তিতাস বিশ্বাস
লেখক মূলত আগ্রহী পড়ুয়া। লেখালেখি স্বপ্রণোদনায়।
এই লেখাটি শুরু করতে চাই নয়া উদারনীতিবাদ সংক্রান্ত চমস্কির একটি প্লেটনিক উদ্ধৃতি (Pun ইচ্ছাকৃত) দিয়ে। “নয়া উদারনীতিবাদের মধ্যে মূলত যেটুকু উদার, তা নিয়ে বিশেষ কিছুই বলার নেই” (“there’s only very less to talk about what is so essentially liberal about it.”)। চমস্কি চিরকালই মার্ক্সের বেশ কিছু বক্তব্যের শাণিত সমালোচক বলেই পরিচিত। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর বেশ কিছু সমালোচনা আমি সমর্থনও করি। অন্যদিকে আবার মার্ক্সকে নিয়ে চমস্কির বেশ কিছু মতামত নিয়ে আমার গভীর দ্বিধাও আছে। যাই হোক, আমার এই বছর কুড়ির বয়সের মধ্যেই আমি এমন কিছু মার্কসবাদী পণ্ডিত, ভাষাবিদ ও দার্শনিকদের সম্মুখীন হয়েছি, যাঁরা বিবিধ প্রেক্ষিতে মার্ক্সকে গভীরভাবে বুঝতে চেয়েছেন। গঠনমূলক সমালোচনা সর্বদা কাম্য। কারণ যথাযথ সমালোচনা সবসময় বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পরিসর ব্যপ্ত করে। আর এই ধ্বংসাত্মক সময়ে মার্কস ও তাঁর মতবাদের চর্চা আরও প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
এই সমালোচনাগুলির বিবিধ প্রবণতা আছে এবং সাধারণ অদীক্ষিত মানুষের মননে তা কীভাবে জায়গা করে নিয়ে়ছে, এই লেখায় তা নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি। একইসঙ্গে আলোচনা করব Teen Vogue কেন হঠাৎই ‘fair pay’ এবং ‘Das kapital’ কথা বলতে শুরু করল। তবে, আমি মূলত কথা বলব, যা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, নারীবাদ সম্পর্কে মার্ক্সের ভাবনা নিয়ে, মুখ্য নারীবাদী আন্দোলনগুলি নিয়ে, এবং মার্ক্সিস্ট নারীবাদীরা মার্ক্সকে কীভাবে উপলব্ধি করেছিলেন তা নিয়ে। মার্ক্সকে নিয়ে বহুল প্রচলিত সমালোচনার একটি হল, মার্ক্স নাকি নারীস্বাধীনতার প্রশ্নে রক্ষণশীল জ্যাঠাসুলভ আচরণ করে গেছেন। পুরুষের সমস্যাকে সামগ্রিক জ্ঞান করে নারীসংক্রান্ত সমস্যাগুলিকে দলিত করেছেন। উপেক্ষা করেছেন লিঙ্গগতভাবে নারীর সঙ্কটকে।
সাধারণত লিঙ্গ, পরিবার ও মার্ক্সকে নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যে বইটির কথা প্রারম্ভিকভাবে উঠে আসে সেটি হল ‘The Origin of Family, Private Property and The State’। এই বইটি মূলত লুইস এইচ মর্গানের Ancient Society বিষয়ক মতামত এবং সে বিষয়ে মার্ক্সের বিবিধ মতামতের উপর নির্ভর করে রচিত। বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যসমৃদ্ধ হলেও দ্বন্দ্বের জায়গা বইটিতে তেমন নেই। বরং বেশ কিছু জায়গায় বইটি নিয়ন্ত্রণবাদী। তবে গভীরভাবে এই বিষয়ভিত্তিক ভাবনার নতুন নতুন রাস্তা উন্মোচনের সুযোগ এই বই আমাদের দেয়। যদিও, আধুনিকরা, উত্তরআধুনিক প্রতিক্রিয়াশীলরা কেন দ্বন্দ্বকে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে অবাঞ্চিত একটি ধারণা বলে মনে করেন, তা আমার ঠিকঠাক বোধগম্য হয় না। সাধারণ মানুষ দ্বন্দ্ব বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারেন না, কারণ বর্তমান সময়ে পুঁজিবাদী তথ্য আগ্রাসনের যুগে সেই অবকাশ তারা পান না। মার্ক্সবাদের অন্বেষণের ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষিত বোঝার সামর্থ্য তাদের মধ্যে অনুপস্থিত।
