এ মাসের কবি — সঞ্চিতা চক্রবর্তী

সঞ্চিতা চক্রবর্তীর কবিতা

 

পার্ক ১

হ্যাঁ, আমিই ভ্রষ্ট তোমার চোখের আলো
মেঘ বিদ্যুৎ বদলে দেওয়া আকাশদীঘি
ঠিক জীবনের সামনে হঠাৎ পা পিছলানো
হাসপাতালের সামনে ফোটা সূর্যমুখী।                                                                          

হ্যাঁ, আমাকেই দোষ দিয়েছে লক্ষজনে
যখন তোমার দামাল কোলে দল মেলেছি
পুংকেশরের পরাগ ঢালা এই শ্রাবণে
শুকনো ঠোঁটের আলিম্পনে হারিয়ে গেছি

ভালোবাসার রং ফুরোলে কী বা থাকে
বরফজমাট শীতলপাটির মৃত্যু ছাড়া
স্মৃতির সোহাগ ডুবিয়ে দিয়ে লাক্ষারসে
বৃষ্টি শেষে ঘরেই ফেরা ঘরেই ফেরা

যে সব প্রেমের ঘর মেলে না বনের ছায়ায়
লেক টাউনের ফুটব্রীজে রাত কাটানো
আর আজীবন মন রেখেছি রাস্তা ছাড়ায়
বিশ্বাস নেই বাগান করে ক্ষত সারানোয়

তোমার বুকের সব ফুলই আজ পাথর কঠিন
স্ফটিকপরীর ডানায় এবার উড়ান লাগে
এমন কেন হলো? মা-কে জিগেস কোরো
আমিই ছিলাম তোমার গোপন জন্মদাগে।

 

পার্ক ২

ফিরে যাও তন্দ্রাহত পোশাকি জীবন ভালোবেসে
ছিঁড়ে ফেলো তন্তুজাল মধুঋত অবৈধ স্মৃতির
সব অভ্রমায়া থাক বর্ষানীল। বনান্তরালে
মোহিত বিজুরিরেহা এখনও যাপনজলে স্থির।

আর্দ্র সবুজ থেকে ঝরে যাক তিক্ত তরুক্ষীর
গোলাপজামের রসে মধুগন্ধা ভ্রষ্ট লগন
এবং ছিন্ন হওয়া ফুলেদের আর্ত চিৎকারে
শোকের পালকে জলে সমাহিত শ্রাবণের বন।

একে একে মরে যাক হিরন্ময় ইচ্ছের পাখিরা
আরক্ত বুকের তলে থেমে যাক সব স্বপ্নশিষ্
লোহিতপ্রবালস্রোতে বয়ে যাক বাদামি শর্করা
ঠোঁটের ডগায় থাক মোহময় অঙ্গুরীর বিষ।

অন্তিমে যা হওয়ার হবে,মৃত্যু সে তো নীলপঙ্খ পরী
তোমার সমাধিঢাকা রাধাচূড়া ফুল ছেড়ে আসি
ওপারে শহর,বাজে সময় সজাগ করা ঘড়ি
আমার কবিতা জানে আমি দেহদানই ভালবাসি

পার্কের গোধূলি জানে অনন্তের চন্দন আলো
কীভাবে মেঘের মাসে হাত থেকে হাত ছেড়ে যায়
রাত থেকে রাত প্রেম চুপি চুপি শেষ কথা বলে
ভালো আছি ভালো থেকো আত্মপর স্বার্থের শয্যায়।

 

