লেবানন এবং “বেইরুটশিমা” বিস্ফোরণ: দুর্নীতি, না বিদেশের হাত?

হেবা মোরাদ

 


লেখক বিভিন্ন আন্তর্জাল সংবাদপত্র এবং ওয়েবসাইটের রাজনৈতিক ভাষ্যকার। RT, CCTV, South Africa Tv-র মতো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় পরিচিত মুখ। লেবাননের মানুষ, যদিও বর্তমান ঠিকানা তেহেরান, ইরান। মূল ইংরাজি লেখাটি নীচে দেওয়া হল।

 

 

 

 

লেবাননের রাজধানী বেইরুটে পারমাণবিক বোমা-সদৃশ বিস্ফোরণটা যেই হল, তার কারণ তল্লাশ করতে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ উঠে আসতে থাকল। অনেকেই বিস্ফোরণটির নাম দিল “বেইরুটশিমা”; আলোচনা চলতে লাগল কী বিপুল ক্ষয়ক্ষতির ক্ষমতা ছিল এই বিস্ফোরণটির, তাই নিয়ে; এবং এসবের মূল কারণ বিস্ফোরণের রূপটি ছিল মাশরুমের মতো, যা মানুষকে সহজেই জাপানের হিরোশিমায় সেই ১৯৪৫ সালে মার্কিন ন্যক্কারজনক দুষ্কৃতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।

পরস্পরবিরোধী সব রিপোর্ট উঠে আসছে। কেউ বলছে কীর্তিটি ইজরায়েলের। তারা লেবানন এবং হেজবোল্লাকে শিক্ষা দিতে চায়। কারও সন্দেহ, এ মার্কিন অপকর্ম। তার লেবাননের ওপর আরও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চায়। আবার কারও কারও মতে এ নেহাতই একটি দুর্ঘটনা, যার সঙ্গে দুর্নীতির যোগ রয়েছে।

সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বিস্ফোরণের যে তদন্তের নির্দেশ লেবানিজ প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন, তা এই দুটি সম্ভাবনাকেই খতিয়ে দেখবে। কোনও বিদেশি শক্তির হাত, নাকি শুধুই আভ্যন্তরীণ গাফিলতি এবং দুর্ঘটনা। যেকোনওটি হওয়ারই সম্ভাবনা আছে।

উভয় ক্ষেত্রেই কিছু জিনিস অবশ্যদ্রষ্টব্য। লেবাননের বেশিরভাগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিই যে দুর্নীতিতে জর্জরিত হয়ে রয়েছে, এ সবাই জানে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ২০১১-র রিপোর্টে কোরাপশন পারসেপশন ইনডেক্স-এ লেবাননকে ২.৫ স্কোর দিয়েছিল, যাতে ১৮৩টি দেশের মধ্যে লেবাননের স্থান হয়েছিল ১৩৪তম এবং ২০টি আরব দেশের মধ্যে চতুর্দশতম।

ডেইলি স্টারের হিসেব অনুযায়ী বেইরুট বন্দরে ট্যাক্স-কারচুপির পরিমাণ বছরে ১ বিলিয়ন ডলার! ২০১২ সালের প্রথম ৯ মাসে যেখানে বেইরুট বন্দরে মোট ২ বিলিয়ন ডলারের লেনদেনের রসিদ পাওয়া যায়, সেখানে কাস্টমসের রসিদে দেখা যায় মাত্র ১ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়েছে।

বেইরুট বন্দরের জালিয়াতির এই বিপুল অঙ্ক প্রমাণ করে যে এখানে দাতা এবং গ্রহীতাদের একটি বিরাট সুসংগঠিত নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ কোনও সহজ পদ্ধতি হতেই পারে না।

বন্দরে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয় তা বোঝার জন্য ডেইলি স্টার সেখানকার এক ভেতরের লোকের সাক্ষাৎকার নেয়। সে যা বলেছিল— “ট্যাক্সে কারচুপি করার জন্য কমপক্ষে চার-পাঁচজনের একটা আঁতাত লাগে। এদের মধ্যে থাকবে ক্লায়েন্ট এবং তার সাপ্লায়ার, ক্লিয়ারেন্স অফিস, কাস্টমস ইনস্পেকটর বা স্কাউট ম্যান এবং তার সুপারভাইজার, এবং তার সঙ্গে অন্যান্য কাস্টমস এজেন্টরাও। ক্লায়েন্ট তার সাপ্লায়ারকে বলবে বেইরুট বন্দরে জাহাজজাত করা হয়েছে এমন কিছু জিনিসপত্রের একটি জাল বর্ণনা সমেত ইনভয়েস বানিয়ে দিতে। যেমন ধরা যাক, কম্পিউটারের চেয়ে কাপড়ের কাস্টমস ডিউটি বেশি। তাই ক্লায়েন্ট চাইছে দেখাতে যে সে কাপড় নয়, কম্পিউটার আমদানি করেছে। তার উদ্দেশ্য কম ট্যাক্স দিয়ে বেশি মুনাফা করা। সাপ্লায়ারের উদ্দেশ্য ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট করে নিজের কমিশন নিশ্চিত করা। ক্লিয়ারেন্স অফিসেরও কিছু অতিরিক্ত কমিশন চাই। আর ইসস্পেকটর এবং কাস্টমস এজেন্টরা তো দিনে হাজার ডলার রোজগার করে স্রেফ ঘুষ খেয়ে। এতে সবারই বখড়া আছে। ফলে কেউই এই চক্রকে ঘাঁটাতে চায় না। সহজ ব্যাপার।”

