প্রশান্ত ভট্টাচার্য
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির জন্মের ঠিক নেই। না, এটাকে গালাগাল ভাববেন না। এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য। আজ সিপিএম যে শতবর্ষ পালন করছে, তা ওই দলের মাদার অর্গানাইজেশন বা পেরেন্টাল পার্টি সিপিআই মানে না। সিপিএম মানে ১৯২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরকে তাদের জন্মদিন বলে। অর্থাৎ তাসখন্দ তাদের আঁতুড়ঘর। আর সিপিআই তা স্বীকার করে না। অজয় ভবনের মতে ১৯২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আর সেটা হয়েছিল কানপুরের একটি বৈঠক থেকে। তার মানে দুটি পার্টির দাবি অনুযায়ী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির গর্ভগৃহ ভিন্ন। আরও মজার অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরকেই জন্মকাল ধরত। পার্টি ভাগ হওয়ার পর সিপিআই(এম)-ও প্রথম ৭ বছর সেটাকেই জন্মকাল বলে মানত। সব পাল্টে গেল ১৯৭১ সালে। সিপিআই(এম)-এর নবম পার্টি কংগ্রেসের আগে ১৯৭১ সালের ৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে একটি প্রস্তাব নিয়ে বলা হল, ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে ১৯৫৯ সালে সিপিআইয়ের জাতীয় পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটা ঠিক নয়। ১০০ বছর আগে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তাসখন্দে মাত্র সাত জনের হাত ধরেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সূচনা হয়েছিল। মানবেন্দ্রনাথ রায়, অবনী মুখার্জি, ইভলিন ট্রেন্ট রায়, রোজা ফিটিনগভ, মহম্মদ আলি, মহম্মদ সফিক এবং এমবিপিটি আচার্য সূচনা করেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। সেই পথ চলা শুরু। ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তাসখন্দ থেকে প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন মহম্মদ সফিক। সিপিআই(এম)-এর মতে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তাসখন্দে প্রবাসী ভারতীয়রা এই যে কমিউনিস্ট পার্টি তৈরি করেছিলেন সেটাই আসল জন্মক্ষণ। এটাকে যদি আমরা কনজেনিটাল ক্রাইসিস বা জন্মের দোষ বলি, কোনও অন্যায় করা হবে কি? শুধু জন্মের দিনক্ষণ, গ্রহ-নক্ষত্রেই গরমিল নয়, গোলমাল বিপ্লবের নাম-ঠিকানা নিয়েও। একজন বলে, বিপ্লবের নাম হবে জাতীয় গণতান্ত্রিক আরেকজন বলে, না জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব-ই আসল নাম। কিন্তু আমাদের কথা, নাম যাই হোক, বিপ্লবটা হবে কবে? আমাদের দেশে কমিউনিস্ট পার্টি ১৯২০-তে হল না ১৯২৫-এ হল নিয়ে যখন আমাদের চাপানউতোর তখন দেখুন প্রতিবেশী দেশ চিনে কমিউনিস্ট পার্টি তারপরে জন্মিয়েও সেই ১৯৪৯ সালে বিপ্লব সম্পন্ন করে ফেলল। আর ভোট রাজনীতির নিরিখে ভারতের কমিউনিস্টরা এখনও এক দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত। প্রতিটি নির্বাচনেই তাদের রক্তক্ষরণ বেড়েই চলেছে। শতবর্ষ যাপন করা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পুঁজি এখন শুধুই কেরল। ওই রাজ্যেই ক্ষমতায় আছে বামপন্থীরা। বাংলা এবং ত্রিপুরায় ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার সুখস্বপ্ন এখন আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররাও দেখেন কি না, সন্দেহ। প্রশ্ন হচ্ছে শতবর্ষে পৌঁছে এদেশে কমিউনিস্ট পার্টির এই হাঁড়ির হাল কেন? কেন তার সর্বাঙ্গে ক্ষয়? নিশ্চয়ই যারা শতবর্ষ উদযাপন করছে, তারাই এর দায়িত্ব নেবে। তারাই বলবে, এইরকম শত সমস্যা জর্জরিত, ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে স্বতঃস্ফূর্ত গণ আন্দোলন গড়ে তাকে ভোটযন্ত্রে ট্রানস্লেট করতে না পারার দায়িত্ব কারা নেবে? কেন শতবর্ষ পরে চিত্তরঞ্জন থেকে লং মার্চ করতে সোমেন মিত্র-অধীর চৌধুরীর হাত ধরতে হয় বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্রর? কেন বিধানসভায় আব্দুল মান্নান জল খেলে সুজন চক্রবর্তীর পিপাসা মিটে যায়?
