সৌমিত্র দস্তিদার
লেখক চলচ্চিত্রনির্মাতা, সাংবাদিক
যুদ্ধের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে লিখতে হলে, আপনাকে অদৃশ্য কিছু শর্ত অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রথম শর্ত, আপনাকে বিনা প্রশ্নে সরকারের যাবতীয় ভূমিকা মেনে নিতে হবে। ভুলেও প্রশ্ন তোলা যাবে না যুদ্ধ নিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা কেন অযথা পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করে সীমান্ত সমস্যার আসল চেহারা ধোঁয়াটে করে তুলেছেন! গালওয়ানের সংঘর্ষে আপাতত যা জানা গেছে তাতে ভারতের তরফে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। চিনাদের হতাহতের সংখ্যা নাকি আরও অনেক বেশি। আমরা প্রথমে জেনেছিলাম যে চিনারা আগ বাড়িয়ে ভারতভূমিতে ঢুকে হামলা চালায়, যার পরিণতি দেশজুড়ে হঠাৎই যুদ্ধ যুদ্ধ হাওয়া। সবচেয়ে বড় ক্ষতি, আমাদের দেশের কিছু গরিব ঘরের ছেলেদের অকালে চলে যাওয়া। পরে অবশ্য সর্বদলীয় মিটিং-এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন যে চিনারা কখনওই এদেশের সীমানায় ঢোকেনি। ভারতের কোনও পোস্ট চিনের দখলে নেই। তাহলে সংঘর্ষটা ঠিক কোথায় হল? কেনই বা হল? ভারত কি চিনের সীমানায় ঢুকে আক্রমণ করেছিল সে রাতে? জানা গেল না।
এদেশে এখন যুদ্ধ-সাংবাদিকতা শেখানোর পাঠ চলছে। ওয়র অ্যানালিস্ট বা বিশ্লেষকের মতো গালভরা নামের যুদ্ধ-পণ্ডিতও এখন ভারতে কম নেই। এদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে ‘কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট’ বলে একটা কোর্সও চালু হয়েছে। আসলে যেদিন থেকে যুদ্ধকেন্দ্রিক বিশাল এক ইন্ডাস্ট্রি জন্ম নিয়েছে, সেদিন থেকেই যুদ্ধ নিছক দেশবাসীর স্বার্থে নয়, আন্তর্জাতিক কর্পোরেট গোষ্ঠীর মুনাফার প্রয়োজনে ঘটানো হয়ে থাকে– এই সত্যিটা জেনে অথবা না জেনে কোনও তাত্ত্বিকই স্বীকার করতে চান না। যত বড়ই সমরবিশেষজ্ঞ হোন না কেন, তারা কোনও সঠিক বিশ্লেষণ আপনাকে শোনাবেন না। তাদের সোর্স সবসময় সরকারি সূত্র। ফলে রাজসভার বিদুষকের চেয়ে অন্য কোনও ভূমিকায় তাদের দেখা আমরা পাই না। যখনই যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়, তখনই গতে বাঁধা কিছু বুলি তারা আউড়ে যান।
অথচ এখনই কিন্তু প্রশ্ন তোলার সঠিক সময়। মুশকিল হচ্ছে, আমাদের দেশের শাসকেরা অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সরকার ও দেশকে সমার্থক শব্দ করে জনমনে চারিয়ে দেন। ফলে সরকার নিয়ে কোনও সমালোচনা বা প্রশ্ন তোলাকেই দেশ বা রাষ্ট্রবিরোধী বলে তকমা দিয়ে দেওয়া হয়। বলা বাহুল্য, এ কাজে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র তোষক মিডিয়া। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নাটকীয় সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মিডিয়া যে গণহিস্টিরিয়া সযত্নে নির্মাণ করে, তার দাপটে যুক্তি তর্ক কাণ্ডজ্ঞান কোথায় ভেসে চলে যায়।
