হিন্দোল ভট্টাচার্য ‘সে তো জানে, রাস্তার বাঁকে/ সুন্দর জেগে বসে থাকে’। সমালোচনা নামক বিষয়টির উপর যখন আস্থা হারাচ্ছি, তখন সেই সব বই নিয়েই লিখতে ইচ্ছে করে, যেগুলি হাতে পেলে মনে হয় এক একেকটি কবিতার মধ্যে কত গ্রাম, কত শহর, কত অনুভূতিমালা। কিন্তু আজকাল কবিতার বই নিয়ে লিখতে গেলেই মনে…
চৈতালী চট্টোপাধ্যায় কী লেখা পড়তে চাই, কেমন লেখা পড়তে চাই ভাবতে বসলে... না, জ্ঞানসমুদ্রের তীরে বসে বসে নুড়ি কুড়োচ্ছি, অজ্ঞান-আমার, এই বোধ জাগে না বটে! কিন্তু একটা লাইব্রেরি রুম কিংবা গোটা একটা ওয়াল টু ওয়াল বইয়ের আলমারির (অবশ্যই বই ঠাসা) দিকে ভ্যাবলা মেরে চেয়ে আছি খুব, মনে হয়। হা-হা! হাসি পেয়ে গেল হঠাৎ। এ লেখার সামনে তো বিপুল সম্ভাবনা, নিজের পড়ার পরিধি জানানোর। দেশি বিদেশি, সমসাময়িক শূন্যতামুখী বই কিংবা কিঞ্চিৎ উত্তর-আধুনিক হতে চেয়ে, ন্যাপথলিনের গন্ধ-ধরা দুষ্প্রাপ্য বইগুলির নেম ড্রপ করলেই তো কেল্লাফতে! নাহ্! কালীকৃষ্ণ গুহ-র চাঁপাফুল রঙ মলাটের হস্টেল থেকে লেখা কবিতা, ভাস্কর চক্রবর্তীর একটু মেরুন-ঘেঁষা…
অনিতা অগ্নিহোত্রী গাছ মৌনের উপর চুল এলিয়ে এই আমি এক গাছ ভাবছি কীভাবে লিখি এই নিবিড় রাত্রি নিষ্তারকা আকাশের ফাঁকা যে উল্কা এই মাত্র ছুটে বেরিয়ে এল গ্রহাণুপুঞ্জের সম্মিলিত উল্লাসের ভিতর থেকে তার একটি রক্তাক্ত নুপূর এসে পড়েছে এই অরণ্যের সুগভীরে না না অরণ্য কোথায়, এ যে শ্মশান আর…