শুভাশিস রায়চৌধুরী
ক্রিস্টোফার নোলানকে যারা সেইভাবে ফলো করেন, তারা জানবেন যে ভদ্রলোকের একটা বিশেষ জিনিসের প্রতি অদ্ভুত অনুরক্তি আছে। না, ননলিনিয়ার ন্যারেটিভ নয়, জিনিসটা হল ফাঁদে পড়ে যাওয়া কিছু মানুষের অসহায়তা। তা সে মেমেন্টোর গায় পিয়ার্সের স্মৃতির ফাঁদে পড়া হোক বা ইন্সেপশনের ডি ক্যাপ্রিওর স্ত্রীয়ের স্বপ্নের ফাঁদে পড়া। অথবা ইন্টারস্টেলারে টেসের্যাক্টের ফাঁদে আটকে ম্যাথিউ ম্যাকনহের বুকশেলফের পিছনে অসহায়ভাবে মেয়ের নাম ধরে “মার্ফ! মার্ফ!” চিৎকার করা হোক বা ডার্ক নাইট রাইজেস-এ ব্যাটম্যানের সেই কুয়োর মতো দেখতে ‘দ্য পিট’ নামক জেলখানার ফাঁদ কেটে বেরোনোর মরিয়া চেষ্টা। নোলান বারংবার ফিরে গেছেন ‘ট্র্যাপ’ এবং ‘ট্র্যাপড’-এর টাগ অফ ওয়ারে। তবে তাঁর অন্যান্য সিনেমাতে এই বিষয়টি ছুঁয়ে গেলেও তা কখনও মূল গল্প হয়ে ওঠেনি। তাই মনে হয় এবার তিনি এই থিমটাকেই মূল গল্প বানিয়ে আমাদের সামনে হাজির করলেন ‘ডানকার্ক’ রূপে।
ছবিটা নিয়ে বিস্তারে বলার আগে মূল ঘটনাটা নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। ১৯৩৯-এ নাৎসি জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণ করার প্রত্যুত্তরে ব্রিটেন, বেলজিয়াম এবং ফ্রান্স একযোগে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে। এই ঘটনাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায় বলে মনে করা হয়। প্রবল পরাক্রম নিয়ে ধেয়ে আসা নাৎসি বাহিনীর সামনে ব্রিটিশ এবং ফ্রেঞ্চ মিত্র শক্তির সেনারা কার্যত পর্যুদস্ত হয়ে পিছু হটতে থাকে। শেষে তাড়া খাওয়া মিত্রশক্তির এক বিশাল বাহিনীকে নাৎসিরা উত্তর ফ্রান্সের ডানকার্ক নামক শহরের সমুদ্রতটে কোণঠাসা করে দেয়। তাদের সামনে তখন শুধু ইংলিশ চ্যানেলের জলরাশি আর পিছনে খ্যাপা কুকুরের মতো ছুটে আসা নাৎসি বাহিনী। মুহুর্মুহু এয়ার রেড করে নাৎসিরা ইস্তাহার ছড়িয়ে দেয় যে তারা মিত্রশক্তির সেনাদের চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছে আর এখানেই শুরু হয় নোলানের এই সিনেমাটি। এক সপ্তাহের কিছু বেশিদিন ধরে ফাঁদে আটকে পড়া সেইসব সেনাদের সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাড়ি ফেরার গল্পই ‘ডানকার্ক’।
তবে নোলানের সিনেমাতে দর্শক একটু ঘাঁটবে না তা হয় নাকি? এখানেও তাই তার ব্যতিক্রম হল না। ১৯৪০-এর ২৬শে মে থেকে ৪ঠা জুনের মাঝে ঘটতে থাকা ঘটনাগুলিকে তিনি ধরলেন তিনরকম দৃষ্টিকোণ থেকে। যেগুলি একে অপরের সাথে যুক্ত হলেও তিনটি আলাদা টাইম ফ্রেমে। মাটিতে ঘটতে থাকা ঘটনা কভার করল উদ্ধারকার্যের একটা সপ্তাহ, সমুদ্রে ঘটে যাওয়া ঘটনা কভার করল উদ্ধারকার্যের শেষ দিনটা আর আকাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কভার করল শেষ একটা ঘণ্টা। তিনটি ঘটনা প্যারালালভাবে চলবে বলে শুরুতে দর্শকের কিছুক্ষণ ঘেঁটে থাকা অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু যে মুহূর্তে দর্শক ধরতে পারবে ব্যাপারটা, সেই মুহূর্তে নোলানের জন্য প্রশংসার বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস আসতে বাধ্য। সত্যিই এই মানুষটার অনন্যভাবে গল্প বলার স্টাইলটাকে কুর্নিশ না করে থাকা যায় না। দর্শকের কাছে তাই নোলানের সিনেমা সুস্বাদু আখরোটের মতো। ভাঙতে সময় এবং ধৈর্য লাগলেও একবার ভেঙে ফেললে তার স্বাদ পাওয়ার সেই অনাবিল আনন্দটাও পাওয়া যায়। এখানেই তিনি বাকিদের থেকে আলাদা এবং এ যুগের সেরা পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম।
