অভিষেক ঝা
লেখক গদ্যকার ও অনুবাদক। পেশায় শিক্ষক।
সিএএ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২২শে জানুয়ারির শুনানিতে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এই সময়ে সিএএ লাগু করার বিষয়ে কোনও ধরনের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেয়নি। এই সময়ের মধ্যে অসম ও ত্রিপুরার সঙ্গে সম্পর্কিত ছাড়া সিএএ-বিষয়ক অন্য কোনও মামলায় ভারতবর্ষের কোনও কোর্ট যাতে সিএএ লাগু করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ না দেয় সেই মর্মেও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ ভারতীয় ‘লিবারেল’দের মনে পূর্ববর্তী বহুবারের মতো এইবারও একটি হতাশাসূচক বড় প্রশ্নচিহ্ন এনেছে। এই বড় প্রশ্নচিহ্নটি পূর্ববতী বহুবারের মত এইবারও কয়েকটি ছোট ছোট প্রশ্ন নিয়ে গঠিত। প্রশ্নগুলি পূর্ববর্তী বহুবারের মত বহুচর্চিত:
- ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট কি ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে চলছে?
- প্রধান বিচারপতি নিয়োগ কি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বার্থের অভিমুখের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই করা হচ্ছে?
- সুপ্রিম কোর্ট যে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সময় দিচ্ছে সেটা কি গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক?
প্রথম দুইটি প্রশ্নের উত্তর ভারতীয় ‘লিবারেল’রা বরাবর জানেন। জানা সত্ত্বেও তাদের ‘লিবারেল’ মন ‘ভারতীয় গণতন্ত্র’-এর আফিমে বিশ্বাস রেখে এসেছে প্রাক-২০১৯ ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনক্ষমতায় আসার আগে অবধি। ২০১৪-তে ‘গণতান্ত্রিক’ পদ্ধতি অনুসরণ করে বিজেপি ভারতীয় কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থায় আসার পর এবং ২০১৯-এ ‘গণতান্ত্রিক’ পদ্ধতির মাধ্যমে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি সরকারে পরিণত হওয়ার পর থেকেই ‘লিবারেল’দের ‘গণতান্ত্রিক আফিম’-এর ঘোর খানিক কাটতে শুরু করে এবং একদম জলের মতো স্বচ্ছ একটি বিষয়কে তারা অবশেষে মেনে নেওয়ার জন্য নিজেদের মনকে প্রস্তুত করেন: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এমন একটি প্রতিষ্ঠান নয় যা কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দূরত্ব রেখে ‘নিরপেক্ষ’ভাবে ভারতীয় সংবিধানকে ‘রক্ষা’ করতে থাকবে। খুব তেতো হলেও এই কথা সত্যি যে ‘ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের টালবাহানা ভারতীয় জনমানসে তেমন প্রভাব ফেলেনি। ‘ভারতীয় সার্বভৌমত্ব’ রক্ষার নেশা সংবিধানকে পাশ কাটানো এবং মানবিকতার চেয়ে প্রবলতর হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের ভাজপায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে তাই দেশজুড়ে তেমন প্রতিবাদও হয়নি। ‘বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং কল্পিত রামমন্দির