স্বাধীন ভারতে ১৭টি লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। এখন লোকসভায় দুই কমিউনিস্ট পার্টি মিলিয়ে সদস্য মাত্র পাঁচ। ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি ভাগের আগে ১৯৬২ সালের লোকসভা ভোটে অবিভক্ত সিপিআইয়ের প্রাপ্ত ভোট ছিল ১০.২ শতাংশ। তখন শুধু ৩টি রাজ্য নয়, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, বিহার, অসম, মণিপুর, সর্বত্রই সিপিআই কিছুটা ভোট পেয়েছিল। পার্টি ভাগের পর ওই পরিমাণ ভোট পরের ১৪টি নির্বাচনে ২টি পার্টি মিলিয়েও কখনও পায়নি। এই প্রসঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের কথা একটু বলা যাক। ১৯৫২ সালে তখনও হায়দরাবাদ। তেলেঙ্গানা কৃষক সংগ্রামের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কমিউনিস্ট পার্টি নিষদ্ধ, ফলে ১৯৫২ সালের ভোটে হায়দরাবাদে কমিউনিস্ট পার্টি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিএফ) নাম দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করে ৪২টি আসনে জিতল। ভোট পেল ২০.৭৬%। ১৯৫৭ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের পর প্রথম নির্বাচন। সিপিআই পিডিএফ হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে ২২টি আসনে জিতল বটে কিন্তু ভোট পেল ৩১.১৩%। এমনকী, ১৯৬২-র লোকসভা নির্বাচনেও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৭টি আসনে জিতল সিপিআই। ১৯৫৭ সালে কেরালায় ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদের নেতৃত্বে প্রথম কমিউনিস্ট সরকার গড়া হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই কেরলের সেই বামপন্থী মন্ত্রিসভা ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদে অন্তত ২০০টি জেলায় বিরাট বিরাট মিছিল সমাবেশ হয়েছিল। সেই অবস্থা এখন আর নেই। এখন কোথাও ধাক্কা খেলে কমিউনিস্ট পার্টি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। আর এর কারণ, বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান দশা। আমাদের দেশে যখন কমিউনিস্ট পার্টি একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে হাতা গোটাচ্ছিল তখন বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাও ছিল বিকল্প একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চিন ছাড়াও বিশ্বে ১১টি সমাজতান্ত্রিক দেশ ছিল। এদেশের শাসক দল কংগ্রেসও ছিল সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর প্রতি দরদী। ফলে কমিউনিস্ট পার্টির ছিল কিছুটা পরোক্ষ সহানুভূতি, বিশেষ করে অবিভক্ত অবস্থায়। তার ওপর চিন-রাশিয়ার মহাবিতর্ক ও তার জেরে সমাজতান্ত্রিক দুনিয়া দ্বিধাবিভক্ত, ১৯৬৭ সালে আমাদের দেশে নকশালবাড়ি, কমিউনিস্ট পার্টি তৃতীয় টুকরো হল। আমাদের দেশেও আগের অবস্থা আর রইল না। সমাজতান্ত্রিক দুনিয়া কেন ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে প্রতিটি কমিউনিস্ট পার্টি থিসিস তৈরি করতে শুরু করল। ১৯৯২ সালের ৩ থেকে ৯ জানুয়ারি সিপিআই(এম)-এর চেন্নাই পার্টি কংগ্রেসে সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার ভেঙে পড়া নিয়ে একদফা চর্চা হল। একটা আধাখ্যাচড়া দলিলও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্ত।
