে। কিন্তু ষোলো বছরের যে মেয়েটি এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের সতর্ক করল, ভর্ৎসনা করল, আশা যোগাল, লড়াইয়ের সাহস যোগাল, তাকে মনে রাখা আমাদের অবশ্যকর্তব্য— গ্রেটা থুনবার্গ— এই শতকের পরিবেশযোদ্ধা, যার শৈশব আমরা চুরি করেছি।