এই এখন যেমন দিকে দিকে চিনবিরোধী উন্মাদনা নির্মিত হয়েছে, তাতে ইতিমধ্যেই পেছনে চলে গেছে করোনা মহামারির ক্ষেত্রে মোদি সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকা– কোভিড-পূর্ব সময় থেকেই অর্থনীতি নিয়ে বিজেপি সরকারের চরম ব্যর্থতা, লকডাউন পরিস্থিতিতেও আইনশৃঙখলার দোহাই দিয়ে সবরকম বিরোধী কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করা, প্রতিবাদী কবি, শিল্পী-সাহিত্যিক, ছাত্র, বুদ্ধিজীবীদের জেলে পোরার মতো গর্হিত অপরাধ। স্বাভাবিকভাবেই মনে আসা উচিত ছিল যে তাহলে এই যুদ্ধে লাভবান হচ্ছে কারা, কোন শক্তি! নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি যখন বেছে বেছে শুধু বিহার রেজিমেন্টের প্রশংসা করেন, যখন গালোয়ানে তাদের বীরত্বের কথা প্রকাশ্যে পঞ্চমুখে বলেন, তখন কি কোথাও কি আমার-আপনার মনে সামান্য খচখচ করে না– এ প্রশংসা সামনের বিধানসভায় জেতার কথা মাথায় রেখে নয় তো? কিউঁকি বিহার জঙ্গলমে চুঁনাও আ রহা হ্যায়! যেখানে প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন যে ২০ জন শহিদ হয়েছেন তাঁরা অনেকেই বিহার রেজিমেন্টের হলেও তাঁদের অধিকাংশই বিহারের বাসিন্দা নন। সারাক্ষণ নেশন নেশন করব, অথচ সুবিধে পাওয়ার জন্য সুযোগ বুঝে দেশকে, দেশের মানুষকে আঞ্চলিক স্তরে নিয়ে যাব– এটা আর যাই হোক দেশের প্রধানের কাছে আশা করা যায় না।
আর একটা কথা ইদানিং মনে হয় যে যখনই যুদ্ধ হয় তখনই যেটুকু যা দেখি তাতে মৃত্যু হয় গরিব ঘরের ছেলেদেরই। বড়জোর মধ্যবিত্ত বাড়ির তরুণদের। একেক সময় ইচ্ছে করে আরটিআই করে জেনে নিই স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি যত যুদ্ধ হয়েছে তাতে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে শতকরা গরিব কৃষক বা মজুর পরিবারের সদস্য কজন! আমার ধারণা নব্বই শতাংশের কম নয়। এদেশের গণতন্ত্র নিয়ে আমরা সবসময় সোচ্চার। এখন তো টিভি খুললেই আমাদের মাতব্বর সঞ্চালকেরা বলেই চলেছেন যে চিনে গণতন্ত্র নেই। ভারতের আছে। অবশ্যই আছে। কিন্তু মিলিটারি ক্যান্টনমেন্টগুলোতে গেলে আপনি আরেক ‘গণতন্ত্র’ দেখতে পাবেন। সেখানে সেনা অফিসার আর সাধারণ জওয়ানদের মধ্যে যোজন দূরত্ব। কর্নেল, মেজর পদমর্যাদার কর্তারা সাধারণ সেনার সঙ্গে ঠিকঠাক মেলামেশাও করেন না। অফিসার গিন্নি কখনও সাধারণ সৈন্যদের স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনটুকুও বোধ করেন না। এই আভিজাত্যের হায়ারার্কি নিশ্চয়ই কোনও গণতন্ত্রের পক্ষেই স্বাস্থ্যকর নয়। অথচ যুদ্ধ লাগলে দেশের স্বার্থে সর্বপ্রথমে বলি দেওয়া হয় ওইসব ‘নিম্নবর্গের’ জওয়ানদের। মিলিটারি রিফর্ম নিয়ে কখনও কখনও কথা ওঠে। কিন্তু ওইটুকুই। বিষয়টি নিয়ে কোনও ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া হয় না। কেউ কেউ বলতেই পারেন এখন কি আর এসব নিয়ে আলোচনার সময়! এখন তো ঘাড়ের কাছে যুদ্ধ নিঃশ্বাস ফেলছে। আমার তো মনে হয়, দেশের সীমান্তের সুরক্ষায় আমাদের সেনা জওয়ানরা যখন শহিদ হচ্ছেন, সারা দেশের নজর যখন তাদের প্রতি, তাদের অধিকার, অভিযোগ ও দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলার সেটাই উপযুক্ত সময়।