ডেইলি স্টারের উল্লিখিত এই উদাহরণটি বন্দরের হিমালয়ান্তিক দুর্নীতির একটি ছোট্ট উদাহরণ মাত্র। এই বেইরুট বন্দর সম্পর্কে দুর্নীতির এত রিপোর্ট আছে যে এর ডাকনামই হয়ে গেছে ‘আলিবাবার গুহা এবং চল্লিশ চোর’। দুর্নীতির আর যেসব ক্ষেত্রগুলি শোনা যায় তার মধ্যে আছে সারাই-না-হওয়া বা খারাপ-হয়ে-যাওয়া স্ক্যানার, স্ক্যানার বাইপাস করা, কর্মীদের বে-আইনি রদবদল, ইত্যাদি। এবং ওয়াকিবহাল লোকজনের মতে এগুলিও হিমশৈলের চূড়া মাত্র। বেইরুট বন্দরে সেই ২০১৩-র সেপ্টেম্বর থেকে ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট অবৈধ এবং অসুরক্ষিতভাবে পড়ে রয়েছে। আধিকারিকদের মতে এই বিস্ফোরণের সঙ্গে এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সম্পর্ক আছে। গত শুক্রবার লেবানিজ প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন জানালেন যে তিন সপ্তাহ আগে তিনি এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কথা জানতে পেরেছেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই এটি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।

অতএব একথা স্পষ্ট যে, এই ‘সামান্য দুর্ঘটনা’টি এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের পেছনের কারণগুলিকে মোটেই নাকচ করে না, বরঞ্চ এটা যে লেবানিজ রাষ্ট্রযন্ত্র ও তার কর্মচারীদের মধ্যে শিকড় গেড়ে বসা দুর্নীতি, অকর্মণ্যতা, ও গাফিলতির ফল, তা স্পষ্টই বুঝিয়ে দেয়।

একথাও মনে রাখা দরকার যে বেইরুট বন্দরে প্রত্যক্ষ সরকারি নজরদারি ছিল না। বন্দরের কাজকর্ম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও বেইরুট বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে দেখাশোনা করত। এই দুই পাবলিক অথরিটি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি প্রমুখের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। অর্থাৎ এই দুটি সংস্থাই যদিও কাগজে কলমে দেশের সরকার দ্বারা চালিত, প্রকৃতপক্ষে এগুলি সংসদ বা সরকারি আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বেশ কয়েক দশক ধরেই, লেবানন এই ধরনের অভিজাত রাজনৈতিক শ্রেণির দ্বারা চালিত— যাদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রাক্তন যুদ্ধবাজ বা কোনও একসময় গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সামরিক কমান্ডারের ভূমিকা পালন করেছেন। আজ লেবাননের শাসক গোষ্ঠী সরকারি সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে নিজেদের সম্পদ বাড়াচ্ছে ও পেটোয়া গোষ্ঠীকে নানা সুবিধা করে দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত, ১৬ জন বন্দর কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে ও অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অনলাইনে যে সরকারি চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে কাস্টমস কর্তাকে গত এক বছর ধরে বন্দরে সঞ্চিত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ঝুঁকি বিষয়ে একাধিকবার সচেতন করা হয়েছিল, এবং আইনি আধিকারিকদের কাছে তা সরানোর ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল।

অতএব, দুর্নীতি ও গাফিলতির দরুণ ঘটে যাওয়া যে দুর্ঘটনা যা লেবাননকে সঙ্কটের মুখে এনে দাঁড় করাল ও প্রায় তিন লাখ পরিবারকে ঘরছাড়া করল, এর জন্য যদি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে হয়, তারা হলেন লেবাননের পশ্চিম-সমর্থিত রাজনীতিবিদেরা।

