করোনার নিঃশব্দ পদধ্বনি,
বসেছি তাই দূরে দূরে,
সুপ্রাচীন টেবিলটা ঘিরে,
যেখানে রোজ জন্ম নেয় জীবন।
কোনায় পুরণো ক্ষত – চিরন্তন দংশন এক;
সেই শিশুর, এক দুপুরের লুকোচুরির চিহ্ন
যার ধরা আছে পরিণত হাঁটুতে ।
একান্তে, হারানো প্রেম আর
সুখস্বপ্নরা এখানে ঠোঁট রাখে
গরম চায়ের কাপে, আর সস্নেহে
আমরা হাত রাখি সন্তানের কাঁধে ।
এই টেবিলেই শিশু হয় পুরুষ, হয় নারী;
দূর থেকে তাদের বাড়ানো হাত
মাঝে মাঝে ধরি, হঠাৎ যখন কাঁপা পায়ে
জড়াজড়ি করে আদুরে কুকুরের অবলম্বন ।
তুষারে, বর্ষণে, এ টেবিল
ধূমায়িত খিচুড়ির মতো আশ্রয়;
বিষন্ন যুদ্ধারম্ভে, সমাপ্তির ক্লান্তিতে,
আতঙ্কিতের সহায় হয়ে
এ টেবিলেই জন্মেছে সোনালি ভবিষ্যৎ।
গণসংগীতে গলা মিলিয়েছি অনেকে,
বিমর্ষতার সুরে নীরবে প্রহর গুনেছি, একাকী।
প্রার্থনার কৃতজ্ঞ করজোড়ে হয়তো
এখানেই সব হবে ইতি,
হাসি কান্নার রেশে চলে যাবো,
এ টেবিল ছেড়ে, চিরতরে।
সূর্য শেখর দাস প্রিয় স্বপ্না বর্মণ, এই চিঠি যখন আপনাকে লিখছি তখন আরও একটা দিন বাসি হয়ে আসা পেঁয়াজের মতো নেতিয়ে পড়েছে। চারিদিকে মুষলধারায় বৃষ্টি নেমেছে। এবং লোডশেডিং। এবং মশার কামড়। তবু না লিখে পারছি না আপনাকে। আমি কলকাতার একটা কলেজে পড়াই। বুঝলেন স্বপ্না, আমার পোস্টটার একটা গালভরা নাম…
বিপুল দাস --জোজো, ওদিকে যেও না। ওখানে সব বেঙ্গলি বুকস। কথাটা কানে যেতেই পেছন ঘুরে তাকালাম। আট দশ বছর বয়স হবে বাচ্চাটার। স্টলের একদম সামনে সাজিয়ে রাখা বইগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। সব ছোটদের বই। বলা ভালো কিশোরদের। নামগুলো পড়ে দেখলাম অ্যাডভেঞ্চার, ভূতের গল্প আর শিকার কাহিনি। বেঙ্গলি বুকস-এর নামগুলো…
শতানীক রায় কবি, গদ্যকার, সম্পাদক ও অনুবাদক যে যায় সে ফেরে না কখনও তার গাছ ফেরে পাখি ফেরে নদী ফেরে বৈঠকখানা ফেরে যে যায় সে ফেরে না কখনও তার জামা ফেরে জুতো ফেরে গেঞ্জি ফেরে চিরুনিও ফেরে যে যায় সে যায় কখনও ফেরে না —যে যায়…