আর এই শত্রুর নিঃশ্বাস ফেলার ব্যাপারটাও কিন্তু কোনও আচমকা ঘটনা নয়। অন্তত ঘটনার গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। এখন এমন একটা সময় যুদ্ধ যুদ্ধ হাওয়া উঠেছে যখন দুটি দেশ– চিন ও ভারত উভয়েরই আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি জটিল। নরেন্দ্র মোদির হাততালি, ঘণ্টা বাজানো বা আকাশপথে ফুল ছেটানোর রাজনীতিও করোনা ও অর্থনীতি বিপর্যয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে কোণঠাসা। চিনেও অবস্থা বিশেষ সুবিধের নয়। তার লৌহকঠিন আড়াল ভেঙেও যেটুকু যা খবর আসছে তাতে সেখানেও বহু মানুষ নিখোঁজ (মৃত?), অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত, একাধিক কারণে সেদেশে গণবিক্ষোভ বাড়ছে।
আমাদের মেনস্ট্রিম মিডিয়া একটা বিষয় ঠিকই বলেছে যে ১৯৬২ সালে চিন-ভারত আর আজকের চিন-ভারত এক নয়। তখন আর যাই হোক মাও সে তুং-এর চিন আধিপত্যবাদী অবস্থানে ছিল না। বাজার অর্থনীতির পরিবর্তে তখনও সে অন্তত কাগজে কলমে সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিল। ভারত ছিল পরিকল্পিত অর্থনীতির পথে। দুপক্ষের এক সাধারণ জায়গা ছিল, তাদের ঘোষিত আমেরিকা-বিরোধী বিদেশনীতি। চিন দ্রুত নিজেদের বদলে নিয়েছে। শ্রমিক শোষণ থেকে শুরু করে বাজার বিস্তার কোনও বিষয়েই সে আর পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। ভারত এখনও কাগজে কলমে গণতান্ত্রিক হলেও বাস্তবে সে পরিসর দিন দিন কমছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ধর্মনিরপেক্ষতা কখনওই মোদি সরকারের ঘোষিত নীতি ছিল না। বিশেষ করে যে সঙ্ঘ পরিবার বিজেপি সরকারের ভিত্তি তা পুরোপুরি হিন্দু রাষ্ট্রের পক্ষে এ নিয়েও কোন বিতর্ক নেই। জোটনিরপেক্ষ নীতি থেকে ভারত মোদি সরকারের আমলে পুরোদস্তুর আমেরিকার দিকে ঝুঁকেছে তা নিয়ে কোনও রাখঢাক বিজেপি করেনি, এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার। বলা ভালো আমেরিকা না বলে এখানে ট্রাম্পনির্ভরতাই সঠিক শব্দ। খোদ আমেরিকার জনগণের বড় অংশ যখন চরম দক্ষিণপন্থী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে তখন ট্রাম্পেরও খড়কুটোর মতো ভারতকে বাজারের প্রয়োজনে আঁকড়ে ধরা ছাড়া উপায় নেই।
এ যুদ্ধ মনে হয় না আদৌ কখনও হবে। এই ছদ্ম-লড়াই অবশ্য চলতেই থাকবে। এশিয়ার রাজনীতির ক্ষমতার চাবিকাঠি কার হাতে থাকবে, মহাশক্তিধর দেশ কে, চিন না ভারত তা নিয়ে এই তালঠোকাঠুকির মধ্যেই এদেশের অর্থনীতি আরও মুখ থুবড়ে পড়বে। গরিব আরও গরিব হবে। কিন্তু আমাদের প্রচারমাধ্যমের মদতে জনগণের এক বড় অংশ স্পেনের বুলফাইটের সময় গ্যালারিতে বসে অসহায় গ্লাডিয়েটারদের রক্তাক্ত হতে দেখেও চিৎকার করতে থাকবে উন্মত্ত গলায়, “কিল হিম”। মারো, মেরে ফেলো শত্রুকে। বুদ্ধ-গান্ধির দেশ থেকে আওয়াজ উঠবে আক্রমণের, প্রতিহিংসার। অন্ধকার নেমে আসবে বীরভূম, আলিপুরদুয়ার বা দেশের অন্য কোনও জেলায়। গান স্যালুটের শব্দে চাপা পড়ে যাবে প্রিয়জনের হাহাকার।
যদি ধরেও নিই যুদ্ধ হচ্ছেই, তখনও প্রশ্ন উঠবে তাতে এ দেশের কতটা লাভ হবে! জিতলেও অর্থনীতির সঙ্কট বাড়বে। আর হেরে গেলে তো কথাই নেই। ইতিমধ্যেই অনেক বিষয়ে কিন্তু ভারত যথেষ্ট ব্যাকফুটে। তার বৈদেশিক নীতি, কূটনৈতিক দৌত্য বড়সড় প্রশ্নের মুখে। মিথ্যে কথা বলে লাভ নেই এই মুহূর্তে প্রতিবেশী দেশগুলো কেউই ভারতের বন্ধু নয়। যে নেপাল আজীবন ভারতের বন্ধু ছিল, সেও ২০১৫-এর ট্রেড ব্লকেড থেকে মোদি সরকারের একাধিক হঠকারী সিদ্ধান্তের জেরে এখন