বড় মানুষ

অর্চন চক্রবর্তী

 

এখন একটা খেলা শেষ হতে না হতেই আর একটা তার ঘাড়ে এসে পড়ে।এই রকম একটা অবস্থায় খেলার রেজাল্ট গুলোর খবর রাখতেই খেই হারিয়ে ফেলি,এর মধ্যে কোনো কোনো খেলা বেশ ভাল পর্যায়ের হলেও তা আমরা বেশিদিন মনে রাখতে পারি না।সাম্প্রতিক খেলাধূলার ক্ষেত্রেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বলাই বাহুল্য, অতীত দিনের গৌরবোজ্জ্বল খেলাধূলা মানুষের স্মৃতির কোন অতলে তলিয়ে গেছে।

আজ এই লকডাউনের জন্যে পৃথিবীর সমস্ত ক্রীড়াঙ্গন স্তব্ধ। আর এই অবসরেই সেই সময়ের কিছু বইপত্র নাড়াচাড়া করে কয়েকটা খেলার গল্প ঝালিয়ে নিলাম যা পরের যুগের খেলোয়াড়দের জন্য একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছিল।
তেমনই একটা টুরনামেন্ট ১৯৬২ সালের ইউ এস ওপেন।যে টুর্নামেন্ট রড লেভারকে কিংবদন্তি খেলোয়াড় করে তুলেছিল।এই টুর্নামেন্টটা ঘিরে একজন মহৎ হৃদয় মানুষের কথাও বলব,হয়ত তাঁর কথা বলাই আমার এই লেখার কারণ।

১৯৬২ সাল।এই বছরে পরপর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন,ফ্রেঞ্চ ওপেন আর উইম্বলডন জিতে রড লেভার এখন ইউ এস ওপেনের দোরগোড়ায়।এই টুর্নামেন্টটা জিততে পারলেই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার গৌরব তাঁর করায়ত্ত হবে।সেই ১৯৩৮ সালে ডোনাল্ড বাজ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন,তার পর চব্বিশ বছর কেটে গেল, এই রেকর্ড এখনও বাজের হাত থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারেননি।
কিন্তু ইউ এস ওপেন জেতা কী মুখের কথা! লেভার যত বড় খেলোয়াড়ই হোন না কেন, তাঁরই দেশের আর এক খেলোয়াড় আছেন রয় এমারসন।দুর্ধর্ষ খেলেন তিনি,মুখোমুখি হলে এমার্সন তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।তার ওপর আছে গ্র্যান্ড স্লামের প্রবল চাপ।আর একটি মাত্র ধাপ,এটা জিততে পারলেই টেনিস দুনিয়ার সাম্রাজ্য তাঁর হাতের মুঠোয় চলে আসবে।পারবেন তো এই টুর্নামেন্টটা জিততে! ভয়ঙ্কর মানসিক চাপে তিনি অস্থির হয়ে পড়েছেন।

গ্র্যান্ড স্লামের কথা আর ভাববেন না এই মনে করে আমেরিকায় এলেন।কিন্তু মনে করলেই যে চাপমুক্ত হয়ে যাবেন, ব্যাপারটা এতো সহজ নয়।গোদের ওপর বিষফোঁড়া হল আমেরিকার সর্বগ্রাসী মিডিয়া।এরা তাঁকে মুহূর্তের জন্যেও তাঁকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেনা।সর্বত্র একই কথা একই আলোচনা।লেভার কী পারবেন এমারসনকে হারিয়ে গ্র্যান্ড স্লাম জিততে।ছিনে জোঁকের মত লেগে আছে তাঁর পিছনে আমেরিকার মিডিয়া।

আর সমানে চলছে বাজের সঙ্গে তাঁর তুলনা।বিল টিলডেনের মতো মানুষও বলছেন যে, বাজের মতো এতো বড় খেলোয়াড় হয়নি আর হবেও না। লেভার খুব ভালো খেলোয়াড় ঠিক আছে,কিন্তু বাজের মতো প্রতিভা ওঁর নেই।
এই তুলনাটা লেভারকে ভীষণ ভাবে দমিয়ে দিচ্ছে। বাজের সময়ে তাঁর ক্রীড়া নৈপুণ্য বা প্রতিভার সমকক্ষ দূরের কথা, ধারে কাছেই কেউ ছিল না। যার ফলে বাজের পক্ষে কাজটা ছিল খুব সহজ।কিন্তু এখন এমারসনের মতো ধুরন্ধর খেলোয়ার আছে,এই সহজ কথাটাই তিনি কাউকে বোঝাতে পারছেন না।