তর্কবাজ প্রতিক্রিয়াশীলদের চরিত্র মূলত একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক চিন্তার ধারক। যেহেতু দ্বন্দ্ব পরিবর্তনশীল এবং আপেক্ষিক তাই ‘The Origin of Family, Private Property and The State’ কোন তাৎপর্য খুঁজে বের করবে, তা নির্ণীত হবে পাঠকের পঠনের প্রেক্ষিতে এবং বাকি প্রেক্ষিতগুলির তুলনায় কেন তার কাছে এই প্রেক্ষিতই বেশি গ্রহণযোগ্য হল, ব্যক্তি পাঠকের এই বিবেচনার উপর ভিত্তি করে। বলা বাহুল্য, এই বিবেচনাগুলিও আবার একরৈখিক নয়।
ফ্র্যাঙ্কফুর্ট স্কুলের বেশ কিছু বিদ্বানদের মতে, উদ্দেশ্য ও বিশালতার নিরিখে মার্ক্স, এঙ্গেলসের তুলনায় অনেক কম পরিমাণবাদী। ফরাসি সাংবাদিক জাঁক পঁসেন্ট ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া একাধিক মহিলার আত্মহত্যার প্রতিবেদনে, মার্ক্সের ১৮৬৩ সালে মহিলাদের আত্মহননের কারণ সম্পর্কিত বক্তব্যের বেশ কিছু অংশ অনুবাদ করেছিলেন। সেই সময়ে মার্ক্স মহিলাদের আত্মহত্যার প্রবণতার জন্য শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, যৌন অত্যাচার, গৃহহিংসা এবং গর্ভপাতকে দায়ী করেন।
গর্ভপাত সংক্রান্তে মুখ্য আন্দোলন ও আইন বদল বাস্তবিকই বিংশ শতকের আইনের ফসল! ভাবা যায়!
বৈবাহিক সম্পর্কে নারী-পুরুষের মধ্যে যে ক্ষমতার সমীকরণ কাজ করে (এমনকি উচ্চশ্রেণির বিবাহ-সম্পর্কেও নারী প্রলেতারিয়েতের ভূমিকা পালন করে) তা নিয়ে মার্ক্স যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। যদিও নারী পুরুষের বন্ধনকে তিনি আন্তরিকতম বন্ধন বলে মনে করতেন। প্রেম তাঁর কাছে এক অস্তিত্ববাদী সঙ্কট। তাঁর ডক্টরাল থিসিসে তিনি আত্মপ্রেমকে বেঁচে থাকার প্রাচীনতম ভালোবাসার ধারণা বলে ব্যাখা করছেন, যা কিনা সমস্ত জীবের মধ্যেই বর্তমান। মার্কসের তৎকালীন মতানুযায়ী বিষমকামী প্রেম সেই অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার ও তার নিগূঢ়তম সত্যের দিকে পৌঁছবার পন্থা মাত্র।
যেহেতু মার্কসের সমস্ত রচনা ক্ষমতা ও শ্রেণিকেন্দ্রিক, যদিও ক্ষমতার তত্ত্বায়ক হিসাবে কেন শুধুমাত্র ওয়েবারকেই কৃতিত্ব দেওয়া হয়ে থাকে, আর মার্ক্সের ক্ষেত্রে সান্ত্বনা পুরস্কারস্বরূপ শ্রেণিতত্ত্বটুকু কেন পড়ে থাকে, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তবুও এটি সর্বজনস্বীকৃত যে তাত্ত্বিকভাবে হলেও মার্ক্স একা হাতে শ্রেণিচেতনা ত্বরান্বিত করেছিলেন। স্পষ্টত, স্তরীভূত উৎপাদনের নিয়মের মধ্যে থেকেই। এই বিষয়ে শিল্পবিপ্লব একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। শিল্পের গুরুত্ব প্রসারের বিশাল পরিসর তৈরি হয়েছিল। নির্দিষ্ট বেতনভোগীদের ব্যপ্তি ঘটেছিল। সর্বোপরি দু’টি নতুন শ্রেণির জন্ম হয়েছিল। পুঁজিবাদী ও সর্বহারা। উৎপাদনকেন্দ্রিকতা ঘরের চার দেওয়ালের অন্তর্মুখীতা ত্যাগ করে বহির্মুখী হয়ে ওঠে এই সময়ে। এই সময়েই ধীরে ধীরে পরিবারে পুরুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ থেকে আগল ভেঙে নারীরা আসতে আসতে বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করলেন। ’ নারীশ্রম‘-এর প্রশ্নটি জোরালোভাবে উঠতে শুরু করল যা এতদিন উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছিল।
কিন্তু আবার মেয়েদের ভোটাধিকার বিষয়ে মার্ক্সের মূল্যায়ন সর্বজনীন ভোটাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে খুব একটা সাযুজ্যপূর্ণ নয়। যা আগে শোনা যায়নি।