এবার একঝলকে সিনেমার প্লটটা জেনে নেওয়া যাক। মাটিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির প্রধান চরিত্রের নাম টমি (অভিনয়ে ফিন হোয়াইটহেড)। সে এক গোঁফের রেখা না ওঠা কিশোর ব্রিটিশ প্রাইভেট। যুদ্ধের ভয়াবহতা সদ্য সদ্য সেনাবাহিনীতে নাম লেখানো প্রাইভেটের চোখ দিয়ে দেখাতে এর আগে আমরা অনেক পরিচালককেই দেখেছি। সেই স্মৃতিতে ‘ডানকার্ক’-এর শুরুতে ‘প্ল্যাটুন’ ছবির চার্লি শীনের সাথে ফিন হোয়াইটহেডের ক্ষণিকের মিল পাওয়া গেলেও ভিয়েতনাম যুদ্ধের সেই ভয়াবহতার বিন্দুমাত্র মিল পাওয়া যাবে না। এখানে নোলান তার পূর্বসূরিদের মতো দর্শকদের যুদ্ধ দেখিয়ে সিটে বসিয়ে রাখার বদলে ফাঁদে পড়া সেনাদের ‘ঐ জুজু আসছে, পালাও’ মার্কা ভয়ার্ত আকুতি দেখিয়েই মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন। তাই যুদ্ধের জুজু খুব একটা বেশি দেখা যাবে না এই ছবিতে। তা সেই কিশোর ব্রিটিশ প্রাইভেট টমির সাথে ঘটনাক্রমে বন্ধুত্ব হয় গিবসন (এক ফরাসি যুবক, যে এক ব্রিটিশ সেনার ছদ্মবেশে তাদের সাথে ব্রিটেনে পালানোর মতলবে ছিল) এবং অ্যালেক্সের। নাৎসি প্লেনের পিরিয়ডিক বোমাবর্ষণ কাটিয়ে উদ্ধারকারী জাহাজে ওঠাই তাদের লক্ষ্য। প্রথমে তাদের জায়গা হয় না উদ্ধারকারী জাহাজে, পরে জায়গা পেলেও নাৎসি সাবমেরিনের টর্পিডোর আঘাতে ডুবে যায় তাদের সেই জাহাজ। সেখান থেকে সাঁতরে পরিত্যক্ত মাছের ট্রলারে গিয়ে লুকিয়ে থাকা থেকে শুরু করে এক দুঃখজনক পরিস্থিতিতে গিবসনের মৃত্যু এবং শেষে কিভাবে মিস্টার ডসনের বোটে করে তারা ব্রিটেনে ফিরে আসে সেই নিয়েই গল্পের এই অংশটা। এই পুরো ঘটনাটার সময়কাল এক সপ্তাহ।
মিস্টার ডসন (অভিনয়ে স্যর মার্ক রাইল্যান্স) হলেন সমুদ্রে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির প্রধান চরিত্র। তিনি এক বয়স্ক মানুষ এবং একটি প্রাইভেট বোটের মালিক। ডানকার্ক সমুদ্রতটে আটকে পড়া সেনাদের উদ্ধারে সামরিক জাহাজ কম পড়বে বলে প্রধানমন্ত্রী স্যর উইনস্টন চার্চিল প্রাইভেট বোটের মালিকদেরও অনুরোধ করেন সে কাজে সাহায্য করতে। তবে বোট রয়্যাল নেভির হাতে না দিয়ে নিজের ছেলে পিটার এবং তাদের হেল্পার জর্জ নামক কিশোরকে নিয়ে একাই উদ্ধারকার্যে বেরিয়ে পড়েন মিস্টার ডসন। যেতে যেতে উদ্ধার করেন যুদ্ধে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিক (এই ব্যক্তি সেই জাহাজে ছিল যা নাৎসি সাবমেরিনের টর্পিডোর আঘাতে ডুবে যায়, যেটায় টমি আর তার বন্ধুরা জায়গা পেয়েছিল), নাৎসি প্লেনের আঘাতে সমুদ্রে ক্র্যাশ করা কলিন্স নামক এক ব্রিটিশ পাইলট, এবং পরিত্যক্ত মাছের ট্রলারে গিয়ে লুকিয়ে থাকা টমিদের অবশিষ্ট দলটাকে। মিস্টার ডসনের এই উদ্ধারকার্য চলাকালীন আমরা জানতে পারি তার বড় ছেলে রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলট ছিল যে যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই মারা যায়, তাই তার দেশের সেনাদের উদ্ধারকার্যে এই শর্তহীন আগ্রহ। এই পুরো ঘটনাটার সময়কাল এক দিন যার মাঝে উল্লেখযোগ্য সেই মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিকের সাথে ধস্তাধস্তিতে কিশোর জর্জের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু।
