গৌতম সরকার
লেখক সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক
হোয়াটসঅ্যাপে ক্লাস।
আমার বছর সাতেকের আত্মীয়া সাতসকালে অতি উত্তেজিত। ওর বাবার মোবাইলে ফোন করতেই বলল, এই নম্বরে ওর ক্লাস শুরু হবে এখন। ফলে ওর এখন আমার সঙ্গে গল্প করায় মন নেই। ও তখন উত্তেজনায় ছটফট করছে। এতদিন ক্লাসরুম, ব্ল্যাকবোর্ড, চক-ডাস্টার ইত্যাদির বদলে বাড়ি বসে ক্লাস। উত্তেজনা তো হবেই। শিক্ষাপদ্ধতিতে বিপ্লব তো বটেই।
অনলাইনে ক্লাস হলে আবার কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্ট ফোনের পর্দায় ভেসে ওঠেন স্যর বা ম্যাম। তাঁদের দেখা যায়। আবার ওদের গলাও শোনা যায়। কখনও কখনও সাউন্ডটা মেকানিক্যাল শোনায় বটে, কিন্তু শিশু-কিশোর মনে এই অভিজ্ঞতার থ্রিলটাই আলাদা। প্রয়োজনীয়তা আর এই থ্রিলের টানে লেখাপড়ায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এখন “কাপ অফ দ্য টাইম।” সোশ্যাল মিডিয়ায়, সংবাদপত্রে, টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতেও এ নিয়ে উত্তেজনার শেষ নেই। বেসরকারি কিছু নামি স্কুলে স্মার্ট ক্লাসের কথা আগে শোনা গিয়েছে বটে, কিন্তু গণহারে এমন অনলাইন ক্লাসের কথা আগেও কেউ ভাবেইনি।
ভাবার দরকার হয়নি। প্রয়োজনও ছিল না। বরং রোজ ক্লাসে লেখাপড়া শেখার ফাঁকে শিক্ষক-ছাত্রের গল্পগাছা, সাহচর্যটাও কম উপভোগ্য ছিল না। লকডাউন সেই সাহচর্যটার মাঝে যেন পাঁচিল তুলে দিল। সহপাঠী বা স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে যেমন খুনসুটি, খেলাধূলার সুযোগ নেই, তেমনই মাস্টারমশাই বা দিদিমনির সামনে হাজির হয়ে পড়াটা বুঝে নেওয়ার উপায় নেই। করোনা ভাইরাসের বিপদ শিক্ষার বন্দোবস্তটাকেই বিপাকে ফেলে দিয়েছে। স্কুলেই যদি কাউকে না যেতে হয়, তাহলে পড়াশোনা চলবে কী করে? তার ওপর আবার প্রাইভেট টিউশনের ওপর ভরসা করা যাবে না। সংক্রমণের ভয়ে প্রাইভেট টিউটরদের ইতিমধ্যে অচ্ছ্যুৎ করে দেওয়া হয়েছে। এতে লক্ষ লক্ষ গৃহশিক্ষকও জীবিকাচ্যুত হয়েছে। সেটা অবশ্য ভিন্ন কারণ। তা নিয়ে অন্য কখনও আলোচনা করা যাবে। মোদ্দা বিষয় হল, পঠনপাঠনের এই সঙ্কটমুহূর্তে মুশকিল আসান মনে করা হচ্ছে অনলাইন ব্যবস্থাকে। শিক্ষাক্ষেত্রে যেন ডিজিটাল যুগ এল। ডিজিটাল ব্যবস্থাটা একেবারে টাটকা নতুন, তা কিন্তু নয়। কিন্তু এর এমন আম-ব্যবহারের কথা আগে মনে পড়েনি। যেটুকু দরকার হত, সেটা যত না ছিল পেশাদারি, তার চেয়ে বেশি ছিল অ্যামেচারিস্ট।
এখন একেবারে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দৈনন্দিন প্রয়োজনে এসে পড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। বিজ্ঞানের অগ্রগতি তো বটেই। তা নিয়ে তাই আমাদের কারও আপত্তি থাকার কথাই থাকতে পারে না। আপত্তিটা নেইও। কিন্তু কিছু প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটা হল, সভ্যতার অগ্রগতির পথে আমরা লেখাপড়ায় এই আধুনিক প্রযুক্তি কতটা ব্যবহার করতে পারছি? যদি না পেরে থাকি, তাহলে সেটা কি আমার দোষ? প্রযুক্তিটা আমার ব্যবহার করতে না পারার কারণ কী? এই প্রসঙ্গে আলোচনার আগে আমাদের