নির্মাণ’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আবারও সংবিধানকে পাশ কাটিয়েছিল। এই রায়দানের আগে ভারতীয় ‘লিবারেল’দের গড়পড়তা অবস্থান ছিল হয় সর্বধর্ম সমন্বয় অথবা মসজিদের জায়গায় ইস্কুল-হাসপাতাল ইত্যাদি। এই অবস্থান অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টের ‘বিশ্বাসের আবেগ’ বুঝতে খানিক সাহায্য করে নিশ্চিতভাবেই। ফলে ধ্বংস করে দেওয়া মসজিদের জায়গায় মসজিদই চাই— এই নায্যতা থেকে সরে গিয়ে মন্দির-মসজিদ দুইই হোক অথবা ইস্কুল-হাসপাতাল হোক— দুটি দাবিই যে সংবিধান লঙ্ঘন করে তা বুঝতে আমাদের ‘সেকুলার’ মন কখনওই রাজি হয়নি। তাই ‘বাবরি-রায়’ সুপ্রিম কোর্টের ভাজপায়নের সিলমোহর বলেই ধরা যেতে পারে। ফলশ্রুতি হিসেবে প্রথম দুইটি প্রশ্নের উত্তর ভারতীয় ‘লিবারেল’দের কাছে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হতে থাকে। হ্যাঁ এবং হ্যাঁ।
প্রথম দুটি প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ হওয়ায় ভারতীয় ‘সেকুলার’ মানুষ শ্রেণি হিসেবে আগাম ধরেই নিয়েছে যে সিএএ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান বিজেপি সরকারের পক্ষেই হবে। ফলে ভারতীয় সংবিধানকে বিজেপি সরকার আবার সুপ্রিম কোর্টের সাহায্যেই লঙ্ঘন করবে এমন একটি আগাম ধারণা ভারতীয় ‘লিবারেল’দের মনে দৃঢ়ভাবেই শিকড় ছড়িয়েছে। এই প্রেক্ষিত থেকে সুপ্রিম কোর্টের এই সময় নেওয়া এবং বিজেপি সরকারকে সময় দেওয়া আপাতভাবে হতাশারই জন্ম দেবে ‘লিবারেল’ মননে। এই সময় পরিধিটিই কিন্তু ভারতীয় ‘মুসলিম’ মহিলাদের নেতৃত্বে চলতে থাকা গণ আন্দোলনটির দৃঢ়ভাবে মাটিতে নিজের শিকড় ছড়িয়ে দেওয়ার সময়ও বটে। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময় আন্দোলনের ব্যাপ্তি ও পরিধি বাড়িয়ে নেওয়ারও সময়। এই সময় পরিধিতে কত রকম সম্ভাবনাই জন্ম নেবে, তার আন্দাজ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
ধর্মীয় পরিচিতি দিয়ে প্রতিরোধ করতে চাওয়া একটি আন্দোলনে মানবতাবাদী, উদারমনস্করা ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’ গেয়েছিলেন কিছুদিন আগে। জাতীয় পতাকার ছায়া নিয়ে ‘বিজেপি বিরোধী নব্য ভারতীয় ভালো জাতীয়তাবাদ’ ধর্মীয় আইডেন্টিটি নিয়ে বিপন্ন বোধ করার প্রতিরোধকে গান্ধীয় ‘সেকুলারিজম’-এর ঢাল দিয়ে ‘নব্য উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় খারাপ জাতীয়তাবাদ’-এর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে চেয়েছে খুব আন্তরিকভাবেই। কিন্তু এই আন্তরিক ‘সেকুলারিজম’-এর দুর্বল দিকটি প্রকট হয়ে পড়ছে অন্তর্বতীকালীন এই সময়ে। ভারতীয় মুসলমানের ভিতর যেকোনও ছুতোয় ‘ইসলামি মৌলবাদ’ খুঁজতে চাওয়া একজন হিন্দুত্ববাদী ‘হিন্দু’র সঙ্গে নিজেকে উদারমনস্ক মনে করা ‘সেকুলার’ ভারতীয়র দূরত্ব কতটুকু তা পরখের এইটিই সময়। আর এই সময়েই শার্জিল ইমামের কথা শুনে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে তথাকথিত ‘উদারপন্থী মানবতাবাদীরা’। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অন্তর্বতীকালীন সময় এই অ্যাসিড টেস্টেই ফেলতে চেয়েছে এই প্রতিরোধকে। শার্জিলকে নিয়ে গড়ে ওঠা মতবিরোধ সেই অ্যাসিড টেস্টেরই প্রথম ধাপ।