এবার আসা যাক ফ্যারিয়ারের কথায়। ফ্যারিয়ার (অভিনয়ে টম হার্ডি) হলেন রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলট এবং আকাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির প্রধান চরিত্র। ফ্যারিয়ার, কলিন্স এবং তাদের ঊর্ধ্বতন পাইলট, তিনজনে মিলে সীমিত জ্বালানী নিয়ে ডানকার্ক সমুদ্রতটে আটকে পড়া সেনাদের এয়ার সাপোর্ট দেওয়ার জন্য রওনা হয়। পথে নাৎসি ফাইটার প্লেনের নিশানায় পড়ে ঊর্ধ্বতন পাইলটের মৃত্যু হলে মিশনের দায়িত্ব নিজেদের ওপর নেয় ফ্যারিয়ার ও কলিন্স। কিছু দুরে গিয়ে তাদের মোলাকাত হয় আরও কিছু নাৎসি ফাইটারের সাথে। তাদের খতম করলেও কলিন্সের প্লেনে আঘাত লেগে তা সমুদ্রে ক্র্যাশ করে এবং ফ্যারিয়ারের প্লেনের জ্বালানীর ট্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে হিসাব করে দেখে যা জ্বালানী আছে তাতে সে ডানকার্কে পৌঁছে গেলেও সেখান থেকে ফিরতে পারবে না। তবুও পিছু হঠার বদলে সামনের দিকে এগিয়ে যায় ফ্যারিয়ার। শেষে সে যখন প্রায় নিঃশেষিত জ্বালানী নিয়ে ডানকার্ক পৌঁছয় তখন এক জার্মান বোমারু বিমান ধেয়ে আসছিল ব্রিটিশ উদ্ধারকারী জাহাজগুলির দিকে। ফ্যারিয়ার সেই বিমানকে খতম করে ব্রিটিশ উদ্ধারকারী জাহাজগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কিন্তু জ্বালানী না থাকায় তার প্লেন নেমে আসে নাৎসিদের অঞ্চলে। ল্যান্ড করে প্রমাণ-তথ্যাদি লোপাটের জন্য সে নিজের প্লেনে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং কিছুক্ষণ পরে বন্দী হয় নাৎসিদের হাতে। এখানে নোলান দর্শকের অ্যাড্রেনালিন রাশ আনার সহজলভ্য মালমশলা পেয়েও সে পথে হাঁটেননি। সামরিক ভাষায় আকাশে ক্লোজ রেঞ্জ প্লেনের লড়াইকে বলা হয় ‘ডগফাইট’। ‘টপ গান’-এর মতো মাঝারিমানের ছবির ডগফাইট আজও মানুষের মনে থেকে গেছে কেবলমাত্র সেই দৃশ্যসমূহের সহজাত টানটান উত্তেজনাগুলোর জন্য। সে তুলনায় ‘ডানকার্ক’-এর ডগফাইট চূড়ান্ত ম্যাড়ম্যাড়ে। এখানে আকাশ যুদ্ধের বদলে পরিচালক ফোকাস করেছেন ফ্যারিয়ারের কমতে থাকা জ্বালানী নিয়ে উৎকণ্ঠার উপর। কিন্তু সেটাও দর্শক চেটেপুটেই খেয়েছে। এই পুরো ঘটনাটার সময়কাল এক ঘণ্টা।
এই ভাবে একই জিনিস নিয়ে ঘটে যাওয়া তিনটি আলাদা গল্পকে এক সুতোয় বেঁধেছেন নোলান। অসাধারণ সেই বুনোট। তিনটি ঘটনার একে অপরকে ছুঁয়ে যাওয়ার সেই কানেক্টিং মোমেন্টগুলোয় ‘ডানকার্ক’ যেন ত্রিবেণীসঙ্গমের মতোই অপরূপ। অভিনয়ে নবাগত ফিন হোয়াইটহেড অসাধারণ না হলেও নিজের কাজটি করে দিয়েছেন। শোনা যায় নোলান বেশ অনেকজন কিশোরের অডিশন নিয়ে শেষে হোয়াইটহেডকে পছন্দ করেন। বিশেষ ডায়লগ না থাকলেও তাই মুখের ন্যাচারাল সারল্যের দরুণ শুধু এক্সপ্রেশনের জেরে উতরে গেছেন হোয়াইটহেড। মিস্টার