মেলোপিয়া

মেলোপিয়া লিখছি বলে রাগ কোরো না। কিছু অন্ধকার তেলাপোকা আমি আলোয় ছেড়েছি। মীড় ছিঁড়ে যাওয়ার পর যেমন শব্দ একাই পড়ে থাকে, তেমনই ছিন্ন এস্রাজে গোলাপ ফুটে ওঠে। কুসুমের চেয়েও আরো নির্জন প্রশান্তি হতে পারে প্রেম। ডুবোজলে মাছেদের গ্রাস ছেড়ে দিতে দিতে তোমাকেও ছেড়ে দেওয়া ধ্বনিবর্ণরস নিয়ে অন্য লেখার হতে দেখা ক্রমশ সহজ হয়ে আসে। শুধু দুরন্ত খরগোশ দুটি একা হাতে সামলাতে পারি না। ওরা সেই আবহমানের কাছে রোজ যায় যেখানে তোমার পায়ের কাছে সংখ্যা পড়ে থাকে, আমার অক্ষর কাঁপে গোলাপি প্রভায়। প্রখর অগ্নিজালে দুধ ছিঁড়ে গেলে উপচে পড়ে জ্বরের আবেশ। তেমনই ডিসেম্বরের বৃষ্টি। আশ্চর্য মৌটুসি ফুল থেকে চুষে নিচ্ছে তাপ। শীত বাড়ছে। জলপাতার রঙে ডুবছে প্রহর, মোমরাত্রি, সবুজ রেশম ময়ূরেরা। যেমন করে ডানা ভেঙে যায়, স্থির বিন্দু থেকে উড়ে যায় প্রতিটি বিমান আর বন্দরে অনির্বাণ দীপ জ্বালা থাকে, একা নয়, প্রতিটি হৃদয়েই একান্ত সোনার ভ্রমর, লুকিয়ে রাখা, ভুলে যাওয়া,আবছা অস্পষ্ট, সকালে ওঠার পর প্রথম লেখা, রাতের ঘুমের আগে আয়নায় চোখ ধুয়ে ফেলা, দীর্ঘ দীর্ঘ পাড়ি।

আজকাল অযথা ফুলের গাছ হয়ে থাকি। কুঁড়ি ফুটলে, পাখি উড়লে বলি লিপস পার্টেড, প্রিয় সুগন্ধের মতো ভরে থাকি আঁধারে একাকী। তিয়াসার ডালে কাঁপে ভীরু জয়। সুবর্ণবিভার ঐ রাগটুকুই অমৃত অক্ষয়। আর শেষ পর্যন্ত, আমি তো তোমারই।

 

হিমঘর

সেই হিমঘর মৃত হিমঘর
মোমে জ্বলছে একা দাবামেস্ক
তুমি ফেরালে শ্লোক শান্তির
ঠোঁটে যেমন যেমন ইচ্ছে।

সেই স্মিত জয় রাজকন্যার
প্রতি অন্তের গাঢ় অক্ষর
সাধ স্বপ্নের বধূমাল্যের
ঘন বৃষ্টির মধু আবরণ

তার শিল্পের মায়া ঝরছে
রং লাগছে লীলাপদ্মে
রাত বহ্নি,শিখা রক্তিম
ফুলশয়নের স্রোত বইছে

যেন বর্ণে মেশে বর্ণ
আর বনপথ জুড়ে রঙ্গন
মেঘে অশ্রুর কারুকার্য
ভেজে হৃদয়ের প্রিয় মৌবন

তাও শঙ্খের বিষ যায় নি
শীতে ডুবছে শুভ লগ্ন
শোকে চন্দন ভালে স্বস্তি
বুকে অ্যাবসাঁৎ ফিকে মুক্তো

যদি শেষ হয় রূপগল্প
সোনা ছুঁইয়ে রূপো ছুঁইয়ে
শিরা ভাঙলে জাগে ছন্দ
লাল মৃত্যুর জল বইয়ে

তুমি চন্দ্রের বোধিবৃক্ষের
মোহে ছেড়ে যাও আলো আয়নার
বৃথা আশ্লেষ একা হিমঘর
আজ পরাভব রাজকন্যার।

 

শুভক্ষণ

শুভক্ষণ, গোলাপি আলোয় ঝরা মন
শুভক্ষণ, দ্বার খোলা এতদিন এতদিন পর
শীতবসন্তের কাল,আমি বুঝি বলিনি তোমাকে
আমার যাওয়ার পাশে সততই মৃত্যু ফুটে ওঠে।