দেখে নেওয়া যাক, এই অনলাইন বা হোয়াটসঅ্যাপ ক্লাস বলুন আর ভিডিও কল বলুন, তাতে কী কী সরঞ্জাম প্রয়োজন। প্রথম কথা, ঘরে একটা ডেস্ক কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। নিদেনপক্ষে একটা স্মার্ট ফোন চাই-ই চাই। এই তিনটির কোনওটা ছাড়া কাজ চলবে না। এছাড়া যেটা দরকার, তা হল ইন্টারনেট সংযোগ। যদি শুধু পঠনপাঠনের কথা ধরি, তাহলে এসবের জন্য সংশ্লিষ্ট ছাত্রের এবং তার পরিবারের বাড়তি খরচের সঙ্গতি থাকা প্রয়োজন। শুধু নুন আনতে পান্তা পুরোনো পরিবারের নয়, নির্দিষ্ট আয়ের ভিত্তিতে সঞ্চয়হীনভাবে যাদের সংসার চলে, তাদের পক্ষে এসব সরঞ্জাম কেনা নিঃসন্দেহে বাড়তি চাপ। নিয়মিত খরচের কোনও একটি না ছেঁটে এই চাপ বহন করা কঠিন।
এমন পরিবারের সংখ্যা কত, তা জানতে সবসময় সমীক্ষা, সরকারি তথ্য-পরিসংখ্যান ঘাঁটার দরকার পড়ে না। বাস্তব অভিজ্ঞতায় আমাদের পারিপার্শ্বিক জগতটার দিকে তাকালেই বুঝতে পারি। কিন্তু সঙ্গতি আছে, এমন মানুষের পক্ষেও কি এই ব্যবস্থাটায় চাইলে ঢুকে পড়া সম্ভব? আমার স্কুলজীবনের এক সহপাঠিনী এখন থাকেন কোচবিহার জেলায় অসম সীমানা ঘেঁষা বক্সিরহাটে। গঞ্জ এলাকা। কিন্তু সীমানা বলে রোজ কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় নানা ধরনের বাণিজ্য ও পরিষেবায়। সেই এলাকায় বসবাসকারী আমার সেই সহপাঠিনী কিন্তু দিনের বেশিরভাগ সময়ে ইন্টারনেটে আউট অফ রেঞ্জ থাকেন। হোয়াটসঅ্যাপে ওঁকে পাওয়াই মুশকিল। হোয়াটসঅ্যাপে যদি বা পাওয়া গেল, কথা হতে হতে উনি লিখতে থাকেন, নেট স্লো হয়ে যাচ্ছে। তারপর হয়তো ছিন্ন হয়ে গেল সংযোগ। হোয়াটসঅ্যাপে কোন ভিডিও ক্লিপিংস পাঠালে অধিকাংশ সময় উনি ডাউনলোডই করতে পারেন না। ওখানে ইন্টারনেটের গতি কচ্ছপের দৌড়ের মতো। ফলে ওই এলাকার কোনও পড়ুয়া বা শিক্ষকের সমস্ত সরঞ্জাম ও ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও তাদের পক্ষে অনলাইন ক্লাস কষ্টকল্পনা মাত্র।
আরও একটি সত্যকাহিনি জানাই।
এই লেখাটা শুরু করার আগে খবরের কাগজে পড়লাম, কলকাতার কোনও নামী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক শিক্ষক লকডাউনের আগে বাঁকুড়ার ইন্দপুরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। এর মধ্যে তাঁর ওপর অনলাইন ক্লাস করানোর নির্দেশ জারি হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির তরফে। দীর্ঘদিনের শিক্ষক টেকস্যাভি হয়েও পড়েছেন মহা ফাঁপড়ে। তাঁর হাতে দু-দুটি সার্ভিস প্রোভাইডারের সিম কার্ড থাকলে কী হবে, গ্রামের বাড়ির ঘরে, উঠোনে তিনি মোবাইলে সংযোগই পান না। বাড়ির ছাদে উঠলে যদিও বা সংযোগ পান, কিন্তু তার ক্ষমতা এতই দুর্বল যে, বারবার কল ড্রপের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তিনি কী করে অনলাইন ক্লাস করাবেন? এদিকে বেসরকারি নিয়োগ কর্তৃপক্ষের চাপ। মুশকিল আসান হলেন শিক্ষকের গ্রামের ছোটবেলার বন্ধুরা। তাঁদের কাছে শিক্ষক জানতে পারলেন, গাঁয়ের ধারে নদীর পাড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক বেশ ভালো পাওয়া যায়। পরখ করে দেখে ওই শিক্ষক নদীর ধারে এক গাছের মগডালে মাচা বানিয়ে ফেললেন। ডিজিটাল যুগের কী মহিমা! গাছের মাথায় হাই স্পিড নেটওয়ার্ক। ভিডিও কল বলুন আর অনলাইন ক্লাস, কোনওটাতেই সমস্যা নেই। দিনভর মগডালের মাথায় চড়ে শিক্ষকমশাই পড়িয়ে চলেছেন।