১০০ বছর বা পাঁচ কম ৯৫ বছর যা-ই হোক না কেন, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকাটা কিন্তু অগৌরবের নয়। অনেক ঐতিহাসিক আন্দোলনের নেতা কমিউনিস্ট পার্টি। তাই ১৯৭৭ থেকে ২০১১ সালের মে মাস পর্যন্ত এমন বহু সময় গেছে যখন পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং ত্রিপুরায় বামপন্থীরা সরকারে ছিল। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৭ সালের ২১ জুন থেকে টানা ৩৩ বছর ১১ মাস বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল। এই ক্ষমতায় থাকাটা কারও বদান্যতায় হয়নি, লড়াইয়েরই ফসল। পাঁচ ও ছয়ের দশকে আন্দোলন-সংগ্রামের পর যে সমর্থনের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল তারই ট্রানস্লেট হয়েছে ভোট বাক্সে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ত্রিপুরা— এই ৩টি অঙ্গরাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার সফল ভূমিসংস্কার করেছে। একসময় সিপিএম নেতৃত্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মনে করত গণতান্ত্রিক বিপ্লব ছাড়া আইন করে ভূমিসংস্কার সম্ভব হতে পারে না। কিন্তু তা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গের ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালের অভিজ্ঞতা থেকে সিপিএম নেতৃত্ব মনে করত, বুর্জোয়া জমিদার রাষ্ট্রের প্রতিভূ কেন্দ্রীয় সরকার কমিউনিস্টদের ক্ষমতায় থাকতে দেবে না। অথচ ৩৪ বছরের অভিজ্ঞতা বলছে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো চিনতে সিপিএম ভুল করেছিল। আজও ক্ষমতাচ্যুত সিপিএম নেতারা মনে করে সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদী চক্রান্তের খেলায় বাম সরকারের পতন হয়েছে, সরকার পরিচালনায় বামপন্থীদের জনবিরোধী কোনও ভূমিকা ছিল না। ছিল না নীতিগত কোনও ভুল। যেমন, বিশ্বায়নের গোড়ার কথা বুঝতে ভুল করেছে কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৯১ সালে নরসিমা রাও, মনমোহন সিংয়ের নয়া অর্থনীতির পর সিপিআই, সিপিএম বলেছিল দেশ রসাতলে যাবে। আজ কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না ১৯৯১ সালের জনসংখ্যার তুলনায় মধ্যবিত্ত পরিবার যা ছিল, তার সংখ্যা বিগত ২৭ বছরে জনসংখ্যার অনুপাতে বেড়েই চলেছে। মানতেই হবে, তিন দশক আগের জনসংখ্যার তুলনায় যত শতাংশ লোক ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, স্মার্ট ফোন জাতীয় অত্যাধুনিক গ্যাজেট ব্যবহার করে সেই অনুপাত বেড়েছে। তৈরি হয়েছে বিরাট মধ্যবিত্ত সমাজ। উদারবাদী অর্থনীতির প্রভাবে রোজগারের যে নানারকম উপায় খুলে গিয়েছে, তা কোন যুক্তির ধামায় চাপা দেওয়া যাবে? শতবর্ষের সিপিএম তা থেকে চোখ ঘুরিয়ে এগোনোর যে পথ খুঁজেছে, তা এক আত্মঘাতী পদক্ষেপ। আমার কথা হচ্ছে, তুমি যখন সশস্ত্র