এই ঘটনাটি যদি আঘাত বা পরিকল্পিত নকশার অংশ হয়, তাহলে ইতিমধ্যেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত দেশের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলাই এর উদ্দেশ্য। লেবানন এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রপক্ষের তরফ থেকে মারাত্মক চাপের সম্মুখীন, যা হেজবোল্লার প্রতিরোধ ও আন্দোলনগুলিকে দুর্বল করে দিতে বদ্ধপরিকর। বিশেষত বিগত দু দশকে এই অঞ্চলে আন্দোলনের মাধ্যমে একটি নয়া সমীকরণ গঠন করার পর ও ইজরায়েলি বর্ণবৈষম্যবাদী সরকারের বিরুদ্ধে একটি কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলার পর থেকে, লেবানন ও তার মানুষের ওপর আকারে ও প্রকারে বিপুল এই চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

বিস্ফোরণের সময়টাও খুব সন্দেহজনক। অক্টোবর দাঙ্গা এবং প্রতিবাদের সময় আসন্ন। লেবানিজ পাউন্ডের দাম নজিরবিহীনভাবে পড়ে গেছে। লেবানিজ মার্কেটে মার্কিন ডলার লুঠপাট হয়ে গেছে। লেবাননের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যেমন জারি রয়েছে ইজাওরায়েলের যুদ্ধের হুমকিও।

বিভিন্ন ক্ষেত্রেই লেবানন এই বিদেশি হস্তক্ষেপের একাধিক প্রচেষ্টার চারণভূমি হয়ে উঠেছে। বিদেশি শক্তির নাক গলানোর অভ্যেস শুধু লেবাননে নয়, গোটা অঞ্চলের জন্যই এক স্বতঃসিদ্ধ। এই হস্তক্ষেপের সবচেয়ে সোচ্চার রূপ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল, আমিরশাহী, সৌদি আরব এবং তুরস্কের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী তাকফিরি দলগুলির কার্যকলাপ, যা এলাকায় অশান্তি ও ধ্বংসের কারণ। তাকফিরি সহ নানা দল যেমন দায়েশ, আল-নুসরা— এদের হাত থেকে নিজেদের সীমান্ত রক্ষায় লেবানন সমর্থ ছিল, এমনকি লেবাননের প্রতিরোধকারী শক্তির সাহায্যে সিরিয়া বিভিন্ন উগ্রপন্থী দলের কবল থেকে মুক্ত হতে পেরেছিল।

এটা যদি একটা সাজানো বিস্ফোরণই হয়, তবে তার একমাত্র ব্যাখ্যা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগীরা লেবাননের সুস্থিতি এবং নিরাপত্তাকে ভাঙার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের আরও লক্ষ্য হেজবোল্লা— যারা তাদের ইজরায়েলি বন্ধুদের অন্যতম পথের কাঁটা। ১৩০-এর ওপরে মৃত, ৫০০০ আহত, এবং কয়েকশো মানুষ এখনও নিখোঁজ— কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে লেবাননের এই বিস্ফোরণে। এবং অনেকেই বলছেন লেবাননকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই ধাক্কা যথেষ্ট। কিন্তু তাঁরা লেবানিজ জনগণের অধ্যাবসায়ী চরিত্র সম্পর্কে অবগত নন, জানেন না তাঁরা কেমনভাবে যেকোনও সঙ্কটকে একজোট হয়ে মোকাবিলা করতে পারেন। আপাতত লেবাননের মানুষ চান তাঁদের সরকার দ্রুত বার করুক এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী কে— আভ্যন্তরীণ দুর্নীতি, না বৈদেশিক হস্তক্ষেপ; এবং তা বের করে তাদের বিরুদ্ধে যথযথ ব্যবস্থা নিক। সেভাবেই এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে লেবানন আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে, এবং সেই ঘটনাই হয়তো দেশে এক নতুন রাজনৈতিক বিন্যাসের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।


 

Lebanon and the “Beirutshima” explosion: corruption or foreign intervention?

As soon as the nuclear-like explosion hit Lebanon’s capital Beirut, reports with different viewpoints emerged analyzing the reason behind what many people dubbed “Beirutshima”, describing that its scope of damage and the mushroom-like explosion reminded of Japan’s Hiroshima nuclear bomb inflicted by the US in 1945.

Contradictory reports began to circulate on whether this was perpetrated by Israel to cause an ordeal for Lebanon and Hezbollah, or maybe by the US to put more economic pressure on Lebanon, while some said this was the result of mere accident and corruption.

According to media sources, the blast probe ordered by the Lebanese president will be looking into external interference among possible causes, in addition to simple negligence or an accident. Both scenarios are possible.

In both cases, there a few things that must be considered. Most Lebanese state institutions are afflicted with corruption; this is common knowledge. Hundreds of millions of dollars are being wasted through tax invasion, bribery or other. Transparency International ranked Lebanon 134 among 183 countries with a score of 2.5 on the corruption perception index while it ranked 14 among 20 Arab countries, according to a 2011 report.

