শ্রগ্ধরমালিনী দাস
এক
চোখ চাইল চোখ
ঠিক হল জমবে বেশ
অথচ খেরোর খাতায় আমার
পাবেনা তোমার নাম
যখন হিসেব করি তুমি থাকো গোপনে
মেন্টাল ম্যাথস কলমে লেখা বারণ
জনসমক্ষে চোখে আনা বারণ
অপর চোখ দেখে কর্তব্য কেবল চোখ হাসির মিথ্যে খোলস বোনা।
দুই
যা শেষ বলে এগিয়েছি
কোথাও তা আজ ও রয়েছে বাকি
কিন্তু বাড়ি ফেরার বেলা হয়েছে
সময় নেই কাঁধ ছুঁয়ে বলব, “এলাম।”
অন্তমিল যা আদতে নেই
তা কথায় কেমনে আনি ?
বা কেন, বলতে পারো?
আজ যাই। আসি।
তিন
আবার যদি কাছে আসা
অঁচিত এই জৈব পিশিত বাধা—
নইলে হাত আঁকড়ে বুকে রাখতাম
কায়ামুক্ত
স্পর্শ-স্মৃতি শুধুবা থাকত যদি মনে…
চার (বা তাও)
দ্বন্দ্ব-পটে অঙ্কিত এ জীবন
অমিত সে… ঢের;
একলা ঘরের ফ্যান হওয়ার চেয়ে স্বরব,
নিষিক্ত কামিজ-কোণ হতে শীতলতর…
প্রতিকণ্ঠ— সে মরুদ্যান ঘাতুক ঘনিমার।