সৌনক দাশগুপ্ত
#১
দুটো শালিখ কবাডি খেলছিল উঠোনে, থুড়ি ফ্ল্যাটের নিচে গ্যারেজটায়!
#২
বাজারের সবাই দেখছে সন্ধে থেকে কুকুরদুটো জোড় লেগে আছে। ওদের এটাই স্বাভাবিক। মানুষগুলো ইতু পাগলির সাথে বিল্লু আর ওর ছেলেদের দেখতে পায়নি।
#৩
বিকেলের রোদ্দুরটা অলসভাবে শুয়ে পড়েছে। বিপুল দাস আর জোৎস্না সরকার হয়ে। ৭৭-এর মাঘ মাসের সেই নজরদারি তো এই বৃদ্ধাবাসে নেই।
#৪
তিনটে আরশোলা। চিৎ কেলিয়ে পাশাপাশি পড়ে আছে। ওদের থেকে ঠিক হাতখানেক দূরেই খালি শিশিটা দাঁত কেলিয়ে হাসছে। আরও তিনটে শিকারের মস্তিতে। প্রথম শিকারটা একটু আগেই মুচমুচে গল্প হয়ে গেল। ছেঁড়া যোনি নিয়েই।
#৫
এত মিষ্টি ধূপের গন্ধটাও অসহ্য লাগছে জয়িতার। পোড়া চামড়ার গন্ধটা কিছুতেই সুযোগ দিচ্ছে না ওকে। সাথে ওই বদরাগী ঘামটা।
#৬
অমাবস্যা গলির অন্ধকারটাকে দুরন্ত স্কিলে টালমাটাল ডজ করতে করতে এগিয়ের যাচ্ছে শোভন। ৪১/বি শ্যামাচরণ মিত্তির লেনের বাড়িটার দিকে। হুইস্কির আমেজটা ঠাণ্ডা পানের সাথে বেশ আরামে মিশে যাচ্ছে। হুট করে একটা মেয়েলি হাত শোভনের কাঁধটা সামলে ধরল।
–এই কমলী ছোড় দে আজ মুঝে। পকেটে একটা পয়সা নেই মাইরি। একটা বেলফুলের মালাও….
–বাবু আমি তোর মা!
#৭
ভীষণ লজ্জা লাগছে শর্মিলার। ওর ভরা বসন্তের উদোম শরীরটাকে লোকগুলো হাঁ করে মন দিয়ে গ্রাস করছে। ওর চোখ, মুখ, স্তন, নাভি, যোনি সব কিছু দুর্ভিক্ষের নেশায় গিলে খাচ্ছে ওরা। ওর কিচ্ছুটি বলার নেই স্টেথো গলার পুরুষগুলোকে। আ্যনাটমি ক্লাসে যেরম হয় আর কি!
#৮
নধর কচি মুরগিদুটো দিব্বি এক্কা দোক্কা খেলছে উঠোনে। ঠিক যেমন করে একটু পরে খেলবে জুঁই আর শিউলি। এক্কা দোক্কা …উবু দশ, কুড়ি, ত্রিশ… একদম কচি বাবু… জবাই হবার আগে।
#৯
আকাশ কালো করে বৃষ্টি এসে কাগজের হেডলাইনটা ঢেকে দিল ঝুপ করে। অগত্যা সাতের পাতায় আড়াই ইঞ্চি। অহংকারী নম্বর প্লেটের সাথে পিষে যাওয়া ফুটপাথের আর জাতে ওঠা হল না!