আঁধার বন্দনা
(১)
অশরীরীসম জাগে তোমার ঘূর্ণন
তবু আছো, তীব্র সত্য এই অবয়ব
মহাধূম ছায়া…
বৃষ্টি থেমে গেলে সেই জললগ্ন পাতা,
পাতার গভীরে এক দীর্ঘতর কূপ
ঘূর্ণনে ঘূর্ণনে নীল, বিষ
অথবা অমৃত ভাণ্ড, দেবতার ভাগ
নীলকণ্ঠ তুমি আজ তৃপ্ত কর প্রাণ
তোমার পিপাসা…
উপশম শেষে শুধু এই সত্য জানি
কাঙালের মূর্তিখানি, মন্থনের পানি
(২)
যদি খঞ্জ শালিখের মত
সহজিয়া ভুলে যাই আজ
যদি রৌদ্র চড়া হয় খুব
দিগ্বিদিক জ্বলে ওঠে মাথার ওপরে
তবে ছায়াখানি তুমি, সবটুকু হবে না কি আমার নির্মাণ?
আমার অশক্ত দিন, যষ্টি ধরা হাত
সবকিছু নির্বিশেষে নাও
তোমার ভিতরে।
ওগো শ্যামলিমা বেড়ি, আজ তবে ঘিরে ফেল আহত শরীর
তীব্র শরাঘাত…
তোমার উদরে আজ রৌদ্র শান্ত হোক…
(৩)
বাহকের কাঁধ বেয়ে চলে যায় ঢেউ
বৃক্ষের প্রকাশ সেই ফুল
বাহকেরা কাঁধে বয় তা’ই।
তীব্র রোদ, সেও যাবে পুনর্বার বাহকের গায়ে
বস্ত্রগুলি তাপে ভিজে, ঘর্মসিক্ত হবে।
বহুদূর ঢেউদের পথ,
দিঘল কাজল,
ওই পথে পাল্কি আসে নাতো…
সেই বহনের শ্রম, ভেজা গায়ে শুভ্রশান্ত বস্ত্র
ওদেরো জাগাও সখা অস্তরাগ গানে…
ছবিঋণ – ইন্টারনেট