চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
লেখক কবি, গদ্যকার ও গল্পকার।
মুখোশ
লিখিনি কারণ এখনও অনেক বাকি।
টানা ও পোড়েন। ভাঙাচোরা নিয়ে থাকি।
আঁচলে আমার ময়ূর তুলবে তুমি!
বলেছিলে, আর, আমোদ, বসন্তের
মৃত্যুর গায়ে উড়ে এসে লেগে গেল।
দেয়াল ক্রমশ শারীরিক, জড়ো হয়।
সান্নিধ্যরা মরে মরে সরে যায়…
দমচাপা দিনে ফুলগুলি ঝুঁকে এসে
বিরহ তোমার খানিক কমিয়ে দেয়!
আমার অসুখ। জার্নাল, এলোমেলো
(শিল্পী – শর্মিষ্ঠা দাস)
লকডাউন
পথে লোকজন নেই,
তাই, আকাশ আজ অনেকটা নীচে নেমে এসেছে।
নক্ষত্রের গায়ে বসে-যাওয়া পূর্বনারীদের চোখ
পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি আমি।
জুতোর মতো পৃথিবী,
ধুলোমলিন হয়ে আছে এখন!
ভয় পাচ্ছি না একটুও।
আবার পালিশের কৌটো বের করে,
ব্রাশ নামিয়ে এনে,
চকচকে করে নেব।
আবার পায়ে গলিয়ে, হাঁটতে বেরোব।
তোমার সঙ্গে।
মাঝে শুধু এই আলোহীন কয়েকটা দিন
(শিল্পী – হিরণ মিত্র)
নোয়ার নৌকো
ক্ষমা চাইব দুঃখের কাছে।
ক্ষমা চাইব সুখের কাছেও।
দুঃখ দিন-দিন অসহ্য হয়ে উঠছিল।
সুখকে গায়ের চামড়া ভেবে নিয়ে, নির্বিকার,
সাবান মাখতে বসে গেছিলাম।
মেয়েরা, যারা নির্যাতন পেয়েছি, আর,
এই অবরোধের দিনগুলোতেও
চিৎকার, চেঁচামেচি শুনতে পাচ্ছি,
জানি,ঢেউ এসে পিতৃতন্ত্র ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে তোমাকে, আমাকেও,
যারা পাশাপাশি হইনি কখনও।
ভাবনা কী, ফুল, লতাপাতা থেকে যাবে।
দুচার কলি গান ছুটে আসছে নৌকোয় উঠবে বলে
(শিল্পী – চন্দনা হোর)