According to the Daily Star, tax evasion at Beirut Port is estimated at $1 billion annually. In the first nine months of 2012, overall receipts generated through the port reached $2 billion with Customs receipts standing at $1 billion.

The large-scale practice of fraud at Beirut Port requires a highly organized network of benefactors and beneficiaries, it is not a simple process.

To understand the scope of corruption at the port, the Daily Star interviewed a (port) insider who explained it as follows: “Tax evasion requires the collaboration of at least four to five parties. Those include the client and his supplier, the clearance office, the customs inspector or scout man and his supervisor as well as other customs agents. The client asks the supplier to provide him with a false description and invoice of the goods that are shipped to Beirut Port. For example, clients claim to import computers rather than clothing, which is subject to higher customs fees. The client wants to pay less taxes to sell products at greater profits; the supplier wants to satisfy the client and earn his loyalty; the clearance office wants to earn extra commissions, while inspectors and custom agents make thousands of dollars a day in bribes. Everyone gets a share of the pie. So no one is willing to expose the network … it is that simple.”

This instance provided by the Daily Star is only one small example of how deep the corruption is at the port. The port has been nicknamed the “Cave of Ali Baba and the 40 Thieves” due to longstanding reports of corruption. Other versions of corruption at the port include unrepaired or out of use scanners, even bypassing the scanners or illegal rotation of employees. This, according to informed sources is only the tip of the iceberg. Officials have linked the blast to the improper storage of some 2,750 tons of ammonium nitrate at the Beirut port since September 2013. Lebanese President Michel Aoun knew about the huge stockpile of explosive material stored at Beirut’s port nearly three weeks before it blew up, he said Friday, adding he had ordered action be taken about it at the time.

Here, it is obvious that “mere accident” is ruled out of the reasons standing behind the deadly explosion, rather it is the result of the deep-rooted culture of corruption, incompetence, and negligence in the Lebanese state apparatus and officials.

It is also worth mentioning that there is no sort of real governmental supervision at the Beirut Port, it is rather managed by the Customs Authority and the Beirut Port Authority jointly. These two public authorities are under the control of Former PM Saad Hariri and others. Both apparatuses, even though are technically speaking supervised by the government but they are not subject to any sort of parliamentary control or official hierarchy. For decades, Lebanon has been dominated by the same political elites — many of them former warlords and militia commanders from the civil war. The ruling factions use public institutions to accumulate wealth and distribute patronage to supporters. So far, 16 port employees have been detained and others questioned. Official letters circulating online showed the head of the customs department had warned repeatedly over the years that the ammonium nitrate in the port was a danger and had asked judicial officials for a ruling on how to remove it.

Therefore, in the case of corruption and negligence, if anyone should be accountable for the disaster that hit Lebanon and caused some 300 thousand families to become homeless it should be Western-backed politicians in Lebanon.

Now if this was caused by an attack or organized scheme, then its objective is to add misery to the US sanctions imposed on the country. Lebanon has been suffering from immense pressure imposed by the US and its allies, in an attempt to weaken the resistance movement in the country; Hezbollah. Varying in form and size, the mounting pressure has been non-stop on Lebanon and its people especially after the resistance movement succeeded in drawing a new equation into the region over the past two decades and creating a deterrence force in face of the Israeli apartheid regime.

The explosion comes at a suspicious timing, following the October riots and protests, in light of the Lebanese pound sliding to new lows especially in light of plundering the Lebanese market of the US dollar, more US sanctions imposed on Lebanon and Israeli ongoing threats of a new war.

Lebanon has been a platform for different scenarios that reflect multiple attempts of foreign intervention. Foreign meddling is central not only in Lebanon but the entire region. The most striking form of intervention; backed by the US, Israel, UAE, Saudi Arabia and Turkey was in the form of terrorist takfiri groups that swept across the region and caused much destruction and chaos. Lebanon was able to defend its borders in face of the takfiris including Daesh, al-Nusra and other groups while its resistance forces helped Syria also get rid of the tight grip of the terrorist groups.

If this is a set-up explosion, then the only explanation is that the US and its allies are desperate to get rid of Lebanon’s source of stability and security, and the only threat standing in face of its Israeli ally, Hezbollah. Many say that Lebanon, with more than 130 killed, 5000 injured and tens still missing, not to mention the billions of dollars-worth damage is at the brink of total collapse, but what many do not know is that the Lebanese people are perseverant and they unite together at times of hardship. Whether it was due to corruption or foreign intervention, the Lebanese people expect the reality to unravel soon through investigations and expect their government to take required action once and for all for Lebanon to rise above the wound and the piles of rubble, and maybe this could be a fresh beginning and the foundation of a new political order in the country.

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4879 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...