এই সৌভাগ্য সবার হয় না। আমার বক্সিরহাটের সেই বান্ধবী তার প্রমাণ। এমন এলাকা আমাদের দেশে কম নেই, যেগুলি এখনও ইন্টারনেট সংযোগের আওতার বাইরে। থাকলেও তার স্পিড এত কম যে ভিডিও ক্লাস করার উপায় নেই। আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য যেমনই থাক, এব্যাপারে ধনী দরিদ্রের বৈষম্য নেই। ফলে ডিজিটাল পঠনপাঠনে অন্যতম অন্তরায় ইন্টারনেট সংযোগ। এর পর আসছে, ইন্টারনেট সংযোগ কেনার সক্ষমতার প্রশ্ন। কম্পিউটার ডিভাইস কেনার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। ভারতবর্ষে সমস্ত পরিবারে কম্পিউটার ডিভাইস কেনার ক্ষমতা নেই। মোবাইল অনেকের আছে। কিন্তু ডিজিটাল পড়াশোনায় স্মার্ট ফোন ছাড়া চলবে না। সেটা কেনার সঙ্গতি সকলের থাকে না। এব্যাপারে পরিসংখ্যানে চোখ বোলানো যাক। ২০১৪-র একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশে এমন ২৭ শতাংশ পরিবার আছে, যাদের বাড়িতে একজনও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। আবার ওই পরিবারগুলোর ৪৭ শতাংশের বাড়িতে কোনরকম কম্পিউটার ডিভাইসই নেই। সামগ্রিকভাবে ভারতে ৫০ শতাংশ বাড়ির ছেলেমেয়েদের স্মার্ট ফোন নেই। এরপর আর বলার অপেক্ষা থাকে না যে, সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যতই ভার্চুয়াল সিস্টেমে পঠনপাঠনের বন্দোবস্ত করুক না কেন, তার সুযোগ নেওয়ার ক্ষমতা মোট ছাত্রছাত্রীর অর্ধেকের নেই।
তাহলে অনলাইন পড়াশোনার সার্থকতা কী? এক দল উপকৃত হবে বটে, কিন্তু আরেক দল বঞ্চিত থাকবে। বঞ্চিতদের অনেকে আবার কম্পিউটার অজ্ঞ। যেমন আমি ছিলাম ২০ বছর আগে। প্রিন্ট মিডিয়া ছেড়ে যখন টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যোগ দিলাম, তখন আক্ষরিক অর্থে আমি কম্পিউটার মূর্খ। রুটিন কাজ কীভাবে করতে হয়, তার বেসিক জিনিসগুলো কোম্পানির এক টেকনিশিয়ান দেখিয়ে দিয়ে গেছিলেন। কিন্তু শেখা আর বাস্তব, অনেক সময় আলাদা হয়। ঠেকে ঠেকে এরপর শেখা শুরু হয় আমার। সেই ঠেকে শেখা এখনও চলছে আমার। আমাকে নাহয় কোম্পানি তাদের কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছিল। সকলের তো সেই সৌভাগ্য হয় না। ফলে প্রচুর মানুষ কম্পিউটার শিক্ষার বাইরে থেকে যান। ২০ বছর পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে মাত্র। আমূল পরিবর্তন ঘটেনি। ফলে কম্পিউটার শিক্ষাতেই বৈষম্য থেকে গিয়েছে। এই ফারাক সবসময় ধনী, দরিদ্রের বিভাজনের কারণে নয়, কঠোর বাস্তবের কারণে। পারিপার্শ্বিক অবস্থাও প্রতিবন্ধকতার অন্যতম কারণ। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে কম্পিউটার থাকা না থাকা, শেখা না শেখার কোনও মূল্য থাকে না।