অস্ট্রেলিয়ায় যে ডানলপ কোম্পানিতে তিনি কাজ করেন, তাদের আমেরিকা অফিসের প্রধান কর্তা প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান টেনিস খেলোয়াড় আদ্রিয়ান কুইস্ট এসেছেন লেভার কে সাহায্য করতে।কিন্তু তিনিও কোনোভাবেই আমেরিকার খবরের কাগজের রিপোর্টিং,রেডিও, টি ভি র একের পর এক ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়া মুচমুচে টক শো গুলো থেকে লেভারকে মুক্ত করতে পারলেন না। হাল ছেড়ে দিয়ে বুঝতে পারলেন, এই মানসিক অবস্থায় লেভারের পক্ষে গ্র্যান্ড স্লাম জেতা কার্যত অসম্ভব।যিনি মন দিয়ে প্র্যাকটিস পর্যন্ত করতে পারছেন না,তাঁর পক্ষে টুর্নামেন্ট জেতা আকাশকুসুম ছাড়া কিছুই নয়।

টুরনামেন্টের ঠিক আগের দিন। ফরেস্ট হিলের হোটেলে নিজের ঘরে বসেছিলেন বিষন্ন, মনমরা রড লেভার।প্র্যাকটিসে যাননি।এক অদ্ভুত বিষাদ ঘিরেছে তাঁর মন।মনের জোর বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই ।

এই সময়েই কে একজন নক করলেন তাঁর ঘরে।বিরক্ত তো হলেনই, ভয়ও পেলেন বেশ।নিশ্চয় কোন সাংবাদিক হবেন,প্রশ্নে প্রশ্নে খুঁচিয়ে তুলবেন তাঁকে,বিপর্যস্ত করে ছাড়বেন।

ভয়ে ভয়ে তাকালেন তাঁর দিকে।সুপুরুষ চেহারা,লম্বা,বয়সের ভারে একটু ভারী শরীর কিন্তু দারুন চটপটে।

ভদ্রলোক প্রশ্ন করলেন,” তোমার নাম কী রডনি লেভার? ”

” হ্যাঁ ” আমতা আমতা করে উত্তর দিলেন লেভার।” আপনি ?”

” আমার নাম ডোনাল্ড বাজ।” উত্তর দিলেন ভদ্রলোক।

চোখের পলক পড়েনা লেভারের।অবাক বিস্ময়ে তিনি টেনিসের অবিসংবাদী সম্রাটের দিকে তাকিয়ে আছেন।

হতভম্ব লেভার কে বাজ এগিয়ে এসে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।বললেন,” অভিনন্দন লেভার।মনের জোর হারিও না।আমি আছি তোমার পাশে।আমাকে যেন নিরাশ করো না।”

তাঁর ওপর বাজের এই ভালোবাসা, বিশ্বাস দেখে অভিভূত হয়ে গেলেন লেভার।আর ধরে রাখতে পারলেন না নিজেকে, ঝরঝর কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাজের বুকে।

সান্ত্বনা দিয়ে বাজ বললেন,” এভাবে হয় না লেভার।কে কী বলছে, কী ভাবছে এসবের থেকে বেরিয়ে এসে ঝরঝরে মনে, চিন্তামুক্ত মস্তিষ্কে তোমায় প্র্যাকটিস করতে হবে।চল আমার সঙ্গে।”

বিনা প্রশ্নে লেভার বেরিয়ে গেলেন তাঁর সঙ্গে।দেবতার হাত ধরা আছে তাঁর হাতে,কিসের ভয়? ফরেস্ট হিলস থেকে নিজের গাড়িতে লেভারকে নিয়ে গেলেন প্রায় একশো মাইল দূরের ক্যাটস্কিলের গ্রমিনজারের টেনিস কোর্টে।একেবারে নির্জন জায়গা।এখানে কেউ লেভারের খোঁজ পাবেনা।

বাজ বললেন,” আজ প্রায় তেইশ চব্বিশ বছর টেনিস খেলা ছেড়ে দিয়েছি।তোমার সঙ্গে পারব না।তবু, এসো, একটু খেলা যাক তোমার সঙ্গে।

প্রথম সেট সহজেই জিতলেন লেভার।কিন্তু দ্বিতীয় সেটে মারাত্মক হয়ে উঠলেন বাজ। নাকাল করে ছাড়লেন লেভারকে।আপ্রাণ চেষ্টা করেও লেভার সেটটা জিততে পারলেন না।তৃতীয় সেটটা অবশ্য জিতলেন লেভার,তবে কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন বাজ।তেমন ছোটাছুটি করে আর খেলতে পারেন না বাজ কিন্তু আয়ত্বের মধ্যে পেলে এখনও সেই পুরনো বাজ।

