রাঁধার মত জায়গা চাই তোমার শরীরে, উনুন জ্বালানোর মত বাড়তি আঁচ। কামকলা পুরুষ্টু করে কেটে রেখেছি; গোল গোল, ফালা ফালা। ধোঁকার ডালনার মত চৌকো মোমবাতি প্রবিষ্ট করতে চাই তোমার নাভিস্থলে, যদি এলোমেলো আর্কিপেলাগো থেকে বেসিলধর্মী পেস্টো সাপ নেমে আসে, সচকিত হয়, খুলে ফেলে পাতুরির আড়াই প্যাঁচ।
তখনই ২৩:৩২ মিনিটের মাইক্রোওয়েভ আবর্তনে নার্গিসি কোপ্তার সঙ্গে চীজ মাখামাখি হৃদ্যতায় দাঁড় বাইবে অগ্রন্থিত টম্যাটো টুকরো, ধনেপাতা, ক্যারামেলাইজড পেঁয়াজ আরও বেশ কিছু – মোট ছ’জন মাল্লা। কুচবিহার থেকে যাত্রা শুরু করে গোবিন্দভোগ রিসটোর সানুদেশ হয়ে একেবারে নিম্নগাঙ্গেয় কাফির লেবুর অভ্যন্তরে রাধানগরের উদ্দেশে।
দুটো জোরালো সিটির পথনির্দেশ। এরপর কয়েক ফোঁটা সাদা ও জরদ রঙের জাফরান রস রতির সঙ্গে গুলে ছড়িয়ে দিলেই টগবগ করে ফুটবে দেহ, ঘাই মারবে মজে যাওয়া তেল কই, হরগৌরী আর অনেকরকম আদা ও কাঁচকলার সম্পর্ক।
রাধা, তোমার শরীরে এই কোজাগরী পূর্ণিমায় আমি কৃষ্ণসার হরিণী মাংসের রাতাতুই বানাবো আমার ইড়া পিঙ্গলার কোটরে ফুঁ দিয়ে, তাক লাগানো মোহনবাঁশীর রন্ধন কৌশলে। শুধু রাঁধার মত জায়গা চাই, উনুন জ্বালানোর মত বাড়তি আঁচ।
বিশ্বদীপ চক্রবর্তী পূর্ব প্রকাশিতের পর The Duck and the Kangaroo এক গাড়ি ড্রাইভওয়েতে রেখে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়েছিল হীরক। গ্যারাজে না ঢুকিয়েই। মনে হয়নি গাড়ি থেকে নামার কথাও। প্রায় বারো ঘণ্টা টানা চালিয়ে এসেছে— আশি নব্বই কখনও বা একশো মাইল গতিতে। এই গতিময়তার মাঝখানে ড্রাইভারের সিটে সে ছিল স্থবির।…
অনির্বাণ ভট্টাচার্য চুল থেকে একটা তরাস আনন্দর পায়ের আঙুল পর্যন্ত নেমে গেল। তাহলে বিপজ্জনক কিছু কি একটা আমার হবে? কিংবা হয়তো হয়েছে। সে ঘাবড়ে গিয়ে চারপাশে একবার তাকাল। প্রতিদিনের মতই লোকেরা হাঁটছে, বাস মোটর রিক্সা চলেছে, শব্দ হচ্ছে, অন্যদিনের থেকে কোনও পার্থক্য নেই। কিন্তু এখন তার চোখে পড়ল তিনতলার…