আজকের ভারতে দাঁড়িয়ে বিজেপি-রাষ্ট্রের বিরোধিতা করা যেকোনও ভারতীয়ের কাছে ‘আজাদি’ একটি গ্রহণযোগ্য স্লোগান। অথচ শার্জিল ইমাম একজন ভারতীয় ‘মুসলিম’ হিসেবে যদি আজাদির জন্য বিজেপি-রাষ্ট্র থেকে কিছু অংশ স্বাধীন করার প্রস্তাব দেন, আমাদের মানবতাবাদী উদার মানসিকতা সেই দাবিতে এই সময়ের ভারতে দাঁড়িয়ে ‘ইসলামি মৌলবাদ’-এর জুজু দেখতে পাচ্ছে। এই জুজু দেখতে পাওয়া কি একজন ভারতীয় ‘সেকুলার’ হিসাবে মনের কোনও আলো না পড়া কোণে ঘাপটি মেরে থাকা ‘ইসলামোফোবিয়া’কেই সামনে এনে ফেলে? এই প্রশ্ন জন্ম দেয় আরও কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্নের। সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বতীকালীন সময়টুকু নিয়েছে প্রতিরোধকে অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়ার জন্য।
এই প্রতিরোধের সময়ে অফুরান উদ্দীপনা নিয়ে বাতাস কাটতে থাকা লাল পতাকার ভিতর আঁকা প্রীতিলতা ও ভগৎ সিং-এর মুখ একটি অতি সুপরিচিত দৃশ্য। প্রীতিলতা যে আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, সেই আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনিকে বিপর্যস্ত করে তুলতে রেল যোগাযোগ ছিন্ন করা ছিল এক অত্যাবশকীয় কর্মসূচি। সেই ধারা মেনে শার্জিল ভারতের ‘চিকেন্স নেক’ অঞ্চলে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে বিজেপি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের কথা বললে ভয় পেতে শুরু করছি কেন আমরা? তবে কি একজন ভারতীয় ‘মুসলমান’ অভ্যুত্থানের কথা বললে সেটাকে ‘প্যান- ইসলামি ভ্রাতৃত্বের’ সঙ্গে অজান্তেই জুড়ে ফেলে ভারতীয় ‘সেকুলার’ মনন? আমাদের ‘লিবারেল’ মনন মজনু শাহ, তিতুমীরদের প্রতিরোধকে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হিসেবে এখন মেনে নিয়েছে। অথচ শার্জিল সেই একই লাইন নিয়ে ‘মুসলমান’-এর প্রতিরোধে ‘মুসলমানি’ চিহ্ন নিয়ে যোগ দিতে বললে তাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করছি। আমাদের উদার চেতনা কি ইতিহাসবিমুখ, নাকি, মজনু শাহ, তিতুমীর এঁদেরকে আমরা এখনও অস্বীকার করতে চাই? সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সময় এই জটিলতা বোঝার জন্য জরুরি। জরুরি সেই আপাত নিরীহ সরল ‘নাস্তিক’ মনন বোঝার জন্য যা বিপন্ন ভারতীয় মুসলিমের প্রতিরোধ থেকে “নারা-এ-তকবীর”, “আল্লাহু আকবর” ভেসে আসলে কিংবা প্রতিরোধে যোগ দিয়ে সেই ধ্বনি দেওয়ার আহ্বান পেলে ভয় পায়। সেই ধ্বনিতে সে ‘ইসলামি মৌলবাদ’-এর প্রতিধ্বনি শুনতে পায়। মুশকিল হল চৈতন্যের প্রতিরোধ ও আন্দোলনে ‘হরিনাম’-এর সঙ্কীর্তন কিন্তু একজন সরল উদারপন্থী ভারতীয় প্রতিরোধের চিহ্ন বলে সূচিত করেন। অন্তর্বর্তীকালীন এই সময় এই সারল্যকেও প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন এই সময় খুব জরুরি