খেলা হয়ে গেলে বাজ বললেন,” আর প্র্যাকটিসের দরকার নেই তোমার।জেতার মতো সব রকম মার তোমার হাতে আছে।ফুরফুরে মেজাজে থাকো।জয় তোমার হবেই।” তারপর সারাদিন ধরে হাবিজাবি গল্পে কথায় ভুলিয়ে রাখলেন লেভারকে।রাতে পার্টিতে নিয়ে গেলেন।প্রচুর ফুর্তি, হৈ হুল্লোর হোল।একটু বেশি রাতে পেটভরে খাওয়া আর ঘুম। পরদিন সকালে আরার লেভারকে ফরেস্ট হিলে পৌঁছে দিলেন বাজ। ফুরফুরে লেভারের মনে আর কোন চাপ নেই।আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর।

এদিকে হোটেলে লেভার কে দেখতে না পেয়ে তাঁর কোচ ম্যানেজার খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন।এতক্ষণে তাঁকে দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তাঁরা। লেভার বললেন সব।ওঁরা জানতে চাইলেন বাজের সঙ্গে খেলেছেন কিনা।উত্তরে লেভার বললেন,” খেলেছি, দুর্দান্ত খেলোয়াড়,মানুষ হিসেবে আরও বড়।”

ফাইনালে উঠতে অসুবিধে হয়নি লেভারের।অন্যদিকে প্রত্যাশা মতই ফাইনালে উঠলেন গতবারের ইউ এস চ্যাম্পিয়ন রয় এমারসন। বাজ প্রতিদিন লেভারের খেলা দেখতে আসতেন।তারপর নিয়ে যেতেন কোন পার্টিতে,সেখানে আমোদ আহ্লাদ করে হোটেলে ডিনার খাওয়াতেন।গ্র্যান্ড স্লামের কথা ভাবতেই দিতেন না।

এই ভাবেই চলে এল ফাইনালের দিন । সার্ভ আর ভলির ওপর নির্ভর করে প্রথম সেটটা ৬-২ জিতে নিতে লেভারকে খুব একটা বেগ পেতে হল না।

দ্বিতীয় সেটটাও সার্ভ আর ভলির ওপর খেলেই ৬-৪ এ জিতে নিলেন।।পরপর দুটি সেট সহজেই জিতে নিয়েছেন। বাকি আর একটা মাত্র সেট।তাহলেই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার স্বপ্ন সফল হবে।দর্শকরা কিন্তু এখন এমারসনের পক্ষে,কারণ তিনি পিছিয়ে আছেন।তাঁদের সমর্থন পেয়ে এমারসন এবার ঘুরে দাঁড়ালেন। হারের ভয় তিনি কাটিয়ে উঠলেন।দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন লেভারের সঙ্গে।মনের জোর ফিরে পেয়েছেন তিনি।লেভারের একটা গেম ব্রেক করে দিলেন এমারসন।কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না।পরের গেমটা এমারসনের সার্ভিস গেম ব্রেক করলেন লেভার।এর পর দ্বাদশ গেমে লেভারের একটা সাংঘাতিক ভলিকে আটকাতে এমারসন একটা পাসিং শট মারলেন। বলটা নেটের ফিতেতে লেগে লেভারের কোর্টে গড়িয়ে পড়ল।লাকি পয়েন্ট পেলেন এমারসন।লেভারের সার্ভিস চলছিল তখন।গেম স্কোর১৫-৪০।লেভারের পরের সার্ভিসটা একটা দুর্দান্ত ব্যাক হ্যান্ড ক্রস কোর্ট মেরে সেই গেম সঙ্গে ৭-৫ গেমে সেটটা জিতে নিলেন এমারসন।
২-১ সেটে এগিয়ে আছেন লেভার।এখন বিরতি দশ মিনিটের।

শুরু হল চতুর্থ সেট।এই সেটেই খেলাটা শক্তি আর উৎকর্ষের চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠেছিল।এমন একটা খেলা দেখার জন্যেই দর্শকরা বহুদিন অপেক্ষা করে থাকেন।

লেভার ঠিকই করেছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এমারসনের সার্ভিস ব্রেক করে তাঁকে বেকায়দায় ফেলবেন।সেই মতো এমারসনের প্রথম সার্ভিস গেমটাই জিতে নিলেন তিনি।কিন্তু পঞ্চম গেমে লেভারের সার্ভিস গেম ব্রেক করলেন এমার্সন। স্কোর ৩-২ ।পরের গেমটা আবার এমার্সনের সার্ভিস গেম ব্রেক করে গেমটা ছিনিয়ে নিলেন লিভার।৪-২ ।

