সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়
এমন একটা সময়ে, এমন একটি বিষয়ে লিখতে গিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে না বলার অর্থ হল দ্বিচারিতা করা। তাই প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে আমি অপরাধ হিসেবে ‘ধর্ষণ’ ও শাস্তি হিসেবে ‘ফাঁসি’ দুইয়েরই অবসান চাই। কারণ হিসাবে নির্দ্বিধায় বলতে পারি ‘ধর্ষণ’ হল অপরাধ হিসেবে ততটাই ভয়ানক ঠিক যতটা ‘ফাঁসি’ শাস্তি হিসাবে। এমনকি ধর্ষণের শাস্তি হিসাবেও! এমনকি যেকোনও ‘অপরাধের’ শাস্তি হিসাবেই। অনেকেই খড়্গহস্ত হবেন, বলবেন আপনার বাড়ির মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে কী করতেন? আমি বলব, একইভাবে একই কথা বলে যাব— ‘ধর্ষণ’ আর ‘মৃত্যুদণ্ড’ দুটি থেকেই মুক্তি চাই। কারণ প্রতিশোধস্পৃহা একটি সভ্য সমাজের নিয়ম হতে পারে না। জীবনের অধিকার একজন মানুষের নিজেকে সংশোধনের সুযোগের অধিকার দেয়। আপনি বলবেন আমি ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছি! আমি বলব ‘না’। ধর্ষণের অবসান চাইতে, একটি সুস্থ সমাজের গড়ে ওঠার স্বার্থ এবং নিরাপত্তা বিষয়টিকে লিঙ্গনিরপেক্ষ করতে ও অধিকারের পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সমস্ত রকম হিংসার সংস্কৃতির অবসান চাইছি। অপরাধীর চেয়ে অপরাধকে সামাজিকভাবে, আরও বেশি করে ঘৃণা করতে চাইছি। মৃত্যুদণ্ড তাত্ত্বিকভাবে দেখতে গেলে আইনি নিয়ম ও প্রক্রিয়ায় একজন প্রমাণিত অপরাধীকে সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত জীবনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। এর ফলে অপরাধের সংখ্যা তো কমেই না বরং বহু আসল অপরাধীই অর্থশক্তির জোরে বেঁচে যায়। কোপ পড়ে গরীব অপরাধীদের উপর। ফলত কাজের কাজ কিছুই হয় না।
ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের কারণ
আমাদের দেশে প্রতিদিনই ধর্ষণের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। যে কোনও অপরাধের মত ‘ধর্ষণ’ হল লিঙ্গবৈষম্যভিত্তিক, পিতৃতান্ত্রিক সমাজের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ মনে রাখা দরকার যে কোনও ব্যক্তি ধর্ষক হয়েই জন্ম নেয় না। বরং সমাজ ও পারিপার্শ্বিকতায় সে ধর্ষকে পরিণত হয়। পণ্যায়ণ বিশেষত নারী শরীরের পণ্যায়ণ, নারীদের প্রতি দয়ার মনোভাব, সামাজিক বৈষম্য, পরিবারে মেয়েদের অবস্থান, স্ত্রীকে স্বামীর সম্পত্তি হিসাবে দেখবার ধর্মীয় নিদান, সব মিলিয়েই আমাদের দেশে প্রতিদিন প্রতি ঘণ্টায় ধর্ষণের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এমন কি নির্ভয়াকাণ্ড, তারপর বিচারপতি ভার্মা কমিশন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নং ধারার ২০১৩ সংশোধনী, প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস আইন ২০১৩ আসার পরেও এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। ২০১৪ সালে আমাদের দেশের শাসন ক্ষমতায় আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার আসার পর এই পিতৃতন্ত্র সামাজিক নিয়মের মত আইনের নিয়মকে দখল করার চেষ্টায় তৎপর হয়েছে। ফলে ধর্ষণ বারে বারে একটি সামাজিক, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে যাচ্ছে। উত্তর সত্যের আমলে গণমাধ্যম এক একটি বাছাই করা ঘটনা নিয়ে আমাদের ভাবাচ্ছে আর আমরা সেই নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধ নির্মূল করার চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছি। লক্ষ্যণীয় এই যে মিডিয়া কিন্তু ধর্ষণের মূল কারণগুলি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না বা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্টভাবে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে গণহিস্টিরিয়া সৃষ্টি করছে। সামাজিক জীবনে ঠিক যেভাবে মূল্যবোধের পরিবর্তন হচ্ছে সেইভাবেই মানুষের মধ্যে বেড়েই চলেছে প্রতিশোধের স্পৃহা।
ধর্ষণের অভিযোগ ও পুলিশ
তথ্য ও পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে আমাদের দেশে দায়ের হওয়া অভিযোগের সংখ্যা বিশেষ করে ধর্ষণের মত অপরাধের ক্ষেত্রে সীমিত। এর একটা কারণ হল শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা ধর্ষণের শিকার তাদের চেনা মানুষের দ্বারা। আর এইখানেই আপত্তি। পারিবারিক, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অভিযোগকারিণীর ‘আক্রান্ত’ পরিচয়টা তার জীবনে সবচেয়ে বড় অভিশাপ হয়ে ওঠে। মৃত্যুদণ্ড এই প্রক্রিয়াকে আরও কঠিন করে দেয়।