নিজেদের ‘গুড মুসলিম’ বলে জানান দিতে চাওয়া ‘সেকুলার’ মনন বোঝার জন্য। এই ‘সেকুলার’ মানুষজন সিএএ-র প্রতিরোধকে ধর্ম-পরিচিতি অতিক্রম করে সর্বাংশে ‘ভারতীয়’ হিসেবে দেখার ইচ্ছে রাখেন। সিএএ-র মত সুনির্দিষ্টভাবে ‘মুসলিম’ পরিচিতিকে বিপন্ন করার আইনের প্রতিরোধের সময় ‘মুসলিম’ চিহ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবেই। অথচ ‘গুড মুসলিম’ মনন ‘ফেজ’ টুপিতে অস্বস্তি বোধ করছে। ‘গুড মুসলিম’ অস্বস্তি বোধ করছেন প্রতিরোধ ‘ইসলামি’ চিহ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে। ‘গুড মুসলিম’ শাহিনবাগ থেকে শার্জিলকে যেকোনওভাবে পৃথক করে ভারতীয় ‘মুসলিম’কে শ্রেণি হিসেবে বিপন্নতার দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। একজন গড়পড়তা ভারতীয় ‘মুসলিম’ যদি মুসলমান হওয়ার কারণেই বিপন্ন হয় তার প্রতিরোধ কি তিনি শুধুমাত্র একজন ভারতীয় হিসেবেই করবেন? এই প্রশ্নকে এড়িয়ে প্রতিরোধকে ‘সেকুলার’ দেখতে চাওয়ার ইচ্ছে কোনও না কোনওভাবে নিজেকে সংখ্যাগরিষ্ঠের ‘গুডবুকে’ থাকার অবচেতনকেই সামনে নিয়ে আসে।এই ‘গুডবুকে’ থাকার অবদমিত ইচ্ছা, ‘ফেজহীন’ কিংবা ‘ফেজ’ অতিক্রম করে ‘সেকুলার’ আন্দোলন দেখতে চাওয়া বিপন্ন করে তোলে ‘মুসলিম’ ধর্মাচরণ করা কিছু সাধারণ ভারতীয়কে। সেই ভারতীয়দের, যাদের না আছে নাস্তিক্যের দায়, না আছে ‘লিবারেল’ হওয়ার দায়। ভারতবর্ষের মাটিতে শুধুমাত্র ‘মুসলমান’ হিসেবে থাকতে বিপন্ন বোধ করায় তিনি শুধুমাত্র ‘মুসলমান’ হিসেবেই এই প্রতিরোধের অধিকারী। এই সত্যি অস্বীকার করে এই প্রতিরোধকে ‘বৃহত্তর সেকুলার’ প্রেক্ষিত দেওয়ার চেষ্টা যে আন্দোলনটির অভিমুখ গুলিয়ে দেওয়া সেটা ‘গুড মুসলিমরা’ যেকোনও কারণেই হোক না কেন বুঝতে চান না। অন্তর্বর্তীকালীন এই সময় খুব জরুরি ‘গুড মুসলিম’দের গোপাল হওয়ার অবদমিত ইচ্ছার সাথে ‘নট-গুড মুসলিম’দের চাওয়াপাওয়ার কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন এই সময় খুব জরুরি বিজেপি রাষ্ট্রের যাবতীয় নিপীড়ন সত্ত্বেও ভারতীয় ‘মুসলিম’ মহিলাদের নেতৃত্বে চলা এই প্রতিরোধ কতটা টেকসই তা বোঝার জন্যও। এবং এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ইতিবাচক দিক এই যে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, ‘লিবারেল সেকুলার’ আদর্শগত সমস্ত বিরোধ চলা সত্ত্বেও প্রতিরোধের আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরেনি একফোঁটাও। সুপ্রিম কোর্টের নেওয়া এবং দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন এই সময়ে বিজেপি রাষ্ট্র হরেকভাবে গণতন্ত্রকে ভাঙতে চাইলেও প্রকৃত অর্থেই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলছে এই সময়। ধর্মীয় পরিচিতির কারণে আজকের ভারতবর্ষে বিপন্ন বোধ করে ধর্মীয় পরিচিতিকে বাদ না দিয়ে এগোতে থাকা এই প্রতিরোধের ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টাই ভারতীয় গণতন্ত্রকে, ভারতীয় সেকুলারিজমকে এই বিপন্ন সময়ে দাঁড়িয়েও সাহসী করে তুলছে।
বা!