দুজনেরই শরীর আর ওপর স্নায়ুর ওপর তখন তীব্র চাপ শুরু হয়ে গেছে।এক ইঞ্চি জমি কেউ ছাড়ছেন না।দুজনেই উজাড় করে দিচ্ছেন তাঁদের সেরা অস্ত্রগুলো। স্কোর দাঁড়াল৫-৪ ।

শুরু হল দশম গেম।এই গেমটা লেভার জিততে পারলে কেল্লা ফতে।কিন্তু লেভার যেন তখন সমস্ত জোর হারিয়ে ফেলেছেন।পায়ের তলায় মাটি যেন আর নেই। কোনরকমে জোর করে ধরে রেখেছেন রাকেটটা, আঙুলগুলোর সেই শক্তি আর নেই যেন।ভারী পা দুটি আর চলছে না।ফরেস্ট হিলের সেন্টার কোর্টের ওপর দাঁড়িয়ে দরদর করে ঘামছেন।ধীরেসুস্থে খেলে এমারসন তখন ৩০-১৫ পয়েন্টেএগিয়ে।লেভারের সার্ভিস ফেরালেন এমারসন,সেই ফিরতি বলে সাংঘাতিক ভলি মেরে গেমটাকে ৩০-৩০ পয়েন্ট এ আনলেন লেভার।লেভারের পরের সার্ভিসটা ঠিকমত না বুঝে ফোরহ্যান্ড এ ব্লক করে ফেরত দিতে বলটা অনেক উঁচু করে ফেললেন এমারসন।সকলেই ধরে নিয়েছেন লেভার ওই বলটায় একটা প্রচন্ড স্ম্যাশ করবেন, যেটার ফেরত হবেনা।কিন্তু উত্তেজনার বশে বলটা ঠিকমতো মারতে মারলেন না,রাকেট ফলস হল, বলটা আস্তে করে তাঁর পায়ের কাছে এসে পড়ল।লেভারের তখন মানসিক অবস্থা একেবারে তলানিতে।

দর্শকদের মধ্যে বসে থাকা বাজের দিকে লেভার তখন তাকালেন।বাজ হাত তুলে তাঁকে অভয় দিলেন।একবুক নিশ্বাস নিয়ে লেভার বেস লাইনে গেলেন সার্ভিস করার জন্যে।লতপত করছে শরীরটা। হাড় মাংস যেন কিছুই নেই।রোবটের মত বলটা অপরের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে সজোরে রাকেট চালিয়ে চিরকালের মতো তীব্র সার্ভিস করলেন।পরপর দুটো সার্ভিস এমারসন ভুল মারলেন।লেভার অ্যাডভ্যানটেজ পেলেন।এবারের সার্ভিসটা সর্বশক্তি দিয়ে করলেন লেভার,করেই নেটের কাছে ছুটে এলেন। এমার্সনের ফেরত দেওয়া বলটা নেটের ওপর থেকেই ফেরত দিলেন লেভার।এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত ছুটে গিয়ে বলটা ফেরত দিলেন এমারসন কিন্তু সেটা বেস লাইনের বাইরে গিয়ে পড়ল।গ্র্যান্ড স্ল্যাম উইনার হয়ে বাজকে স্পর্শ করলেন লেভার।ছুঁলেন ইতিহাস।

কিন্তু ততক্ষণে লেভারের সমস্ত শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেছে। নেটে গিয়ে এমারসনের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার ক্ষমতাও আর নেই।প্রচণ্ড উত্তেজনার পর মানসিক অবসাদে ভেঙে পড়েছেন তিনি।সব কিছু নিরর্থক মনে হচ্ছে তাঁর।এত বড় সাফল্যের পরেও তিনি কোন আনন্দ পাচ্ছেন না।এমারসন ছুটে এসে লেভারকে অভিনন্দন জানালেন।লেভারের গৌরবে এমারসন আনন্দ করছেন,নিজের হার নিয়ে কোন দুঃখ নেই তাঁর।একজন তরুণ খেলোয়াড়ের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য লেভার যেন বিষন্ন হলেন। কোর্ট থেকে বেরিয়ে যাবার মুখে দাঁড়িয়ে ডোনাল্ড বাজ। সহর্ষ র্অভিনন্দন জানালেন লেভারকে।এত বড় গৌরবের পরেও নিজেকে তাঁর কত ছোট মনে হল।

Be the first to comment

আপনার মতামত...