সামাজিকভাবে যে ধর্ষকদের কোনঠাসা হওয়ার কথা তা না হয়ে কোনঠাসা হয়ে যায় সেই মেয়েটি, যার উপর নিজের সম্মানহানির চেয়ে পরিবারের বা তথাকথিত চেনা লোকের মৃত্যুদণ্ডের দায় বর্তায়। ফলে সব কিছুই ম্যানেজ হয়ে যায়। পরিবার রাষ্ট্র ধর্ষণ ফাঁসি সব কিছুই একটার সঙ্গে একটা যুক্ত হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি করে কঠিন হয় অভিযোগকারিনীর নিজের অবস্থান। মনে হয় যেন ধর্ষিতা হয়ে তিনিই অপরাধ করেছেন। এর উপর থাকে পাড়া, গ্রাম, শহর, সমাজের করুণ দৃষ্টি। পুলিশ প্রশাসন মনে করেন যেন অভিযোগকারিনীকে তারা নিরাপত্তা দিয়ে দয়া করছে। আসলে এই সবকিছুই হয়ে থাকে সমাজে মেয়েদের বর্তমান অবস্থানের জন্য। রাতে মেয়েরা বেরুবে না, কাজ করবে না থেকে শুরু করে মেয়েরা কী ধরনের জামাকাপড় পরবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়, উপদেশ দেওয়া হয়। এর সূত্র কিন্তু লুকিয়ে আছে মেয়েদের রক্ষা করার পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবে। যেন মেয়েরা নিজেদের রক্ষা করতে পারে না পুরুষ ছাড়া! এই ধারণাই আমাদের দেশের পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা প্রতিটি ঘটনায় কারও বাবা, ভাই, স্বামী হই কিন্তু একজন নাগরিক হিসাবে সহনাগরিকের অধিকার রক্ষার কথা ভাবি না। ফলত সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয় না। এর উপরে থাকে পারিবারিক হিংসা, যৌন অত্যাচার, আত্মীয় এমনকি নিজের বাবার দ্বারা মেয়ের ধর্ষণের ঘটনা। যদি অভিযোগই না করার পরিস্থিতি থাকে তাহলে মৃত্যুদণ্ড কেন, প্রকাশ্যে ফাঁসি দিলেও দুদিনের হেডলাইনের খোরাক হয় বটে কিন্তু তার আড়ালে থেকে যায় প্রতি মিনিটে ঘটে যাওয়া অসংখ্য ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অকথিত ঘটনা।
আইন-মিডিয়া-বিচার
আইনপ্রণেতারা ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলে অথচ চোখের সামনেই নির্ভয়ে অপরাধীর পক্ষে মিছিল সংগঠিত হয়। আচ্ছা কখনও ভেবে দেখি কি আমরা, যে প্রতিদিন ঘটে চলা ধর্ষণের ঘটনার প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে কি একইভাবে জোরালো মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে? ঠিক যে যে কারণগুলির জন্য মৃত্যুদণ্ড শাস্তি হিসেবে ভয়ঙ্কর তার চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর হল মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীকে না মরা অবধি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা। এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে পেতে হলে আমাদের দেশের মূল ফৌজদারি আইনের শাস্তির বিধানগুলির দিকে নজর দিতে হবে। ধর্ষণের সাজা হিসাবে ফাঁসির কথা অনেকেই বলছেন, কিন্তু বীভৎসতা দিয়েই কি বীভৎস একটি অপরাধের অবসান ঘটানো সম্ভব? নাকি একবিংশ শতাব্দীতে আরও কোনও বিকল্প পথে ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের অবসান সম্ভব? অপরাধ নির্মূল করা রাষ্ট্রের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্য পূরণের একটি রাস্তা হল নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করা এবং দোষ প্রমাণের সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির সাজা ঘোষণা। মৃত্যুদণ্ড কেন খারাপ বা মৃত্যুদণ্ডের মধ্যে না মরা অবধি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা আরও খারাপ কেন তা নিয়ে কোনও বিচারতত্ত্বের ভারী তাত্ত্বিক আলোচনার অবতারণা করতে এই লেখা নয়। এই লেখার আসল উদ্যেশ্য একটু ভেবে দেখা যে কেন বাছাই করা কয়েকটি ঘটনাতেই শুধু এই মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলা হয়, গলা ফাটানো হয়। গলা ফাটিয়ে অপরাধীর ফাঁসির দাবি করা হয়, এমনকি অপরাধী প্রমাণিত হবার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই এনকাউন্টার করে মেরে দেওয়া হলেও এনকাউন্টারকারী পুলিশ অফিসার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনগণের বাহবা কুড়ান। ফাঁসি বা এনকাউন্টার কোনওটাই ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে কার্যকরী নয়। সুপ্রিম কোর্ট বারে বারে বলেছেন একমাত্র “Rarest of rare case” ছাড়া মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না। সাধারণত নারকীয় ধর্ষণ ও হত্যা একসঙ্গে হলে অথবা গণধর্ষণ বা শিশুধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বর্তমান আইনে আছে। অথচ এই ঘটনাগুলি বারেবারেই ফিরে ফিরে আসে আরও বেশি বীভৎসতার ছাপ নিয়ে।