তবে এটা অত্যুক্তি হবে না যে দ্বিতীয় তরঙ্গ নারীবাদের প্রারম্ভিক স্তরটি কিন্তু সম্পত্তিহীন নারী-পুরুষের যৌথ সংগ্রামের মধ্যেই গ্রথিত। তাই নারীবাদী আন্দোলন ভবিষ্যতে শুধুই শ্রেণিভিত্তিক আন্দোলনে রূপান্তরিত হবে তা মূলত সমস্ত স্কুলেরই বক্তব্য। কিন্তু এও সত্যি যে নারীর সার্বিক যন্ত্রণা ও সঙ্কট, বেটি ফ্রিডানের (Bettie Friedan) “A Problem with No Name” অনুযায়ী শ্রমের মূল্যায়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। Radical নারীবাদীদের শ্রেণি ও বর্ণবিয়োজিত সমাজের ব্যাখ্যায় বহুক্ষেত্রে পুরুষমাত্রেই ক্ষতিকর ও অশুভের আঁতুড়ঘর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই দমবন্ধ-করা পরিস্থিতিতে প্যাট্রিসিয়া হিল কলিন্স হলেন এক ঝলক টাটকা দমকা হাওয়ায় মত। তিনি একই সঙ্গে ‘ব্ল্যাক ফেমিনিজম’-এর প্রসঙ্গ আনছেন এবং নারীবাদের পরিসরের মধ্যেও জাতিসত্তার দ্বন্দ্বগুলিকে ছুঁয়ে যাচ্ছেন। জুডিথ বাটলার অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে আবেগ, শ্রম ও বহুসংস্কৃতিবাদকে নারীবাদের ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বর্তমান সময়ে ‘বিশুদ্ধবাদের’ প্রতিযোগিতায় দলাদলির উর্দ্ধে শ্রেণি, জাতি, ধর্মের নিরিখে সামাজিক স্তরবিন্যাসকে বোঝার চেষ্টা না চালালে এই গোটা সমস্যার কোনও বাস্তবমুখী সমাধান সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে এটাই বলার যে, মার্ক্সের চিন্তার ধাঁচে জুডিথ Queer Theory বোঝার একটি প্রস্তাবনাও তৈরি করেন।
মজার বিষয় হল মার্ক্সীয় শিক্ষা আসলে মার্ক্সীয় কাঠামোকেই অতিক্রমের জন্য বারবার উৎসাহ প্রদান করে। এটিই আদতে দ্বন্দ্বের নিগূঢ়তম নির্যাস। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সঙ্গে এর এক অদ্ভুত মিল। যা না সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত, না যৌথ। ফলে স্বরূপ আঁকা হয়ে থাকে অস্তিত্ববাগী মননের পরিধির। মার্ক্স ঈশ্বর নন। কোনও পার্টি পরিচালক নন। পিতৃতান্ত্রিক চরিত্র নন। ঈশ্বরপ্রেরিত কোনও দূতও নন। ওঁর রচিত কোনও কিছুই ধর্মীয় ক্ষমতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এখানে মার্ক্সের সঙ্গে ফরাসি দার্শনিক ও পজিটিভিজমের জনক অগাস্ট কোঁত (Auguste Comte)-এর তুলনা করা যেতে পারে। কোঁত শেষ জীবনে একটি আস্ত ধর্মমত প্রচার করে বসেন। অথচ মার্ক্স কোনওদিন চাননি তাঁকে মানুষ ধর্মগুরুদের মতো মেনে চলুক। অধিকাংশই বুঝতে অক্ষম যে, মার্ক্স ধর্মতত্বকে আদতে জাগতিক জীবনের অসংযত প্রকৃতি থেকে পলায়নের পন্থা হিসাবে দেখতেন। তিনি ধর্মকে জনগণের আফিম বলেছিলেন। এ ক্ষেত্রে আফিমের একটি সামাজিক বাস্তবতা আছে। ঠিক যেমন এই ব্রহ্মাণ্ডের আছে। আফিমের উৎপাদক, বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে একটি সামাজিক সম্পর্ক আছে। আমার ব্যক্তিগত মত, মার্কসের বিষয়ে কোনও মতামত প্রদানের আগে ভবিষ্যত সম্পর্কে তাঁর অ্যানালিসিসের প্রতি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। যদিও তিনি নিজে এসব নিয়ে বিশেষ চিন্তিত ছিলেন না বলেই মনে করি। ভবিষ্যৎ সমাজ কাঠামো সম্পর্কে তাঁর আনুমানিক ব্যাখায় ‘বাস্তববিমুখতা’ নিয়ে আপনাদের মনে যদি হাজারো প্রশ্ন থাকে তাহলে কেন আপনারা হাইডেলগার ও তাঁর সমমনস্কদের নাৎসি বীভৎসতার প্রচারক হিসাবে অভিযুক্ত করবেন না? সে রাজনীতি তো এখনও দিনের আলোর মতই পরিষ্কার!