এখানেই আসল প্রশ্নটা আসে। তাহলে ক্লাসের বিকল্প হিসাবে এই ভার্চুয়াল সিস্টেম ব্যবহার করার পরিণতি কী? বলার অপেক্ষা রাখে না, পড়ুয়াদের মধ্যে দুটি বলয় তৈরি হবে। একদল, যাদের সঙ্গতি আছে ও ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় পড়ে। আরেক দল, যাদের সঙ্গতি নেই বা থাকলেও ইন্টারনেট দুনিয়ার বাইরে তাদের বসবাস। অর্থ দিয়েও সবসময় ইন্টারনেট ভোগ করা যায় না। এই দুটি বলয়ের জন্য একটি নতুন শব্দবন্ধনী সামনে এসেছি। ডিজিটাল ডিভাইড। ডিজিটাল দুনিয়া নতুন ধরনের বৈষম্য ডেকে আনছে। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই বিভাজনের পরিণতি মারাত্মক। অনলাইন ক্লাসে একদল কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকার সুযোগ পাবে যদি তারা সুযোগটা ব্যবহার করে। অন্য দলের ব্যবহার করার বন্দোবস্তই নেই। ফলে একই বিষয়ে তারা পিছিয়ে পড়বে। এই পিছিয়ে পড়াদের দলে কিন্তু মেধাবী, একাগ্র, পরিশ্রমী পড়ুয়ারাও অনেকে পড়ে যাবে। একমাত্র মানদণ্ড হবে কোনও ছাত্র অনলাইন ক্লাসকে ব্যবহার করতে পেরেছে কিনা। না পারলে তুচ্ছ হয়ে যাবে তার মেধা, দক্ষতা। অনলাইন ক্লাস যদি লকডাউনের পরবর্তী পৃথিবীতে থেকে যায়, তাহলে এই বৈষম্য আরও বাড়বে। নিজের কোনও দোষ না থাকলেও পড়াশোনায় অনেক ভালো ছাত্র প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে।
ফারাকটা আরও বেশি হবে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থায়। বেসরকারি ক্ষেত্রে অনলাইন পড়াশোনার সুযোগ যতটা মিলবে, সরকারি ক্ষেত্রে তার সিকিভাগ মেলাও দুষ্কর। আবার শহরাঞ্চলের চেয়ে শহরতলি কিংবা গ্রামাঞ্চল থাকবে পিছিয়ে। বন এলাকায় পড়ুয়ারা এই ব্যবস্থাটাই জানে না। এই বিরাট সংখ্যক পড়ুয়াকে বাদ দিয়ে অনলাইন পঠনপাঠন বাস্তবে তাদের প্রতি অন্যায়, অবিচারের নামান্তর।
লকডাউন চলাকালীন হোক আর পরে হোক, যদি পরীক্ষা হয় বা মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে পিছিয়ে পড়বে দেশের পড়ুয়ার সংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ। সেই দায় কিন্তু তাদের নয়। এই বৈষম্যও তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আমরা এখন বিধ্বস্ত। কেউ আক্রান্ত হয়ে ধুঁকছেন। দলে দলে লোক মরছে। সংক্রমণ ঠেকাতে যে লকডাউন চলছে, তাতে আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। দুর্ভিক্ষের অশনি সঙ্কেত দেখা যাচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও চরম দূর্যোগের মুখে আমরা। ডিজিটাল ডিভাইড তৈরি করে দেবে লকডাউনের বিশ্ব। করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে বড় ভয়ঙ্কর সেই পরিণতি। এখনই এব্যাপারে সুচিন্তিত পরিকল্পনা তৈরি না করলে মহামারির চেয়ে কম বিপদ হবে না সেটা। ভার্চুয়াল সভ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছি বলে আমরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারি বটে, কিন্তু তার ব্যবহার যে চরম সর্বনাশ ডেকে আনবে, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। এর প্রভাব পড়বে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত। সময় থাকতে এই বিপদ সম্পর্কে সচেতন নাহলে বিজ্ঞানের বড়াইটা নিস্ফল হবে।