ডসনের চরিত্রে স্যর মার্ক রাইল্যান্স যথেষ্ট সাবলীল। ব্রিটিশ থিয়েটারে দাপিয়ে অভিনয় করা মানুষটির থেকে যা আশা করা যায় তিনি ঠিক সেটাই দিয়েছেন। মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিকের চরিত্রে নোলানের প্রায় সব ছবির পরিচিত মুখ কিলিয়ন মার্ফি এবং রয়্যাল নেভির কম্যান্ডারের চরিত্রে স্যর কেনেথ ব্রানহ’র জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও কিছু এসে যেত না, কারণ এতটাই ছোট ছিল তাদের চরিত্রগুলি। তবে সকলকে ছাপিয়ে গেছেন ফ্যারিয়ারের চরিত্রে টম হার্ডি। হলিউডে হাল আমলের প্রথমসারির অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হার্ডি নয় নয় করে এই নিয়ে তিনটি সিনেমা করে ফেললেন নোলানের সাথে। অসাধারণ অভিনয়দক্ষতা সম্পন্ন এই মানুষটি অনেকদিন পর্যন্ত মনে থেকে যাবে ফ্যারিয়ারের চরিত্রে।
ইন্সেপশন, ইন্টারস্টেলার বা ব্যাটম্যানের ডার্ক নাইট ট্রিলজির মতো নোলানের এই সিনেমাতেও আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন হান্স জিমার, এবং প্রতিবারের মতো এবারেও তিনি হতাশ করেননি। এই ছবিতে সংলাপ নোলানের অন্যান্য ছবির তুলনায় অনেকটাই কম। তাই সেই জায়গা ভরাট করতে তিনি যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছেন জিমারকে। পকেটঘড়ির টিকটকের আড়ালে হাল্কা সিম্ফনি বা স্পিটফায়ার প্লেনের প্রপেলারের শব্দের সাথে মিলিয়ে র্যাপিড বিটের থিমে নোলানের সাথে জিমারের এই যুগলবন্দী দীর্ঘজীবী হোক। শেষ করার আগে শুধু একটা কথাই বলার আছে এবং তা হল এটা কোনওমতেই নোলানের বানানো সেরা ছবি নয়। তা সত্ত্বেও ‘ডানকার্ক’ ওয়ার মুভি জ্যঁরের সিনেমাগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে রয়ে যাবে। এই জ্যঁরের সিনেমা বলতে প্রথমেই আমার মাথায় আসে ফ্রান্সিস কোপ্পলা’র ‘অ্যাপোক্যালিপ্স নাও’, অলিভার স্টোনের ভিয়েতনাম ওয়ার ট্রিলজি অথবা হাল আমলের ক্যাথরিন বিগ্লোউ’র সিনেমাগুলি। তবে তারা যুদ্ধের গল্পটাকে যুদ্ধের মতো করেই বলেছেন। কিন্তু নোলান এই এক্সপেরিমেন্টটি করে, যুদ্ধের গল্পও যে আলাদাভাবে বলা যায় তা দেখিয়ে দিলেন। ডানকার্ক ইভাক্যুয়েশনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে স্যর উইনস্টন চার্চিল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ঐতিহাসিকরা বলেন এই উদ্ধারকার্যে সফল না হলে তার প্রধানমন্ত্রিত্ব তো যেতই উলটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির হারও হতে পারত। যেভাবে চার্চিল সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই নিজের চিরাচরিত বাউন্ডারি ভেঙ্গে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত রূপালী পর্দায় রিক্রিয়েট করার পরীক্ষায় ক্রিস্টোফার নোলানও সসম্মানে উত্তীর্ণ।
পুনশ্চঃ প্রায় তিনলাখের বেশি শত্রুপক্ষের সেনাদের কোণঠাসা করেও হিটলার কেন তাদের শেষ না করে কদিন একটু রাশ হাল্কা করেন সেটা আজও অজানা। এই ছবি দেখার আগে আশা করেছিলাম কিছু ধোঁয়াশা কাটবে কিন্তু নোলান সে পথই মাড়াননি। পুরোটাকেই ইভাক্যুয়েশনের ফোকাসে রেখেছেন। এটা নিয়ে একটু ব্যক্তিগত খচখচ থেকেই গেল।