টেবিল

শুভ্র দাস

 

করোনার নিঃশব্দ পদধ্বনি,
বসেছি তাই দূরে দূরে,
সুপ্রাচীন টেবিলটা ঘিরে,
যেখানে রোজ জন্ম নেয় জীবন।
কোনায় পুরণো ক্ষত – চিরন্তন দংশন এক;
সেই শিশুর, এক দুপুরের লুকোচুরির চিহ্ন
যার ধরা আছে পরিণত হাঁটুতে ।

একান্তে, হারানো প্রেম আর
সুখস্বপ্নরা এখানে ঠোঁট রাখে
গরম চায়ের কাপে, আর সস্নেহে
আমরা হাত রাখি সন্তানের কাঁধে ।
এই টেবিলেই শিশু হয় পুরুষ, হয় নারী;
দূর থেকে তাদের বাড়ানো হাত
মাঝে মাঝে ধরি, হঠাৎ যখন কাঁপা পায়ে
জড়াজড়ি করে আদুরে কুকুরের অবলম্বন ।

তুষারে, বর্ষণে, এ টেবিল
ধূমায়িত খিচুড়ির মতো আশ্রয়;
বিষন্ন যুদ্ধারম্ভে, সমাপ্তির ক্লান্তিতে,
আতঙ্কিতের সহায় হয়ে
এ টেবিলেই জন্মেছে সোনালি ভবিষ্যৎ।
গণসংগীতে গলা মিলিয়েছি অনেকে,
বিমর্ষতার সুরে নীরবে প্রহর গুনেছি, একাকী।
প্রার্থনার কৃতজ্ঞ করজোড়ে হয়তো
এখানেই সব হবে ইতি,
হাসি কান্নার রেশে চলে যাবো,
এ টেবিল ছেড়ে, চিরতরে।

Be the first to comment

আপনার মতামত...