শিবসাগর দেবনাথ
পুনর্জন্ম
(উৎসর্গ: নীল NBSTC বাস, যাকে সোজা গিয়ে বাঁ-হাতে মিলিয়ে যেতে দেখি)
তুমি ছিলে তাই সম্মোহনী সিঁড়ি, মন্দিরপ্রাণ জলের কিনার…
ভালোলাগে চুপকথা বলা, দুজনের মাঝে গাঢ় হওয়া মেঘ
ভালোবাসি কবুল করেছি: ঘড়ির কাঁটায় মিইয়ে আসা বেগ
এক টুকরো আকাশের ন্যায় ঈষৎ নীলচে বাস— উঠে গেলে— ভয় হল
সকল সত্যের মতোই প্রাথমিক ধারণা হয়েছ:
তুমি মেঘ, যাবতীয় তর্পণ শেষে
উড়ে যাচ্ছ দূর, পুনর্জন্মের ঝোঁকে…
আলো
প্রত্যেক ছায়ার শিয়রে আছ
যেরকম অবশ্যম্ভাবী কবি
দাঁড়িয়েছে, ছবিদের আগে…
তোমার যে রূপ ধরা পড়ে জলের ওপর
কেন আরও বেশি, তাকে চঞ্চল লাগে!
অনায়াসে, পেয়ে বসো স্রোতের স্বভাব
কে তুমি প্রাচীন শরিক?
বৃক্ষ-বিষয়ক
কতকাল কেটে গেল
সাথে নিয়ে ছায়া আর প্রাণ…
এতদিন বাদে লক্ষ করেছি—
রাস্তার পর ঝুঁকে আছে
ঝুঁড়ি ঝুঁড়ি চুলের মতন, তোমারই আবহবিকার
শম্ভু
আমাদের, আরও সকলের
চূড়ান্ত সমিধ, ভাবীকাল মেখে ভূত হয়ে আছ
চলমানে বিঁধে চিলিমের টান…
তুমি মহাকাল, ধরেছ কপালের ভাঁজে
ব্যাকরণ, মহাকাশজ্ঞান
অনাদর
কোথায় তোমার দেশ
একটি দূরবর্তী বাঁক
কুয়াশার আঁচে আরও কিছু আবছায়াময়—
ওইখানে সদ্যোজাত ক্ষেত, আমের মুকুল, সেইমতো গান
ফেলে গেছে নবীনবাউল
যেন তাকেই ঘোষণা করি খবরহীন পথ!
অন্ধবিন্দুর দেশে চেয়ে আছে বন-ধুতুরার ঝাঁক,
এই অবহেলা কতটা কাছের! কতখানি চেনা!
আমারও স্বাভাবিক লাগে ওরকম ফুটে থাকা