ফুল হয়ে তারা হয়ে গান হয়ে গিয়েছে মিলিয়ে
জলজ শোভার মতো সেই মুখ, ঋণপরিমাণ
অসুখ রাখেনি সে, একবেণীধরা এক গরিবের মেয়ে
একার সরণি জুড়ে হেঁটে আসে কয়েক দশক

মাধুরী লুটিয়ে পড়ে। অন্তরীক্ষে, প্রভায়, তিমিরে
ডুব, ডুব, ডুব দিয়ে ভেসে যায় প্রাণের অঞ্জন

সে কি ভুলেছিল পথ?
পথই ভুলেছে তাকে যখন তখন..

 

শ্লোক

তুমি ছাড়া কাউকে জানি না
তোমারই আকাশ জুড়ে উড়ি
বর্ষার ঘন কারুকাজে
ভিজে যাই, বড় জ্বর আসে

তুমি ছাড়া কাউকে জানি না।

মাধবীলতার বনে বনে
বেজে ওঠে আঁধারের বীণা।

 

সালাড ১

সেও এক শীতরাত্রি
সেও এক লক্ষ্যভ্রষ্ট ময়ূরের গান
বেজে ওঠে নীল নদী অবচ্ছিন্ন সোনালি
সেতারে তোমাকে পাবে না বলে সে অন্ধ গিয়েছে বনে
রূপ ঢেলে দিয়ে এসেছে রডোডেনড্রনে
লাল আর গোলাপিতে ধুয়ে গেলে জ্যোৎস্নার রং
চামচে রঙিন বিষ উঠে আসে।
মেঘ লাগে ফলের সালাডে।

 

সালাড ২

ভাসতেই জানি। হলুদ জলের মাছ
খেলতেই জানি। সে রাজপুত্র এসে
কী জ্যোৎস্না ঢেলেছে চোখে
কী মাধুরী ছড়িয়ে গেছে সালাডের পরে

লাল হয়ে ওঠে জল
ল্যাজ কেটে রেখে আসি ডাইনির ঘরে।

 

২২শে শ্রাবণ

তবুও ঘনায় মেঘ, সেই ছবি, সেই প্রেম
একই মালা, জীবনের শরণার্থী ভিড়ে
ভিড় করে আসা লেখা শেষ
বন্ধুত্বের শেষ, ঘরে নয়, পারে নয়
তটস্থ সংগীতের মাঝে ডুবে যাওয়া
এ দেশ আমার নয়, যে কোনো সময়
উঠে যাওয়া, মায়ার পুঁটুলি নিয়ে তাড়া খাওয়া
রাত, সেই তো গীতাঞ্জলি। মলমাসে হৃদয় তোমার
যে মুখ আমার নয়, সেই মুখ ছুঁয়ে বলি
একটি লাইনও আমি লিখবো না আর।

 

পরী

ভুল করে ভিজে গেছে মায়ার চিকুর
জলবসা মাথা নিয়ে সে কখন ডুবে গেছে জ্বরে
আর আলো জ্বালিয়ো না। অন্ধকার প্রিয়তর হয়
ফুল ঝরে যাওয়া কালে খসে পড়ে স্নানের তোয়ালে।
ইমোতে সে রাজকন্যা। সোনাকাঠি ছোঁয়ালে ভ্রমর
দেখিয়েছে ঋতুরক্ত সজাগ অন্তরের ঘোর
হাতে ছুঁলে নীল ফেনা অবারিত সমুদ্রহরিণী
শিকলই জেনেছে শুধু কী কঠিন ছিল সে বাঁধন

আর এই অন্ধ ভ্রষ্ট রাত্রির সাধবতীবন
ঘন আইরিশ ক্রিমে চাঁদ ডোবে চাঁদ ভেসে যায়
অধর বান্ধুলীপুষ্প বিষের মাধুরীরাঙা মন
তুমি এলে, না এলেও বেজে ওঠে শরীরে বাহার