বিপ্লবের পথে পা রাখছ না তখন অমৃতপাদ ডাঙ্গে কতটা কংগ্রেসের সঙ্গে গলা মিলিয়ে চলছে, তা বিচার করতে গিয়ে দলটা ভাঙার দরকার কী ছিল? সেই ভাঙা সিপিএম যখন সিন্ডিকেট কংগ্রেসের হাত থেকে ইন্দিরাকে বাঁচাতে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিল বা আরও পরে ২০০৪ সালে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে সরাসরি সমর্থন করল তখন, দল ভাঙার কী দরকার ছিল? এমনকী, যে সিপিএম আজ মনে করে ১৯৯৬ সালে জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী না হতে দেওয়াটা একটি ‘ঐতিহাসিক ভুল’ তারা কেন আজ বলছে না, সংসদীয় পথেই যখন রাজনৈতিক বিস্তার তখন ‘জনগণতান্ত্রিক’ না ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক’ বিতর্ক করে দল ভাঙাটাও ঐতিহাসিক ভুল হয়েছিল। বিশেষ করে আজ যখন পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের জোট হচ্ছে, লং মার্চ হচ্ছে তখন তো বলতেই হবে ১৯৬৪ সালে পার্টি ভাঙা একটি ঐতিহাসিক ভুল। তার খেসারত দিতে হচ্ছে ভারতীয় খেটেখাওয়া জনতাকে। বলতে হবে ওইসব ঐতিহাসিক ভুলের সমান্তর শ্রেণির যোগফল আজকে বিজেপির রমরমা। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের জমানা তৈরি হওয়া। এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানা তৈরি হওয়া।
এত কথা তোলা হল এই কারণেই, বয়স তো কিছুই নয়, নিজেকে ও পরিপার্শ্বকে যথাযথ বিচার করার যোগ্যতা। তোমার ১০০ বছর হয়েছে তো কী হয়েছে? কিটস কত বছর বেঁচেছিলেন কিম্বা বিবেকানন্দ? তাঁর চেয়ে ঢের বেশি বছর বেঁচে কোন মহৎ কাজটা করেছেন অনেকে? তুমি যে ১০০ বছরের বড়াই করছ, তাতে ভারত নামক রাষ্ট্রের কী যায় আসে। যে কমিউনিস্ট পার্টিটার বয়স মাত্র ১৫ বছর, তার ভয়ে কাঁপছে রাষ্ট্র। দুনিয়া তাকে রেয়াত করছে। অতএব এসব বড়লোকের লালটু ছেলের মতো জন্মদিন, জন্মশতবর্ষ করার মানে কী? ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটির তো বয়স ১৩৪, তা তার দশা কী? বিজেপি তো সেই তুলনায় ‘হাঁটুর বয়সি’, তবু তাদের দাপটের কাছে ঘুম ছুটে গিয়েছে আকবর রোডের ম্যানেজ মাস্টারদের! আবার শত বছরে পা দিতে পাঁচ বছর বাকি যে আরএসএসের, তার যেন ভরা বসন্ত। ফলে তোমার ১০০-তে আমাদের কিছু যায় আসে না। শুধু মনে হয়, শ্রমিক বা কৃষক আন্দোলন বা কর্মচারী সংগঠনগুলোর দাবি আদায়ের লড়াইয়ে, সামাজিক ন্যায়ের জন্য লড়াইয়ে আজও বাম আন্দোলনই ভরসা। ভরসা বামদলগুলোই। কেননা, সাধারণ মানুষ জানে, একমাত্র নিঃস্বার্থ এবং কায়েমি স্বার্থহীন গণ আন্দোলন এদেশে বামপন্থীরাই করেছেন। তাই নির্বাচনী জয়-পরাজয় বা ভোটশতাংশের হিসাবই সবসময় রাজনৈতিক দলের যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রণ করে না, যেমন করে না সেই দলের বয়স কত হল। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আজও মনে করেন, যতই গেরুয়া শিবির আস্ফালন করুক, এদেশে বামপন্থী রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা এক ইঞ্চিও কমেনি। শতবর্ষ তাই বিষয় নয়, আন্দোলন সংগঠিত করাটাই বিচার্য।