আবাহন
১
ভেতর বাজিয়ে কেউ চলে গেল, পথ চিরে দিয়ে। আমি তার গান আর আবহাওয়া, দ্যোতনাসম্ভার। সুদীর্ঘ পয়ার টেনে এঁকে রাখি, স্থলে; ইঁদারায়। ভেতর বাজিয়ে কেউ ভেতরেই ডুবেছে হাওয়ায়।
২
তোমাকে অজস্র গানে পান করে রেখেছি কোমল। কড়ি ও কামনা সব গলে যাবে যে কোনও বিকেলে। তুমি চলাচল করবে, প্রত্যেক নিভৃত কুয়াশায়। কোমল কোমল শব্দ মালা হয়ে গেঁথেছে গলায়।
৩
তন্নিষ্ঠ পাঠক-কাল কালাতীত ভোরের ও’পারে। ডানাকে দোদুল ভেবে ঈশাবাস্য সন্ধ্যাকাশ ঝাড়ে। ঝাড়ে, অন্তরীক্ষময় মশারিবাহিত কথকতা। সমস্ত মৌনের ব্রতে পেতে রাখা শূন্যতাবিতান। পূর্ণতা গাছের নিচে থাকে জাগতিক আনচান।
৪
জগৎ তোমার গৃহ। সমীহের বিষয় আলাদা। তাই তুমি ছলে, স্থলে, চোখভরা এ-বাদলে ঋণাত্মক ধ্বনি তুলে হয়ে যাচ্ছ সাদা।
৫
স্থিতধী কিছুই নয়, স্থিতিস্থাপকতা ভালো জানে। প্রতিটি সন্ধানে কিছু উজ্জ্বল গলদ থেকে যায়। এই খুঁজে চলা, এই সন্ধ্যার আকাশভরা তারা। বিস্ময় গজিয়ে উঠছে পথে আর পাথরে পাথরে।