আত্মঘাতিনী আলো রং মেশে সুবর্ণরেখায়
মায়াময় মেরিলিন বসে থাকে ঘুমের দরজায়।

____

প্রকাশ্য অপহরণের কবিতা

সুমন গুণ

 

সঞ্চিতা চক্রবর্তীর কবিতায় একটা প্রকাশ্য অপহরণ আছে । প্রকাশ্য বললাম এইজন্য যে পড়তে পড়তে কবিতার বাইরের দিকে এক ধরনের আন্দোলন টের পাওয়া যায়। এই আন্দোলন, মনে হয়, ছোঁয়া যাচ্ছে, স্পর্শ করা যাচ্ছে। মনে হয়, এর ভেতরের দিকে তেমন কোন শাখা প্রশাখা নেই। অথবা এমনও বলা যায় যে, ভেতরের দিকের আয়োজনের সম্ভাবনাকে গোপনে অস্বীকার করার একটা ধরন পাঠকের মনে কাজ করে। এই যে মনে-হওয়া, এই যে ধারণা, এর জন্য সঞ্চিতার লেখার বিশেষ প্রকরণটিই দায়ি। একথাও যে বলবনা যে, সঞ্চিতার প্রায় সব কবিতার মধ্যে অস্বীকার আছে, অর্থান্তর আছে। আসলে একটা চেনা পথের দু’ধারের সব স্বাধীন উচ্ছ্বাস গ্রহণ করতে করতে সঞ্চিতার কবিতা এগিয়ে চলে । এর মধ্যে দ্রুততা নেই, ব্যস্ততাও নেই। আবার, দ্রষ্টব্য সবকিছুই যে সঞ্চিতা শিরোধার্য করেন, তাও নয়। যেন, দূরে শীর্ষের দিকে তাঁর নজর আছে, দূরের চুড়োয় যে সম্পদ, তাকে তিনি গ্রহণ করবেন, কিন্তু পাঠককে, চারপাশের পথিককে সে বিষয়ে কিছু জানাতে তাঁর আগ্রহ নেই। অথবা, সেই আগ্রহ সম্পর্কে পথিককে সচেতন করা, তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে চলার দায়ও তাঁর নেই। 

এই যে দায়হীনতা, তার পরিচয় সঞ্চিতার কবিতার ছন্দে, প্রকরণে, শব্দে, নৈঃশব্দ্যে, ভাষার নির্ভুল ঘূর্ণিতে সহজেই চেনা যায়। বলার কথা এই যে, এটা চেনানোতে তাঁর আপত্তি নেই। যেন, একঝলক মেঘ তার ভেতরের গাম্ভীর্য, ভেতরের বজ্রবিদ্যুৎভর্তি উন্মাদনা বহন করছে, কিন্তু তার চলনের মধ্যে তা প্রকাশ্য করার তাগিদ নেই। এই ধরনটি, আপাত বিরোধময় এই চলনটি আমাকে সঞ্চিতার কবিতার প্রতি মনোযোগী করেছে। খুব সচেতন ভাবে ভাষা নিজের মত করে তুলতে চান না তিনি, নতুন শব্দ তৈরিতেও তাঁর খুব যে আসক্তি আছে তাও মনে হয় না। ভাষার আসক্ত আত্মহত্যায় আস্থা আছে তাঁর। খুব পুরনো, চেনা, অনুল্লেখ্য শব্দ তিনি অবলীলায় কাজে লাগান। আমি ব্যক্তিগতভাবে দু একবার এসব শব্দের পরিবহনহীনতার প্রতি তাঁকে সচেতন করতে চেষ্টা করে বুঝেছি যে তিনি শব্দের এই বিশেষ পরিচর্যায় আগ্রহী নন। একটি শব্দের ব্যবহার তাঁর কথা বোঝাতে পারছে কিনা সেই দিকেই লক্ষ রাখেন তিনি, শব্দটির নিজস্ব উপার্জনের দিকে তাঁর মন নেই। যেমন এখানে :