লিঙ্গ ও পরিবার বিষয়ে মার্ক্সকে নিয়ে, তাঁর অসামান্য লেখায় হিদার ব্রাউন বারবার দ্বন্দ্বমূলক বর্ণনার সাহায্য নিয়েছেন। সচেতনভাবেই তিনি প্রতিক্রিয়াশীল প্রবণতা বর্জন করেছেন। আবার একই সঙ্গে মার্কসীয় প্রাথমিক পাঠদান করার প্রবণতাকেও প্রশ্রয় দেননি। বেটি ফ্রিডানের কথা আগেই উল্লেখ করেছি। কীভাবে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় radical নারীবাদীদের অযৌক্তিক আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গের ডোলেরেস হেইডেনের বিখ্যাত বই The Grand Domestic Revolution: A history of Feminist Designs for American Homes, Neighbor, Schools and Cities। এর বিষয়ে না বললে অন্যায় করা হবে। এই বইতে হেডেন দেখিয়েছেন কীভাবে কর্পোরেট শক্তি নারীবাদী আন্দোলনকে ধ্বংসের খেলায় নিযুক্ত হয়েছে। গৃহকর্মের বস্তুগত সংগ্রামের সামাজিকীকরণ নারীর নিজস্ব জায়গায় তার শ্রমের শোষণেরও সামাজিকীকরণ ঘটিয়েছে।
যেহেতু মার্ক্সীয় চিন্তা গত দেড়শ বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীজুড়ে সংগ্রামকে একীভূত করে আসছে, তাই বৈষম্যর জটিল ধারণার যথাযথ অনুধাবন অত্যন্ত জরুরি। লিঙ্গবৈষম্যও তার একটি গুরুতর অংশ। মার্ক্সকে আজকের নারীবাদীরা সাধারণভাবে যতটা Reductionist ভাবেন, তিনি আদতে তা ছিলেন না। বরং এ বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল স্বচ্ছ ও বেশ বৈপ্লবিক। হ্যাঁ, সেই দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই আজকের নারীবাদের মতো এতটা সুগঠিত ছিল না, তবে নারীবাদ আজ এতখানি গতিশীল হওয়ার পেছনে অবশ্যই মার্ক্স নিজে একটা বড় কারণ। তিনি মানতেন, সামাজিক আন্দোলনগুলির আসলে এক একটি মানবিক ঘটনা। এই আন্দোলন মূর্ত হয়, সংগঠিত হয়, পুঞ্জীভূত হয়, ভেঙে যায়, আওয়াজ তোলে, নিজেদের কথা লেখে, নিজেদের জায়গাও খুঁজে নেয়। তাদের কাজ ও নাম খুঁজে নেয়। তারা তাদের স্থানসংক্রান্ত সামঞ্জস্যর উপর ভর করে দাঁড়ায়, কিন্তু আবার শুধুমাত্র তাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। লিঙ্গ সংগ্রামের এই দুর্বার চরিত্র এবং Queer সমাজের সঙ্গে তার সম্পর্ক, অর্থনৈতিকভাবে দুঃস্থ মানুষ , ক্রমবর্ধমান অথচ অদৃশ্য প্রকৃতি, ভয়ঙ্কর আমলাতান্ত্রিক নজরদারি ও বুদ্ধিজীবীদের উপর কর্তৃত্ব, একাধিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বাঁধানো চরিত্র যেগুলো না সম্পূর্ণ কাল্পনিক না সম্পূর্ণ বাস্তব এবং তারই সঙ্গে পিতৃতন্ত্রের ভয়াবহ চরিত্র, এই সব কিছুই বহু বিজরিত সমস্যা তৈরি করছে। এই বিবিধ সমস্যার পরিধি যেমন বাড়ছে একদিকে তেমনই এগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জায়গাও প্রসারিত হচ্ছে। এই কারণেই মার্ক্সকে নিয়ে আমাদের আরও নিবিড় পাঠ জরুরি।