মৃত্যুদণ্ড
নির্ভয়া কাণ্ডের পর আইন ভারতের প্রাক্তন বিচারপতি ভার্মার নেতৃত্বাধীন কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন তাতে ধর্ষণের সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ করা হয়নি।
সুতরাং যারা চোখের বদলা চোখ বা দাঁতের বদলা দাঁত চান তারা আগে ঠিক করুন শাস্তি না প্রতিশোধ কোনটা চান। ধর্ষণ ও প্রতিশোধ দুটিই ভয়ঙ্করভাবে পিতৃতান্ত্রিক এবং যুদ্ধবাজ সংস্কৃতির দান। তাহলে কি আমাদের মেনে নিতে হবে বারবার ধর্ষণের ঘটনা? নাকি ধর্ষণবিরোধী সংস্কৃতি নির্মাণে জোর দিতে হবে? বা লিঙ্গ পণ্যায়নের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে? মেয়েদের সম্পর্কে সমগ্র রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিই বদল করা দরকার। ভার্মা কমিশনের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে ধর্ষণের ভাগের কথা বলা আছে মূলত নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। অভিযোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়া অবধি প্রক্রিয়াটিকে নির্যাতিতা মহিলার সমানাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমগ্র ব্যবস্থার প্রতি নির্যাতিতার আস্থা রক্ষা করার মধ্য দিয়েই ধর্ষণের ঘটনার প্রকৃত বিচার করা সম্ভব। তবে কতকগুলি ধর্ষণের ক্ষেত্রে আমাদের আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত হয়েছে ২০১৩ সালের সংশোধনীর মাধ্যমে। যেমন শিশুকন্যার ধর্ষণের ঘটনা অথবা গণধর্ষণের মত বর্বর অপরাধের ক্ষেত্রে। কিন্তু তথ্যের আলোকে দেখলে দেখা যাবে এই যে এতদসত্ত্বেও শিশুধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনার কোনও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। ফলত ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড কতটা কার্যকরী তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। ভার্মা কমিশন এই কারণেই পুলিশি সংস্কার, রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচনী সংস্কার এবং সর্বোপরি আমাদের মনোভাবের আমূল সংস্কারের দিকে জোর দিয়েছেন।
কী করা দরকার?
আমাদের বিচার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচার পদ্ধতির আরও সংস্কার দরকার। এটা যেমন ঠিক যে Justice Hurried, Justice Burried একইভাবে এটাও সত্য যে Justice Delayed, Justice Denied. বিচারবিজ্ঞানের এই দুটি বক্তব্যের মধ্যে ভারসাম্য রচনা না করতে পারলে ধর্ষণের মত একটি সামাজিক অপরাধ, যার কারণ লুকিয়ে আছে শ্রেণিবিভক্ত সমাজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক নিয়মের মধ্যে, সেই সামাজিক নিয়মগুলিকে পরাস্ত করতে না পারলে তাকে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। অথচ আজকের ভারতে এই প্রক্রিয়াটির অভাব দেখা যাচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের সংখ্যা বাড়িয়ে, প্রতিদিনের শুনানি সম্পন্ন করে প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনার সম্পূর্ণ বিচার করার প্রয়োজন। অথচ এই সহনশীলতার প্রশ্নে আমরা বোধহয় কিছুটা পিছিয়ে এসেছি। তাই সাম্প্রতিক তেলেঙ্গানা কাণ্ডের প্রেক্ষিতে এনকাউন্টারের মাধ্যমে আসামী হত্যা জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সোস্যাল মিডিয়া ভরে ওঠে প্রতিশোধস্পৃহায়। মনে রাখা দরকার ধর্ষণ আর এনকাউন্টার হল বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার একই পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবের বহিপ্রকাশ। মনে রাখতে হবে যে এনকাউন্টারে মারলে দেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের আস্থা কমবে, ধর্ষণের সংখ্যা না কমলেও। তার উপর ভার্মা কমিটির সুপারিশ অনুসারে ম্যারিটাল রেপকে অপরাধের পর্যায়ে পরিগণিত না করলে মহিলাদের উপর পুরুষের মালিকানার বিষয়টির আইনি স্বীকৃতি থেকেই যায়। এমতাবস্থায় আমাদের কঠিনতম আইনও দুর্বল হয়ে পড়ে। অনুপ্রবেশ নয়, সম্মতি— ধর্ষণের বিচারের এই মাপকাঠি সম্পর্কে, সমানাধিকারের ভিত্তিতে শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসার ছাড়া কিছুতেই এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ধর্ষণের মত অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব নয়। তা মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হোক আর এনকাউন্টারই করা হোক। নখের বদলে নখ, চোখের বদলে চোখ নেবার স্পৃহায় সমাজটাই শুধু অন্ধ হয়ে যায়।