আর্দ্র সবুজ থেকে ঝরে যাক তিক্ত তরুক্ষীর
গোলাপজামের রসে মধুগন্ধা ভ্রষ্ট লগন
এবং ছিন্ন হওয়া ফুলেদের আর্ত চিৎকারে
শোকের পালকে জলে সমাহিত শ্রাবণের বন।                                                    

‘ভ্রষ্ট’ আর ‘লগন’, দুটি শব্দই আলাদা আলাদা ভাবে এবং একসঙ্গে এতটাই ব্যবহৃত যে, যতদূর মনে পড়ছে, কবির কাছে একবার জানতে চেয়েছিলাম এটা তাঁর সচেতন প্রয়োগ কিনা। আমাকে বিচলিত করে তিনি জানিয়েছিলেন যে হ্যাঁ, সচেতনভাবেই তিনি এটা করেছেন। শব্দদুটির অনুৎপাদক শক্তির ব্যাপারে কিছুই বললেন না। এটা থেকে আমি বুঝতে পারলাম যে নির্দিষ্ট শব্দ নয়, ভাষার একটি সামগ্রিক সাফল্যই তাঁকে আবিষ্ট করে রাখে।

এটা দোষের কিছু নয়। একেক জন কবির ভর একেক জায়গায় থাকে। কেউ প্রতিটি শব্দকে মেজে ঘষে, আগের সব হাতের দাগ ধুয়ে তারপর কাজে লাগান। কেউ, সঞ্চিতার মত , সাধারণ একটি প্রবাহের কৌণিক গতির প্রতি মনস্ক থাকেন। সঞ্চিতা এই দ্বিতীয় প্রবণতার কবিতায় সাফল্যের সরণি খুঁজে পেয়েছেন। এই পথ যে অনন্তের দিকে ধাবমান সেটা তিনি নিশ্চয়ই জানেন এবং সেই অনন্তের স্পর্শ পাবার সাধনায় গোটা জীবন যে চলে যেতে পারে, আমার ধারণা তাও তাঁর অজানা নয়।  

অক্ষরবৃত্ত ছন্দেই সঞ্চিতার কবিতা সবচেয়ে সফলভাবে কথা বলতে পারে। যেমন এই কবিতাটিতে : 

তবুও ঘনায় মেঘ, সেই ছবি, সেই প্রেম
একই মালা, জীবনের শরণার্থী ভিড়ে
ভিড় করে আসা লেখা শেষ বন্ধুত্বের শেষ,
ঘরে নয়, পারে নয়
তটস্থ সঙ্গীতের মাঝে ডুবে যাওয়া  

শেষ লাইনটিকে ‘তটস্থ’ শব্দটি দিয়ে টলানোর চেষ্টা করে, আবার, সহাস্যে, তিনি যে দাঁড় করিয়ে দিলেন, এখানেই তার জোর চেনা যায়। 

অথবা, ঘটনাস্তব্ধ এই কবিতায়:

ফুল হয়ে তারা হয়ে গান হয়ে গিয়েছে মিলিয়ে
জলজ শোভার মতো সেই মুখ, ঋণপরিমাণ
অসুখ রাখে নি সে, একবেণীধরা এক গরিবের মেয়ে
একার সরণি জুড়ে হেঁটে আসে কয়েক দশক

মাধুরী লুটিয়ে পড়ে। অন্তরীক্ষে, প্রভায়, তিমিরে
ডুব, ডুব, ডুব দিয়ে ভেসে যায় প্রাণের অঞ্জন

‘ডুব’ শব্দের এই মধুর বাহুল্য লক্ষ না করে পারা যায়? 

সঞ্চিতার চলার পথটির দিকে আমি প্রেম নিয়ে, আর্তি নিয়ে, মমতা নিয়ে তাকিয়ে রইলাম।

 

Be the first to comment

আপনার মতামত...