চরম ভারতবিরোধী। মোদি সরকারের অহমিকা নেপালের মনে যে ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল, অত্যন্ত বুদ্ধিমানের মতো তা দূর করতে ঠিক সময়ে চিন এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের সঙ্গেও মোটেও ভারতের আর সেরকম কোনও বনিবনা নেই। এদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন বাংলাদেশের বড় অংশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে। এদেশের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরাসরি যে ভাষায় মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশকে আক্রমণ করেছেন তা কতটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার তা নিয়ে প্রশ্ন না ওঠাই অস্বাভাবিক। করোনাকালেও চিন যেভাবে ঢাকার পাশে থেকেছে ভারত তার ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি। এভাবে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, এমনকি ছোট্ট শান্তিপ্রিয় দেশ ভুটানও আজ ভারতের পাশে নেই। একদা জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতা ভারতের নিজের পাড়ায় এমন বন্ধুহীন হয়ে পড়াটা নিঃসন্দেহে মোদি সরকারের বিদেশনীতির চরম ব্যর্থতা।
আসল কথাটা হচ্ছে স্বৈরতন্ত্রের কোনও বন্ধু হয় না। যারা চারপাশে ভিড় করে থাকে তাদের অধিকাংশই স্তাবক। তাদের অতি আস্থা ট্রাম্পের ওপরে। কথায় বলে মেড়া কোঁদে খুঁটির জোরে। এদেশের লক্ষ লক্ষ সঙ্ঘ অনুগামীদেরও বিশ্বাস আর কেউ পাশে থাক না থাক, তাদের পাশে আমেরিকা আছে। এই অন্ধ আমেরিকাপ্রীতিই আগামী দিনে ভারতের বিপদ না হয়ে দাঁড়ায়। একে তো মার্কিন দেশেও রিপাবলিকানদের মধ্যেও সবাই যে নরেন্দ্র মোদির সমর্থক তা মোটেই নয়। জর্জ বুশের সময় আমেরিকা মোদির সে দেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবার কথা নয়। সামনেই নভেম্বরে ট্রাম্পের অগ্নিপরীক্ষা। এমনিতেই নানা কারণে তাঁর জনপ্রিয়তা তলানিতে। যদি হেরে যান তাহলে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ভারতকে কতটা বা আদৌ সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাছাড়া আমেরিকা এমন এক দেশ যার নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ বাদ দিয়ে অন্য দেশের পাশে দাঁড়ানোর কোনও নজির ইতিহাসে নেই। আর যে ট্রাম্পের ওপর মোদিজির এমন ভরসা তাঁর সম্পর্কে অতি সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন ওদেশের সুরক্ষা পরিষদের বড়কর্তা জন বোল্টন। যিনি ক্ষমতা ও পদমর্যাদায় এদেশের অজিত দোভালের মতো প্রভাবশালী। বোল্টন সে বইয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে ট্রাম্প মুখে যতই হম্বিতম্বি করুন না কেন, তলে তলে তিনি চেয়ারম্যান জিনপিনকে আকুল হয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন যে আপনি আমাদের কৃষিনির্ভর স্টেটগুলো থেকে দয়া করে কৃষিপণ্য কিনুন। তাহলে অন্তত ওই স্টেটগুলো আমার পাশে থাকবে। এসব জেনেশুনেও কেউ যদি ভাঙা নৌকায় ওঠেন তা হলে তাকে আর কিই বা বলা যেতে পারে! এই মুহূর্তে তাই যুদ্ধ যুদ্ধ করে বাজার গরম না করে ভারতের নিজেদের বিদেশনীতির পর্যালোচনা করে আবার প্রতিবেশীদের কাছে টানার উদ্যোগ নেওয়া সবচেয়ে জরুরি।