পাঁচটি কবিতা
ঠাঁই
আমাকে নতুন কোনো আকাশে কি ঘর দিতে পারো?
দুনিয়াদারির মাঝে এত কালো এত ঘোলা রং
আমাকে গিলতে আসে।
সে সমস্ত দেখে দেখে ভয় হয়, শুধু ভয় হয়।
মাটিতে পায়ের শব্দ, চিনে নিতে, চিনে নিতে নিতে
হিসেব মিলিয়ে নিতে, যত আলো তত অন্ধকার—
আমিই ফুরিয়ে গেছি বিষণ্ণতা হয়ে।
আমাকে রঙিন কোনো আকাশে কি ঠাঁই দিতে পারো!
নকলনবিশ
যত দিন চলে যাচ্ছে
শিখে নিচ্ছি নকলনবিশি।
এ যে এক ভয়াবহ খেলা
সবই জানি, আমি সব বুঝি।
কখনো ঘুমের মাঝে রোদ এসে চোখেমুখে পড়ে
ঘুম ভাঙে— রাত ভাঙি—
এলোমেলো হয়ে যায় ঘুম;
স্বপ্নের গভীর থেকে উড়ে আসে ডানাভাঙা পাখি
শব্দহীন হয়ে থাকে চরাচর, দিকচক্রবাল—
রাত থেমে থেকে যায়, নকল ভোরের রঙ মাখি।
মানুষ
“গেট ঝোলে না, মানুষ ঝোলে দাদা।”
বাদুড়ঝোলা, জীবনদোলা
সব আকালেই মানুষ ঝোলে;
ঝালে, ঝোলে বা অম্বলে
সব রাঁধাতেই মানুষ ফোড়ন
সাঁৎলে নেওয়া বাঁধা।
আসলে তো গেট ঝোলে না, মানুষ ঝোলে দাদা!
ভুলে যাওয়া
কাকে কাকে কী কী বলার ছিল,
আমি ভুলে গেছি সব।
আমার সারাটা দিনে
আর কোনো শব্দ নেই।
কেবল অনন্ত অপেক্ষা রয়েছে দুহাত বাড়িয়ে।
কীসের অপেক্ষা! আমি ভুলে গেছি সব।
বোঁচকা
আমরা যে যার বোঁচকা নিয়ে বসে আছি;
কখন নৌকো পেরোতে হয়,
খালপাড় দিয়ে, গ্রাম ঘেঁষে
আর যার যার বোঁচকা থেকে
বেরিয়ে যায় খানিক সময়
আমরা কেউ জানি না।
তবু এসব ঝোলাঝুলি, আমরা
যথাসাধ্য আগলে রেখেছি;
পাছে আমার সময় আর কারো ভাগে চলে যায়!
বাঃ এগুলো বেশ অন্য রকমের হয়েছে…বেশ ভালো লাগছে…